You are currently viewing এক নজরে হজ্ব ও ওমরাহ এর মূল কার্যাবলী। হজ্জ গাইড-০৩
এক নজরে হজ্ব ও ওমরাহ

এক নজরে হজ্ব ও ওমরাহ এর মূল কার্যাবলী। হজ্জ গাইড-০৩

এক নজরে হজ্ব ও ওমরাহ

তাওয়াফ-এর শর্তাবলী

১. তাওয়াফের নিয়ত করা (মনে মনে তাওয়াফের ইচ্ছা পোষণ করা) ।

২. সকল প্রকার নাপাকি থেকে পবিত্রতা অর্জন করা। হায়েজ ও নিফাস অবস্থায় তাওয়াফ জায়েয নেই ।

৩. সতর ঢাকা ।

৪. পূর্ণ সাত চক্কর দেয়া ।

আরও পড়তে পারেন–হজ্জ , হজ্জের ফরজ কয়টি , হজ্জের নিয়ম পর্ব-০১

৫. ‘হাজারে আসওয়াদ’কে ডানে রেখে তাওয়াফ শুরু করা এবং সেখানে এসেই শেষ করা ।

৬. ‘হাজ্বীম’-এর বাহির দিক দিয়ে তাওয়াফ করা ।

৭. হাঁটতে সক্ষম ব্যক্তির জন্য পায়ে হেঁটে তাওয়াফ করা । যিনি হাঁটতে সক্ষম নন তার কথা ভিন্ন ।

৮. তাওয়াফে যিয়ারত কুরবানীর দিন সকাল থেকে শুরু করা । এর পূর্বে জায়েয নেই ।

৯. তাওয়াফের পর মাক্কামে ইবরাহীমে* দু’রাক্‘আত নামায আদায় করা ওয়াজিব ।

আরও পড়ুন–হজ্জের ফরজ, ওয়াজিব, দোয়া সহ হজ্জ গাইড পর্ব-০২

তাওয়াফ-এর সুন্নতসমূহ

১. তাওয়াফের শুরুতে হাজারে আওয়াদ-এর দিকে মুখ করা ।

২. হাজারে আওয়াদ চুম্বন করা ।

৩. তাওয়াফ শুরু করার পূর্বক্ষণে হাজারে আওয়াদ-এর বরাবর খাড়া হয়ে হাত ওঠানো এবং বিস্মিল্লাহি ওয়াল্লাহু আকবার বলা ।

* কাবা গৃহের পূর্বদিকে হযরত ইবরাহীম (আঃ)-এর উভয় পায়ের চিহ্ন সম্বলিত একটি বেহেশতী পাথর যা বর্তমানে শক্ত গ্লাসের আবরণের উপর ইস্পাতের গ্রীল দ্বারা আবদ্ধ আছে । উক্ত পদচিহ্নের পাশের স্থানটিতে তাওয়াফ শেষে দুই রাক’আত নামায পড়তে হয় । এ স্থানটিকেই মাক্কামে ইবরাহীম বলে ।

৪. যে তাওয়াফ (কুদূম বা আগমনী তাওয়াফ)-এর পর সা’য়ী আছে, তাতে ‘ইতিবা’ করা অর্থাৎ ইরামের চাদরের এক মাথা ডান বগলের নিচ দিয়ে বাম কাঁধের ওপর ফেলে দেয়া ।

৫. উপরে বর্ণিত তাওয়াফের প্রথম তিন চক্করে ‘রমল করা’ অর্থাৎ বীরের মত হেলে-দুলে জোর কদমে চলা । বাকী চার চক্কর সাধারণ গতিতে সম্পন্ন করা ।

৬. প্রত্যেক চক্কর শেষ করে হাজারে আওয়াদকে সম্ভব হলে চুম্বন করা ।

৭. রুকনে ইয়ামানী স্পর্শ করা ।

৮. চক্করগুলো বিরতি না দিয়ে একাধারে সম্পন্ন করা ।

তাওয়াফ অবস্থায় নিষিদ্ধ কার্যাবলী

নিম্নোক্ত কাজগুলো তাওয়াফ অবস্থায় নিষিদ্ধ ঃ

১. নাপাকী ও ঋতুবতী অবস্থায় তাওয়াফ করা ।

২. বিনা অযুতে তাওয়াফ করা ।

৩. তাওয়াফের সময় হাজ্বীমকে শামীল না করা ।

৪. তাওয়াফের কোন চক্কর বাদ দেয়া ।

৫. হাজারে আওয়াদ ব্যতীত অন্য কোন স্থান থেকে তাওয়াফ শুরু করা ।

৬. তাওয়াফের শর্তাবলী থেকে কোন একটিকে বাদ দেয়া ।

 

