You are currently viewing উপদেশ মূলক কথা, স্ট্যাটাস, উক্তি, ইসলামিক উপদেশ
উপদেশ মূলক কথা

উপদেশ মূলক কথা, স্ট্যাটাস, উক্তি, ইসলামিক উপদেশ

নিশ্চয়ই শিক্ষিত মানুষ উপদেশ গ্রহণ করে।  (সূরা বাক্বারা – ২৬৯) । মহান ব্যাক্তিদের উপদেশ মূলক কথা জীবনকে সফলতার পথে নিয়ে যেতে পারে। সফল ব্যাক্তিগণ তাদের অভিজ্ঞতার আলোকে বিভিন্ন উপদেশ মূলক উক্তি করে গেছেন। আমরা তাদের সেই জ্ঞানের উপদেশ মূলক কথা গ্রহণ করতে পারি। আজ আপনাদের জন্য তেমন মূল্যবান কথা ও ইসলামিক উপদেশ তুলে ধরা হলো । আশা করি উপকৃত হবেন।

উপদেশ মূলক কথা

কৃপণতা মর্যাদা হানি করে। কাপুরুষতা পূর্ণ মনুষ্যত্ব অর্জনের পথে বৃহৎ অন্তরায়। দারিদ্র মহাজ্ঞানীকেও অনেক সময় প্রতিপক্ষের সম্মুখে মৌন করে দেয়। অপারে বিনয় বিপদ ডেকে আনে।

ধৈর্যই প্রকৃত সম্পদ।—হযরত আলী। (রাঃ)

* যে যতটুকু অভিজ্ঞতাসম্পন্ন, তদপেক্ষা বেশি উপদেশ দিতে পাওয়া তার পক্ষে অনুচিত।

* যাহা তুমি স্বয়ং করনা বা করিতে পার না, অন্যকে করিতে উপদেশ দিও না।- হযরত আলী (রাঃ)

শায়খুল হাদিস হযরত হোসাইন আহমদ মাদানী (রঃ) এর উপদেশ,

মানুষের সাথে নম্র ও কোমল ভাবে কথা বলবে।

* যে তোমার উপদেশ শুনিতে চাহে তাকে ছাড়া আর কাহাকেও উপদেশ দিও না।

* বহুদর্শিতার মতো উপদেশ আর নেই, যে ব্যক্তি স্বয়ং ঠেকে শিখছে তার কাছে শিক্ষা করো।

* অযাচিত উপদেশ দিতে নাই। জার্মান প্রবাদ

* পাপীকে ঘৃণা করো না, কিন্তু পাপকে ঘৃণা কর। ভীতকে সাহস দাও দুর্বৃত্তকে এড়িয়ে চল, জ্ঞানীর সঙ্গে কাজ কর।-হুইটম্যান

* যে উপদেশই দাও তা যেন খুব ছোট হয়। – হোরেস

* বিয়ে করার জন্য বা যুদ্ধে যাবার জন্য কাউকে উপদেশ দিও না। স্পেনীয় প্রবাদ

জ্ঞানের উপদেশ মূলক কথা

> সংকটে প্রতিত হলে সংকট অতিক্রমকারীদের পরামর্শ গ্রহণ করো। – নিকোলাস মুলার

> সকালে চিন্তা কর, সন্ধ্যায় খাও এবং রাত্রে ঘুমাও। – -উইলয়াম ব্লেক

> যে সমস্যাজড়িত কখনো তার উপদেশ গ্রহণ করো না।— দশপ

<> সিংহকে যদি শৃগাল উপদেশ প্রদান করে তবে বুঝতে হবে শৃগালই বুদ্ধিমান।— উইলিয়াম ব্ল্যাক

<> সংযত হও, কিন্তু নির্ভীক হও, সরল হও কিন্তু বোকা হয়ো না। বিনীত হও তাই বলে দুর্বল-হৃদয় হয়ো না।- শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র

যে ব্যক্তি অন্যকে সৎকর্মের উপদেশ দেয় আর নিজে সৎকর্ম করেনা যে ব্যক্তি মাশলবাহী অন্ধের ন্যায় অন্যে তার দ্বারা পথ দেখে কিন্তু নিজে দেখতে পায় না । – প্লেটো

-সাইরাস

– অনেকই উপদেশ পায়; কিন্তু শুধু জ্ঞানী যারা তারাই তা লক্ষ্য করে তার দ্বারা লাভবান হয়।—

