সূরা আহকাফ এর সংক্ষিপ্ত পরিচয়, শানেনুযূল, সূরাটির গুরুত্বপূর্ণ দিক, সূরাটির শিক্ষা সূরাটির মূল বিষয়বস্তু, সূরাটির ফযিলত, এবং সূরাটির আলোকে ৫টি বিষয়ভিত্তিক আয়াত অর্থসহ প্রতিটি বিষয় আলোচনা এবং সূরা আহকাফ সম্পর্কে ২০টি শর্ট প্রশ্ন ও উত্তর এবং ২৫টি MCQ দেয়া হলো।
সূরা আহকাফ
সূরা আহকাফ সম্পর্কে ২০টি শর্ট প্রশ্ন ও উত্তর
১. সূরা আহকাফ কুরআনের কত নম্বর সূরা?
উত্তর: ৪৬ নম্বর সূরা।
২. সূরা আহকাফ মক্কী না মাদানী সূরা?
উত্তর: মক্কী সূরা।
৩. সূরা আহকাফে কয়টি আয়াত আছে?
উত্তর: ৩৫টি আয়াত।
৪. সূরা আহকাফের নামকরণের কারণ কী?
উত্তর: “আহকাফ” অর্থ বালুকাময় ঢিবি বা পাহাড়, যা আদ জাতির বসতির স্থান ছিল।
৫. সূরা আহকাফে কোন নবী ও তাঁর সম্প্রদায়ের কথা বলা হয়েছে?
উত্তর: হযরত হুদ (আ.) ও আদ জাতির কথা বলা হয়েছে।
৬. সূরা আহকাফে কার প্রতি ঈমান আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে?
উত্তর: আল্লাহ, তাঁর রাসূল (সা.) এবং কিতাবের প্রতি।
৭. সূরা আহকাফে কোন সম্প্রদায়কে ধ্বংসের কথা বলা হয়েছে?
উত্তর: আদ জাতি।
৮. সূরা আহকাফে পিতামাতার সাথে কেমন আচরণ করতে বলা হয়েছে?
উত্তর: সদাচরণ ও সম্মান প্রদর্শন করতে বলা হয়েছে।
আরও পড়তে পারেন-- সূরা কাসাস সম্পর্কে ৪৫টি কুইজ প্রশ্ন এবং MCQ
৯. সূরা আহকাফে আল্লাহর নিদর্শনগুলোর মধ্যে কোনটি উল্লেখিত হয়েছে?
উত্তর: আকাশ, পৃথিবী, বৃষ্টি, গাছপালা ইত্যাদি।
১০. সূরা আহকাফে কাফিরদের শাস্তি সম্পর্কে কী বলা হয়েছে?
উত্তর: তাদের জন্য রয়েছে কঠোর শাস্তি।
১১. সূরা আহকাফে মুমিনদের জন্য কী সুসংবাদ দেওয়া হয়েছে?
উত্তর: জান্নাতের সুসংবাদ দেওয়া হয়েছে।
১২. সূরা আহকাফে আল্লাহর একত্ববাদের প্রতি কোন বার্তা দেওয়া হয়েছে?
উত্তর: আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই, তিনি মহান ও প্রজ্ঞাময়।
১৩. সূরা আহকাফে কুরআনকে কী বলা হয়েছে?
উত্তর: আল্লাহর পক্ষ থেকে সত্য কিতাব।
১৪. সূরা আহকাফে দুনিয়ার জীবনকে কীভাবে বর্ণনা করা হয়েছে?
উত্তর: ক্ষণস্থায়ী ও ভোগবিলাসের স্থান।
১৫. সূরা আহকাফে কিয়ামতের দিনের কী আলোচনা আছে?
উত্তর: সেদিন সবাই নিজ নিজ আমলের হিসাব দেবে।
১৬. সূরা আহকাফে জিনদের কী ঘটনা বর্ণিত হয়েছে?
উত্তর: জিনদের একটি দল কুরআন শুনে ঈমান এনেছিল।
১৭. সূরা আহকাফে আল্লাহর রহমতের কী উদাহরণ দেওয়া হয়েছে?
উত্তর: তিনি মানুষের গুনাহ ক্ষমা করেন ও রহমত দান করেন।
১৮. সূরা আহকাফে নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর প্রতি কী বলা হয়েছে?
উত্তর: তিনি সতর্ককারী ও সুসংবাদদাতা।
১৯. সূরা আহকাফে শয়তানের ধোঁকা থেকে বাঁচার উপায় কী?
উত্তর: আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করা।
২০. সূরা আহকাফের শেষ আয়াতে কী বলা হয়েছে?
