নিপীড়নের মধ্যে বাংলাদেশের জামায়াতে ইসলামী উন্নতি লাভ করেছে
এটি ছিলো THE DIPLOMAT এর শিরোনাম। জামায়াত নিয়ে এক দীর্ঘ নিবন্ধ প্রকাশ করেছে তারা। এটি তৈরি করেছেন মোবাশ্বর হাসান। নিম্নে তার চুম্বক অংশ তুলে ধরলাম-
১. দলটি নিষিদ্ধ প্রায় । এর নেতাকর্মীদের গ্রেফতার বা হত্যা করা হয়েছে। তবুও এর বিশাল সমাবেশ করার ক্ষমতা আছে।
২. জামাত বাংলাদেশের বৃহত্তম এবং সবচেয়ে সংগঠিত ইসলামী দল।
৩. আইসিটি জামায়াত নেতাদের দোষী সাব্যস্ত করে এবং তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা মৃত্যুদণ্ড দিলেও বিচার প্রক্রিয়াগত ত্রুটির জন্য প্রধান আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলি দ্বারা সমালোচিত হয়েছিল
৪. জামায়াত নেতার দুই ছেলেকে গুমের বিষয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছে।
৫. গত ১৫ বছরে জামায়াতের স্থায়ী সদস্য তিনগুণ বেড়েছে। অন্য কথায়, নিপীড়নের মধ্যেও জামায়াত উন্নতি লাভ করেছিল।
৬. জামায়াতের আদর্শিক অবস্থা নিয়ে লিখেছেন-“জামায়াত একটি আদর্শভিত্তিক দল। তাই, ক্রমাগত নিপীড়নের পটভূমিতে এটি বিলুপ্ত হবে না,”
৭. “নয়া দিল্লি জামায়াতের রক্ষণশীল ভিত্তি এবং আদর্শিক অবস্থ ও বাংলাদেশের ইসলামপন্থীদের নিরাপত্তা হুমকি হিসেবে দেখে।
৮. জামায়াত সূত্রের বরাতে লিখেছে- গত ১৫ বছরে তার প্রায় ২৪০ কর্মী আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হাতে নিহত হয়েছে। জামায়াত নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ১৪ হাজারের বেশি মামলা এবং ছাত্রশিবিরের বিরুদ্ধে সাড়ে ৯ হাজার মামলা রয়েছে এবং নারীসহ ৯০ হাজারের বেশি নেতাকর্মী কারাগারে রয়েছে।
সর্বশেষ তারা মন্তব্য করেছে যে, জামায়াত সাংগঠনিকভাবে এখনও শক্তিশালী তা স্পষ্ট। আ.লীগের দমন-পীড়নে দলটি হয়তো প্রচন্ড আঘাত পেয়েছে, কিন্তু দেশে আ.লীগ বিরোধী মেজাজ থেকেও লাভবান হয়েছে দলটি।
ইনশাআল্লাহ জামায়াত এদেশের মানুষকে সাথে নিয়ে তার ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করবে। নির্যাতিত মানুষের মুক্তির আন্দোলনে ঐতিহাসিক ভুমিকা রাখবে।
আরও পড়তে পারেন–জামায়াতে ইসলামী কি শেষ না কি আরো বেশি শক্তিশালী? অবাক করা জনমত