তাওয়াফের মাসায়েল

১. তাওয়াফের জন্য নিয়ত শর্ত । তাওয়াফের নিয়ত ব্যতীত কা’বা শরীফের চারপাশ প্রদক্ষিণ করলে তাওয়াফ হবে না ।

২. তাওয়াফের জন্য অযু শর্ত। যদি অযু ছাড়াই তাওয়াফ করে ফেলে, তাহলে অযু করে পুনরায়

তাওয়াফ করতে হবে। তা না করলে জাযা(ক্ষতিপূরণ) ওয়াজিব হবে ।

৩. তাওয়াফ করা অবস্থায় কা’বা শরীফের দিকে

তাকানো নিষিদ্ধ ।

৪. তাওয়াফের সংখ্যা সম্পর্কে সন্দেহ সংশয় সৃষ্টি হলে যে চক্করে সন্দেহ দেখা দেবে সেই চক্করটি পুনরায় করে সন্দেহ দূর করতে হবে ।

সাফা-মারওয়ায় সায়ী

তাওয়াফ শেষ করে সাফা ও মারওয়ার মাঝে সাতবার সা‘য়ী করার উদ্দেশ্যে সাফা পাহাড়ের দিকে অগ্রসর হবেন । সাফা পাহাড়ে উঠার সময় বলবেন– alias

উচ্চারণ : ইন্নাস্সাফা ওয়াল মারওয়াতা মিন শা‘আ-ইরিল্লাহ্ ।

অর্থ ঃ নিশ্চয়ই সাফা ও মারওয়াহ্ আল্লাহ্ নিদর্শন

সমূহের অন্যতম । –সূরা বাক্বারাহ্-১৫৮

তারপর সাফা পাহাড়ে উঠে কা’বার দিকে মুখ করে দু’হাত উঠিয়ে তিনবার ‘আল্লাহু আকবার’ বলে তিনবার নিম্নোক্ত দু’আটি পাঠ করবেন—

لا إِلَهَ إِلَّا اللهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ يُحْيِي وَيُمِيْتُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ، لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ أَنْجَزَ وَعْدَهُ وَنَصَرَ عَبْدَهُ وَهَزَمَ الْأَحْزَابَ وَحْدَهُ

উচ্চারণ : লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহ্দাহু লা-শারীকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ইউয়ী ওয়া ইউমীতু ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন ক্বাদীর । লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহ্দাহু লা শারীকা লাহু আনজাযা ওয়া’দাহু ওয়া নাসারা আবদাহু ওয়া হাযামাল আহ্যাবা ওয়াহ্দাহ্ ।

অর্থ : আল্লাহ্ ছাড়া কোন মা’বুদ নেই, তিনি এক, তাঁর কোন শরীক নেই । তাঁরই জন্য সকল রাজত্ব ও তাঁরই জন্য সকল প্রশংসা । তিনিই জীবন ও মৃত্যু দান করেন এবং তিনি সকল কিছুর উপর ক্ষমতাশীল । আল্লাহ্ ছাড়া কোন মা’বুদ নেই । তিনি এক, তাঁর কোন শরীক নেই । তিনি স্বীয় ওয়াদা পূর্ণ করেছেন এবং তাঁর বান্দাকে সাহায্য করেছেন এবং একাই শত্রুদলকে ধ্বংস করেছেন ।

–মুসলিম, আবু দাউদ ও ইবনে মাজাহ্

ইচ্ছে করলে আপনি আরও অন্যান্য দু’আ পড়তে পারেন । সাফা পাহাড় থেকে নেমে মারওয়ার দিকে রওয়ানা হবেন । দু’পাহাড়ের মধ্যবর্তী সবুজ বাতি দু’টির মধ্যে পুরুষগণ একটু জোরে দৌড়াবেন ৷ কিন্তু মহিলাগণ স্বাভাকিভাবে চলবেন এবং নিম্নোক্ত দু’আ পড়বেন । رَبِّ اغْفِرْ وَارْحَمْ وَأَنْتَ الْاَعَةُ الْأَكْرَمُ –

উচ্চারণ : রাব্বিগফির্ ওয়ারহাম ওয়া আন্তাল আ‘আল আকরাম । অর্থ : হে আমার প্রতিপালক! আমাকে ক্ষমা কর, দয়া কর, আর তুমি মহা পরাক্রমশীল, মহাসম্মানী।

হাঁটতে হাঁটতে মনে মনে বিভিন্ন দু’আ, দরূদ, তাসবীহ-তাহ্লীল, কুরআন তেলাওয়াত করতে পারেন। একাগ্রচিত্তে কেঁদে কেঁদে আল্লাহ্র কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করবেন। এভাবে দু’আ পড়তে পড়তে মারওয়ার দিকে চলে আসবেন। মারওয়া পাহাড়ে উঠার সময় বলবেন–

