mixed dry fruits (মিক্সড ড্রাই ফ্রুটস) এখন সকলের কাছেই খুব পরিচিতি। কিন্তু আমরা কজনেই বা জানি কি দিয়ে তৈরী করা হয় এই মিক্সড ড্রাই ফ্রুটস। যা আমাদর দেহকে সুস্থ ও রোগ মুক্ত রাখতে সীমাহীন ভুমিকা রাখে। আজ আমরা এই আর্টিকলে জানবো কী দিয়ে তৈরি করা হয় মিক্সড ড্রাই ফ্রুটস এবং এর উপকারিতা কী?
mixed dry fruits (মিক্সড ড্রাই ফ্রুটস) এর উপকারিতা
*মিক্সড ড্রাই ফ্রূটস-এর সকল উপাদানের মিলিত শক্তি সর্বোচ্চ পুষ্টিমানসম্পন্ন ও ভীষণ মজাদার।
*এর উপাদানগুলো মানব শরীরে শক্তির উৎস হিসেবে কাজ করে থাকে।
*ড্রাই ফ্রুটস মস্তিস্ক ঠান্ডা রাখতে বিশেষ ভাবে সহায়তা করে।
*এ খাবার যৌন সমস্যা সমাধান করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে এবং যৌন শক্তি বৃদ্ধি করে।
*মিক্সড ড্রাই ফ্রুটস নিয়মিত খেলে শুকরানু বৃদ্ধিতে ভুমিকা রাখে।
* নিয়মিত মিক্সড ড্রাই ফ্রুটস খেলে ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে।
* বাচ্চা না হওয়ার অন্যতম একটি কারন হলো পাতলা বীর্য, আর এই পাতলা বীর্যের কারনে বাচ্চা ধারন ক্ষমতা অনেকটা কমে যায়, ফলে অধিকাংশ মায়েদের গর্ভপাত হয়ে থাকে। মিক্সড ড্রাই ফ্রুটস নিয়মিত খেলে বীর্য ঘন করে এই সমস্যার সমাধান করে।
*মিক্সড ড্রাই ফ্রুটস খেলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে।
* নিয়মিত ড্রাই ফ্রুটস খেলে চুলের গোড়া মজবুত করে এবং চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়।
* স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে এবং তীক্ষ্ণ মেধা সম্পন্ন হতে সাহায্য করে।
*শ’রীরের ক্লান্তিভাব ও দু’র্বলতা দূর করে শা’রীরিক শক্তি বৃদ্ধি করে।
*ব্র’ণের সমস্যা সমাধান করে এবং দাঁতের ক্ষয় রোধে ভুমিকা রাখে।
* নিয়মিত ড্রাই ফ্রুটস খেলে হার্ট এ’টাক ও স্ট্রো’কের আশংকা কমে যায় ।
* ড্রাই ফ্রুটস অতিরিক্ত ওজন কমিয়ে শরীরকে ফিট রাখেতে সাহায্য করে।
*নিয়মিত ড্রাই ফ্রুটস খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভুমিকা রাখে।
ড্রাই ফ্রুটস তালিকা Mixed Dry Fruits
১। কাঠ বাদাম, ২। কাজু বাদাম, ৩। রোস্টেড কাজু বাদাম, ৪। পেস্তা বাদাম, ৫। আখরোট বাদা ৬। মরিয়ম খেজুর, 8. খুরমা খেজুর, এপ্রিকোট, তীন ফল, ড্রাই স্টবেরি, ৭। আজওয়া খেজুর ৮। খুরমা খেজুর, ৯। এপ্রিকোট , ১০। তীন ফল, ১১। ড্রাই আপেল,১২। ড্রাই স্টবেরি, ১৩। ড্রাই গাজর, ১৪। ড্রাই জাম্বুরা, ১৫। ড্রাই আনারস, ১৬। ড্রাই আম, ১৭। পামকিন সীড, ১৮।সানফ্লাওয়ার সীড, ১৯। তরমুজ বীজ, ২০।কালো কিসমিস, ২১। গোল্ডেন কিসমিস, ২২। আফগান কিসমিস, ২৩। জর্দা আলু। mixed dry fruits (মিক্সড ড্রাই ফ্রুটস) এর উপকারীতা।
কাঠবাদাম
নাম দেখেই বুঝা যাচ্ছে কাঠ বাদাম বৃহদাকৃতির গাছের ফল থেকে পাওয়া যায়। এর বীজকেই আমরা বাদাম নামে জনে থাকি। গ্রামঞ্চলে অনেক বাড়িতেই গাছটি দেখতে পাওয়া যায়। বাদামটির গুনাগুন বা উপকারিতা না জানার কারনে এর তেমন একটা কদর করা হয় না। জেনে নেই কাঠ বাদামের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা।
কাঠবাদামের উপকারিতা:
*কাঠ বাদামের সবথেকে বড় গুণ হলো মস্তিষ্ককে সুস্থ রাখে এবং স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে। কেননা এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ই এবং পটাশিয়াম।
*চুলের গোড়া মজবুত ও ভালো রাখতে কাঠ বাদাম দারুন উপকারী । এতে থাকা ভিটামিন ই, এ, বি১, বি৬ এবং ম্যাগনেশিয়াম চুলের বৃদ্ধি এবং সুস্থ্য রাখতে ভুমিকা রাখে।