<> ভালো করে না দেখে কিছু পান করবে না, ভালো করে না পড়ে কিছু সই করবে না। -স্পেনীয় প্রবাদ

ইসলামিক উপদেশ

করো না মানবগণ বৃথা ক্ষয় ও জীবন

সংসার সমরাঙ্গণ মাঝে

সঙ্কল্প করেছ যাহা সাধন করহ তাহা

রত হয়ে নিজ নিজ কাজে। হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়

অন্যে উপদেশ দিলে পাণ্ডিত্যের কমি কারও নাই স্বয়ং আচরি ধর্ম শিক্ষা দেন শুধু মহাত্মাই। চাণক্য পণ্ডিত

<> উপদেশ কদাচিৎ সমাদর পেয়ে থাকে; যাদের উপদেশ খুব প্রয়োজন তারাও তা অপছন্দ করে থাকে।

জনসন

<+> জনতার মাঝে কখনও উপদেশ দিও না। -আরবী প্রবাদ

হও ধরমতে ধীর হও করমতে বীর, হও উন্নত শির নাহি ভয় । ভুলি ভেদাবেধ জ্ঞান হও সবে আগুয়ান, সাথে আছে ভগবান হবে জয়। অতুলপ্রসাদ সেন

<> যখন কোন লোক তোমার কাছে উপদেশের জন্য আছে, বস্তুত সে তোমার কাছ থেকে তার

প্রশংসাই শুনতে চায়। – চেষ্টারফিল্ড মানুষ এত সহজে কোন জিনিসই বিলিয়ে দেয় না যত সহজে সে উপদেশ বিলিয়ে দিয়ে থাকে।

—রো চে ফুকো

হিংসা থেকে বিরত থাকতে পারলে আত্মপড়ীণ হতে, কুসংসর্গ থেকে বিরত থাকতে পারলে লোকনিন্দা হতে, গোনাহ থেকে দূরে থাকতে পারলে জাহান্নাম হতে এবং সম্পদ সঞ্চয় থেকে বিরত

থাকলে দরিদ্র জনগণের অভিশাপ হতে শুক্ত থাকা যায় ।— ইমাম গাজ্জালি (রাঃ)

* এমনভাবে উপদেশ দাও, যাতে বন্ধুকে তুষ্ট নয়, সাহায্য করতে পার। — সলন

> প্রাচুর্যের মাঝে থাকাকালে দুঃখীদের প্রতি উপদেশ দেয়া খুবই সহজ— এসকাইলাস

* সদুপদেশ গ্রহণ করার অর্থ হল নিজের দক্ষতা বৃদ্ধি ।— গোদি

* সৎ উপদেশকে টাকার মূল্যে পরিমাপ করা যায়। না।— ইরাসমুস

উপদেশ মূলক কথা
উপদেশ মূলক কথা

ভালো থাকতে হলে নিজেকে পরিবর্তন করুন।

আপনার লড়াইটা আপনাকেই লড়তে হবে

নিজের আবেগ কন্ট্রোল করতে হবে!

ভেঙ্গে পড়লে চলবে না কি আছে কি নেই

এটা ভাবলে হবে না যা আছে তা নিয়েই

আপনাকে এগিয়ে যেতে হবে।

আপনার ব্যর্থতার গল্প শুনতে কেউ আসবে না!

আসবে উপদেশ মূলক কিছু কথা শোনাতে ।

মনে রাখবেন, দুঃসময়ে কেউ পাশে থাকে না,

সফল হলে জীবনে মানুষের অভাব হবে না!

এতো কিছু করার পর ও কেউ স্বীকার করে না।

শুধু প্রয়োজন নিজেকে পরিবর্তন করার।

তবেই সফলতা আসবে, ইনশাআল্লাহ!

 

উপদেশ মূলক কথা

মানুষ ততদিন সহ্য করে

যতদিন না তার প্রতি ঘৃনা জন্মায় ।

ঘৃনা জন্মালে আর ফিরেও তাকায় না !

তর্কের চেয়ে নিরবতা ভালো,

প্রতিশোধ নেয়ার চাইতে রাস্তা বদলে ফেলা ভালো

স্বার্থপর মানুষের সাথে চলার থেকে, একা চলা অনেক ভালো

সব পরিবর্তন মানুষের জন্য নয়!!