উত্তর: সব রাসূলই মানুষ, আল্লাহই একমাত্র উপাস্য।
সূরা আহকাফ সম্পর্কে ২৫টি MCQ (বহুনির্বাচনী প্রশ্ন)
১. সূরা আহকাফ কুরআনের কততম সূরা?
- a) ৪৫
b) ৪৬
c) ৪৭
d) ৪৮
২. সূরা আহকাফ কোন ধরনের সূরা?
- a) মাদানী
b) মক্কী
c) উভয়টি
d) কোনোটিই নয়
৩. সূরা আহকাফে কয়টি আয়াত আছে?
- a) ৩০
b) ৩৫
c) ৪০
d) ৪৫
৪. “আহকাফ” শব্দের অর্থ কী?
- a) পাহাড়
b) বালুকাময় ঢিবি
c) নদী
d) গুহা
৫. সূরা আহকাফে কার কথা বলা হয়েছে?
- a) হযরত নূহ (আ.)
b) হযরত হুদ (আ.)
c) হযরত সালেহ (আ.)
d) হযরত ইব্রাহীম (আ.)
৬. সূরা আহকাফে কোন জাতির ধ্বংসের কথা বলা হয়েছে?
- a) সামুদ
b) আদ
c) লুত
d) ফিরাউন
৭. সূরা আহকাফে পিতামাতার সাথে কেমন আচরণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে?
- a) কঠোর
b) উদাসীন
c) সদাচরণ
d) উপেক্ষা
৮. সূরা আহকাফে আল্লাহর নিদর্শন হিসেবে কী উল্লেখ করা হয়েছে?
- a) আকাশ ও পৃথিবী
b) সম্পদ
c) প্রাসাদ
d) সোনা-রূপা
৯. সূরা আহকাফে কাফিরদের জন্য কী আছে?
- a) পুরস্কার
b) ক্ষমা
c) শাস্তি
d) সম্মান
১০. সূরা আহকাফে মুমিনদের জন্য কী সুসংবাদ দেওয়া হয়েছে?
- a) দুনিয়ার সম্পদ
b) জান্নাত
c) ক্ষমতা
d) দীর্ঘ জীবন
১১. সূরা আহকাফে আল্লাহর একত্ববাদের বার্তা কী?
- a) তিনি এক ও অদ্বিতীয়
b) অনেক দেবতা আছে
c) আল্লাহ দুর্বল
d) তিনি মানুষের মতো
১২. সূরা আহকাফে কুরআনকে কী বলা হয়েছে?
- a) মানুষের রচনা
b) কবিতা
c) সত্য কিতাব
d) পুরাণ
১৩. সূরা আহকাফে দুনিয়ার জীবনকে কী বলা হয়েছে?
- a) চিরস্থায়ী
b) ক্ষণস্থায়ী
c) সম্পদশালী
d) দুঃখময়
১৪. সূরা আহকাফে কিয়ামতের দিন কী হবে?
- a) সবাই আমলের হিসাব দেবে
b) কোনো হিসাব নেই
c) শুধু কাফিরদের শাস্তি
d) শুধু মুমিনদের পুরস্কার
১৫. সূরা আহকাফে জিনদের কী ঘটনা বর্ণিত হয়েছে?
- a) তারা নবীকে হত্যা করেছিল
b) তারা কুরআন শুনে ঈমান এনেছিল
c) তারা ফেরাউনকে অনুসরণ করেছিল
d) তারা আদ জাতিকে ধ্বংস করেছিল
১৬. সূরা আহকাফে আল্লাহর রহমতের উদাহরণ কী?
- a) শাস্তি দেওয়া
b) গুনাহ ক্ষমা করা
c) সম্পদ কেড়ে নেওয়া
d) বিপদ দেওয়া
১৭. সূরা আহকাফে নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর ভূমিকা কী?
- a) শাসক
b) সতর্ককারী ও সুসংবাদদাতা
c) যোদ্ধা
d) ব্যবসায়ী
১৮. সূরা আহকাফে শয়তানের ধোঁকা থেকে বাঁচার উপায় কী?
- a) সম্পদ অর্জন
b) আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা
c) মানুষের সাহায্য নেওয়া
d) জাদু করা
১৯. সূরা আহকাফের শেষ আয়াতে কী বলা হয়েছে?
- a) সব রাসূল মানুষ, আল্লাহই একমাত্র উপাস্য
b) পৃথিবী চিরস্থায়ী
c) কোনো শাস্তি নেই
d) সবাই জান্নাতে যাবে
২০. সূরা আহকাফে আল্লাহর কিতাবের প্রতি কী করতে বলা হয়েছে?
- a) অস্বীকার
b) ঈমান আনা
c) উপেক্ষা
d) বিকৃত করা
২১. সূরা আহকাফে আদ জাতি কীভাবে ধ্বংস হয়েছিল?