* কাঠ বাদামে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, প্রোটিন যা কোলেস্টেরল লেভেলও ঠিক রাখে এবং হার্টকে সুস্থ রাখে।
*এতে রয়েছে ফাইবার যা হজম শক্তি বাড়ায় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
*কাঠ বাদামে থাকা ভিটামিন ই ত্বক সুন্দর রাখে আর মুখে বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না।
*এনার্জি লেভেল ঠিক রাখতে রোজ সকাল বেলা উঠেই দুটো কাঠ বাদাম খেয়ে নিন শরীর তরতাজা হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন–জ্বর, সর্দি, কাশি, গলাব্যাথা হলে করণীয়-ফাতেমা জাহান লুবনা
কাজু বাদাম
অত্যন্ত সুস্বাদু ও নানা পুষ্টিগুণে ভরপুর কাজু বাদাম। শারীরক সুস্থতা ও বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে কাজুবাদাম অনন্য অবদান রাখে। এতে রয়েছে তামা, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, দস্তা, ফসফরাস, আয়রন, সেলেনিয়াম, থায়ামিন পুষ্টিপদার্থসহ ভিটমিন ভিটামিন কে, ভিটামিন বি৬। কাজু বাদামে রয়েছে ক্যালরি, প্রোটিন, ফ্যাট, শর্করা, ফাইবার, চিনি ইত্যাদি পুষ্টি উপদান। সুতরাং বুঝতেই পারছেন কাজু বাদাম মানব শরীরের জন্য কতটা উপকারী।
কাজুবাদাম এর উপকারিতা
* শরীরকে সুস্থ রাখতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কাজুবাদাম বিশেষ ভুমিকা রাখে।
*কম ক্যালরি ও উচ্চ চর্বি থাকার কারণে শরীরের ওজন কমাতে সাহায্য করে।
*কাজু বাদামে প্রোটিন, আঁশ ও চর্বির ভালো উৎস থাকার কারনে এটা খেলে পেট ভরা রাখে ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।
*নিয়মিত কাজু বাদাম খেলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে ফলে স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক, হৃদরোগ ইত্যাদি ভয়ংকর রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।তবে লবণযুক্ত কাজুবাদাম খাওয়া ঠিক নয় কারন এতে রক্তচাপ বাড়ার সম্ভাবনা থাকে।
* কোলেস্টেরলের মাত্রা উন্নত করে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক করে।
*নিয়মিত কাজুবাদাম খেলে ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের ঝুঁকি একেবারে কমে যায়।
*কাজু বাদাম হাড় মজবুত করে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে, লোহিত রক্ত কণিকা বৃদ্ধি করে।
*ভাজা কাজুবাদামে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের পরিমাণ বেশি থাকার ফলে শরীরের কোষগুলোর ক্ষয় রোধ করতে ভুমিকা রাখে।
পেস্তাবাদাম
অত্যান্ত সুস্বাদু সবুজ বর্ণের এই বাদামে রয়েছে বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান ও স্বাস্থ্য উপকারিতা। মিক্স ড্রাই ফ্রুটস এর অন্যতম উপাদান পেস্তাবাদাম। নিয়মিত পেস্তা বাদাম খেলে বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষা করে শরীরকে সুস্থ রাখে। আমরা অনেকেউ পেস্তা বাদামের উপকারিতা সম্পর্কে জানি না।
পেস্তা বাদামের উপকারিতা:
* দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে: বয়স বাড়ার সাথে সাথে সকলেরই দৃষ্টিশক্তি কমতে থাকে। এছাড়া অনেকের চোখে ছানি পড়ে থাকে। পেস্তায় থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট লিউটিন ও জিয়াক্সানথিন দৃষ্টিশক্তিসহ এবং রেটিনাকে দীর্ঘদিন ভালো রাখতে ভুমিকা রাখে।
*নিয়মিত পেস্তা বাদাম খাওয়র ফলে হৃদরোগের আশঙ্কা কমে যায়। এতে থাকা প্রচুর পরিমাণ পটাশিয়াম শরীরের সমস্ত পেশির পাশাপাশি হৃদযন্ত্রের পেশীর কার্যকারিতা ঠিক রাখতে কাজ করে।
* পেস্তায় থাকা প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা এই গ্লাইকেশন পদ্ধতিতে বাধা প্রদান করে। ফলে ডায়বেটিস ও রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভুমিকা রাখে।