إِنَّ الصَّفَا وَالْمَرْوَةَ مِن شَعَائِرِ اللَّهِ তারপর, আল্লাহ্র ঘরের দিকে মুখ করে দু’হাত উঠিয়ে সাফা পাহাড়ের ন্যায় উল্লিখিত দু’আগুলো পাঠ করবেন এবং আপনার মুখস্ত যে কোন দু’আ

পড়তে পারেন ।

মারওয়া থেকে নেমে সাফার দিকে চলতে হবে। সবুজ বাতি আসলে পূর্বের ন্যায় পুরুষগণ একটু দৌড়াবেন আর মহিলাগণ স্বাভাবিকভাবে হাঁটবেন। সাফা থেকে মারওয়া পর্যন্ত এক চক্কর, মারওয়া থেকে সাফা পর্যন্ত দু চক্কর । এভাবে সাত চক্কর। সপ্তম চক্কর মারওয়াতে গিয়ে শেষ হবে । প্রত্যেক সা’য়ীতে নির্দিষ্ট করে ভিন্ন ভিন্ন দু’আ পড়তে হবে এমন কোন বিধান নেই । উল্লিখিত দু’আগুলোর সাথে আরও যে কোন বিশুদ্ধ দু’আ পড়তে পারেন ।

সা’য়ী শেষে পুরুষগণ মাথার সমস্ত চুল ফেলে দিবেন বা ছোট করে ফেলবেন । মহিলাগণ তাদের চুলের অগ্রভাগ হতে সামান্য একটু চুল কেটে ফেলবেন । উমরাহ্ করার সময়টি যদি হজ্জ-এর নিকটবর্তী হয় তাহলে চুল খাটো করাই উত্তম । তারপর হজ্জ-এর সময় মাথার সমস্ত চুল ফেলে দিবেন। চুল কাটার সাথে সাথে উমরার কাজ সমাপ্ত হয়ে যাবে । ইহ্রাম খুলে স্বাভাবিক পোষাক পরবেন। এখন আপনার জন্য ইহরাম অবস্থায় যা নিষিদ্ধ ছিল তা হালাল হয়ে যাবে । কিন্তু যারা হজ্জে ইফরাদ বা ক্বিরান-এর নিয়ত করেছেন তারা ইহরাম অবস্থায় থাকবেন । তাওয়াফে ইফাযাহ্ বা তাওয়াফে যিয়ারত করে ইহ্রাম খুলবেন ।

সা‘য়ীর ওয়াজিবসমূহ

১. সা’য়ী তাওয়াফ-এর পরে হওয়া ।

২. সাত চক্কর হওয়া ।

৩. ‘সাফা’ পাহাড় থেকে শুরু করা এবং ‘মাওয়া’ পাহাড়ে গিয়ে শেষ করা ।

৪. ‘সাফা’ এবং ‘মাওয়া’র মধ্যকার সমুদয় রাস্তা অতিক্রম করা ।

সা’য়ীর সুন্নতসমূহ

১. তাওয়াফ শেষে হাজারে আসওয়াদ ইস্তিলাম করে সাঈর উদ্দেশ্যে মসজিদ থেকে বের হওয়া ।

২. ‘বাবে সাফা’ দিয়ে সা’য়ীর জন্য বের হওয়া ।

৩. তাওয়াফের পর পর সা’য়ী শুরু করা; দেরী না করা । এক চক্কর সা‘য়ী করে সাথে সাথে অন্য চক্কর দেয়া ।

৪. পবিত্রতা অর্জন করা ।

৫. হাঁটতে সক্ষম ব্যক্তির জন্য পায়ে হেঁটে সায়ী করা । কোন কিছুর ওপর আরোহণ করে সা’য়ী না করা ।

৬. পুরুষদের জন্য সাফা ও মারওয়া পাহাড়ে আরোহণ করা, যেন কা’বাঘর দেখা যায় । নির্জন স্থান হলে (ঐ এলাকায় পুরুষগণ না থাকলে) মহিলাদের জন্যও আরোহণ করা সুন্নত ।

৭. কা’বার দিকে মুখ করে দু’হাত তুলে উচ্চস্বরে দু’আ-যিকির পড়া ।

৮. পুরুষদের সাফা ও মারওয়ার মাঝে সবুজবাতি দ্বারা চিহ্নিত জায়গাটুকু সামান্য দৌড়ে চলা ।

হজ্জ-এর মূল কার্যাবলী

৮ই যিলহজ্জ

১. তামাত্তু’ হজ্জ আদায়কারীগণ ইহ্রাম বাঁধবেন । গোসল করা সম্ভব হলে গোসল করবেন । বেশী বেশী তাবিয়া পড়তে শুরু করবেন ।

