আমাদের দেশে বিভিন্ন প্রকার সবজির মধ্যে অতি পরিচিত ও জনপ্রিয় মিষ্টি কুমড়া। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমান পুষ্টি উপাদান ও সাস্থ্য উপকারিতা । মিষ্টি কুমড়া কাঁচা ও পাঁকা উভয় ভাবেই রান্না করে খাওয়া যায়। মিষ্টি কুমড়া এর কান্ড, পাতা ও ফুল সবজি হিসেবে খাওয়া যায়। গ্রীষ্ম , বর্ষা ও শীত মৌসুমের সবজি হলেও সারা বছরই বাজারে পাওয়া যায়।
মিষ্টি কুমড়ায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ ও ভিটামিন সি রয়েছে। কুমড়ার বীজেও রয়েছে প্রচুর ঔষধী গুনাগুণ। আজ আমরা জানবো মিষ্টি কুমড়ার পরিচিতি, উপকারিতা, বীজের উপকারিতা এবং কুমড়ার বেগুনী ও চাষ পদ্ধতী সম্পর্কে।
মিষ্টি কুমড়া
বৈজ্ঞানিক নাম Cucurbita moschata । এটি এক প্রকার ফল জাতীয় সবজি যা মিষ্টি লাউ নামেও অনেক অঞ্চলে পরিচিত। উৎপত্তিস্থল মধ্য আমেরিকা কিংবা দক্ষিণ আমেরিকা।
মিষ্টি কুমড়া দেখতে আকারে পেটমোটা গোল । পাঁকা অবস্থায় এর ভিতরের অংশ উজ্জ্বল কমলা বা হলুদ বর্ণের হয়ে থাকে। মিষ্টি কুমড়া বর্ষজীবী লতানো উদ্ভিদ ভিটামিন এ সমৃদ্ধ উৎকৃষ্ট সবজি। পাঁকা মিষ্টি কুমড়া শুষ্ক ঘরের সাধারণ তাপমাত্রায় প্রায় ৪-৫ মাস সংরক্ষণ করা যায়।
হাইব্রিড মিষ্টি কুমড়ার জাত
হাইব্রিড জাত: সুপ্রিমা, সলিড গোল্ড, ড্রিমগোল্ড, ড্রিমগোল্ড, সুইটি, সুইট বয়, সুপার সুইট-১, সুপার সুইট-২, রেশমি-১, রেশমি-২, এবং মায়াF1, ।
এছড়াও বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট কর্তৃক উদ্ভাবিত ২টি উন্নত জাত হলো বারি মিষ্টি কুমড়া-১, এবং বারি মিষ্টিকুমড়া-২।
মিষ্টি কুমড়ায় কোন ভিটামিন থাকে
- কুমড়ায় আছে স্যাপোনিন যা ভিটামিন এ, বি, সি, শর্করা আমিষ, প্রটিন ও চিনি এবং গুরুত্বপূর্ণ খনিজ উপাদান তৈরি করে।
- ষ্টিকুমড়ার ফুলে রয়েছে ফ্ল্যাভোনয়েডস।
- মিষ্টিকুমড়ার বীজে থাকে স্টেরল, ট্রাইটাপিন , কিউকারবিটাসিনস , ভিটামিনস, খনিজ পদার্থ।
মিষ্টি কুমড়ার পুষ্টিগুণ
মিষ্টিকুমড়ায় ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি১, ভিটামিন বি২, ভিটামিন ই , খাদ্য শক্তি, পটাশিয়াম, শর্করা, খাদ্য আশ, চিনি, প্রোটিন, ক্যালসিয়ম, ফোলেট, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, মিয়াসিন, জিংক, চর্বি।
মিষ্টি কুমড়ার উপকারিতা
- চোখের কর্নিয়াকে সুরক্ষিত রেখে চোখ ভলো রাখে কেননা মিষ্টিকুমড়ায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-এ উপাদান।
- ভিটামিনের সমাহার মিষ্টিকুমড়ায় রয়েছে প্রচুর পরিমানে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।