কিছু পরিবর্তন নিজেকে ভালো রাখার জন্য হয় !!!!

উপদেশ মূলক কথা
উপদেশ মূলক কথা

উপদেশ মূলক স্ট্যাটাস

যদি বুঝতে পারেন মানুষটা ডিপ্রেশনে আছে, তাকে কোন জ্ঞান বা উপদেশ দিবেন না! সে কি বলতে চায় আগে সেটা শুনুন। এই সময়টাতে মানুষ উপদেশ শুনতে চায় না। শুধু চায় কেউ তার কথা গুলো একটু মন দিয়ে শুনুক। আর এমন কিছু সান্ত্বনা মুলক কথা বলুন যাতে মনে হয়, নাহ কেউ একজন তো পাশে আছে!

উপদেশ মূলক কিছু কথা:-

অপরিচিত কাউকে তুমি করে বলবেন না’ সে বয়সে ছোট হলেও আপনি করে বলবেন।

এক সঙ্গে ৩ জন আড্ডা দিলে’ কখনোই দুইজন কানাকানি কথা বলবেন না’ এতে তৃতীয় ব্যক্তি মনে কষ্ট পাবে।

যতটা সম্ভব চেষ্টা করবেন কাউকে টাকা হাওলাত না দেওয়ার’ এতে সম্পর্ক নষ্ট হয়।

নিজেও কারো কাচ থেকে টাকা হাওলাত আনবেন না’ যদিও আনেন সে চাওয়ার আগে দিয়ে দিন।

কাউকে দিয়ে যদি কোনো কাজ করান’ তাহলে তার ঘাম শুকানোর আগে তার পারিশ্রমিক দিয়ে দিন।

 

❝কাউকে” গালির বদলে গালি দিও না, ❝লজ্জার” বদলে লজ্জা দিও না, ❝কষ্টের “বদলে কষ্ট দিও না।

“যদি”ও তোমার প্রতিশোধ নেওয়ার❞ অধিকার রয়েছে, কিন্তু এই অধিকার প্রয়োগের চেয়ে মাফ করে দেওয়া উত্তম।

তুমি যদি চুপ করে থাকো, কোন উত্তর না দাও এবং এর ফলে তোমার ভিতরে কষ্ট হয়, ক্রোধের সৃষ্টি হয়, আর তা তুমি হজম করো, ধৈর্যধারন করো, তাহলে এ সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা ওয়াদা করেছেন,

“ধৈর্যধারনকারীদের আল্লাহ তা’আলা বেহিসাব পুরুষ্কার দিয়ে থাকেন!”

সূরা আয-যুমারঃ ১০

 

কিছু উপদেশ মূলক কথাঃ সবার কাজে লাগতে পারে-

১. কথা হজম করতে শিখুন, এইটা অনেক বড় গুণ, আপনাকে জীবনে জিততে সহায়তা করবে।

২. কখনও তর্কে জিততে যাবেন না, এটা সময়ের অপচয়।

৩.আপনার প্রতিপক্ষকে জিতিয়ে দিন, আপনার প্রতিপক্ষ যদি খুশী হয় সে জিতে গেছে ভেবে, আপনি একটু হাসুন।

৪. মনে রাখবেন, কখনও কখনও জিততে হলে হারতে হবে, আর আপনার আজকের এই হারই আপনাকে বড় জয় এনে দিবে।

৫. হারতে শিখুন, সব জায়গায় জিততে নেই’ এটা বোকামি।

৬. মনে রাখবেন, কথায় কাজ হবে না, তাই কাজ শুরু করুন নিরবে’ আপনার কাজই কথা বলবে।

৭. আপনাকে যারা বিশ্বাস করে না, তাদের চিন্তা বাদ দিন, নিজেকে বিশ্বাস করুন’ নিজের প্রতি বিশ্বাস আপনাকে সবার মাঝে বিশ্বাসী করে তুলবে।

৮. আপনি অনেক কিছু পারেন’ কি দরকার বলে বেড়ানোর, “কাজ করুন”, যার প্রয়োজন সে আপনাকে এমনেতেই খুজে বের করবে।

৯. মনে রাখবেন, চিতা বাঘ কখনও কুকুরের সাথে দৌড় প্রতিযোগিতা করে না, কুকুরদের জিততে দিন, আপনি যে চিতা বাঘ তা বোঝানোর জন্য সঠিক সময়ের অপেক্ষায় থাকুন।

