You are currently viewing transgender meaning ট্রান্সজেন্ডার সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
transgender meaning in bengali

transgender meaning ট্রান্সজেন্ডার সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

রাজধানীর মিরপুর এলাকায় হিজড়াদের গুরুমাতা হিসেবে দায়িত্বপালন করছেন রাখি শেখ। যিনি স্বপ্নধারা ফাউন্ডেশন নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনেরও সাধারণ সম্পাদক। TG ইস্যুতে মানবজমিনকে তিনি বলেন,

‘আমরা কোনো ভাবেই এদের মানি না ও পছন্দ করি না। এদের জন্য হিজড়া সম্প্রদায়ের সম্মান নষ্ট হচ্ছে। ওরা সমকামিতা ও বাজে আচরণের জন্য স্বীকৃতি চাচ্ছে। আমরা এটার জন্য প্রতিবাদ করতে চাই। আমরা মনে করি বর্তমানে সাধারণ মানুষ যে আন্দোলন করছে তা অত্যন্ত যুক্তিসঙ্গত। আমরা সাধারণ মানুষের পক্ষে। তিনি বলেন, স্বীকৃতি দিয়েছে হিজড়া সম্প্রদায়কে। TG গোষ্ঠীকে বাজে কাজ করার জন্য স্বীকৃতি দেয়া হয়নি।’ হিজড়া সম্প্রদায়ের একটা চমৎকার মুভ!

transgender
transgender

transgender সমকামিতা। অমাদের করণীয় কি?

হিজরা: যিনি জন্মগত ত্রুটিপূর্ণ। সে পূর্ণাঙ্গ পুরুষ নয় আবার পূর্ণাঙ্গ নারীও নয়। এটা আল্লাহর সৃষ্টি। যাদেরকে আমাদের সমাজে ছোট বড় সকলেই চিনে থাকেন। কেউ চাইলেই সে হিজরা রুপান্তর হতে পারেন না। তার জেন্ডার পরিবর্তনের কোন প্রশ্নই আসে না কারন সে তৃতীয় লিঙ্গ তথা থার্ডজেন্ডার। যারা প্রকৃত হিজরা তারা কেউ নিজ ইচ্ছায় হিজরা হয়নি। তারা যুগের পর যুগ আমাদের সমাজে আছেন। তারা বিয়ে করতে পারেন না। কারন তারা পূর্ণ মানুষ না।


transgender meaning in bengali

ট্রান্সজেন্ডার: যিনি জন্মগত ভাবে একজন ত্রুটিহীন পরিপূর্ণ নারী অথবা পুরুষ। তার শারীরিক কোন ত্রুটি নেই। একজন পরিপূর্ণ সুস্থ মানুষের সকল গুন তার মাঝে আছে। তাহলে ট্রান্সজেন্ডার কি? যারা নিজেদের ট্রান্সজেন্ডার দাবি করে তারা কারা? তারা হলো বিকৃতমস্তিষ্কের ভন্ড আল্লাহদ্রোহী। তারা শারীরিক ভাবে নারী হয়েও বলে যে আজ থেকে আমি মনে মনে পুরুষ এবং সে পুরুষের বেশ ধরন করে। আবার যে ছেলে সে বলে আজ থেক আমি নারী বা মেয়ে এবং মেয়েদের বেশ ধারণ করে। এভাবে তরা নিজেদের ট্রান্সজেন্ডার দাবি করে। এদের অনেকে আবার মেডিকেল সার্জারী করে জেন্ডার বিকৃতি করে। যা আল্লাহদ্রোহী কাজ। তাকে আল্লাহ পুরুষ বানিয়েছে কিন্তু সে নিজেকে মনে মনে মেয়ে দাবি করছে। তাদের এই বিকৃত মানসিকতার পরিনতি রুপ হচ্ছে সমকামিতা। সারা বিশ্বেই এই ট্রান্সজেন্ডার ও সমকামিতা নিয়ে কথা হচ্ছে। ইসলাম বিদ্বেষী আল্লােদ্রাহী মানুষগুলো এটাকে প্রোমট করছে। এমনকি আমাদের দেশেও সমকামিতা প্রোমোট করা হচ্ছে। আর এখন আমাদের পাঠ্যপুস্তকে সরকার সুকৌশলে প্রোমট করছে। এটা না হলে শরিফা গল্পের কোন প্রয়োজন হতো না। এ গল্পে হিজরাকে সাইনবোর্ড হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। এটা তো স্পষ্ট হিজরা কখনো মনে মনে হবার বিষয় নয় এটা শারিরিক বিষয়।

 

এখন অনেকের প্রশ্ন তাহলে সমকামিতার প্রসঙ্গ আসলো কেন?

যারা transgender তাদের পরিনতি রুপ হলো সমকামিতা। একটা ছেলে সে নিজেকে মেয়ে দাবি করলো তাহলে এই transgender মেয়েটি একটি ছেলেক বিয়ে করলো। আবার একটা transgenderছেলে একটা মেয়েকে বিয়ে করলো। তাহলে কি হলো প্রকৃত পক্ষে ছেলের সাথে ছেলের বিয়ে আবার মেয়ের সাথে মেয়ের বিয়ে। এটাই তো ট্রান্সজেন্ডার সমকামিতা বিশ্বব্যাপি চাচ্ছে। এটা তো শুধু বাংলাদেশের ইসু না। তাহলে এই বিষয়টি পাঠ্যপুস্তকে সরকার কেন এনেছে? কয়েকমাস আগে একটি নাটকে দেখলাম সেইম বিষয় ভার্সিটি, টেলিভিশনে কেন? এখানে তো হিজরা বা থার্ডজেন্ডারের কোন প্রসঙ্গই ছিলো না।

আজ ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ও এর প্রোমট করছে। এদেরকে সামাজিক ভাবে এদের জবাব না দিলে সমাজে রাষ্ট্রে এরা চড়ম বিশৃঙ্খলা সৃষ্ট করবে। এই কাজ শুধু দেশের আলেম সমাজের নয়, সুস্থ বিবেকবান সকল মানুষের কর্তব্য। যে যার অবস্থান থেকে সামান্য হলেও প্রতিবাদে অংশ নিন।

ব্র্যাক ব্যাংকে একাউন্ট খুলতে গেলে যে ফরমটি পূরণ করতে দেয়া হয় সেখানেও transgenderএর অপশনটা চালু করেছে ব্যাংক অথরিটি। সার্বিক পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে transgender কে ব্র‍্যাক খুব ভালো করেই প্রচার এবং প্রসারের দায়িত্ব নিয়ে মাঠে নেমেছে।

হিজড়া এবং transgenderদুটো আলাদা বিষয়। বিষয়টা বোঝার জন্য মহাজ্ঞানী হওয়ার প্রয়োজন নেই।


bud light transgender
bud light transgender

সমকামিতা আইন, প্রচার, সমর্থন প্রতিহত করার আন্দোলন

শুধু এই একটা গল্প বাদ দিলেই কি হয়ে যাবে? তাহলে ট্রান্সজেন্ডার নিয়ে বাকি আলোচনা গুলি কি থাকবে? আর আমাদের আন্দোলন শুধু গল্প বাদের আন্দোলন নয় আমাদের আন্দোলন সমাজ থেকে ট্রান্সজেন্ডার বাদের আন্দোলন। ট্রান্সজেন্ডার বাস্তবায়নের পক্ষে কোন আইন বাংলাদেশে যেন প্রতিষ্ঠিত না হয়। এই নিয়ে আন্দোলন। এই আন্দোলন আরো বেগবান করতে হবে।

Mahbub Kabir Milon

ক্লাস সেভেনের পাঠ্য পুস্তকে লিখা শরীফা গল্পের লেখকের কাছে আমার প্রশ্ন:

শরীফা কি transgender , নাকি থার্ড জেন্ডার, নাকি হিজড়া?