*নিয়মিত পেস্তা বাদাম খাওয়ার ফলে অ্যানিমিয়া, শরীর দুর্বল হয়ে পড়া, মাথা ঘোরাভাব ও ঝিমঝিম করার মতো অবস্থা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। *পেস্তাবাদাম রক্তশূন্যতা দূর করে কারন এতে আছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন ও কপার যা রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়াতে সাহায্য করে।
*ওজন কামাতে ভুমিকা রাখে পেস্তাবাদাম কেননা পেস্তায় থাকা আঁশ ও প্রোটিন দীর্ঘ সময় পর্যন্ত পেট ভরা রাখে।
*তবে এক সাথে ৬-৭টির বেশি খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
আখরোট
আখরোট একটি বাদাম জাতীয় ফল। এর বৈজ্ঞানিক নাম Juglans regia ।এই বাদাম পুষ্টিতে ভরপুর যাতে রয়েছে প্রচুর আমিষ এবং ফ্যাটি আসিড। আমাদের দেহেকে বিভিন্ন রোগের হাত থেকে রক্ষা করতে আখরোট বাদাম ভুমিকা রাখে। নিয়মিত আখরোট খেলে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
আখরোটের এর উপকারিতা
*আখরোটে রয়েছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড যা কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেমের জন্য উপকারী। ফলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রেখে হৃদযন্ত্র ভালো রাখে।
* মস্তিষ্কের বিকাশে আখরোট বিশেষ ভাবে সাহায্য করে।
* এতে আছে আলফা-লিনোলেনিক অ্যাসিড নামে একটি প্রয়োজনীয় ফ্যাটি অ্যাসিড। এই অ্যাসিড হাড়কে মজবুত ও শক্ত করে।
*আখরোটে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন বি কমপ্লেক্স । এই বাদাম গর্ভবতী মা ও তার অনাগত সন্তানের জন্য বিশেষ উপকারী। এতে উভয়ের সাস্থ্য ভালো রাখে।
* বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে আখরোট শক্তিশালী ভুমিকা রাখে।
*এতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ইমিউন সিস্টেমকে ঠিক করে।
* ভালো ঘুমের জন্য আখরোট বেশ উপকারী।
* নিয়মিত আখরোট খেলে মানসিক চাপ কমে যায়।
*আখরোটে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, আয়রন, কপার ও জিঙ্ক রয়েছে , এছাড়া আছে ফাইবার যা ওজন কমাতে সাহায্য করে।
গোল্ড কিসমিস
শুকনো ফলের রাজা নামে খ্যাত কিসমিস আমাদের সকলের কাছেই পরিচিত। মিষ্টি খাবারের স্বাদ এবং সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য আমাদের মা বোনেরা কিসমিস ব্যবহার করে থাকে। প্রতিদিন কিসমিস খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুবই শক্তিদায়ক। আঙ্গুর শুকিয়ে তৈরি করা হয় কিসমিস।
কিসমিসের উপকারিতা
* কিসমিস কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে।এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, যা আমাদের পরিপাকক্রিয়া দ্রুত হ’তে সাহায্য করেঅ
*প্রতিদিন কিশমিশ খেলে বৃদ্ধ বয়সে অন্ধত্ব থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। কেননা এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ, এন্টি-অক্সিডেন্ট, যা অন্ধত্ব প্রতিরোধ করে।
* কিসমিসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম,দাঁত ও হাড় মজবুত ও শক্ত করে।
*তাৎক্ষণিকভাবে দেহে এনার্জি সরবরাহ করতে খেতে পারেন কিসমিস। এতে রয়েছে চিনি, গ্লুকোজ এবং ফ্রুক্টোজ যা শারীরীক দুর্বলতা দূর করে।
*লিভার থেকে কোলোস্ট্রোরেল দূর করতে সাহায্য করে।
*কিমমিস পরিপাকক্রিয়া দ্রুত হতে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে।
