আয় আয় চাঁদ মামা টিপ দিয়ে যা
চাঁদ মামা
আয় আয় চাঁদ মামা টিপ দিয়ে যা।
চাঁদের কপালে চাঁদ টিপ দিয়ে যা।
ধান ভাঁনলে কুঁড়ো দেবো,
মাছ কাটলে মুড়ো দেবো,
কালো গাইয়ের দুধ দেবো,
দুধ খাবার বাটি দেবো
চাঁদের কপালে চাঁদ টিপ দিয়ে যা।
পারিব না এ কথাটি বলিও না আর
পারিব না এ কথাটি
বলিও না আর
কেন পারিবে না তাহা
ভাব এক বার।
পাঁচ জনে পারে যাহা
তুমিও পারিবে তাহা
পার কিনা পার কর
যতন আবার
এক বারে না পারিলে
দেখ শত বার।
পুঁটু নাচে কোনখানে?
পুঁটু
পুঁটু নাচে কোনখানে?
শতদলের মাঝখানে ।
সেখানে পুঁটু কী করে?
চুল ঝাড়ে আর ফুল পাড়ে
ডুব দিয়ে সে মাছ ধরে
চাঁদ উঠেছে ফুল ফুটেছে
চাঁদ উঠেছে ফুল ফুটেছে
কদম তলায় কে,
হাতি নাচছে ঘোড়া নাচছে
সোনা মনির বিয়ে ।
আরও পড়ুন–শিশু কিশোর বিষয়ক অনু ভাবনা-অধ্যাপক আবু তাহের বেলাল
খোকন খোকন ডাক পাড়ি
খোকন খোকন ডাক পাড়ি,
খোকন মোদের কার বাড়ি?
আয়রে খোকন ঘরে আয়,
দুধ মাখা ভাত কাকে খায়।
কুকুর বাজায় টুমটুম
কুকুর বাজায় টুমটুম
বানর বাজায় ঢোল
টুনটুনিতে টুনটুনাল
ইঁদুর বাজায় খোল।
সাপের মাথায় ব্যাঙ নাচুনি
চেয়ে দেখবে খুকুমণি।
আম পাতা জোড়া জোড়া
আম পাতা জোড়া জোড়া
মারব চাবুক চড়ব ঘোড়া,
ওরে বুবু সরে দাঁড়া
আসছে আমার পাগলা ঘোড়া,
পাগলা ঘোড়া খেপেছে
চাবুক ছুড়ে মেরেছে।
আতা গাছে তোতা পাখি
আতা গাছে তোতা পাখি
ডালিম গাছে মৌ,
এত ডাকি তবু কথা
কও না কেন বউ ।
কইব কথা কি ছলে
কথা কইতে গা জ্বলে।
আমাদের ছোট নদী -রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
আমাদের ছোট নদী চলে বাঁকে বাঁকে,
বৈশাখ মাসে তার হাঁটু জল থাকে।
পার হয়ে যায় গরু, পার হয় গাড়ি,
দুই ধার উঁচু তার, ঢালু তার পাড়ি।
চিকচিক করে বালি, কোথা নাই কাদা,
একধারে কাশবন ফুলে ফুলে সাদা।
নোটন নোটন পায়রা গুলো ঝোঁটন বেঁধেছে
নোটন নোটন পায়রা গুলো
ঝোঁটন বেঁধেছে।
ও পাড়েতে ছেলে-মেয়ে
নাইতে নেমেছে
দুই ধারে দুই রুই কাতলা
ভেসে ওঠেছে,
কে দেখেছে? কে দেখেছে?
দাদু দেখেছে।
দাদুর হাতে কলম ছিল,
ছুঁড়ে মেরেছে।
উঃ দাদু বড্ড লেগেছে।
আরও পড়তে পারেন–শিশুর খাবারে অরুচি :: কেন শিশু খেতে চায় না? জেনে নিন করনীয় কী?