১০. নিজের প্রয়োজনেই তর্ক এড়িয়ে চলুন, আর নিরবে কাজ করুন, আপনার কাজই কথা বলবে।

 

ইসলামিক উপদেশ

আমি বললাম আমি দেখতে খারাপ আল্লাহ বলেন আমি মানুষকে অনেক সুন্দর করে তৈরি করেছি।

_ছুরা আত ত্বীন -৪

❝কাউকে” গালির বদলে গালি দিও না, ❝লজ্জার” বদলে লজ্জা দিও না, ❝কষ্টের “বদলে কষ্ট দিও না।

“যদি”ও তোমার প্রতিশোধ নেওয়ার❞ অধিকার রয়েছে, কিন্তু এই অধিকার প্রয়োগের চেয়ে মাফ করে দেওয়া উত্তম।

তুমি যদি চুপ করে থাকো, কোন উত্তর না দাও এবং এর ফলে তোমার ভিতরে কষ্ট হয়, ক্রোধের সৃষ্টি হয়, আর তা তুমি হজম করো, ধৈর্যধারন করো, তাহলে এ সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা ওয়াদা করেছেন,

“ধৈর্যধারনকারীদের আল্লাহ তা’আলা বেহিসাব পুরুষ্কার দিয়ে থাকেন!”

সূরা আয-যুমারঃ ১০

 

তিনটি কাজে বিলম্ব করিও না

১. নামাজের ওয়াক্ত হলে।

২. মেয়ে-ছেলে •বিয়ের• উপযুক্ত হলে।

৩. লাশ এর জানাযা হয়ে গেলে।

তিনটি জিনিস একবার আসে

১. মাতা-পিতা।

২. সৌন্দর্য্য।

৩. যৌবন।

তিনটি জিনিস মৃত্যুর পর উপকারে আসে

১. সু-সন্তান।

২. সদকা।

৩. ইসলাম।

তিনটি জিনিস সম্মান নষ্ট করে

১. চুরি করা।

২. মিথ্যা কথা বলা।

৩. চোগোলখুরি করা।

তিনটি জিনিস চিন্তায় রাখে

১. হিংসা।

২. অভাব।

৩. সন্দেহ।

তিনটি জিনিসকে সব সময় মনে রেখো

১. উপদেশ।

২. উপকার।

৩. মৃত্যু।

তিনটি জিনিস অভ্যাস করো

১. নামাজ পড়া।

২. সত্য বলা।

৩. হালাল রিযিক।

তিনটি জিনিস থেকে দূরে থাকো

১. মিথ্যা।

২. অহংকার।

৩. অভিশাপ।

তিনটি জিনিসের জন্য যুদ্ধ করো

১. দেশ।

২. জাতি।

৩. সত্য।

তিনটি জিনিসকে চিন্তা করে ব্যবহার করো

১. কলম।

২. কসম।

৩. কদম।

তিনটি জিনিসে ধ্বংস হয়ে যায়

১. লোভ।

২. হিংসা।

৩. অহংকার।

 

শিক্ষামূলক উপদেশ

উপদেশ মূলক কথা:

মানুষ ততদিন সহ্য করে

যতদিন না তার প্রতি ঘৃনা জন্মায় ।

ঘৃনা জন্মালে আর ফিরেও তাকায় না !

তর্কের চেয়ে নিরবতা ভালো,

প্রতিশোধ নেয়ার চাইতে রাস্তা বদলে ফেলা ভালো

স্বার্থপর মানুষের সাথে চলার থেকে, একা চলা অনেক ভালো

সব পরিবর্তন মানুষের জন্য নয়!!

কিছু পরিবর্তন নিজেকে ভালো রাখার জন্য হয় !!!!

অনিচ্ছায় যা করা হয় সেটা ভুল বলে”””

আর যেটা ইচ্ছে করে করা হয় সেটা কে বেঈমানি বলে!!!

কাউকে ক্ষমা করে মহত্ত্ব হও!!

কিন্তু দ্বিতীয়বার বিশ্বাস করে বোকা হইও না!!!!..

তার মানে এই না যে ,

আর কোন মানুষ কেউ বিশ্বাস করবে না!!

একটা কথা মনে রেখো ”’

সব ঝড় কিন্তু তোমার রাস্তায় বাঁধা হয়ে আসে না!!!!

কিছু ঝড় আসে তোমার রাস্তায় ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করে দেওয়ার জন্য!!!