২০২২ সালে প্রকাশিত গত বছর ক্লাস সেভেনে পাঠ্য পুস্তকে আপনি লিখেছেন বা পরিচয় দিয়েছেন, শরীফা একজন ট্রান্সজেন্ডার।

এই বছর লিখেছেন শরীফা একজন থার্ড জেন্ডার।

তাহলে গত বছর transgender লেখা কি ভুল ছিল?

যদি ভুল হয়ে থাকে তবে, গত বছর শরীফার পরিচয় ট্রান্সজেন্ডার নিয়ে যে বাচ্চারা সিলেবাস শেষ করে এই বছর ক্লাস এইটে উঠেছে, তাদের ভুল ভেঙ্গে দেবেন কিভাবে!!!

তারমানে transgender আর থার্ড জেন্ডার আলাদা?

আসেন এই বছরের গল্পে।

আপনি শরীফার পরিচয় দিয়েছেন থার্ড জেন্ডার হিসেবে। আমরা জানি থার্ড জেন্ডার আর হিজড়া একই। একটা ইংরেজিতে অন্যটা বাংলায়।

তাহলে শরীফাকে হিজড়া বলেননি কেন? বা পরের লাইনে “হিজড়া সম্প্রদায়”-কে থার্ড জেন্ডার বলেননি কেন?

আপনি পরপর দুই বছরের পাঠ্য পুস্তকে শরীফাকে “হিজড়া” শব্দের বাইরে রেখে অন্য দুই শব্দ প্রয়োগ করেছেন কেন?

নাকি আপনার শ্রেফ ক্লারিক্যাল মিস্টেক তা?

আশা করি ইনবক্সে উত্তর দেবেন, যদি এই লিখা আপনার কাছে পৌঁছায়।

অন্যদের উত্তর দেবার প্রয়োজন নেই।


Mahfuzur Rahman Akhanda

হি.জ.ড়া এবং transgender অবশ্যই আলাদা। এটা বুঝার মতো জ্ঞান পুস্তক প্রণেতার নেই তা আমি বিশ্বাস করতে চাই না। এটা অবশ্যই পরিকল্পিত।

যদি তা না হয়, তাহলে এমন মূর্খপন্ডিতকে দিয়ে পাঠ্যপুস্তক লেখানো হচ্ছে কেনো?

পাঠ্যপুস্তক অবশ্যই সাধারণ কোন বিষয় নয়। এই পাঠ্যপুস্তক সংশোধন করতে হবে এবং হি.জ.ড়ার আড়ালে ট্রা.ন্স.জে.ন্ডার আইন কোনোভাবেই পাশ করা যাবে না।

আরও পড়ুন–knorr spinach dip & spinach artichoke dip recipe

দেশে transgender সামাজিকীকরণে হবে ভয়াবহ বিপর্যয় :

transgender নিয়ে অনেকের কাছে মনে হতে পারে, এতে সমস্যা কী, সবাই তো আর এক রকম হয় না। ওদের সংখ্যাই বা আর কত। তারা তো আমাদের কোনো সমস্যা করছে না। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। পশ্চিমা দেশগুলোতে এই মতাদর্শ পলিসি বাস্তবায়নের ফলে বিভিন্ন সামাজিক, স্বাস্থ্য এবং আইনগত সমস্যা গত কয়েক বছরে অনুধাবন করা যাচ্ছে। এটি হাজার হাজার বছরের প্রতিষ্ঠিত লিঙ্গভিত্তিক সিস্টেমকে ওলোট-পালট করে দিচ্ছে, তৈরি হচ্ছে নানা বিতর্ক। এক যুগ কম সময়ের মধ্যেই শিশু-কিশোরদের মাঝে ট্রান্সজেন্ডার আইডেন্টিটি নেওয়ার হার ব্যাপকভাবে বেড়ে যাচ্ছে। আমেরিকায় ২০১০ তুলনায় জেন্ডার ডিস্ফোরিয়া (যারা নিজেদের ভুল দেহে আটকা পড়েছে বলে মনে করে) ইস্যুতে (এটা মানসিক সমস্যা মনে করা হয় না) ক্লিনিকে চিকিৎসা নিতে আসা শিশু-কিশোরদের সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৫০০০%, ইংল্যান্ডের ছেলেদের মধ্যে বেড়েছে ১৪৬০%, আর মেয়েদের ক্ষেত্রে তা হয়েছে ৫৩৩৭%। সুইডেনে বেড়েছে ১৪০০% এবং ডেনমার্কে বেড়েছে ৬৭,০০০%। ২০২২ সালের সমীক্ষা অনুসারে আমেরিকার তরুণ প্রজন্মের (যাদের জন্ম ১৯৯৭-২০০২ সালে, এদের Z Generation বলা হয়) প্রায় ২১% এলজিবিটি আইডেন্টিটি গ্রহণ করেছে। অন্যদিকে যাদের জন্ম ১৯৬৫ সালের আগের হয়েছিল তাদের মধ্যে এটা ছিল মাত্র ২%। আমেরিকার এবং ব্রিটেনের তরুণ প্রজন্মের প্রায় ৪০% নিজেদের জন্মগত লিঙ্গ পরিচয় নিয়ে সন্দিহান বা বিশ্বাসী নন, অর্থাৎ নন-বাইনারি (এখনো জেন্ডার পরিচয়ে ব্যাপারে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছে)। অন্যভাবে বলা যায় তারা এলজিবিটি এই মতাদর্শে বিশ্বাসী।

bud light transgender
bud light transgender

Asif Mahtab Utsha স্যারকে ট্রান্সজেন্ডার ইস্যুকে কেন্দ্র করে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি থেকে বের করার পর অাজকে ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি (IUB) এর টিচার Dr. Mohammad Sorowar Hossain স্যারকে বের করে দেওয়া হয়েছে।

আজকে ( 24/01/2024) সকালে ক্লাসে ঠিক ৮ টার দিকে স্যার এর বদলে Dr. Hafizur Rahman স্যার এসে হাজির হয়। Sorowar Hossain স্যার ক্লাসে একটু পরে ঢুকলে তিনি Hafizur Rahman স্যারকে দেখে হতভম্ব হয়ে পড়েন। পরে Hafizur Rahman স্যার এর সাথে কথা বলে Sorowar Hossain স্যার ক্লাস নেওয়া শুরু করেন।

স্যার অামাদেরকে কিছুই বলতে চান না। তিনি নরমাল একটা ভাব করে ক্লাস নেওয়া শুরু করেন বাট ঠিকমত তিনি কথা বলতে পারছিলেন না। স্যারের যে প্রচুর খারাপ লাগছিলো অামরা সবাই সেটা বুঝতে পারছিলাম। স্যারকে অামরা প্রচুর রিকোয়েস্ট করি, স্যার কি হয়েছে?