- a) ভূমিকম্প
b) প্রলয়ঙ্করী ঝড়
c) প্লাবন
d) আগুন
২২. সূরা আহকাফে আল্লাহর নিদর্শন চিন্তা করতে বলা হয়েছে কীসের মাধ্যমে?
- a) সম্পদ
b) প্রকৃতি
c) যুদ্ধ
d) রাজ্য
২৩. সূরা আহকাফে মুমিনদের বৈশিষ্ট্য কী?
- a) তারা আল্লাহ ও আখিরাতে বিশ্বাস করে
b) তারা শুধু দুনিয়াতে বিশ্বাস করে
c) তারা শিরক করে
d) তারা নবীকে অস্বীকার করে
২৪. সূরা আহকাফে আল্লাহর স্মরণ থেকে কারা বিমুখ?
- a) মুমিনরা
b) কাফিররা
c) ফেরেশতারা
d) নবীগণ
২৫. সূরা আহকাফের মূল বার্তা কী?
- a) শুধু ইবাদত কর
b) আল্লাহর একত্ববাদ ও আখিরাতে বিশ্বাস
c) সম্পদ অর্জন কর
d) শত্রুতার পথ অবলম্বন কর
সঠিক উত্তর
এই প্রশ্নোত্তরগুলো সূরা আহকাফের মূল বিষয়বস্তু বুঝতে ও পরীক্ষার প্রস্তুতিতে সহায়ক হবে।
সূরাটির সংক্ষিপ্ত পরিচয়, শানেনুযূল, সূরাটির গুরুত্বপূর্ণ দিক, সূরাটির শিক্ষা, সূরাটির মূল বিষয়বস্তু, সূরাটির ফযিলত, এবং সূরাটির আলোকে ৫টি বিষয়ভিত্তিক আয়াত অর্থসহ প্রতিটি বিষয় বিস্তারিত চাই
সূরা আহকাফ: বিস্তারিত পরিচয় ও বিশ্লেষণ
১. সংক্ষিপ্ত পরিচয়
- নাম: সূরা আহকাফ (আরবি: سورة الأحقاف)
- অবস্থান: কুরআনের ৪৬তম সূরা
- আয়াত সংখ্যা: ৩৫টি
- নাযিলের স্থান: মক্কা (মক্কী সূরা)
- পারার অবস্থান: ২৬তম পারায়
- নামকরণের কারণ: “আহকাফ” অর্থ বালুকাময় উঁচু ভূমি বা পাহাড়, যা আদ জাতির বসতির স্থান ছিল (আয়াত ২১-২৬)।
২. শানে নুযূল (নাযিলের প্রেক্ষাপট)
সূরা আহকাফ মক্কায় নাযিল হয়, যখন কুরাইশ নেতারা ইসলাম ও রাসূল (সা.)-এর দাওয়াতকে কঠোরভাবে প্রত্যাখ্যান করছিল। এই সূরায় আদ জাতির ধ্বংসের কাহিনী উল্লেখ করে কাফিরদের সতর্ক করা হয়েছে। এছাড়াও, জিনদের একটি দলের কুরআন শুনে ঈমান আনার ঘটনা বর্ণিত হয়েছে (আয়াত ২৯-৩২), যা নবুয়তের সত্যতার প্রমাণ দেয়।
৩. সূরাটির গুরুত্বপূর্ণ দিক
- তাওহীদ ও রিসালাত: আল্লাহর একত্ববাদ ও নবী-রাসূলদের প্রতি ঈমানের আহ্বান।
- পিতামাতার হক: সন্তানের কর্তব্য ও পিতামাতার সাথে সদাচরণের নির্দেশ (আয়াত ১৫-১৭)।
- কিয়ামত ও পুনরুত্থান: আখিরাতে বিশ্বাস ও হিসাব-নিকাশের আলোচনা।
- ইতিহাসের শিক্ষা: আদ জাতির ধ্বংসের মাধ্যমে সতর্কবার্তা।
- কুরআনের মর্যাদা: এটি আল্লাহর পক্ষ থেকে অবতীর্ণ সত্য গ্রন্থ (আয়াত ৭-১২)।
৪. সূরাটির শিক্ষা
- আল্লাহর নিদর্শনসমূহ নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করা।
- পিতামাতার প্রতি কৃতজ্ঞতা ও সম্মান প্রদর্শন।
- দুনিয়ার জীবনের মোহ ত্যাগ করে আখিরাতের প্রস্তুতি নেওয়া।
- কাফিরদের অপপ্রচার থেকে সতর্ক থাকা।
- নবী-রাসূলদের শিক্ষাকে আঁকড়ে ধরা।
৫. সূরাটির মূল বিষয়বস্তু
- আল্লাহর একত্ববাদ ও নবুয়ত: আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই এবং মুহাম্মদ (সা.) তাঁর রাসূল (আয়াত ৯)।