নিজেকে ভালোবাসো নিজের জন্য বাঁচো

 

উপদেশ মূলক হাদিস

আবূ হুরাইরাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ মুসলিমের প্রতি মুসলিমের হক ছয়টি! প্রশ্ন করা হলো- সেগুলো কী, হে আল্লাহর রাসূল! তিনি বললেন, (সেগুলো হলো-)

১/ কারো সাথে তোমার দেখা হলে তাকে সালাম দিবে!

২/ তোমাকে দাওয়াত করলে তা তুমি কবূল করবে!

৩/ কেউ তোমার নিকট ভাল উপদেশ চাইলে, তুমি তাকে ভাল উপদেশ দিবে!

৪/ কেউ হাঁচি দিয়ে ‘আলহাম্‌দুলিল্লাহ’ বললে, তার জন্যে তুমি (ইয়ারহামুকাল্লাহ্‌ বলে) রহ্‌মাতের দু’আ করবে!

৫/ সে পীড়িত (অসুস্থ) হলে তার সেবা-শুশ্রুষা করবে এবং

৬/ কেউ মৃত্যুবরণ করলে তার (জানাযায়) শরিক হবে!

সহিহ মুসলিম, হাদিস নং- ৫৫৪৪!!!

 

জীবনে ভালো থাকতে হলে নিজেকে পরিবর্তন করতে হবে! আপনার লড়াইটা আপনাকেই লড়তে হবে, আপনার ব্যর্থতার গল্প শুনতে কেউ আসবে না!

আসবে উপদেশ মূলক কিছু কথা শোনাতে…!!

বানী..

ভালো কিছু উপদেশ

শিক্ষনীয় …… উপদেশ মূলক কথা-

কাঁক হচ্ছে একমাত্র পাখি,

যে ঈগলের ঘাড়ের উপর বসে, ঠোকর মেরে, তাকে বিরক্ত করতে পারে।

যে সাহস অন্য কোন পাখির নেই।

মজার ব্যাপার হচ্ছে ঈগল কিন্তু , কাঁকের সাথে লড়াই করে,

বা তাকে মেরে ফেলতে যেয়ে, তার সময় ও শক্তির অপচয় করে না।

ঈগল যেটা করে, সেটা হচ্ছে, সে দ্রুত গতিতে উপরে উঠতে থাকে।

অতি উচ্চতায় অক্সিজেন স্বল্পতার কারনে, এবং ঈগলের প্রচন্ড গতির কারনে, কাঁক দুর্বল হয়ে পড়ে এবং টিকতে না পেরে,

ঈগলের ঘাড় থেকে দ্রুত খসে পড়ে যায়।

ঠিক তেমনি ভাবে, আপনার জীবন চলার পথে, কাছের মানুষ, আত্মীয় স্বজন, বন্ধু বান্ধবরূপি অনেক কাঁক, আপনার পিছনে ঠোকর মেরে, আপনার জীবনকে ব্যহত করবে।

এদের সাথে লড়তে যেয়ে, সময় এবং শ্রম অপচয় করার কোন দরকার নেই।

আপনার চূড়ান্ত লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য, শ্রম,

সাধনা ও কাজের গতি আরও বাড়িয়ে দিন।

আপনার গতির সাথে তাল

মেলাতে না পেরে,

এরা কাকের মত সবাই দুর্বল হয়ে এমনিতেই ঝড়ে পড়ে যাবে….

 

ইসলামিক উপদেশ মূলক কথা

হযরত লোকমান (আঃ) নিজ সন্তানকে যে ৭৬টি উপদেশ দিয়েছিলেন —

১। বেটা ! কর্জ হইতে নিজেকে হেফাজত রাখিও। কেননা ইহা দিনের বেলায় অপমান এবং রাত্রিতে দুশ্চিন্তা।

২। বেটা ! তুমি মোরগের চাইতে বেশী অক্ষম হইও না। সে তো শেষ রাত্রিতে জাগিয়া চিৎকার শুরু করিয়া দেয়, আর তুমি নিজের বিছানায় পড়িয়া ঘুমাইতে থাকো।