স্যার তাও কিছু বলেন না তারপর একটা সময় খুব আবেগপ্রবণ হয়ে এতটুকু বলেন যে,” অামি কখনো কারোর খারাপ চাই নাই। ২০১৭ সাল থেকে অামি অাইউবিতে অাছি। অামি জানি না পরবর্তী ডিসিশন অামার প্রতি কি অাসে। অামি দাড়ি রেখেছি দেখে নর্থ সাউথ অামাকে জঙ্গি সন্দেহে উগ্র মৌলবাদের অপবাদ দেওয়া হয় যার কারণে অামি নর্থসাউথ থেকে বের হয়ে যাই। বিশ্বাস করো তোমরা অামি এরকম কিছুই করি নাই। দাড়ি রেখেছি দেখে অামি উগ্র মৌলবাদ সম্প্রদায় এর মানুষ হয়ে গেলাম ! সিঙ্গাপুরের নাগরিকত্ব ছেড়ে এসেছি দেশকে ভালোবাসি দেখে বাট এই দেশে অাসার পরের মুহূর্তগুলো অনেক বেশি কষ্ট দিসে অামাকে যাইহোক তোমরা সবাই ভালো থেকো এবং অামার জন্য দোয়া কইরো ” – এই বলে অাবার ক্লাস নেওয়া শুরু করেন।

অামাদের এত বেশি খারাপ লাগসে যে অামরা অনেকে বিষয়টা নিতেই পারি নাই। স্যারের কোর্স পাওয়ার জন্য প্রত্যেক সেমিস্টারে স্টুডেন্টদের অন্যরকম একটা ক্রেজই কাজ করে। এত পজিটিভ এবং এত ভালো মনের মানুষ, সব সময় হাসি খুশি থাকেন অাজকে স্যারকে এভাবে দেখার পর যেই ভয়টা পেয়েছিলাম সেটাই হয়েছে। সন্ধ্যার দিকে গুগল ক্লাসরুম চেক করে দেখি স্যার এর বদলে অারেকজন টিচারকে দেওয়া হয়েছে।

সত্যি বলতে অাইউবি – এর কাছ থেকে এরকমটা একদমই এক্সপেক্ট করি নাই। এই দেশের এরকম নুংরা সিস্টেমের কারনেই এই দেশে থাকতে মন চায় না।

আরও পড়তে পারেন–Cancel the farce election immediately : Bangladesh election

bud light transgender

শরীফ শরীফার গল্পটিতে হিজড়ার প্রসঙ্গ এলেও বাস্তবে এটি ট্রান্সজেন্ডার আইডিওলজিকে নরমালাইজ করার জন্যেই উদ্দেশ্যমূলকভাবে লেখা হয়েছে।

ভালো করে খেয়াল করুন, হিজড়াদের থাকে জন্মগত শারীরিক ত্রুটি, জননাঙ্গ সুগঠিত থাকে না, অনেক সময় মিক্সড থাকে। প্রকৃত হিজড়ার বাবা মাও তা জানে, সেও তা জানে। কিন্তু ট্রান্সজেন্ডারদের যে সমস্যা তা শরীরে নয়, মনে। শরীর পুরোটাই ঠিক। তারা শারীরিকভাবে সম্পূর্ণ সুস্থ পুরুষ কিংবা সুস্থ নারী। কিন্তু মনের দিক দিয়ে তাদের সমস্যা। নিজের প্রকৃত লিঙ্গকে মেনে নিতে সমস্যা। ফলে তারা নারী হয়ে পুরুষের বেশ ধরতে চায়, আর পুরুষ হলে নারী। নিজের লিঙ্গ নিয়ে তারা খুশি নয়।

শরীফ শরীফার গল্পটিতে শরীফের সমস্যাটা হিজড়ার নয়, সেটি তার কথাতেই পরিস্কার। সে বলছে, ” ছোটবেলায় সবাই আমাকে ছেলে বলতো। কিন্তু আমি নিজে একসময় বুঝলাম, আমার শরীরটা ছেলেদের মতো হলেও মনে মনে আমি একজন মেয়ে। আমি মেয়েদের মতো পোষাক পরতে ভালোবাসতাম। ”


একইভাবে লেখাটির শেষে এ ধরণের মানুষদের মধ্য থেকে সফল মানুষের উদাহরণ দিতে গিয়ে হিজড়া এবং ট্রান্সজেন্ডার উভয় ধরণের মানুষের উদাহরণ দেয়া হয়েছে। ঋতু চেয়ারম্যান হিজড়া হলেও বাকী দু’জন শাম্মী রানী চৌধুরী ও বিপুল বর্মন ট্রান্সজেন্ডার, উভয়েই সার্জারী করে লিঙ্গ পরিবর্তন করেছেন।

এখানে দেখার বিষয় হচ্ছে ভাষার কৌশলি প্রয়োগ, দুটি ভিন্ন বিষয়কে কৌশলে একই দেখানো, ইচ্ছেমতো পরিভাষার কাটছাঁট। কখন কোন পরিভাষা ব্যবহার করা হচ্ছে তা বুঝা গুরুত্বপূর্ণ। পরিভাষার পরিবর্তন বুঝতে পারাটাও গুরুত্বপূর্ণ। যেকোনো মতবাদকে প্রতিষ্ঠিত করতে গেলে অনেক পরিভাষা, সংজ্ঞার পরিবর্তন করতে হয়। এই ট্রান্সজেন্ডার ইস্যুতেও আমরা দেখবো কিভাবে বিভিন্ন সংজ্ঞা এবং পরিভাষাকে পাল্টে দেয়া হচ্ছে।

transgender কে প্রোমট করায় Brac Bank সহ তাদের সকল পন্য বয়কটের ডাক দিযে প্রতিবাদ জানাচ্ছে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ।

