মে দিবসের ছড়া
শ্রমের মূল্য
–কুতুব রাহমান
হাড়খাটুনি পরিশ্রমে
দালানকোঠা ক্রমেক্রমে
গড়ছো সারিসারি,
দাও কী বল মজুরের দাম?
না শুকাতে গায়েরই ঘাম,
দাও কী তাড়াতাড়ি?
তোমারবাড়ি বালাখানা
দামী দামী মালাখানা,
যার হাতে হয় গড়া,
তার শিশুরা ক্ষুধায় কাঁদে
কেমনে মজুর পরাণ বাঁধে?
বিবেক তোমার মরা!
দাওনা সঠিক মজুরি তার
কণ্ঠে যে তার রয় ব্যথা হার,
পায়না বিচার ভবে,
আর কতকাল ঠকবে শ্রমিক
হিসেব দিতে হবে ক্রমিক
ধরবে প্রভু যবে।
বাঁচতে যদি চাও মহাজন
শ্রমের মূল্য দাও যাদুধন,
মুক্তি তবে পাবে।
ধরেন যদি মহান পতি
হবে জানি ভীষণ ক্ষতি
জাহান্নামে যাবে।
শ্রমিক মানে স্বপ্নচাষি
আবেদীন জনী
পণ্য-সেবা উৎপাদনে শীর্ষে শ্রমিক নাম
কারখানাতে খাটনি খেটে ফেলছে দেহের ঘাম।
খেত-খামারে, যানবাহনে- সবখানে আজ তাঁরা
তাঁদের শ্রমেই সচল থাকে অগ্রগতির ধারা।
কৃষিশ্রমিক শস্য ফলায়, আমরা সবাই খাই
পোশাকশ্রমিক পোশাক বানায়, পরতে পারি তাই।
দিবানিশি ঘাম ঝরিয়ে শ্রমিক দালান গড়ে
সেই দালানে পরম সুখে ধনী বসত করে।
বিশ্বটাকে বদলে দিতে নিত্য শ্রমিক দল
দিচ্ছে সবই উজাড় করে দেহের শক্তি-বল।
তাঁদের জীবন চলছে কেমন, কে রাখে তার খোঁজ?
মালিক শুধু চায় মুনাফা করতে ভুঁড়িভোজ।
শ্রমিক মানে স্বপ্নচাষি, শ্রমিক ছড়ায় আলো
মে দিবসের ঘোষণা হোক- শ্রমিক থাকুক ভালো।
শ্রমিক মানে মহান মানুষ, যোদ্ধা আরেক নাম
শ্রমিক যেন পায় প্রতিদিন শ্রমের ন্যায্য দাম।