সেনাপ্রধানের মেসেজ ডক্টর ইউনুছকে আর থাকতে দিবে না ,অন্তত এটুকু নিশ্চিত হওয়া গেল, ডক্টর ইউনূসের উপর কেউ সন্তুষ্ট না। এর আরেকটা অর্থ, ইউনূস মাথা নোয়াননি কারো কাছে।
কাজেই, ইউনূস থাকতে পারবেন না। তাকে থাকতে দেওয়া হবে না, এইটা ফাইনাল।ভারতকে গতকালও ইউনূস সরকার সুখরঞ্জন বালির কথা মনে করাইয়া দিছে। বিবৃতিতে লিখছে, বাংলাদেশ থেকে গুম হওয়া ব্যক্তি যখন ভারত থেকে উদ্ধার হয়, তখন সেটা আমাদের ব্যথিত করে।কাজেই, ভারত চায় ইলেকশন দিয়ে ইউনূস সরে যাক। পুলিশও তাই চায়। খুব সম্ভবত আর্মিও তাই চায়।
অনেকেই বলতেছেন, আর্মি চিফ রাজনৈতিক দলগুলোকে হুমকি দিছেন।
না। রাজনৈতিক দলগুলোকে হুমকি দেওয়া হয় নাই। হুমকি দেওয়া হয়েছে ডক্টর ইউনূসকে। কারণ র্যাব আর ডিজিএফআই এর আয়নাঘরের তথ্য তিনিই ফাঁস করেছেন।এই দেশের সবকিছুই আসলে সাজানো গোছানো সেট আপ।
কে কেমনে দুর্নীতি করবে, কে কোনদিকের চাঁদা নিবে, কে কেমনে বাটপারি করবে, এইগুলা সেটল হওয়া ইস্যু। আওয়ামীলীগের আমলে আওয়ামীলীগ খাবে। বিএনপির আমলে বিএনপি। লস নাই কারো। সবার লাভ।
অনেকেই বলেন, ইলেকশন হলেই সবকিছু সুন্দর হয়ে যাবে। কিসসু হবে না। এই দেশে ৪ টা ইলেকশন সুষ্ঠু হয়েছে। মানুষের লাভ কিছুই হয় নাই। দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। পুলিশ আমলাদের লাভ ঠিকই হয়েছে।
এই পুরো সিস্টেম এখন এমন অচল কেন হয়ে গেল? কারণ, ডক্টর ইউনূস।
ডক্টর ইউনূস এখানে এসে বাগড়া দিয়ে ফেলেছেন। একমাত্র উনিই এখানে আনফিট। শুনলাম প্রজেক্টগুলো নিয়ে বারবার বসে টাকা কমাচ্ছেন। তাহলে আমলারা খাবে কী?
এই না খেতে পাওয়ার রাগ থেকেই কেউ কিছুই করতেছে না। এরা রাজনৈতিক নেতাদের সামলাইয়া অভ্যস্ত, ইউনূসকে সামলাইয়া অভ্যস্ত না।
সো, ইউনূসকে সরাইয়া দেওয়ার এই সিদ্ধান্ত মিলিত সিদ্ধান্ত।
ভেদাভেদ করবেন না মানে সংস্কার করবেন না। কারণ সংস্কার করতে গেলে ভেদাভেদ আসবেই। দ্বিমত আসবে। ঐটা না করে স্থিতিশীলতা এনে নির্বাচন দিয়ে সরে যান,এইটাই খুব সম্ভবত আজকের মেসেজ।
এখন বাকিটা ইউনূসের উপরেই নির্ভর করবে।
ইউনূস লড়াই এ যাবেন নাকি সারেন্ডার করবেন সেইটা তিনিই জানেন। তবে এইখানে তিনিও যদি আর না আগান, আমি অন্তত দোষ দেবো না।
কারণ বিএনপি তো দূরের কথা, ইভেন জামাতের একটা জেলা পর্যায়ের নেতা বিপদে পড়লে যে কজন লোক আসবে,,ইউনূসের কোন বিপদ হলে কেউ আগাবে না।
আর যতদিন এমন মেধাবী মানুষকে জনগণ ধারণ করতে না পারবে, ততদিন এমন মানুষের পক্ষে এই নোংরা রাজনীতিতে আসাও সম্ভব না, থাকাও সম্ভব হবে না।
(সাদিক খান)
*সংযোজন* —
সেনাপ্রধান তাঁর বক্তব্যে দুইবার ড. ইউনুসের নাম ধরে বক্তব্য দিয়েছেন (মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা বলতে তাঁর বেঁধেছে কোথায় সেটা বোঝা গেল না!!)। যেখানে মনে হয়েছে ড. ইউনুস এবং তিনি একই ফুটিং এ আছেন। অথচ একজন প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী অন্যজন প্রজাতন্ত্রের প্রধান নির্বাহী! বিষয়টি একই সাথে শ্রুতি এবং দৃষ্টিকটু নয় কি?
★সেনা প্রধান একবারও বলেননি ফ্যাসিস্ট এর পক্ষে তারা কত মায়ের বুক খালি করেছেন, তিনি বলেননি ৬২৬ জন ক্যান্টনমেন্টে আশ্রয় দেয়া স্বৈরাচারের সহযোগিদের কাকে কোথায় কিভাবে পালিয়ে যেতে সাহায্য করেছেন। তিনি ম্যাজিস্ট্রি পাওয়ার নিয়েও দেশের অরাজকতা কেন দমন করতে ব্যর্থ হচ্ছেন।
আমি মনে করি ড.ইউনুস বিপদে পড়লে সারা পৃথিবী এগিয়ে আসবে যা আর কারো ক্ষেত্রে ঘটবে না।
দেশ প্রেমিকরা ঐক্যবদ্ধ হলে কেউ কিছুই করতে পারবে না! দেশটাকে গড়তে এগিয়ে আসুন! দেশ বাঁচলে সকলেই শান্তিতে থাকতে পারবেন!
আকাশ আহমেদ
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