bud light transgender
bud light transgender

transgender man

জেনেটিক বা হরমোনগত সমস্যার কারণে সৃষ্ট সমস্যা হলো হিজড়া। তা বাহ্যিক গঠনগত কিছু ত্রুটি, যা বর্তমানে কারেকশন করা সম্ভব এবং এই কারেকশনটা শরঈ ও সামাজিক সর্বদিক বিবেচনায় যৌক্তিক, আর তা সম্পন্ন করার পর তার নারী বা পুরুষ যে কোন একটা সহজেই প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায়। এই হিজড়া যাদেরকে ইন্টারসেক্সও( intersex) বলা হয়, যাদের অপর নাম হার্মাপ্রোডাইট, তাও একদম ট্রু-হার্মাপ্রোডাইট বিরলের চেয়েও বিরল। ট্রু-হার্মাপ্রোডাইট বলতে বুঝায়, যার শরীরে একইসাথে টেস্টিসও আছে, আবার ওভারীও। অন্যভাষায় বলতে গেলে উভয়লিঙ্গ, এটি মানুষের ক্ষেত্রে বিরল। দুয়েকটা কেইসের কথা বলা হলেও তা সন্দেহপূর্ণ। বস্তুত মানুষের মাঝে যারা হিজড়া, তারা ফল্স হার্মাপ্রোডাইট। এর অর্থ হলো তাদের হয়তো শুক্রাশয় বা ডিম্বাশয় যে কোন একটা আছে, কিন্তু বাহ্যিক জননাঙ্গ অসম্পূর্ণ, সুগঠিত নয় বা মিক্সড। তাদের চিকিৎসা খুবই ক্লিয়ার, গোনাডাল সেক্স নির্ণয় করে, তাদের বাহ্যিক জননাঙ্গ ঠিক করে দেয়া। একে জেন্ডার চেইঞ্জ বলা হয় না, বরং জেন্ডার কারেকশন বলা হয়। তার আসল গোনাডাল সেক্স অনুযায়ী তার বাহ্যিক জননাঙ্গকে ঠিক করে দেয়া। আর গোনাডাল সেক্স নির্ণয় সহজ, অনেকগুলো টেস্ট এর জন্য রয়েছে। পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে একদম শতভাগ নিশ্চিত হয়ে তার চিকিৎসা সম্পন্ন করা হয়। আর এই হিজড়া সমস্যা একটা কমন সমস্যা যা দশ হাজার শিশু জন্মগ্রহণ করলে একজনের মাঝে তা দেখা যায়। তবে ট্রান্সজেন্ডাররা কিন্তু হিজড়া নয়, ভুলে কেউ তাদের হিজড়া বলে ডাকলেও। যারা প্রকৃত হিজড়া তাদের তো আসলেই শারীরিক সমস্যা আছে, তা সার্জিক্যালি কারেকশন করে দিয়ে চিকিৎসা করানো, এরপর তাদের প্রকৃত গোনাডাল সেক্স অনুযায়ী সমাজে তাদেরকে গ্রহণ করে নিতে না সামাজিকভাবে কোন বাধা আছে, না শরঈ? কিন্তু যাদের আদৌ কোন শারীরিক সমস্যা নেই, মনে মনে সমস্যা, তাদের মানসিক চিকিৎসা হোক, সাইকোথেরাপি দেয়া হোক, আর সেটিই তো যৌক্তিক। তা না করে কেবল তারা যেমন মনে করে তেমনটাই মেনে নাও, তাদের সুস্থ,সক্ষম শরীরটা কেটেকুটে অক্ষম ও বিকৃত করে দাও, ক্রস হরমোন দিয়ে অকালে আঁতুড় ও মৃত্যুর দিকে ঠেলে দাও, এই অযৌক্তিক কাজ কোন পাগলে সমর্থন করবে?


সেক্স ও জেন্ডার দুইটি শব্দ, একটি Sex আরেকটি Gender। এই শব্দগুলোর মারপ্যাঁচ বুঝতে হবে। একটা কথা মনে রাখা প্রয়োজন, যাদের কাছে বেশি দলিল থাকে না তাদের কাছে শব্দের মারপ্যাঁচ থাকে বেশি। তারা শব্দের মারপ্যাঁচ দিয়ে অনেক কিছু আদায় করে নেয় এবং জনসাধারণকে তারা এভাবে বিভ্রান্ত করে। আমরা Sex এবং Gender এই দুই শব্দের মধ্যে কোনো পার্থক্য জানি না। যেহেতু আমরা একটি ইসলামী চিন্তাধারা বা প্রাচীন কাল থেকে চলে আসা চিন্তাধারার উপর প্রতিষ্ঠিত আছি। আমাদের কাছে Biological Sex এবং Gender এর মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। প্রথমেই এই বিষয়টা পরিষ্কার যে, এই শব্দদ্বয়ের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। এবং বিংশ শতাব্দীর আগে পৃথিবীর ইতিহাসে এই শব্দদ্বয়ের মধ্যে কোনো পার্থক্য ছিল না।বরং Gender শব্দটি আগে কেউ ব্যবহার ই করতো না।

আজকাল যে হঠাৎ করে নারী পুরুষের সংজ্ঞা পাল্টে ফেলতে হচ্ছে, এতদিন ধরে যে সেক্স ও জেন্ডার শব্দদুটি synonym হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে, হঠাৎ করে দুটিকে আলাদা করতে হচ্ছে, ফলে ডিকশোনারীগুলো বিভিন্ন শব্দের সংজ্ঞা পাল্টে ফেলছে, রাতারাতি ঝড়ের মতো সবকিছু উল্টে দেয়ার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা চলছে তা কাদের নিয়ে?

প্রকৃত what is a transgender যারা তাদের সমস্যা জেন্ডার ডিসফোরিয়া, যাকে আগে বলা হতো জেন্ডার আইডেন্টিটি ডিজঅর্ডার।

২০১২ সালের আগে সাইকিয়াট্রিক অসুখগুলোর একটিকে বলা হলো Gender Identity Disorder। ২০১৩ সালে আমেরিকান সাইকিয়াট্রিক এসোসিয়েশন এর ডায়াগনস্টিক এন্ড স্ট্যাটিস্টিক্যাল ম্যানুয়াল অব মেন্টাল ডিজঅর্ডারস (DSM 5) এ মানসিক রোগটির নাম পাল্টে গেলো। নতুন নাম হলো জেন্ডার ডিসফোরিয়া(Gender Dysphoria)। শব্দ দুটি খেয়াল করলেই এ পরিবর্তনের কারণ আঁচ করা যাবে। ডিজঅর্ডার শব্দটি দ্বারা বুঝা যায় এটি একটি প্যাথোলজি, সমস্যা রোগীর মাঝে। আর ডিসফোরিয়া মানে অতৃপ্তি, অস্বস্তি। আর তা কেন? তা হচ্ছে তার যে জেন্ডার তা সমাজ, পরিবার, চারপাশের মানুষ মেনে নিচ্ছে না, ফলে তার অস্বস্তিবোধ হচ্ছে, কষ্ট হচ্ছে, সে তার জেন্ডার নিয়ে পেরেশান। আরও স্পষ্ট কথায় এ লোকগুলো রোগী নয়, তাদের মাঝে কোন প্যাথোলজি নেই, তারা একটা মাইনোরিটি, তারা মানবজাতির একটা স্বাভাবিক ভ্যারাইটি, কিন্তু সমস্যা তার চারপাশে সবাই তাকে মেনে নিচ্ছে না বলে সে অতৃপ্ত, সীমাহীন কষ্টে আছে। সোজাকথায় সে রোগী নয়। সমস্যার জন্য দায়ী চারপাশ, সমাজ। তাকে মেনে নিলেই হয়ে যায়। তার কি কোন অধিকার নেই? এভাবে পরিভাষা পরিবর্তন করে একটা বিষয়কে নরমালাইজ করার চেষ্টা।