হাট টিমা টিম টিম
হাট টিমা টিম টিম,
তারা মাঠে পাড়ে ডিম ।
তাদের খাড়া দুটো শিং,
তারা হাট টিমা টিম টিম।
সকালে উঠিয়া আমি মনে মনে বলি
সকালে উঠিয়া আমি মনে মনে বলি,
সারাদিন আমি যেন ভাল হয়ে চলি।
আদেশ করেন যাহা মোর গুরুজনে,
আমি যেন সেই কাজ করি ভাল মনে।
ভাই বোন সকলেরে যেন ভালবাসি,
একসাথে থাকি যেন সবে মিলে মিশে।
পাখিসব করে রব রাতি পোহাইলে
প্রভাত
পাখিসব করে রব রাতি পোহাইলে,
কাননে কুসুমকলি সকলি ফুটিল।
রাখাল গরুর পাল লয়ে যায় মাঠে,
শিশুগণ দেয় মন নিজ নিজ পাঠে।
শীতল বাতাস বয় জুড়ায় শরীর,
পাতায় পাতায় পড়ে নিশির শিশির
ওঠ শিশু, মুখ ধোও, পর নিজ বেশ,
আপন পাঠেতে মন করহ নিবেশ।
মোরগ ডাকে
কুকুরকু মোরগ ডাকে,
মাথায় রাঙা ঝুঁটি।
তাইনা দেখে খোকা খুকু,
হেসেই লুটুপুটি।
বাক বাকুম পায়রা
বাক বাকুম পায়রা
মাথায় দিয়ে টায়রা,
বৌ সাজবে কাল কী?
চড়বে সোনার পাল্কি ।
কাঠ বিড়ালী-কাজী নজরুল ইসলাম
কাঠ বিড়ালী কাঠ বিড়ালী,
পেয়ারা তুমি খাও?
গুড় মুড়ি খাও? দুধ ভাত খাও?
বাতাবী লেবু লাউ?
বিড়াল বাচ্চা, কুকুর ছানা, তাও?
ছোঁচা তুমি! তোমার সঙ্গে আঁড়ি আমার, যাও ।
আইকম্ বাইকম্
আইকম্ বাইকম্ তাড়াতাড়ি
যদু মাস্টার শ্বশুর বাড়ি।
রেইন্ কাম্ ঝমাঝম্
পা পিছলে আলুর দম্
কানাবগীর ছা-খাঁন মুহম্মদ মঈনুদ্দীন
ঐ দেখা যায় তাল গাছ
ঐ আমাদের গাঁ,
ঐ খানেতে বাস করে
কানাবগীর ছা।
ও বগী তুই খাস কি?
পানতা ভাত চাস কি?
পানতা আমি খাই না?
পুঁটি মাছ পাই না,
একটা যদি পাই
অমনি ধরে গাপুস গুপুস খাই।
আয়রে পাখি
আয়রে পাখি লেজ ঝোলা,
খুকুকে নিয়ে কর খেলা ।
খাবি দাবি কল্কলাবি
খুকুকে মোর ঘুম পাড়াবি।
খোকন খোকন করে মায়
খোকন খোকন করে মায়
খোকন গেছে কাদের নায়,
সাতটা কাকে দাঁড় বায়
খোকন রে তুই ঘরে আয়
ঘুম পাড়ানি মাসি- পিসি
ঘুম পাড়ানি মাসি- পিসি
মোদের বাড়ি এসো,
খাট নাই পালং নাই
খোকার চোখে বসো।
বাটা ভরে পান দিবো গাল ভরে খেয়ো,
খোকার চোখে ঘুম নাই ঘুম দিয়ে যেয়ো।
আসে তেড়ে
আসে তেড়ে,
কেনা রাম রায় ।
দাঁড়ি নেড়ে,
ছেলে মেয়ে,
ভয়েতে পালায় ।
তারে দেখে,
আয়রে আয় মিনি
আয়রে আয় মিনি
খোকার দুধে চিনি
দুধ খাবে না রাগ করেছে
খোকন যাদু মণি ।
খোকা গেছে মাছ ধরতে
খোকা গেছে মাছ ধরতে
ক্ষীর নদীর কূলে,
ছিপ নিয়ে গেল কলা ব্যাঙে
মাছ নিয়ে গেল চিলে।
তাই তাই তাই মামা বাড়ি যাই
তাই তাই তাই
মামা বাড়ি যাই,
মামা দিলো দুধ ভাত
পেট ভরে খাই।
ভোর হল দোর খোল।
কাজী নজরুল ইসলাম
ভোর হল দোর খোল।
খুকু মণি উঠরে।
ঐ ডাকে জুঁই শাখে
ফুল খুকী ছোটরে।
খুলি হাল তুলি পাল,
ঐ তরী চলল।
এইবার এইবার
খুকু চোখ খুলল।
আলসে নয় সে,
উঠে রোজ সকালে
রোজ তাই চাঁদা ভাই
টিপ দেয় কপালে।