২. ক্বিরান ও ইফ্রাদ হজ্জ আদায়কারীগণ নিজ নিজ ইরামে বহাল থাকবেন ।

৩. মীনায় গিয়ে ৮ই যিলহজ্জ যোহর থেকে ৯ই যিলহজ্জ পর্যন্ত ফজরসহ মোট পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায় করবেন এবং এ সময় মীনায় অবস্থান

করবেন ।

৯ই যিলহজ্জ

এ দিনকে ‘ইয়াওমুল আরাফাহ’ বলে। এ দিন সূর্যোদয়ের পর মীনা থেকে আরাফার ময়দানে যাবেন। সেখানে ‘মসজিদে নামিরা’য় বা নিজ তাবুতে এক আযান ও দুই ইক্বামাতে একসাথে যোহর ও আসরের নামায আদায় করবেন । এ দুই

ওয়াক্ত নামাযের আগে, পরে বা মাঝখানে কোন নফল নামায আদায় করবেন না । ক্বিবলামুখী হয়ে বেশী বেশী দু’আ ও যিকির করতে থাকবেন । সূর্যাস্ত পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করবেন । এর পূর্বে সেখান থেকে বের হওয়া যাবে না । অনেকেই আরাফাহর সঠিক সীমানায় পৌঁছতে ভুল করে আশে-পাশে বসে থাকেন, তাদের হজ্জ আদায় হবে না ।

৯ই যিলহজ্জ দিবাগত রাত

যখন সূর্য পুরোপুরি অস্তমিত হয়ে যায়, তখন আরাফাহ্ থেকে ধীর-স্থিরভাবে মুয্দালিফায় গমন করবেন । সেখানে এক আযান ও দুই ইক্বামাতে মাগরিব এবং এশার নামায আদায় করবেন। এশার নামায আদায় করে রাত না জেগে ঘুমিয়ে পড়বেন । ঘুম থেকে জেগে আউওয়াল ওয়াক্তে ফজর আদায় করে সূর্যোদয়ের কাছাকাছি সময় পর্যন্ত দু’আ-যিকিরে মশগুল থাকবেন ।

১০ই যিলহজ্জ

সূর্যোদয়ের ঠিক পূর্বক্ষণে ‘মুয্দালিফাহ্’ থেকে তালবিয়া পড়তে পড়তে ‘মীনায়’ চলে গিয়ে সেখানে নিম্নোক্ত কার্যাবলী সম্পাদন করতে হবে :

১. জাম্রায়ে ‘আক্কাবায় লাগাতার সাতটি পাথর নিক্ষেপ করবেন । প্রতিটি পাথর নিক্ষেপের সময় তাক্বীর (আল্লাহু আকবার) বলবেন ।

২. কুরবানী করবেন (তামাত্তু’ এবং ক্বিরান হজ্জ আদায়কারীদের জন্য এটি ওয়াজিব) ।

৩. মাথা মুন্ড করবেন বা চুল ছেঁটে ফেলবেন । মুন্ডানোই উত্তম । (মেয়েরা অগ্রভাগ থেকে কয়েক আঙ্গুল পরিমাণ চুল ছাঁটবেন ।)

৪. এ কাজগুলো শেষ করে গোসল করে ইরাম ছেড়ে সাধারণ পোশাক পরে পূর্বের মতো হালাল হয়ে যাবেন । এমতাবস্থায় ইহ্রামের কারণে নিষিদ্ধ ঘোষিত বিষয়গুলো বৈধ হয়ে যাবে (স্ত্রীর সাথে মেলামেশা ব্যতীত) ।

৫. তামাত্তু’ হজ্জ আদায়কারীগণকে মক্কায় এসে তাওয়াফে ইফাযাহ্ বা যিয়ারত আদায় করতে হবে । তাওয়াফে যিয়ারত হজ্জ-এর আরকানের মধ্যে অন্যতম । ১০, ১১ ও ১২ই যিলহজ্জ-এর মধ্যে যে কোন দিন মক্কা শরীফে এসে কা’বা গৃহে তাওয়াফে ইফাযাহ্ করা যাবে। এবার পুরোপুরি হালাল হয়ে যাবেন । স্ত্রী-সহবাসও বৈধ হয়ে যাবে ।

ত্যাগের পূর্বে সাতবার কা’বা শরীফ প্রদক্ষিণ করবেন । এটাকে ‘তাওয়াফে বিদা’ বলে । হায়েয-নিফাস সম্পন্না মহিলারা এ তাওয়াফ