বস্তুত এটি একটি মানসিক রোগ। এ ধরণের সমস্যা যাদের হয় অনেক সময় তাদের কোন মানসিক আঘাতের হিস্টরী থাকে। ছোটবেলায় কোন ধরণের নির্যাতন বা এবিউজের হিস্টরী থাকে। এর ভিত্তি একটি ভুল বিশ্বাস। যাকে ডিলিউসন বলা হয়। এ ধরণের কাছাকাছি মানসিক সমস্যা আরও আছে। যেমন এনোরেক্সিয়া নার্ভোসা( anorexia nervosa)। কোন মেয়ে হঠাৎ করে মনে করতে থাকে যে সে অনেক মোটা হয়ে গেছে। বাস্তবে সে মোটা নয়। খেলেই মোটা হয়ে যাবে এই ভয়ে সে খায় না, খেতে পারে না। শুকিয়ে সে কাঠ হয়ে যাচ্ছে, অথচ সে খায় না। সমস্যা জিহবায় নয়, পেটে নয়, ডাইজেস্টিভ সিস্টেমে নয়, সমস্যা তার মাথায়। এটি একটি মানসিক সমস্যা।

মানসিক রোগের চিকিৎসা এবং এ সংক্রান্ত বিষয়াবলী নিয়ে যারা কাজ করেন, গাইডলাইন তৈরি করেন, তাদের গাইডলাইন তা অনুযায়ী ২০১২ সালের আগ পর্যন্ত এই সমস্যাকে বলা হতো Gender Identity Disorder।

সেটা কি জিনিস? তা হলো একজন মানুষের গোনাডাল স্যাক্স পুরুষ। অর্থাৎ তার জননাঙ্গ পুরুষের এবং বাহ্যিকভাবেও শরীরের প্রতিটি বৈশিষ্ট্যই পুরুষের। কিন্তু সে নিজের এই পুরুষ হওয়া নিয়ে সে সন্তুষ্ট নয়, তার এটা ভালো লাগে না। এ নিয়ে তার মানসিক অস্থিরতা। আবার ধরা যাক, একজন মহিলা সবদিক দিয়েই সে মহিলার বৈশিষ্ট্য ধারণ করে কিন্তু নিজেকে মহিলা হিসেবে পরিচয় দিতে পছন্দ করে না। সে নিজেকে মনে করে পুরুষ।।একটা ভুল শরীরে সে আটকা পড়েছে।

বস্তুত এটি একটি মানসিক সমস্যা। কিন্তু ২০১৩ থেকে তার নাম পাল্টে রাখা হয় জেন্ডার ডিসফোরিয়া।

হঠাৎ করে নামের এই পরিবর্তন কেন? কারণ ইতিমধ্যেই নতুন এক থিওরি এসে গেছে, যা হচ্ছে জেন্ডার থিওরি। তা হলো একজন মানুষের পেনিস থাকলেই সে পুরুষ কিংবা একজন মহিলার যোনিদ্বার থাকলেই সে মহিলা এমনটি আর সত্য নয়, বরং একজন পুরুষ তার পেনিস নিয়েই মহিলা হতে পারে, আর মহিলা তার যোনিদ্বার নিয়েই পুরুষ। কারণ এটি তার জেন্ডার আইডেন্টিটির বিষয়। সে নিজেকে যা মনে করে সেটিই তার জেন্ডার আইডেন্টিটি। তো তার এই অস্বস্তি,এই অতৃপ্তি দূর করার জন্য কি করতে হবে? সে যেহেতু নিজেকে নারী মনে করে তাকে নারী হয়েই চলতে দিতে হবে, কিংবা পুরুষ মনে করলে পুরুষ হিসেবেই চলতে দিতে হবে। এটি তার অধিকার, রাইট। কারণ মানুষ জন্মগতভাবে নারী বা পুরুষ হয় না, সমাজ তাকে নারী বা পুরুষ বানায়।

মোটকথা জেন্ডার আইডিওলজির নামে এ-কথা চালানো হচ্ছে একজন মানুষের লিঙ্গ(জেন্ডার) তাই, যা সে অনুভব করে থাকে। সে যদি নিজেকে নারী মনে করে তাহলে সে নারী, আর যদি সে নিজেকে পুরুষ মনে করে তাহলে সে পুরুষ। এক্ষেত্রে তার যৌনাঙ্গ কি তা বিবেচ্য নয়। বরং এমন পরিস্থিতিতে এ-কথাই মনে করতে হবে একজন নারী বা পুরুষ ভুল শরীরে আটকা পড়েছে, কিংবা একটা নারী মস্তিষ্ক আটকা পড়েছে একটা পুরুষের শরীরে। মোটকথা সে নিজেকে যা মনে করছে সে তাই। এক্ষেত্রে তার বায়োলজিক্যাল সেক্স বিবেচ্য নয়। বরং বায়োলজিক্যাল সেক্স তো জন্মের সময় বরাদ্দকৃত লিঙ্গ(sex assigned at birth) । এই যে জন্মের সময় চাপিয়ে দেয়া বা জন্মের সময় বরাদ্দকৃত লিঙ্গ বলে এমন এক মিথ্যাকে প্রতিষ্ঠিত করা হচ্ছে যা সম্পূর্ণ বিজ্ঞান ও বাস্তবতা বিরোধী।


বিজ্ঞানের কল্যাণে আমরা জানি, কোন ব্যক্তি পুরুষ হবে না নারী হবে তা নির্ধারণ করে তার ক্রোমোজোমাল বিন্যাস। তার তেইশ জোড়া ক্রোমোজোমের সেক্স ক্রোমোজোমের বিন্যাস যদি হয় ‘XY’ তবে সে হবে ছেলে, আর তার সেক্স ক্রোমোজোমের বিন্যাস যদি হয় ‘XX’ তবে সে হবে মেয়ে। তার শরীরের প্রতিটি কোষ ঠিক এই ক্রোমোজোম বিন্যাসই বহন করে। এমনকি তার ব্রেইন কোষও। তার প্রতিটি কোষের ক্রোমোজোম বিন্যাস, তার শরীরের হরমোনাল সিক্রেশন, তার বহিঃ ও আভ্যান্তরিন জননাঙ্গ একযোগে বলছে সে পুরুষ কিংবা সে নারী, অথচ তার মনের উপলদ্ধি বলছে সে এর বিপরীত, আর তার এই উপলদ্ধিই তার জেন্ডার আইডেন্টিটি, এটিই তার আসল জেন্ডার। সবাইকে এটিই মানতে হবে। এমনকি তার থাকবে হরমোনাল থেরাপি বা সার্জিক্যাল অপারেশনের মাধ্যমে তার উপলদ্ধি অনুযায়ী নারী বা পুরুষে পরিণত হওয়ার অধিকার। আর বাধ্যগত অন্য সবাইকে ঠিক তাই মনে করতে হবে এবং তার ধারণা অনুযায়ী সর্বত্র তাকে দিতে হবে তার জেন্ডার অনুযায়ী বিচরণের অধিকার। দেখুন তো কেমন অযৌক্তিক দাবী?