- এছাড়াও ভিটামিন-এ, সি, ই, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, যা শরীরের টিস্যুকে সুরক্ষা দেয় । ফলে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
- কুমড়ায় থাকা ফাইবার ও পটাশিয়াম দেহের ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করে এবং অপ্রয়োজনীয় পানি ও লবণ বের করে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশেষ ভুমিকা রাখে।
- কুমড়ায় থাকা পুষ্টি ও ফাইবার হজম শক্তি বৃদ্ধি করে ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে পেট ভালো রাখে।
- মিষ্টিকুমড়া ডায়রিয়া সমস্যায় দূর করতে সাহায্য করেঅ
- নিয়মিত মিষ্টিকুমড়া খেলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রেখে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখে কেননা এতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে পটাশিয়াম ও ভিটামিন-সি।
- মিষ্টিকুমড়ার ভিটামিন এ ও সি চুল ও ত্বক ভালো রাখে ফলে ত্বক হয় চকচকে উজ্জ্বল।
- মিষ্টিকুমড়ায় থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যান্সার প্রতিরোধ বিশেষ অবদান রাখে।
- মিষ্টিকুমড়া শরীরের অতিরিক্ত চর্বি দূর করে হৃদরোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
- ঠাণ্ডা লাগা প্রতিরোধ করে, জ্বালাপোড়ার অনুভূতি কমায়।
- বয়সের ছাপ কমায়, চুলের বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে এবং ক্লান্তি দূর করে ভালো ঘুম এনে দেয়।
সর্তকতা:
- ডায়াবেটিস রুগী যারা তারা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী খাবেন।
- মিষ্টিকুমড়া ওজন কমায় সতরং যাদের শরীরের ওজন বেশি তারা মিষ্টি কুমড়া কম খাবেন।
- মিষ্টিকুমড়ায় বেশি আঁশ থাকায় পরিমানে বেশি খেলে অস্বস্থিবোধ ও পেটে ব্যাথা হতে পারে তাই পরিমিত ভাবে খাবেন।
- যদি কারো পেটে সমস্যা থাকে বা ডায়রিয়া হয় তাহলেষ্টি কুমড়া না খাওয়াই ভালো।
কুমড়ার বীজের উপকারিতা
অমরা অনেকেই মিষ্টিকুমড়া এর বীজ খেতে পছন্দ করি।মিষ্টি কুমড়ার বীজ শুধু পুষ্টি মানে সমৃদ্ধ নয়, এতে রয়েছে প্রচুর ওষুধি গুণাবলী ও স্বাস্থ্য উপকারিতা । জেনে নেয়া যাক মিষ্টিকুমড়া এর বীজের উপকারিতা।
- বাতের ব্যথা দূর করে। মিষ্টি কুমড়ার বীজ হাড়ের সন্ধিস্থলে ভেঙে যাওয়া চর্বিসমূহের পরিমাণ বাড়তে বাধা দেয় ফলে বাতের ব্যথা কমিয়ে দেয়।অপরদিকে প্রাকৃতিক বস্তু হওয়ায় এর কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই
- কুমড়ার বিচিতে থাকা জিংক সহজেই কোমর, মেরুদণ্ডের হাড়সহ দেহের অন্যান্য হাড়ের ক্ষয় রোধ করতে বিশেষ ভুমিকা রাখে।