করবেন না।

বিদায়ী তাওয়াফ

মীকাতের বাইরে থেকে আগত হাজীগণের জন্য তাওয়াফে যিয়ারতের পর বিদায়ী তাওয়াফ করা ওয়াজিব । এ তাওয়াফকে ‘তাওয়াফে বিদা’, বা ‘তাওয়াফে সদর’ বলে । এটা হজ্জের সর্বশেষ কাজ । এ তাওয়াফের জন্য নিয়ত আবশ্যক না হলেও উত্তম হলো মক্কা ত্যাগের ঠিক পূর্বে নিয়তসহ ‘তাওয়াফে বিদা’ করা ।

ঋতুবতী মহিলাদের বিবরণ

ইহ্রাম বাঁধার সময় বা পরে কোন মহিলার যদি ঋতুস্রাব শুরু হয়ে যায় তাহলে তিনি তাওয়াফ ও নামায ব্যতীত উমরাহ্ ও হজ্জ-এর সব কিছু পালন

৬. ইফ্রাদ ও ক্বিরান হজ্জ আদায়কারীগণ কা’বা শরীফ তাওয়াফ করবেন এবং তাওয়াফে কুদূম-এর সাথে সা‘য়ী করে না থাকলে সায়ীর কাজ সম্পন্ন করবেন ।

৭. তাওয়াফ এবং সা’য়ী শেষে মীনায় ১১ এবং ১২ই যিলহজ্জ তারিখে রাত যাপন করবেন ।

করতে পারবেন । আর তাবিয়াহ্ ও তাবীহ তাহ্লীল পড়তে থাকবেন। পবিত্র হলে উমরাহ্ কাজ সমাধা করবেন । অনুরূপভাবে যিলহজ্জ-এর ৮ তারিখে ঋতুবতী হলে নিজ বাসস্থান থেকে ইহ্রাম বেঁধে যথারীতি মীনা, আরাফাহ্, মুযদালিফাহ্, আবার মীনায় এসে নামায ও তাওয়াফ ছাড়া হজ্জ-এর সব কাজই করতে পারবেন । পবিত্র হলে তাওয়াফটা সেরে নিবেন ।

হলক্ব ও কসর

মাথার চুল মুন্ডানোকে হলক্ব এবং চুল ছেঁটে ফেলাকে কসর বলে । হলক্ব বা কসরের মাধ্যমেই হজ্জ এবং উমরাহ্ উভয় ইরাম থেকে হালাল হতে হয় । ১০ই যিলহজ্জ মীনায় রমীয়ে জিমার (পাথর নিক্ষেপ) ও কুরবানী করার পর হলক্ব বা কসর করতে হয় । হলক্ব বা কক্সর হারাম শরীফের আওতায় হওয়া ওয়াজিব । হারামের বাইরে করলে দম দিতে হবে ।

হলক্ব বা কসর করার পর হজ্জ সম্পাদনকারীর জন্য ইহ্রামের বিধি-নিষেধসমূহ শেষ হয়ে যাবে । হলক বা কসরের পূর্বে নখ, মোচ ইত্যাদি কাটা, বগল পরিষ্কার করা জায়েয নয় । যদি হলক্ব বা কসর করার পূর্বে কেউ নখ বা মোচ কাঁটে কিংবা বগল পরিষ্কার করে, তাহলে জাযা ওয়াজিব হবে ।

বায়তুল্লাহ্ শরীফে দু’আ কবূলের স্থানসমূহ

মক্কা শরীফের সব জায়গা-ই দু’আ কবুলের স্থান। তবুও কয়েকটি বিশেষ বিশেষ স্থানের নাম নিম্নে উল্লেখ করা হলো । এসব স্থানে বিশেষভাবে দু’আ করা উচিত । যথা ঃ

১. কা’বা ঘরে প্রথম দৃষ্টি পড়তেই যে দু’আ করা হয়, তা দ্রুত কবুল হয়ে যায় ।

২. মাতাফ (তাওয়াফ করার স্থান) ।

৩. মুলতাযাম (বায়তুল্লাহ্ শরীফের দরজা ও হাজরে আওয়াদের মধ্যবর্তী স্থান) ।

৪. মীযাবে রহমত (বায়তুল্লাহ্র প্রণালীর নীচে)।

৫. বায়তুল্লাহ্র অভ্যন্তর । এক নজরে হজ্ব ও ওমরাহ 

৬. হাজারে আওয়াদ ও রুকনে ইয়ামানীর মাঝখানে ।

৭. হাজারে আসওয়াদের নিকটে ।

৮. হাজ্বীমের ভেতরে ।

৯. মাক্কামে ইবরাহীমের পিছনে ।

১০. যমযম কূপের নিকটে । ১১. সাফা ও মারওয়া পাহাড়দ্বয়ের উপরে ।

১২. মাস‘আ অর্থাৎ, সা‘য়ী করার স্থান । বিশেষভাবে সবুজ বাতিদ্বয়ের মধ্যবর্তী স্থান ।