শরীফ শরীফার গল্পের পর ছেলেদের জিনিস মেয়েদের জিনিস বলে যা শেখানোর চেষ্টা হচ্ছে তা হলো তাদের তথাকথিত জেন্ডার আইডিওলজি গেলানোর টেকনিক। অবশেষে শেষে লিঙ্গ বৈচিত্র্য ও জেন্ডারের ধারণা লিখে তা খাইয়েই দিলো।

মগজ এভাবেই ধোলাই করা হয়। কাজেই কনফিউজড না হই। জানি, বুঝি, সচেতন হই।

( যাদের এ পোস্টের বক্তব্য মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে, তারা কষ্ট করে এই বইয়ের টিচার’স গাইড দেখে নেন। ওখানে আরও স্পষ্টভাবে হিজড়া এবং ট্রান্সজেন্ডারের কথা উল্লেখ আছে। সংযুক্ত টিচার’স গাইডের ছবি দেখুন)

bud light transgender
bud light transgender

what is a transgender

জেন্ডার আইডেন্টিটি, ট্রান্সজেন্ডার ও হিজড়া শব্দ নিয়ে বিভ্রান্তি :

এই শব্দগুলো সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা না থাকার কারণে বিভ্রান্তি তৈরি হয়। যেমন বিবিসি উল্লেখ করে ‘As transgender activists acknowledge, it is a complex area, which can be difficult for those less than fully versed in a vast range of terms to negotiate.’ সেক্স এবং জেন্ডার শব্দ দুটি সম্পূর্ণ ভিন্ন অর্থ প্রকাশ করলেও এই ফিল্ডের বিশেষজ্ঞ ছাড়া প্রায় সবাই গুলিয়ে ফেলেন। সমাজ বিজ্ঞানে দুটি জেন্ডার আইডেন্টিটি (নারী ও পুরুষ) হিসেবে অত্যন্ত সুপরিচিত হলেও বর্তমান সময়ে এটি সম্পূর্ণ ভিন্ন অর্থ প্রকাশ করে। জেন্ডার শব্দটি ব্যক্তির অস্তিত্ব বা পরিচয়ের প্রশ্ন। বর্তমানে ১০০টির বেশি জেন্ডার আইন্ডেনিটি রয়েছে এবং এর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।

চিকিৎসাবিজ্ঞান এবং স্বাস্থ্য গবেষণায় এই শব্দ দুটোর পরিপূর্ণ অর্থ অস্পষ্ট থাকলে তা প্রয়োগের ক্ষেত্রে বাধা তৈরি করতে পারে। এজন্য আমেরিকার National Institute of Health (NIH) এই শব্দ দুটোর পার্থক্য বুঝাতে বিশেষ উদ্যোগ নেয় এবং ছবির মাধ্যমে তা তুলে ধরে। NIH-এর সজ্ঞা মতে সেক্স হচ্ছে জন্মগত বা বায়োলজিক্যাল বিষয় যেখানে ছেলে এবং মেয়ের দৈহিক গঠন, শারীরবৃত্তীয়, জেনেটিক এবং হরমোনগত পার্থক্য রয়েছে। অপরদিকে জেন্ডার হচ্ছে সামাজিক বা মনস্ত্বাতিক পরিচয় যার সাথে বায়োলজির উল্লেখযোগ্য সম্পর্ক নেই।

ট্রান্সজেন্ডার ও হিজড়া
ট্রান্সজেন্ডার ও হিজড়া

transgender people

হিজড়া ও ট্রান্সজেন্ডার শব্দের অস্পষ্টতায় দেশে ভয়াবহ বিপর্যয়ের ঝুঁকি

এলজিবিটি ( এটি হচ্ছে গুচ্ছ শব্দ যেখানে লেসবিয়ান, গে, বাইসেক্সুয়াল, ট্রান্সজেন্ডার অন্তর্ভুক্ত) আন্দোলন মূলধারায় এসেছিল ১৯৫৫ সালে যখন সেক্স শব্দটির প্রতিভাষা হিসেবে জেন্ডার নামক শব্দ প্রবর্তনের মাধ্যমে। এরপর থেকে সমকামিতা ইস্যুতে অনেক শব্দ যুক্ত হয়েছে এবং প্রতিনিয়ত শব্দগত বিবর্তনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। শুরুতে এটা পরিচিত ছিল গে এবং লেসবিয়ান ইস্যু। বর্তমানে জেন্ডার আইডেন্টিটি ফিল্ডে প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীল হওয়া প্রসঙ্গে Annual Review on Law and Social Science নামক জার্নালে David Frank and Nolan Phillips উল্লেখ করেন- ‘The expansion of sexuality in society is self-reinforcing. The legitimation of each new identity endangers others. Thus, the old gay center on campus morphs into the lesbian and gay center, and then the LGB center, then the LGBT center and then the LGBTQ center, and at some point the LGBTQI center, and now even the LGBTQQIAAP center (lesbian, gay, bisexual, transgendered, queer, questioning, intersex, asexual, allies and pansexual).’

জেন্ডার আইডেন্টিটি হচ্ছে একধরনের অন্তর্নিহিত বিশ্বাস বা অনুভূতি বা মানসিক অবস্থা (‘deeply internal sense of gender or a person’s innate understanding of their own gender)। এটি যদি জন্মগত লৈংগিক পরিচয়ের সাথে সামঞ্জস্য হয় তবে তাকে সিসজেন্ডার (aligned between sex and gender) বলা হয়। যদি এই মানসিক অনুভূতি জন্মগত লিঙ্গের (not aligned between sex and gender) সাথে অমিল হয় তবে তাকে ট্রান্সজেন্ডার বলা হয়। একসময় ট্রান্সজেন্ডার বলতে যারা হরমোন এবং সার্জারির আশ্রয় নিতো তাদেরকে শুধু এই শব্দ দ্বারা বুঝানো হতো। বর্তমানে ট্রান্সজেন্ডার হচ্ছে আম্রেলা বা গুচ্ছ শব্দ। এটি এলজিবিটি এবং নন-বাইনারি নামক শব্দের সাথে ওতোপ্রোতভাবে জড়িত। কার্যত এই শব্দগুলো সমকামিতা বা হোমোসেক্সুয়ালিটির সাথে জড়িত। যে প্রক্রিয়ায় কোনো ট্রান্সজেন্ডার ব্যক্তি (ট্রান্স ম্যান বা ট্রান্স উইমেন) বাহ্যিকভাবে নিজের আইডেন্টিটি প্রকাশ করতে পারে তাকে ট্রান্সজিশন বলা হয়। এলজিবিটি মুভমেন্টের সবচেয়ে শক্তিশালী প্লাটফর্ম, GLAAD (Gay & Lesbian Alliance Against Defamation) ডেফিনেশন অনুযায়ী, তিনভাবে ট্রান্সজিশন বা রূপান্তর হতে পারে-

সামাজিক রূপান্তর- নামের পরিবর্তন, নতুন সম্বোধন (pronouns, e.g they, hir), বেশভূষা পরিবর্তন, মেকাপ শুরু করা বা বাদ দেয়া (e.g nail polish), মেয়েদের অলংকার পরিধান শুরু করা বা বাদ দেয়- ইত্যাদির মাধ্যমে পরিবার, বন্ধু-বান্ধব, কলিগদের শুধু জানানোর মাধ্যমে ট্রান্সজেন্ডার হওয়া যায়।

আইনগত রূপান্তর- জন্ম সনদে সেক্স আইডেন্টিটি পরিবর্তন করে জেন্ডার আইডেন্টিটি গ্রহন, ন্যাশনাল আইডিকার্ড পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স, সোস্যাল সিকিউরিটি রেকর্ড, ব্যাংক একাউন্টে নাম পরিবর্তন করা

