প্রিয় পাঠক ১১৮ টি ছড়া কবিতা থেকে পছন্দের কবিতাটি পড়তে সূচিপত্র থেকে পছন্দের ছড়া কবিতায় ক্লিক করুন।
পরাধীনতার গ্লানি
নার্গিস নাহার রুনু
স্বাধীনতা হীনতায় বাঁচা বড়ো দায়
অসীম আকাশে মন উড়ে যেতে চায়।
অধীনতা মানে পায়ে শিকলটা বাঁধা,
গলা ছেড়ে হয় নাকো সুর তাল সাধা।
পরাধীন জীবনেতে নেই কোন সুখ,
পরাধীনতার গ্লানি বয়ে আনে দুখ।
অধীনতা মানে থাকা অপরের দাস
তিলে তিলে ক্ষয় হয়ে জীবনটা নাশ।
পরাধীন জাতি যারা বোঝে জ্বালা কত,
শোষণের যাঁতাকলে পড়ে বুক ক্ষত।
দাঁড়াতে পারে না তারা শির উঁচু করে,
অত্যাচার নিপীড়নে চোখে জল ঝরে।
দেয়ালে ঠেকলে পিঠ পেতে চায় মুক্তি
স্বাধীনতা ঝিনুকের বুক মাঝে শুক্তি।
জীবনটা বাজী ধরে স্বাধীনতা পেতে,
শিকল ভাঙার গানে রক্ত রঙে মেতে।
স্বাধীনতা আসে যবে ঝরে তাজা প্রাণ
অধীনতা ঘুঁচে বহে ফুলের সুঘ্রাণ।
স্বাধীনতা মানে মুক্ত পরিপাটি দেশ
বিহঙ্গের মতো উড়া আগ্রাসন শেষ।
স্মৃতি মাখা গাঁয়
নার্গিস নাহার রুনু
হয়নি যাওয়া বেশ কিছুদিন
ছেলেবেলার গাঁয়,
মায়ের কথা পড়ে মনে
মা ঘুমিয়ে আছে বনে
দেখতে যে মন চায়।
মায়ের কবর দেখার তরে
বিষন্ন যে মন,
কোথায় গেলি খোকাখুকি
আরুশ,ইনান, শেজা, সুখি
শোন রে তোরা শোন।
আজকে যাবো বাবার বাড়ি
সেথায় আছে ভাই,
নৌকা বাঁধা আছে ঘাটে
সূর্য্যি মামা যাচ্ছে পাটে
বেলা যে আর নাই।
গাঁয়ের মেঠো পথের ধারে
ফোটে বুনো ফুল,
ঘুম ভেঙে যায় পাখির ডাকে
রোদের ঝিলিক পাতার ফাঁকে
হয় না যে তার তুল।
রাতে সেথায় জোনাক জ্বলে
শিয়ালমামার হাঁক,
নৌকা চলে পাল উড়িয়ে
দেখে পরাণ যায় জুড়িয়ে
কপোতাক্ষের বাঁক।
আমার গাঁয়ের ধূলিকণা
লেগে আছে গায়,
গাছে গাছে পাখির বাসা
মাথাল মাথায় চলে চাষা
ভোলা কি আর যায়?
ছিলো অনেক খেলার সাথী
মনের মিতা সই
ব্যস্ত এখন যে যার কাজে
হয়েছে ক্ষত বুকের মাঝে
কারে বলো কই!