১৩. মীনায় । এক নজরে হজ্ব ও ওমরাহ 

১৪. আরাফাতের ময়দানে ।

১৫. মুয্দালিফায়, বিশেষভাবে মাশআরুল হারামে ।

১৬. জামরাতের (পাথর নিক্ষেপের স্থানের) নিকটে ।

মদীনা মুনাওওয়ারা গমন

হজ্জ করার পূর্বে বা পরে মদীনা মুনাওয়ারাতে গমন করা মুস্তাহাব এবং সেখানে অবস্থান করা সৌভাগ্যের বিষয় । তবে এটা হজ্জ-এর কোন অংশ নয় । মদীনা শরীফে না আসলে হজ্জ-এর কোন ক্ষতি হবে না । কেউ যদি মসজিদে নববীতে নামায আদায় করার উদ্দেশ্যে আগমন করেন, তাহলে পরম ভক্তি, শ্রদ্ধা ও আদবের সাথে আসতে পারেন । কারণ, সেখানে নামায পড়লে অতিরিক্ত সওয়াব পাওয়া যায় ।

মসজিদে নববীতে এসে সম্ভব হলে ‘রওযাতুম মির রিয়াযিল জান্নাহ্’ নামক স্থানে নামায পড়ার চেষ্টা করবেন । কারণ, এ স্থানটিকে জান্নাতের বাগান বলা হয়েছে ।

মসজিদে নববীতে নামায আদায়ের ফযীলত

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللَّهِ صَلَّى الله عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلاةٌ فِي مَسْجِدِي هَذا خَيْرٌ مِنْ أَلْفِ صَلاةٍ فِيْمَا سِوَاهُ إِلَّا الْمَسْجِدَ

অর্থ : আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবী করীম (সাঃ) বলেছেন, “আমার মসজিদে (মসজিদে নববীতে) একবার নামায আদায় করা বায়তুল্লাহ্ ছাড়া অন্যান্য মসজিদে এক হাজার বার নামায আদায়ের চেয়েও উত্তম ।”–বুখারী, মুসলিম, মিশকাত, হা/৬৯৩ এক নজরে হজ্ব ও ওমরাহ 

নবী করীম (সাঃ)-এর কবর যিয়ারত রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর কবরের সামনে এসে দরূদে ইবরাহীম, সালাম ও দু’আ পাঠ করবেন । অনুরূপভাবে আবু বকর (রাঃ) ও উমর (রাঃ)-এর কবরের সামনে এসে সালাম দিবেন ও দু’আ পাঠ করবেন । রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) কবর যিয়ারতের যে দু’আ শিক্ষা দিয়েছেন, সে দু’আ পাঠ করাই উত্তম । দু’আটি হল ঃ اَلسَّلاَمُ عَلَيْكُمْ  َأهْلَ الدِّيَارِ مِنَ الْمُؤْمِنِيْنَ وَالْمُسْلِمِيْنَ وَإِنَّا إِنْشَاءَ اللهُ بِكُمْ لَلاحِقُوْنَ، نَسْأَلُ اللَّهَ لَنَا وَلَكُمْ الْعَافِيَة উচ্চারণ : আসসালামু ‘আলাইকুম আহলাদ্ দিয়ারি মিনাল মু’মিনীনা ওয়াল মুসলিমীনা; ওয়া ইন্না ইন্‌শাআল্লাহু বিকুম লা-লাহিকূন; নাসআলুল্লাহা লানা ওয়ালাকুমুল আ-ফিয়াহ ।

অর্থ ঃ মুমিন ও মুসলিম কবরবাসীগণ! আপনাদের : উপর শান্তি বর্ষিত হোক । আল্লাহ্র ইচ্ছা হলে আমরা অবশ্যই আপনাদের সাথে মিলিত হতে যাচ্ছি। আমাদের ও আপনাদের জন্য আমরা আল্লাহ্র নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি ।

–মুসলিম, মিশকাত, হা/১৭৬৪

নবী করীম (সাঃ)-এর রওযা যিয়ারত করতে গিয়ে তাঁর নিকট কিছু চাওয়া বা প্রার্থনা করা যাবে না । বরকত লাভের উদ্দেশ্যে কোন কিছু স্পর্শ করা ও চুমু খাওয়া যাবে না । এমনটি করলে গুনাহ্ ও শিরক হয়ে যাবে । কেবলামুখী হয়ে আল্লাহ্র নিকট নবী করীম (সাঃ), হযরত আবু বকর (রাঃ) ও হযরত উমর (রাঃ) সহ সকল সাহাবায়ে কেরাম-এর জন্য শান্তি, রহমত ও জান্নাত লাভের দু’আ করবেন ।