৩। বেটা ! গুরুত্ব সহকারে জানাযায় শরীক হইও এবং অহেতুক অনুষ্ঠানাদি শরীক

হওয়া হইতে বাঁচিয়া থাকিও।

৪। বৎস আল্লাহর সান্নিদ্ধ অবলম্বন করবে ।

৫। অন্যকে উপদেশ দেওয়ার আগে নিজে আমল করার চেষ্টা কর ।

৬। নিজের মান মর্যাদা বজায় রেখে কথা বলবে ।

৭। ভাল মানুষ রূপে বিবেচিত হওয়ার চেষ্টা করবে ।

৮। স্বীয় অধিকারের প্রতি সচেতন থাকবে ।

৯। গোপন তথ্য কারো নিকট প্রকাশ করবে না ।

১০। বিপদে বন্ধুর পরীক্ষা নিবে ।

১১। বন্ধুদের ভাল মন্দ উভয়টাই পরীক্ষা করবে ।

১২। বিচক্ষণ এবং জ্ঞানী ব্যক্তিদের সাথে বন্ধুত্ব করবে ।

১৩। ভাল কাজে পুণঃপুণঃ অংশগ্রহণ করবে ।

১৪। নিজের কথা প্রমাণ করে দিবে ।

১৫। বন্ধুদের সাধ্যমত ভালবাসবে ।

১৬। শত্রু মিত্র সকলের সাথে হাসিমুখে সাক্ষাৎ করবে ।

১৭। মাতা পিতাকে সর্বাধিক সম্মান করবে ।

১৮। শিষ্যকে সর্বাধিক মর্যাদার দৃষ্টিতে দেখবে ।

১৯। আয়ের প্রতি লক্ষ্য রেখে ব্যয় করবে ।

১৯। প্রত্যেক কাজে মধ্যপন্হা অবলম্বন করবে ।

২০। কথা বলার সময় মুখ আয়ত্বের মধ্যে রাখবে ।

২১। বীরত্ব কে নীতি হিসাবে গ্রহণ করবে ।

২২। শরীর এবং পোষাক পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখবে ।

২৩। ঐক্যবদ্ধ হয়ে থাকবে ।

২৪। প্রচলিত অস্ত্র সস্ত্র ও যানবাহন পরিচালনা শিখে নিবে ।

২৫। প্রত্যেক ব্যক্তিকে তার যোগ্যতা অনুযায়ী দায়িত্ব প্রদান করবে ।

২৬। রাতের বেলায় যদি কথা বলার প্রয়োজন হয় তাহলে আস্তে এবং নরম স্বরে কথা বলবে ।

২৭। দিনের বেলায় কথা বলার সময় চতুর্দিকে লক্ষ্য করে কথা বলবে ।

২৮। কম কথা বলা কম খাওয়া এবং কম ঘুমানোর অভ্যাস করবে ।

২৯। নিজের জন্য যা পচন্দ করো না তা অন্যের জন্য পচন্দ করবে না ।

৩০। বিচক্ষণতা ও কৌশল অবলম্বন করে কাজ করবে ।

৩১। উপযুক্ত শিক্ষিত না হয়ে অন্যকে শিখাতে যেও না ।

৩২। অন্যের ধন সম্পদের প্রতি লক্ষ্য করবে না ।

৩৩। নীতিহীনদের কাছ থেকে কৃতজ্ঞতা আশা করবে না ।

৩৪। কোনো কাজেই চিন্তামুক্ত হইও না ।

৩৫। যে কাজ তুমি করনি এরূপ কাজ করেছ বলে মনে করো না ।

৩৬। আজকের কাজ আগামীকালের জন্য ফেলে রাখবে না ।

৩৭। বড়দের সাথে হাসি ঠাট্টা করতে যেও না ।

৩৮। আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক করিও না ।

৩৯। তোমার প্রতি যারা আশা রাখে তাদের নিরাশ করো না ।

৪০। বড়দের সামনে কথা দীর্ঘায়িত করবে না।

৪১। অতীতের তিক্ততা মনে রেখো না ।

৪২। নিজের ধন সম্পদের কথা অন্যের নিকট প্রকাশ করবে না ।

৪৩। সৎ লোকদের নিন্দা করবে না ।

৪৪। আপনজনদের কাছ থেকে কখনও বিচ্ছিন্ন হইও না ।

৪৫। অহংকার করবে না ।

৪৬। মানুষের সামনে দাঁত খেলাল করবে না ।