- প্রকৃতির নিদর্শন: আকাশ, পৃথিবী, বৃষ্টি, উদ্ভিদ ইত্যাদিতে আল্লাহর কুদরতের প্রমাণ (আয়াত ৩৩)।
- পূর্ববর্তী জাতির ইতিহাস: আদ জাতির অবাধ্যতা ও শাস্তি (আয়াত ২১-২৬)।
- জিন ও কুরআন: জিনদের কুরআন শ্রবণ ও ঈমান আনার ঘটনা (আয়াত ২৯-৩২)।
- দুনিয়া ও আখিরাতের সমাপ্তি: দুনিয়া ক্ষণস্থায়ী, আখিরাতই চিরস্থায়ী (আয়াত ৩৪-৩৫)।
৬. সূরাটির ফযিলত (মর্যাদা)
- জিনদের ঈমান: এই সূরায় জিনদের ঈমান আনার ঘটনা বর্ণিত হয়েছে, যা কুরআনের অলৌকিকতার প্রমাণ।
- রাসূল (সা.)-এর পছন্দনীয় সূরা: তিনি নিয়মিত এ সূরা তিলাওয়াত করতেন।
- আখিরাতের স্মরণ: এ সূরায় কিয়ামতের আলোচনা মুমিনদের জন্য সতর্কবাণী হিসেবে কাজ করে।
- পিতামাতার সেবার গুরুত্ব: আয়াত ১৫-১৭ পিতামাতার হক সম্পর্কে স্পষ্ট নির্দেশনা দেয়।
৭. সূরাটির আলোকে ৫টি বিষয়ভিত্তিক আয়াত (অর্থসহ)
১. তাওহীদ ও রিসালাত
আয়াত ৯:
“قُلْ مَا كُنْتُ بِدْعًا مِنَ الرُّسُلِ“
অর্থ: “বলুন, আমি কোনো নতুন রাসূল নই।”
ব্যাখ্যা: নবী (সা.) পূর্ববর্তী নবীদের মতোই আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রেরিত।
২. পিতামাতার হক
আয়াত ১৫:
“وَصَاحِبْهُمَا فِي الدُّنْيَا مَعْرُوفًا“
অর্থ: “দুনিয়ায় তাদের সাথে সদাচরণ করো।”
ব্যাখ্যা: পিতামাতার সাথে সদ্ব্যবহার করা ঈমানের দাবি।
৩. কিয়ামত ও পুনরুত্থান
আয়াত ৩৩:
“أَوَلَمْ يَرَوْا أَنَّ اللَّهَ الَّذِي خَلَقَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ وَلَمْ يَعْيَ بِخَلْقِهِنَّ بِقَادِرٍ عَلَىٰ أَنْ يُحْيِيَ الْمَوْتَىٰ“
অর্থ: “তারা কি দেখে না, যিনি আকাশ ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন, তিনি মৃতকে জীবিত করতে সক্ষম?”
ব্যাখ্যা: আল্লাহর সৃষ্টিশক্তি কিয়ামতের প্রমাণ।
৪. আদ জাতির ধ্বংস
আয়াত ২৫:
“فَأَصْبَحُوا لَا يُرَىٰ إِلَّا مَسَاكِنُهُمْ“
অর্থ: “অতঃপর তাদের ঘরবাড়ি ছাড়া কিছুই দেখা যেত না।”
ব্যাখ্যা: অবাধ্যতার ফলে আদ জাতি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়েছিল।
৫. জিনদের ঈমান
আয়াত ২৯:
“وَإِذْ صَرَفْنَا إِلَيْكَ نَفَرًا مِنَ الْجِنِّ يَسْتَمِعُونَ الْقُرْآنَ“
অর্থ: “যখন আমি আপনার দিকে কিছু জিনকে পাঠালাম কুরআন শুনার জন্য।”
ব্যাখ্যা: জিনরা কুরআন শুনে ঈমান এনেছিল, যা এর সত্যতার প্রমাণ।
সারসংক্ষেপ:
সূরা আহকাফ মক্কী জীবনের কঠিন সময়ে নাযিল হয়, যেখানে তাওহীদ, রিসালাত, পিতামাতার হক, ইতিহাসের শিক্ষা ও আখিরাতের স্মরণকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এটি মুমিনদের জন্য একটি গাইডলাইন এবং কাফিরদের জন্য সতর্কবাণী। এই সূরার শিক্ষাগুলো ব্যক্তিগত, সামাজিক ও আধ্যাত্মিক জীবনে প্রয়োগ করা অত্যন্ত জরুরি।