মা কবিতা , মাকে নিয়ে কবিতা, মা!মা!বলে ডাকি , মায়ের কবিতা
মা!মা!বলে ডাকি মায়ের কবিতা
নার্গিস নাহার রুনু
মা’যে আমার ঘুমিয়ে আছে কঠিন মাটির তলে,
মা’কে বিদায় দিয়েছিলাম দুই নয়নের জলে।
স্মৃতির কফিন বুকজমিনের মাঝে আছে জমা,
প্রভু যেনো সহায় থাকেন মাকে করেন ক্ষমা।
মায়ের ঘরটি শূন্য এখন বিছানাটা ফাঁকা,
মায়ের কোরআন হাদিস গুলি তাকের পরে রাখা।
পানের বাটা গড়াগড়ি জায়নামাজের পাটি,
মায়ের ছোঁয়া পায় না এখন তায়াম্মুমের মাটি।
তোমার গায়ের সুবাস মাগো নাকে এসে লাগে,
সুবাসিত গোলাপ যেমন সুবাস বিলায় বাগে।
দাদু বলে বাচ্চাগুলি তোমার ঘরে ছোটে,
তোমার শোকে গাছের পাতা মাটির পরে লোটে।
বিধির বিধান এমন মাগো অাসা যাওয়ার খেলা,
কখন যে কার আসবে সমন অস্ত যাবে বেলা।
মিলনমেলা সাঙ্গ করে চলে যাবে সবে,
জানিনা তো আর কখনো দেখা কি মা হবে?
মা হারানোর কষ্ট বুকে বেঁচে আছি তবু,
চলে গেলে ধরায় ফিরে আর আসে না কভু।
তোমায় বিনে ভাল্লাগে না উদাস হয়ে থাকি,
স্বপনে বা জাগরণে মা মা বলে ডাকি।
মা কবিতা , মাকে নিয়ে কবিতা, মা!মা!বলে ডাকি , মায়ের কবিতা
আরও পড়ুন– মাকে নিয়ে কবিতা । মাকে নিয়ে ১৩টি কবিতা । ’’মা ‘’
। কাজী নজরুল ইসলাম এর বিখ্যাত মায়ের কবিতা
মা হারানো কষ্টের কবিতা বিদায় বড় কঠিন
নার্গিস নাহার রুনু
মা হারানোর কষ্ট কী’যে যার যায় সে বোঝে,
দিনের বেলা আঁধার নামে মায়ের স্মৃতি খোঁজে।
বিষের বানে জর্জরিত হৃদয় পোড়ে শোকে,
ঝরঝরিয়ে বৃষ্টি নামে বাধ মানে না চোখে।
যতই তাঁরে করুণ সুরে ডাকি বিলাপ করে,
আর কখনো ফিরবে না মা মাটির ধরা পরে!
মনের মাঝে জমানো হায় মায়ের কত স্মৃতি,
স্নেহের ছায়ে বড় হওয়া মায়ায় ভরা প্রীতি।
যতই লিখি মায়ের কথা হবে কি আর শেষ?
মা’যে আমার ঘুমিয়ে আছে অচেনা এক দেশ।
যে কটা দিন রইবো বেঁচে ভুলবো নাকো ও’মা!
মায়ের তরে রবের কাছে চাইব শুধু ক্ষমা।
এই দুনিয়া পান্থশালা আমরা জানি সবে,
দিন ফুরালে ফিরতে হবে ডেকে নেবেন রবে।
কীসের মোহে মায়ার ভবে যাচ্ছি ঘানি টেনে,
বিদায় বড় কঠিন তবু নিতে যে হয় মেনে।
কেউ জানে না ভুবন ছেড়ে কখন যাবে চলে,
শেষ বাঁশিটা উঠবে বেজে কাউকে নাহি বলে।
আসা-যাওয়া একা একাই মাঝে মিলনমেলা,
পারের কড়ি সঙ্গে নিতে কেউ করো না হেলা।