মেডিকেল রূপান্তর- অত্যন্ত ব্যয়বহুল হরমোন ট্রিটমেন্ট এবং বিভিন্ন ধরনের সার্জারি করে অবয়ব পরিবর্তন করা হয়। কিন্তু আমেরিকা এবং ব্রিটেনের ডাটা অনুযায়ী কমপক্ষে ৯৭% ক্ষেত্রে ট্রান্সজেন্ডারদের যৌনাঙ্গ (পেনিস বা যোনী) অক্ষত থাকে, যদিও তাদের শরীরের উপরে অংশ (মুখাবয়ব, স্তন, শারীরিক কমনীয়তা ইত্যাদি)।

হিজড়ারা ট্রান্সজেন্ডার নয়- দেশের প্রধান মিডিয়াগুলোসহ বিশ্বমিডিয়া হিজড়দের ট্রান্সজেন্ডার হিসেবে প্রচার করা হয়। এমন কি এমন শিরোনামও করা হচ্ছে ‘বাংলাদেশে প্রথম ট্রান্সজেন্ডার মুসলিম মাদ্রাসা’, বাংলাদেশের প্রথম রূপান্তরকামী সংবাদপাঠিকা’- মিসলিডিং বা ভুল পথে পরিচালিত করতে পারে। হিজড়া একটি জন্মগত জেনেটিক সমস্যা বা ডিসঅর্ডার। সম্প্রতি ভারতের হিজড়া গোষ্ঠীর প্রেসিডেন্ট নিজেদের ট্রান্সজেন্ডার হিসেবে সংগায়িত করার জন্য প্রতিবাদ জানিয়েছে (The terms ‘Transgender’ and Hijra are not the same’ says Joya Sikder)। আমেরিকার বিখ্যাত গণমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টও এই বিষয়টা আলোকপাত করেছে যে হিজাড়া এবং ট্রান্সজেন্ডার এক নয় (Why terms like ‘transgender’ don’t work for India’s ‘third-gender’ communities)। অন্যদিকে এলজিবিটি বা ট্রান্সজেন্ডারকে কোন অসুস্থতা, ডিসওয়ার্ডার বা কোনো মানসিক সমস্যা হিসেবে গণ্য করা হয় না। ট্রান্সজেন্ডার এর বাংলা অভিধানিক শব্দ হিজড়া লেখা হচ্ছে, আবার রূপান্তরকামীও বলা হচ্ছে যা মিসলিডিং।

হিজড়া ও ট্রান্সজেন্ডার শব্দের অস্পষ্টতায় দেশে ভয়াবহ বিপর্যয়ের ঝুঁকি

ট্রান্সজেন্ডার ও হিজড়া
ট্রান্সজেন্ডার ও হিজড়া



transgender বিষয়ে হাট হাজারীর ফতোয়া

সৃষ্টিগতভাবে আল্লাহ তায়ালা মানুষকে পুরুষ বা নারী হিসেবে সৃজন করেছেন। যাদের দেহ শুক্রাণু উৎপাদনের জন্য তৈরি তারা

পুরুষ, যাদের দেহ ডিম্বাণু উৎপাদনের জন্য তৈরি তারা নারী। এটা শুধু বাহ্যিক যন্ত্রপাতির বিষয় না; পুরো প্রজননব্যবস্থার বিষয়।

মানবজাতির খুব অল্প সংখ্যক কিছু মানুষ আছেন যাদের প্রজননব্যবস্থা এবং যৌন বিকাশের ত্রুটি থাকে। বাহ্যিকভাবে

তাদের দেহে জন্মগতভাবে নারী ও পুরুষ উভয়ের বৈশিষ্ট্যের মিশ্রণ দেখা যায়। এধরনের মানুষকে বোঝাতে ব্যবহৃত হয় ইন্টারসেক্স (Intersex) বা আন্তঃলিঙ্গ শব্দ। আমাদের দেশের মানুষ সাধারণত হিজড়া বলতে মূলত ইন্টারসেক্স বা আন্তঃলিঙ্গ মানুষদের বুঝিয়ে থাকে; এর বাইরে তৃতীয় কোনো লিঙ্গ আল্লাহ তায়ালা সৃষ্টি করেননি। আর এটাই ছিলো

সর্বমহলে সমাদৃত।

এভাবে সবকিছু স্বাভাবিকভাবে চললেও থেমে থাকেনি পশ্চিমাদের অপতৎপরতা। নতুন চিন্তা, নতুন মতবাদ হিসেবে এরা বিশ্বের সামনে উপস্থিত করে ট্রান্সজেন্ডার নামের এক নতুন বিকৃত যৌনচারের। কখনো বাধ্য করে, কখনোবা কৌশলে এই চিন্তাধারা চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছে বিশ্বব্যাপী।

অথচ ১৯৬৫ সনের আগ পর্যন্ত এমন বিকৃত চিন্তাধারার কোনো আওয়াজ ছিলো-এমন তথ্য পাওয়া যায় না। যার প্রবক্তারা

পৃথিবীবাসীকে এমন এক পথের দিকে আহবান করছে, যেখানে শরীর নয়, মনই ব্যক্তির আসল লিঙ্গ-পরিচয়। অর্থাৎ একজন পুরুষের যদি মনে হয় সে নারী, তাহলে সে নারী। আবার একজন নারীর যদি মনে হয় সে পুরুষ, তাহলে সে পুরুষ। মোটকথা তারা দাবি করে, তাদের মানসিক লিঙ্গ শারীরিক লিঙ্গ থেকে ভিন্ন। এ জন্য তারা মানসিক লিঙ্গবোধ অনুযায়ী শরীরে পোশাক আশাক পরিধান করে থাকে। তাদের দাবী হলো; তাদের বাহ্যিক লিঙ্গ আর বিকৃত চিন্তাগত লিঙ্গ দুটো ভিন্ন ভিন্ন। এরা আরও দাবি করে ডাক্তারের সাহায্যে তাদের মনের রূপকে বাস্তবেই রূপান্তর করা সম্ভব। এইজন্য দেখা যাই যে, ডাক্তারের সাহায্যে অস্ত্রোপচার করে তারা তাদের মনের রূপকে বাস্তবে রূপান্তর করার অপচেষ্টা

করে যাচ্ছে। আর সেই বেশেই এরা এখন নিজেকে প্রদর্শন করছেন।

  • চিকিৎসার মাধ্যমে কি মনের রূপকে বাস্তবে রূপান্তরণ করা সম্ভব?