- মিষ্টি কুমড়ার বীজে ফাইটোস্টেলের পরিমাণ বাদামে চেয়ে দ্বিগুণেরও বেশি যা আমাদের দেহের রক্তের কোলেস্টেরল কমায়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিসহ ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।
- মিষ্টি কুমড়ার বীজে রয়েছে প্রচুর জিংক যা আমাদের দেহের কোষ আবরণীর গঠন ও কার্যাবলী নিয়ন্ত্রণ করে। প্রজনন ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে এবং সুস্থ স্বাস্থ্যবান শিশুর জন্ম দেয়া।
- মিষ্টি কুমড়ার বীজে প্রচুর আয়রন রয়েছে যা আমাদের দেহের লোহিত রক্ত কণিকা তৈরি ও মাংসপেশী গঠনে ভূমিকা রাখে। ফলে রক্তশূন্যতা বা এনিমিয়া রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
- শিশুর বৃদ্ধি, দুগ্ধদানকারী মা, খেলোয়াড়দের প্রতিদিন খাদ্যতালিকায় মিষ্টি কুমড়ার বীজ রাখা উচিত।
- মিষ্টি কুমড়ার বীজে রয়েছে প্রচুর ম্যাঙ্গানিজ মস্তিষ্ক ও স্নায়ুকোষ স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে।
- ডায়াবেটিস, হৃদরোগ ও বাতের ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে মিষ্টি কুমড়ার বীজ বিশেষ ভুমিকা রাখে।
- শরীরের হরমোনসমূহের কার্যাবলী নিয়ন্ত্রণ, হৃৎপিণ্ড সচল, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ, দৈহিক বৃদ্ধি, হাড় মজবুত করাসহ অনেক রোগের নিরাময় করে।
- মিষ্টি কুমড়ার বীজ থেকে উৎপন্ন তেল প্রোস্ট্রেট গ্রন্থির টিউমার নিয়ন্ত্রণে ভুমিকা রাখে। কেননা মিষ্টি কুমড়ার বীজে প্রচুর ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, জিংক ও ক্যারোটিনয়েড রয়েছে। যা প্রোস্ট্রেট গ্রন্থির টিউমার নিয়ন্ত্রণ করে।
মিষ্টি কুমড়া দিয়ে বেগুনি
শুনতে খারাপ শুনালেও বাস্তবতা হলো গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বেগুনের মূল্য বৃদ্ধি বিষয়ে সংসদে বলেছেন, ‘বেগুন দিয়ে বেগুনী না বানিয়ে মিষ্টি কুমড়া দিয়ে খুব ভালো বেগুনি বানানো যায়’ । সেই থেকে অনেকেই মিষ্টিকুমড়া দিয়ে বেগুনী বানানোর চেষ্টা করেছে তবে অনেকেই জানেন না কী ভাবে বানানো হয় । অলকথার পাঠকদের জন্য ইফতারের এই জনপ্রিয় খাবারটির বিকল্প রেসিপি নিচে দেয়া হলো।
উপকরণ:
১) ১০/১২ পিস পাতলা করে কাটা কুমড়ার টুকরা,
২) বেসন ১ কাপ,
৩) ময়দা ১/৪ কাপ,
৪) বেকিং পাউডার ১ চা চামচ,
৫) মরিচ গুড়া ১ চা চামচ,
৬) হলুদ গুড়া ১/২ চা চামচ, ,
৭) ধনিয়া গুড়া ১ চা চামচ,
৮) জিরা গুড়া ১ চা চামচ,
৯) লবণ, পানি ও তেল পরিমাণমতো
প্রস্তুতপ্রণালী:
একটি পরিষ্কার পাত্রে বেসন, ময়দা, বেকিং পাউডার, মরিচ গুড়া, গুলুদ গুড়া, জিরা গুড়া, ধনিয়া গুড়া ও লবণ নিয়ে, সবগুলো একসাথে ভালোমতো মিশিয়ে নিন। এরপর মিশ্রণে অল্প অল্প করে পরিমাণমতো পানি মিশিয়ে ঘন করে নিন। মিশ্রণটি ১০ মিনিটোর মতো ঢেকে ফ্রীজে রেখে দিন।
এবার চুলায় আরেকটি পাত্র নিয়ে তাতে পরিমাণমতো তেল দিন। তেল গরম হয়ে আসলে কুমড়ার টুকরাগুলো মিশ্রণকৃত বেসনে ডুবিয়ে সুন্দর ভাবে গমর তেলে একটা একটা ছেড়ে দিন।
এবার লালচে রং ধারণ করলে ভাজা হয়ে যাবে। তখন তেল থেকে নামিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন মজাদার বেগুনীর বিকল্প মজাদার খাবার।
মিষ্টি কুমড়ার চাষ পদ্ধতি
মিষ্টিকুমড়া একটি লতা জাতীয় সবজি। উপরে আমরা মিষ্টিকুমড়ার পরিচিতি, জাত,উপকারিতা, বীজের উপকারিতা, মিষ্টিকুমড়ার বেগুনি ইত্যাদি আলোচনা করেছি। এবার আমরা মিষ্টি কুমড়ার চাষ পদ্ধতি
সম্পর্কে আলোচনা করবো ।
জলবায়ু ও মাটি নির্বচান: মিষ্টিকুমড়ার চাষের জন্য আমাদের প্রয়োজন উষ্ণ এবং আর্দ্র জলবায়ু। গাছের বৃদ্ধি ও ফলন কমে যাবে যদি তাপমাত্রা কমে যায়।
মাটি নির্বচনের ক্ষেত্রে সাধারণত দো আঁশ মাটি হলে ফলন ও গাছের বৃদ্ধি ভালো হয় কেননা দো আঁশ মাটিই মিষ্টিকুমড়ার চাষের জন্য উপযোগী।
মিষ্টি কুমড়া চাষের মৌসুম: যদিও মিষ্টিকুমড়া সারা বছর চাষ করা যায়। তবে তার উপযুক্ত মৌসুম হলো শীতকাল ও গ্রীষ্মকাল। শীতকালে চাষ করতে চাইলে অক্টোবর মাস থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত বীজ বপন করা যাবে। আর গ্রীষ্মকালে চাষ করতে চাইলে ফেব্রুয়ারী মাস থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত বীজ বপন করা যাবে। তবে ভালো ফলন পেতে হলে নভেম্ভর মাসের মাঝামাঝি সময়ে বীজ বপন করলে ভালো হয়।
বীজের হার: ভালো ফলন পেতে হলে উপযুক্ত হারে বীজ বপন করতে হবে। সেক্ষেত্রে এক বিঘা জমিতে ৬৫০/৮০০ গ্রাম বীজ প্রয়োজন। সে অনুপাতে এক হেক্টর জমিতে ৫থেকে ৬কেজি বীজ প্রয়োজন হয়ে থাকে।
জমি প্রস্তুতকরণ ও বীজ বপন: বানিজ্যিক ভাবে চাষ না করে যদি বসত বাড়ির আঙিনায় চাষ করতে চান তাহলে নির্দিষ্ট যায়গায় একটু উঁচু করে মাদা তৈরি করে নিতে হবে। তাতে উপযুক্ত উর্ভর মাটি দিয়ে বীজ বপন করতে হবে। চারা একটু বড় হলে তাতে মাচা তৈরি করে দিতে হবে। মাচা তৈরিতে পুরোনো জাল ও বাঁশ ব্যবহার করতে পারেন।
আর যদি বানিজ্যিক ভাবে মিষ্টিকুমড়া চাষ কতে চান তালে উপযুক্ত ভালো উর্ভর ও সঠিক তাপমাত্র থাকে এমন জমি পছন্দ করে নিতে হবে। এরপর জমি ভালোভাবে চাষ ও মই দিয়ে মাটি ঝুরঝুরা করে তৈরি করে নিতে হবে। মাটি সমান করে মাদা তৈরি করতে হবে। এর পর বীজ বপন করতে হবে।