জান্নাতুল বাক্বীর যিয়ারত

মসজিদে নববীর পূর্ব দিকে ‘বাক্বীউল গারক্বাদ’ বা ‘জান্নাতুল বাক্বী’ নামক একটি কবরস্থান রয়েছে সেখানে অসংখ্য সাহাবী, তাবেঈ ও মুসলিম পন্ডিতগণের কবর রয়েছে । সেখানে গিয়ে তাদের কবর যিয়ারত করা সুন্নত । সেখানে গিয়ে প্রথমত উপরোল্লিখিত দু’আ পাঠ করবেন । এরপর তাঁদের জন্য শান্তি, মাগফিরাত ও জান্নাত লাভের দু’আ 9 করবেন ।

‘শুহাদায়ে উহুদ’ কবরস্থান

ইচ্ছা করলে মসজিদে নববী থেকে মাত্র ৩ কিঃ মিঃ দূরে উহুদ পাহাড় প্রান্তরে শুহাদায়ে উহুদের কবরস্থানে যেতে পারেন। সেখানে নবী করীম (সাঃ)-এর চাচা হযরত হামযাহ্ (রাঃ) সহ ৭০ জন শহীদ সাহাবীর কবর রয়েছে, যারা আল্লাহ্ দ্বীনকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য শহীদ হয়েছিলেন। সেখানে গিয়ে পূর্বের নিয়মানুযায়ী দু’আ পাঠ করবেন । উল্লেখ্য যে, কবর যিয়ারত শুধু পুরুষগণ করবেন, মহিলাদের জন্য কবর যিয়ারত করা নিষেধ ।

মসজিদে কুবা যিয়ারত

ইসলামের প্রথম মসজিদ বলে খ্যাত “মসজিদে কুবা”তে এসে দু’রাক’আত নফল নামায আদায় করা সুন্নত । নবী করীম (সাঃ) হিজরত করে এসে এই মসজিদে সর্বপ্রথম নামায আদায় করেন । এ মসজিদে নামায আদায় করার ফযীলত সম্পর্কে নবী করীম (সাঃ) বলেন :

مَنْ تَطَهَّرَ فِي بَيْتِهِ ثُمَّ أتى مَسْجِدَ قُبَاءٍ فَصَلَّى فِيْهِ صَلَاةَ كَانَ لَهُ كَأَجْرِ عُمْرَةٍ

অর্থ ঃ যে ব্যক্তি বাড়ী থেকে ওযু করে কুবার মসজিদে আসে এবং তাতে নামায আদায় করে, ব্যক্তি একটি উমরাহ করার সমান নেকী পাবে । সে

–আমদ, নাসায়ী ও ইবনে মাজাহ্ এক নজরে হজ্ব ও ওমরাহ 

মদীনাতে ৮দিন থাকতেই হবে এমন বাধ্যবাধকতা নেই এবং কোন বিশুদ্ধ বা সহীহ দলীল থেকে তা প্রমাণিত নয় । বরং মদীনার সফর সংক্ষিপ্ত করে মক্কাতে বেশী দিন অবস্থান করাই উত্তম । কারণ মক্কাতে নামায পড়লে এক রাক’আতে একলক্ষ গুণ সওয়াব পাওয়া যায় । আর মসজিদে নববীতে এক রাক’আতে এক হাজার গুণ সওয়াব ।

উমরাহ্ ও হজ্জ পালনকালে কতিপয় ত্রুটি-বিচ্যুতি ও সুন্নত বিরোধী আমল

১. মক্কায় মসজিদে তানঈিম বা আয়েশা মসজিদ থেকে ইহ্রাম বেঁধে বার বার বিভিন্নজনের নামে উমরাহ্ করা । এখান থেকে ইহরাম বাঁধলে উমরাহ্ হবে না । নির্দিষ্ট মীক্বাত থেকে ইহ্রাম বাঁধতে হবে ।

২. রুকনে ইয়ামানীতে স্পর্শ না করে চুমু খাওয়া ।

৩. যমযমের পানিতে ইহরামের কাপড় ধোয়া । এ জন্য যে, সে কাপড় দিয়ে কাফন দিলে মৃত ব্যক্তির গুনাহ্ মাফ হয়ে যাবে ।

৪. ৮ই যিলহজ্জ মীনা যাওয়ার পূর্বেই সাফা-মারওয়াতে সায়ী করে নেয়া, যা তাওয়াফে ইফাযাতে ১০ তারিখে করতে হয় ।