স্মৃতির ভারে মন উচাটন
দেখতে কি পায় কেউ,
যাঁরা ছিলো হৃদয় জুড়ে
তাঁরা এখন অচিন পুরে
বুকে ব্যথার ঢেউ।
আয় যাবি আয় আনন্দেতে
থাকবি কয়েকদিন,
ডুব সাঁতারে কাটবে বেলা
সকাল বিকাল করবি খেলা
তাক ধিনা ধিন ধিন।
আরও পড়ুন মাকে নিয়ে ১৩টি কবিতা
মা!মা!বলে ডাকি
নার্গিস নাহার রুনু
মা’যে আমার ঘুমিয়ে আছে কঠিন মাটির তলে,
মা’কে বিদায় দিয়েছিলাম দুই নয়নের জলে।
স্মৃতির কফিন বুকজমিনের মাঝে আছে জমা,
প্রভু যেনো সহায় থাকেন মাকে করেন ক্ষমা।
মায়ের ঘরটি শূন্য এখন বিছানাটা ফাঁকা,
মায়ের কোরআন হাদিস গুলি তাকের পরে রাখা।
পানের বাটা গড়াগড়ি জায়নামাজের পাটি,
মায়ের ছোঁয়া পায় না এখন তায়াম্মুমের মাটি।
তোমার গায়ের সুবাস মাগো নাকে এসে লাগে,
সুবাসিত গোলাপ যেমন সুবাস বিলায় বাগে।
দাদু বলে বাচ্চাগুলি তোমার ঘরে ছোটে,
তোমার শোকে গাছের পাতা মাটির পরে লোটে।
বিধির বিধান এমন মাগো অাসা যাওয়ার খেলা,
কখন যে কার আসবে সমন অস্ত যাবে বেলা।
মিলনমেলা সাঙ্গ করে চলে যাবে সবে,
জানিনা তো আর কখনো দেখা কি মা হবে?
মা হারানোর কষ্ট বুকে বেঁচে আছি তবু,
চলে গেলে ধরায় ফিরে আর আসে না কভু।
তোমায় বিনে ভাল্লাগে না উদাস হয়ে থাকি,
স্বপনে বা জাগরণে মা মা বলে ডাকি।
বিদায় বড় কঠিন
নার্গিস নাহার রুনু
মা হারানোর কষ্ট কী’যে যার যায় সে বোঝে,
দিনের বেলা আঁধার নামে মায়ের স্মৃতি খোঁজে।
বিষের বানে জর্জরিত হৃদয় পোড়ে শোকে,
ঝরঝরিয়ে বৃষ্টি নামে বাধ মানে না চোখে।
যতই তাঁরে করুণ সুরে ডাকি বিলাপ করে,
আর কখনো ফিরবে না মা মাটির ধরা পরে!
মনের মাঝে জমানো হায় মায়ের কত স্মৃতি,
স্নেহের ছায়ে বড় হওয়া মায়ায় ভরা প্রীতি।
যতই লিখি মায়ের কথা হবে কি আর শেষ?
মা’যে আমার ঘুমিয়ে আছে অচেনা এক দেশ।
যে কটা দিন রইবো বেঁচে ভুলবো নাকো ও’মা!
মায়ের তরে রবের কাছে চাইব শুধু ক্ষমা।
এই দুনিয়া পান্থশালা আমরা জানি সবে,
দিন ফুরালে ফিরতে হবে ডেকে নেবেন রবে।
কীসের মোহে মায়ার ভবে যাচ্ছি ঘানি টেনে,
বিদায় বড় কঠিন তবু নিতে যে হয় মেনে।
কেউ জানে না ভুবন ছেড়ে কখন যাবে চলে,
শেষ বাঁশিটা উঠবে বেজে কাউকে নাহি বলে।
আসা-যাওয়া একা একাই মাঝে মিলনমেলা,
পারের কড়ি সঙ্গে নিতে কেউ করো না হেলা।
কবিতা।বিদ্রোহী কবিতা। বাংলা কবিতা। ছড়া। বাচ্চাদের ছড়া। ছোটদের ছড়া। প্রেমের কবিতা। কবর কবিতা। ভালোবাসার কবিতা। স্বাধীনতা তুমি কবিতা।
কবিতা।বিদ্রোহী কবিতা। বাংলা কবিতা। ছড়া। বাচ্চাদের ছড়া। ছোটদের ছড়া। প্রেমের কবিতা। কবর কবিতা। ভালোবাসার কবিতা। স্বাধীনতা তুমি কবিতা।
কবিতা।বিদ্রোহী কবিতা। বাংলা কবিতা। ছড়া। বাচ্চাদের ছড়া। ছোটদের ছড়া। প্রেমের কবিতা। কবর কবিতা। ভালোবাসার কবিতা। স্বাধীনতা তুমি কবিতা।
কবিতা।বিদ্রোহী কবিতা। বাংলা কবিতা। ছড়া। বাচ্চাদের ছড়া। ছোটদের ছড়া। প্রেমের কবিতা। কবর কবিতা। ভালোবাসার কবিতা। স্বাধীনতা তুমি কবিতা।