২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার নথি
——————————-
পরতে পরতে একদিকে লুকিয়ে আছে বিচারপ্রার্থীদের আর্তনাদ; আর অপরদিকে আসামীদের ন্যায় বিচার প্রাপ্তির তীব্র হাহাকার।
পরতে পরতে একদিকে লুকিয়ে আছে বিচারপ্রার্থীদের আর্তনাদ; আর অপরদিকে আসামীদের ন্যায় বিচার প্রাপ্তির তীব্র হাহাকার।
কেন বললাম?
———–
১। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলাটি শুনানি শুরু হয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষ পেপারবুক পড়ছেন। আগামী ২৫ জানুয়ারি ২০২৩ পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করা হয়েছে।
২। একটি ঘটনা থেকে দুটি মামলা হয়েছে। আলাদা আলাদা রায় হয়েছে। একটি
মামলা নরহত্যা আরেকটি মামলা বিস্ফোরক। দুটিতেই মৃত্যুদণ্ড হয়েছে অনেকের।
৩। Death Reference No. ১৫৫ এবং ১৪৫/২০১৮। মামলা দুটি বিশেষ বিবেচনায় সিরিয়াল ব্রেক করে শুনানি শুরু হয়েছে। সিরিয়াল অনুযায়ী ২০১৭ সালের death reference শুনানি হচ্ছে। এই প্রসঙ্গ সম্পূর্ণ ভিন্ন।
৪। হাজার হাজার পৃষ্ঠার পেপারবুক। দুটি মামলা মিলে ২২/২৩ টি পেপারবুক। পেপারবুকের সকল document এর উপর দখল আনাও সময় সাপেক্ষ বিষয়।
৫। এই মামলার যারা ভিকটিম তারা অবশ্যই বিচার চাইবেন। অবশ্যই আসামীর সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করবেন। তাদের আত্মীয় স্বজনরা বিচারের দাবিতে সোচ্চার থাকবেন। এটাই স্বাভাবিক বিষয়।
৬। এই মামলার যারা আসামী তারাও ন্যায় বিচার চাইবেন। চাচ্ছেন। তাদের আত্মীয় স্বজনরা হন্যে হয়ে আইনজীবী খুঁজছেন। এটাও স্বাভাবিক।
৭। নথির আদ্যপান্ত বিবেচনা করার দায়িত্ব বিচারকের। সেক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত বিচারকি রীতি-পদ্ধতি তাঁকে মানতে হয়। অন্যথায় এগুলো নিয়ে হাসাহাসি হতে পারে।
৮। মুফতি হান্নানের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি পড়ে আমি স্তম্ভিত হয়ে গেলাম। তিনি একবার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। চার্জ শীটও দায়ের করা হয়েছে। অধিকতর তদন্তের সময় তিনি আবারও স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এইবার তিনি ভিন্ন বক্তব্য হাজির করেছেন।
এই বিষয়টি বিচারিক রীতি অনুযায়ী reconcile করা খুবই কঠিন বিষয়।
এই ঘটনার আইনি ব্যাখ্যা দাঁড় করানো খুবই দুরুহ।
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা কবিতা , ছবি, ব্যানার,