৫. মীনায় জামরাতে পাথরের পরিবর্তে জুতা, স্যান্ডেল ইত্যাদি মারা ।

৬. সন্দেহ পোষণ করে দম বা কাফফারা হিসেবে হজ্জ শেষে পশু কুরবানী করা ।

৭. নেকীর কাজ মনে করে আরাফাতের ‘জাবালে রহমত’ পাহাড়ে উঠা এবং নামায পড়া ।

৮. জাবালে রহমত ও মদীনার উহুদ পাহাড় থেকে বরকত হিসেবে মাটি আনা ।

৯. আরাফাতের দিন তাবুতে হাজী সাহেবগণ জোহর ও আসর নামাযকে কসর ও জমা’ (একসাথে) করে না পড়া ।

১০. মদীনাতে ৮দিন অবস্থান করাকে জরুরী মনে করা ।

১১. মাক্কামে ইবরাহীমের কাঁচ স্পর্শ করা, ছুঁয়ে বরকত নেয়া বা গায়ে মাথায় হাত বুলানো ।

১২. নবী করীম (সাঃ)-এর রওযা মুবারকের প্রাচীর, দরজা, মিম্বর ও মিরাব স্পর্শ ও চুম্বন করে তাবাররুক গ্রহণ করা ।

১৩. হেরা ও সাওর পর্বতে উঠে নামায পড়া ও সেখান থেকে মাটি আনা ।

এক নজরে হজ্জ ও ওমরাহ

১. ৮ই যিলহজ্জ একটি কাজ : তামাত্তু কারীগণের প্রথম কাজ হল–নিজ নিজ বাসস্থান থেকে ইহরাম বাঁধা। মীনায় পাঁচ ওয়াক্ত নামায (যোহর, আসর, মাগরিব, এশা ও ৯ই যিলহজ্জ ফজর) আদায় করা ।

২. ৯ই যিলহজ্জ দু’টি কাজ :

ক. সূর্য হেলে পড়ার (দ্বিপ্রহরের) পর থেকে ১০ ই যিলহজ্জ সুবহে সাদিক পর্যন্ত সময়ের মধ্যে ইহরাম অবস্থায় আরাফাতের ময়দানে কিছু সময় অবস্থান করা ফরয। ইহাকে ‘উকূফে আরাফাহ্’ বলে । যদি উক্ত সময়ের মধ্য থেকে অল্পকিছুক্ষণও আরাফাতে অবস্থান করা না হয়, তবে হজ্জ আদায় হবে না । তবে সূর্য ঢলে যাওয়ার পর (দ্বিপ্রহরের পর) থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত আরাফাতে অবস্থান করা ওয়াজিব ।

খ. ৯ তারিখ সূর্যাস্তের পর আরাফাহ্ ত্যাগ করে মুযদালিফায় রাত যাপন করা ।

৩. ১০ই যিলহজ্জ চারটি কাজ :

ক. ভোরে মুযদালিফাহ্ থেকে মীনায় এসে প্রথম জামাতুল ‘আক্কাবায় ৭টি কঙ্কর মারা । এখানে কঙ্কর মারার সাথে সাথে তাবিয়া পাঠ বন্ধ করা ।

খ. কুরবানী করা । এ কুরবানী হজ্জে ক্বিরান ও তামাত্তু’ আদায়কারীগণের জন্য ওয়াজিব ।

গ. মাথা মুন্ডানো বা কসর করা (চুল ছাঁটা) । কুরবানী না করা পর্যন্ত মাথা মুন্ডানো বা কসর করা জায়েয নয় । এরূপ করলে আরেকটি দম (কুরবানী) ওয়াজিব হবে। হলক বা কসরের মাধ্যমেই ইহ্রাম থেকে হালাল হওয়া । এক নজরে হজ্ব ও ওমরাহ 

ঘ. তাওয়াফে যিয়ারত করা ।

৪. ১১ই যিলহজ্জ একটি কাজ : মীনায় প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় জাম্রায় ৭টি করে মোট ২১টি কঙ্কর মারা ।

৫.১২ই যিল্‌হজ্জ একটি কাজ : মীনায় ১১ তারিখের মতই উক্ত তিনটি স্থানে ৭টি করে ২১টি কঙ্কর মারা ।

৬. যদি ১২ই যিলহজ্জ তারিখ দিবাগত রাত থেকে ফজর পর্যন্ত মীনায় অবস্থান করেন, তবে ১৩ই যিলহজ্জ একটি কাজ : উক্ত তিনটি স্থানে ৭টি করে ২১টি কঙ্কর মারা ।

আল্লাহ্ তা’আলা আমাদের হজ্জ ও উমরাহ্ সহ সকল আমল কবুল করুন । আমিন !

এক নজরে হজ্ব ও ওমরাহ