প্রকৃত বাস্তবতা হলো;তথাকথিত লিঙ্গ পরিবর্তন সার্জারির মাধ্যমে কেউ আমলে পুরুষ থেকে নারী বা নারী থেকে পুরুষ

হয় না। মূলত এগুলো এক ধরনের কসমেটিক সার্জারি। এ ধরণের অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে কেবল বাহ্যিকভাবে কিছু

পরিবর্তন আনা যায়, সৃষ্টিগত লিঙ্গের কোনো পরিবর্তন করা যায় না। এইজনা কোনো ট্রান্সজেন্ডার মেয়ে যার জন্ম হয়েছে

পুরুষ হিসেবে, শত অস্ত্রোপচার করা হলেও কোনো দিন তার পক্ষে মা হওয়া সম্ভব নয়। অথচ মা হতে পারা স্ত্রী লিঙ্গ হওয়ার সবচেয়ে বড় আলামত। কারণ ট্রান্সজেন্ডার মেয়ের বাচ্চাদানি থাকে না। তেমনি কোনো ট্রান্সজেন্ডার পুরুষের পক্ষে কোনো দিন বাবা হওয়া সম্ভব না। তাদের এই দাবি অর্থাৎ অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে রূপান্তর সম্ভব; প্রতারণা আর ধোঁকা বৈ কিছুই না।

– ট্র্যান্সজেন্ডার মতবাদের সামাজিক ক্ষতি:

ট্রান্সজেন্ডারের অবশ্যম্ভাবী পরিণতি হলো সমকামিতাসহ অন্যান্য বিকৃত যৌনতার প্রসার। কারণ একজন ট্রান্সজেন্ডার মেয়ে (যে কিনা বাস্তবেই একজন পুরুষ) যখন কোনো পুরুষের প্রতি আসক্ত হয়ে মেয়ের রূপ ধারণ করবে, পরবর্তীতে নিয়ে করে তার সাথে মিলন করবে, বাস্তবে মিলনটা হবে পুরুষে-পুরুষে। কারণ একটু আগে উল্লেখ করা হয়েছে, অস্ত্রোপচারের

মাধ্যমে প্রকৃত পক্ষে সৃষ্টিগত লিঙ্গের পরিবর্তন সম্ভব নয়। আর পুরুষের সাথে পুরুষের মিলন এবং নারীর সাথে নারীর মিলনের নাম হলো সমকামীতা। যা ইসলামের দৃষ্টিতে জঘন্য অপরাধ। হযরত লুত আলাইহি ওয়াসাল্লামের সম্প্রদায়কে এই পাপের কারণে আল্লাহ তায়ালা ভূমি উল্টিয়ে এবং পাথুরে বৃষ্টি বর্ষণ করে ধ্বংস করেছেন।

– দ্বিতীয়ত: ট্রট্রান্সজেন্ডারকে যদি বৈধতা দেওয়া হয় এবং মনের রূপকে বাস্তবে রূপান্তরিত করা ট্রান্সজেন্ডার মেয়েদের যদি মহিলা বিশেষায়িত স্থান তথা মহিলা হোয়েল ইত্যাদিতে প্রবেশের অবাধ অনুমতি দেওয়া হয়, তাহলে তা হবে সুকৌশলে ব্যভিচারের পথকে আরো সহজ করে দেওয়া। কারণ আমরা আগেও উল্লেখ করছি, অস্ত্রোপচার বা অন্য কোনো মাধ্যমে শরীরের কিছু পরিবর্তন আসলেও তাদের সৃষ্টিগত লিঙ্গের কোনো পরিবর্তন হয় না। সুতরাং এভাবে একজন ট্রান্সজেন্ডার মেয়েকে (যে কিনা বাস্তবে একজন পুরুষ) মহিলা বিশেষায়িত স্থানে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া তার জন্য ধর্ষণের পথ খুলে দেওয়া নয়কি? যেমনটা ঘটেছে অ্যামেরিকাতে।

২০১১ সালে হত্যার দায়ে ত্রিশ বছরের জেল হয় ডেমিট্রিয়াস মাইনর নামের এক যুবকের। ৯ বছর জেলে খাটার পর হঠাৎ করে নিজেকে নারী দাবি করতে শুরু করে সে। ট্রান্সজেন্ডারবাদের বিষে আচ্ছন্ন অ্যামেরিকান বিচারব্যবস্থা এ দাবি মেনে নিয়ে তাকে পাঠিয়ে দেয় এক মহিলা কারাগারে। কারাগারে নারীদের সাথেই এক সাথে রাখা হয় আপাদমস্তক পুরুষ ডেমিট্রিয়াসকে। ফলে যা হবার তাই হয়, ডেমিট্রিয়াসের সাথে শারীরিক সম্পর্কের জের ধরে গর্ভবতী হয়ে পড়ে দুই নারী কয়েদী। এ ঘটনার পর ডেমিট্রিয়াসকে আবারো পাঠানো হয় পুরুষদের কারাগারে। – ইসলামি শরীয়ার দৃষ্টিতে ট্র্যান্সজেন্ডারের বিধান ও আমাদের করণীয়;

আল্লাহ তায়ালা সবকিছু সৃষ্টি করেছেন। যাকে যেভাবে সৃজন করার দরকার তাকে সেই রূপেই সৃজন করেছেন। মানুষকে জমিনে নিজের খলিফা হিসেবে মনোনীত করেছেন। এবং মানবজাতির হেদায়েতের জন্য বিভিন্ন বিধান অবতীর্ণ করেছেন ক্ষেত্র বিশেষে নারী পুরুষের বিধান গুলো ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। এখন যদি এর বিপরীতে গিয়ে সবাইকে তার মনের রূপকে রূপান্তর করার অনুমোদন দেওয়া হয়, তাহলে পুরো সমাজ ব্যবস্থার চিত্রটায় পাল্টে যাবে এবং ইসলামি শরীয়াহ পূর্ণরূণে অকার্যকর হয়ে যাবে। যা আল্লাহর সাথে বিদ্রোহের নামান্তর। পশ্চিমা বিশ্ব এইটা বিশ্বব্যাপী চাপিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে তাদের অজান্তেই তাদের ফাঁপা বুলি ব্যক্তি স্বাধীনতার উপর আঘাত করছে। সাথে সাথে ঈমান বিধ্বংসী এই ট্রান্সজেন্ডার মতবাদ মানুষকে আল্লাহর সৃষ্টি বিকৃতির সবক দেয়। আর আল্লাহর সৃষ্টির বিকৃতি করা অত্যন্ত পাপ ও হারাম কর্ম। যা আজ পশ্চিমা বিশ্বের দোসররা মুসলিম দেশগুলোতে বাস্তবায়ন করতে বদ্ধপরিকর এবং তা প্রচার ও প্রতিষ্ঠায় দিবানিশি কাজ করে যাচ্ছে। এমতাবস্থায় সর্বস্তরের মানুষের দায়িত্ব, ঈমান বিধ্বংসী এই ফিতনার লাগাম টেনে ধরা এবং এর প্রসার রোধে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করা। অন্যথায় এই পাপের শাস্তি হিসেবে যদি আল্লাহ তায়ালার গজব নিচে নেমে আসে, তাহলে তা আমি, আপনি এবং আমাদের সবাইকে গ্রাস করে নিবে।

কারণ আল্লাহ তায়ালা বলেন, তোমরা ভয় করো ওই শান্তিকে, যেটা শুধু তোমাদের মাঝে সীমালঙ্ঘনকারীদের উপর আসবে না (বরং শক্তি থাকা সত্ত্বেও যারা এটা প্রতিহত করেনি তাদেরকেও গ্রাস করে নিবে।)

transgender
transgender
transgender
transgender