সকালের আয়োজন
উম্মে হাবিবা রাহনুমা
.
এত যে ফুলের ঘ্রাণে ভরেছে উঠোন,
বাতাসের সাথে সাথে মন উচাটন।
থেমে থেমে আসে সেই সুরভির ঢেউ,
সকালের গ্রামখানি দেখেছো কি কেউ?
ফুলে ফুলে সেজে আছে রেইনট্রির তল
পাখিদের কিচিমিচি কত কোলাহল।
নিরালায় মেহগনি ঝরে ঝরঝর
ছড়ানো ছিটানো ফুলে মায়ার বাঁধন!
সবুজের দলা যেন কাঁপে তিরতির
সাদা সাদা নিমফুলে লাগে অস্থির।
বুনোফুল ফুটে রয় মাটির মায়ায়
তার পানে চেয়ে থেকে জুড়াই নয়ন।
মাটি ও সবুজ হলো দুই সহোদর
কাছাকাছি রয় যেন প্রতিকী আদর।
শান্ত ভোরের কোলে মধুমতী গাঁও-
বুক পেতে লুপে নেয় সব আয়োজন।
গল্প। জীবন যখন যেমন -নার্গিস নাহার রুনু
১১.৪.২২ ইং
★গেলো বছর রমজানের কথা। সাহরীর পর যখন সবাই ঘুমাতো তখন খুবাইবের ঘুম ভাঙতো। আমার আর ঘুমানো হতো না। বাইরে ফর্সা হলেই ঘর থেকে বের হতাম আর সাতটা সাড়ে সাতটা পর্যন্ত ওকে কোলে নিয়ে সারা বাড়িতে ঘুরতাম। এত ভোরে প্রচুর মশা বাইরে,সাথে পাখা নিয়ে যেতাম। ও হামাগুড়ি দিতো তখন। শুধু নিচে নেমে যেতো আর আমি ওকে নানা ভাবে কন্ট্রোলের চেষ্টা করতাম। তখন শারীরিক মানসিকভাবে এত বাজে অবস্থায় ছিলাম- এমন অবস্থা কারো জন্য কল্পনা করতেও ভয় লাগে।
তো,সবচেয়ে বেশি থাকা হতো বাড়ির দক্ষিণ পাশে। শীতল বাতাস। বেশ কয়েকটি রেইনট্রি, মেহগনি আর নিমগাছ পাশাপাশি ছিলো। একসাথে সব গাছে ফুল ফোটা আর ঝরার ধুম পড়েছে তখন। এমনিতেই ভোরে কড়ই ও রেইনট্রি ফুলের যে স্নিগ্ধ সৌরভ তা শৈশব থেকেই আমাকে আকর্ষণ করে। সেখানে যোগ হলো নিমফুল। সকালে তাজা নিমফুলের সে সুরভী আর পুলক-নাচন তা আমি সে বার নতুনভাবে উপলব্ধি করেছি।
গাছের তলায় জমে যাওয়া সেসব তাজা-বাসি ফুল, গাছে ফুটে থাকা,বাতাসে নাচতে থাকা ফুলগুলো দেখে দেখে লিখে ফেলেছি এই ছোট্ট গীতিকবিতা। এটি যার কাছে যেমন হোক,আমার কাছে একগুচ্ছ স্মৃতির ফ্রেম।
১১.৪.২৩ ইং