মিষ্টি কুমরার চারা উৎপাদন: মিষ্টিকুমড়ার চারা পলিব্যাগে উৎপাদন করলে ভালো হয়। এতে চারা রোপণে সুবিধা হয়, চারার ক্ষতি হয় না এবং চারা সুস্থ ও স্বাস্থ্যবান ভাবে বেড়ে ওঠে । ৩/৪ ইঞ্চি মাপের পলিব্যাগ হলে ভলো হয়। ব্যাগের নিচে ছিদ্র করে দিতে হবে যাতে অতিরিক্ত পানি চলে যেতে পারে।
বীজ বপনের আগে বীজকে অন্তত ১৫/ ২০ ঘন্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। ফলে দ্রত ও অধিক পরিমাণে বীজের অঙ্কুরোদগম হয়। একটি পলি ব্যাগে একটু গভীরে দুটি করে বীজ বপন করতে হবে।
চারা রোপন: বীজ থেকে চারা বের হবার ১৫/২০ দিন পরে পলি ব্যাগ কেটে মাটির দলাসহ চারাটি মাদায় গর্ত করে বসিয়ে দিয়ে চার পাশে মাটি দিয়ে মাটির দলাটি ঢেকে দিতে হবে। সতর্ক থাকতে হবে যেন চারার শেকরের কোন ক্ষতি না হয়। চারা রোপন করার পর গর্তে পানি সেচ দিতে হবে।
সার প্রয়োগ: বেশি ফলন পেতে হলে প্রয়জনীয় সার প্রয়োগ করতে হবে। সেক্ষেতে মাটির উর্ভরতার উপর নির্ভর করে সারের পরিমান। মাটির গুনাগুণ যাচাই করে জৈবসারের চাহিদা পূরণ করতে হবে। এক্ষেতে চারা রোপনের ১৫/ ২০দিন আগে প্রতিটি প্লটে ১০ থেকে ১৫ কেজি পরিমাণ পোবর সার দিতে হবে। প্রতিটি প্লটে টিএসপি ৫০ গ্রাম, এমপি ৪০ গ্রাম, জিপসাম ৪০ গ্রাম ভালোভাবে মাটির মাথে মিশিয়ে দিতে হবে।
সেচ ব্যাবস্থা: জমিতে প্রয়োজনমতো সেচ দিতে হবে। জমিতে যেন পানি জমে না থাকে সেজন্য নালা তৈরি করে দিতে হবে যাতে অতিরিক্ত পানি চলে যেতে পারে।
আগাছা দমন: নিয়মিত গাছের পরিচর্যা করতে হবে। জমিতে যেনো কোন আগাছা না থাকে সে ব্যাবস্থা করতে হাব। কেননা আগাছ মাটি থেকে পুষ্টি শোষণ করে নেয় ফলে কুমড়া গাছের বৃদ্ধিতে বাধা সৃষ্টি করে।
রোগ ও পোকা দমন: গাছে পোকা ও রোগে আক্রান্ত করলে নিয়মিতো কিটনাশক ও ছত্রাকনাশক ব্যাবহার করতে হবে।
ফসল সংগ্রহ: চারা রোপনের দুই মাস পরে ফল ধরা শুরু হয়, তবে তার ১৫/২০ দিন পর থেকেই কুমড়া খাবার উপযুক্ত হয়। কাঁচা কুমড়া বেশি দিন রাখা যায় না তবে সংরক্ষণ করতে চাইলে পাঁকা কুমড়া ৬ মাস পর্যন্ত রাখা যায়।
প্রিয় পাঠক আশা করি আপনারা মিষ্টিকুমড়ার এ টু জেট জেনেছেন। এখন থেকেই আপনার বাড়ির আঙিনায় চাষ করুন মিষ্টিকুমড়া। তাজা সবজি খেয়ে আপনার পরিবারকে রোগমুক্ত রাখুন।
শেষ কথা: প্রিয় পাঠক সর্বোপরি আপনারা মিষ্টি কুমড়ো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন ।
আপনারা সংক্ষেপে জেনেছেন, মিষ্টি কুমড়োর পরিচিতি। উপকারিতা , পুষ্টিগুণ , চাষপ্রক্রিয়া ইত্যাদি। আশাকরি আপনারা উপকৃত হবেন।