৪৭। মানুষের সামনে মুখে বা নাকে অঙ্গুল প্রবেশ করবে না ।

৪৮। শব্দ করে থুতু ফেলবে না ।

৪৯। হাই তোলার সময় মুখে হাত রাখবে ।

৫০। কাউকে জনসম্মুখে লজ্জা দিবে না ।

৫১। চোখ দিয়ে ইঙ্গিত করবে না ।

৫২। এক কথা বারবার বলবে না ।

৫৩। তামাশা মূলক অবাস্তব কথা বলবে না ।

৫৪। ঠাট্টা বিদ্রুপ থেকে বিরত থাকবে ।

৫৫। অন্যের সামনে নিজের প্রশংসা করবে না ।

৫৬। মেয়েদের ন্যায় সাজসজ্জা করবে না ।

৫৭। কথা বলার সময় হাত নাড়াচাড়া করবে না ।

৫৮। আপনজনদের শত্রুর সাথে উঠাবসা করবে না ।

৫৯। কারো মৃত্যুর পর তার সম্পর্কে খারাপ মন্তব্য করবে না ।

৬০। যথাসম্ভব ঝগড়া বিবাদ থেকে বিরত থাকবে ।

৬১। সৎলোকের প্রতি সুধারণা রাখবে ।

৬২। নিজের খানা অন্যের দস্তারখানায় নিয়ে যাবে না ।

৬৩। কোনো কাজেই তাড়াহুড়ো করবে না ।

৬৪। পার্থিব স্বার্থের মোহে নিজেকে দুঃখ কষ্টে ফেল না ।

৬৫। রাগান্বিত অবস্থায়ও ধীর শান্ত ভাবে কথা বলবে ।

৬৬।জামার আস্তিন দ্বারা নাক পরিস্কার করবে না ।

৬৭। সূর্য উদয়ের পূর্বেই শয্যা ত্যাগ করবে ।

৬৮। পথ চলার সময় বড়দের আগে চলবে না ।

৬৯। এদিক সেদিক উকি মেরে দেখবে না ।

৭০। অন্যের কথার মধ্যে বাধা দিয়ে কথা বলবে না।

৭১। মেহমানের সামনে কারো প্রতি রাগান্বিত হইও না ।

৭২। সন্দেহ প্রবণতা ত্যাগ করতে না পারলে দুনিয়ায় তুমি কোনো বন্ধু খুঁজে পাবে না।

৭৩। বেটা ! তুমি এত মিষ্ট হইও না যে, মানুষ তোমাকে গিলিয়া ফেলে। আরএত তিক্ত হইও না যে মানুষ তোমাকে থুথুর মতো ফেলিয়া দেয়।

৭৪। বেটা ! নিজের খানা আল্লাহ্ভীরু লোকদের ব্যতীত কাহাকেও খাওয়াইও না। আর নিজের কাজে আলেমগনের নিকট হইতে পরার্মশ লইতে থাকিও।

৭৫। বেটা ! মূর্খের সহিত বন্ধুত্ব করিও না। এমন না হয় তাহার মূর্খতা সুলভ কথাবার্তা তোমার ভালো লাগিত আরম্ভ করে। আর জ্ঞানী লোকের সহিত শত্রুতা করিও না। এমন না হয় যে, সে তোমার দিক হইতে মুখ ফিরাইয়া রাখে।

৭৬। বেটা ! তুমি যেদিন হইতে দুনিয়াতে আসিয়াছ, প্রতিদিন আখেরাতের নিকটবর্তী হইতেছ।

 

ব্যক্তিত্ব গঠনের ক্ষেত্রে “সূরা হুজুরাত” থেকে কয়েকটি উপদেশ—

১. উপহাস করো না। [আয়াত-১১]

২. দোষারোপ করো না।[আয়াত-১১]

৩. মন্দ নামে ডেকো না। [আয়াত-১১]

৪. পশ্চাতে নিন্দা করো না। [আয়াত-১২]

৫. সন্দেহ করা থেকে বিরত থাকো। [আয়াত-১৫]

৬. ধারণা করা থেকে বিরত থাকো। [আয়াত-১২]

৭. গোপনীয় বিষয়ের সন্ধান করো না।[আয়াত-১২]

৮. ফাসিকের কথা যাচাই ব্যতিরেকে বিশ্বাস করো না।[আয়াত-৬]

৯. বিবাদমান দুটি পক্ষের ঝামেলা ন্যায়পন্থায় মীমাংসা করবে।[আয়াত-৯]

১০.সর্বাবস্থায় ইনসাফ করবে।[আয়াত-৮]