*নিয়মিত কিসমিস খেলে কোলেস্ট্রোরেল মাত্রা কমিয়ে উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।
* কিশমিসের মধ্যে রয়েছে প্রচুর আয়রন যা অনিদ্রা দূরকরে প্রয়োজনীয় ঘুম হতে সাহায্য করে।
* এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট দেহের কোষগুলোকে ড্যামেজের হাত থেকে রক্ষা করে ফলে ক্যান্সার থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
*এতে রয়েছে, প্রচুর পরিমাণে লৌহ উপাদান, যা রক্তশূন্যতা দূর করতে সাহায্য করে।
ড্রাই আলুবোখারা
একটি সুস্বাদু, পুষ্টিকর ড্রাই ফ্রুট যা স্বাদবৃদ্ধির জন্য শাহী খাবারেই ব্যবহৃত হতো। কিন্তু বর্তমানে শুকনো আলুবোখারা মিক্স ড্রাই ফ্রুটসে ব্যবহার হয়ে থাকে। এছাড়াও আলুবোখারার তৈরী জুস, জ্যাম, বেবি ফুড ইত্যাদি হেলদি খাবার তৈরি করা হয়।
আলুবোখারার উপকারিতা
*এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ত্বককে রাখে সুস্থ, প্রাণবন্ত ও তারুণ্যদ্ব্বীপ্ত।
*আলুবোখারায় ফেনোয়িক ও ফ্লাভোনয়েড থাকায় হাড় ক্ষয় রোধ করে মাংসপেশী ও হাড়কে সুগঠিত করতে বিশেষ ভুমিকা রাখে।
*এতে রয়েছে প্রচুর আয়রণ, পটাশিয়াম, কপার যা রক্তে হিমোগ্লোবিন তৈরী করে। ফলে অ্যানিমিয়া বা রক্ত শূন্যতার সমস্যা থেকে রক্ষা করে।
*ডায়াবেটিস ও রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে বেশ কার্যকর ভুমিকা রাখে আলুবোখারা।
*কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কিংবা হজমের সমস্যায় আলুবোখারা দারুণ উপকারী।
*এরত আছে ‘অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট’ ও ভিটামিন ‘এ’, যা চোখ ও ত্বকের জন্য উপকারী।
খেজুর
পুষ্টিকর সুস্বাদু খেজুর ছোট বড় সকলের কাছেই খুব পছন্দের। বিশেষ করে রমজান মাসে খেজুর ছাড়া যেন ইফতারই হয় না।বুঝতেই পারছেন খেজুর কতটা জনপ্রিয় । খেজুরে রয়েছে প্রচুর পুষ্টি উপাদান ও উপকারিতা। এতে আছে ক্যালোরি, প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ফাইবার, অ্যাসিড, প্রচুর শক্তি, শর্করা, ভিটামিন ও মিনারেল। ড্রাই খেজুর সারারাত ভিজিয়ে রেখে সকালে সেই পানি খালি পেটে খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হবে।
খেজুর এর উপকারিতা
*খেজেুরে রয়েছে প্রচুর প্রোটিন যা পেশি গঠন করে শরীরকে সুস্থ রাখে।এতে রয়েছে আয়রন যা হৃৎপিন্ডের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
*খেজুর দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করার পাশাপাশি রাতকানা রোগ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখে কারন এতে রয়েছে ভিটামিন বি১, বি২, বি৩ এবং বি৫*নিয়মিত খেজুর খেলে হাড়কে মজবুত ও শক্ত করে এবং শিশুদের মাড়ি শক্ত করতে ভুমিকা রাখে।
খেজুর খেলে ক্যানসারের ঝুঁকি কমে আসে।
*শিশুদের খাবারে রুচি ফেরাতে খেজুর বেশ উপকারী।
*খেজুর হৃদপিণ্ডকে সুস্থ্য সবল রাখে এবং রক্তচাপের জন্য খুবই উপকারী।
* শুকনো খেজুরের শতকরা ৮০ ভাগই চিনি যা সরাসরি রক্তে চলে যায়।
*রুচি বাড়াতে খেজুর দারুণ উপকারী। বাচ্চাদের খাবারে অনিহা থাকলে নিয়মিত খেজুর খেতে দিলে রুচি ফিরে আসবে।
* খেজুরে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও মিনারেল বিদ্যমান থাকার ফলে শরীরে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
কুমড়ার বীজ এর উপকারিতা
অমরা অনেকেই মিষ্টিকুমড়া এর বীজ খেতে পছন্দ করি।মিষ্টি কুমড়ার বীজ শুধু পুষ্টি মানে সমৃদ্ধ নয়, এতে রয়েছে প্রচুর ওষুধি গুণাবলী ও স্বাস্থ্য উপকারিতা । জেনে নেয়া যাক মিষ্টিকুমড়া এর বীজের উপকারিতা।
- বাতের ব্যথা দূর করে। মিষ্টি কুমড়ার বীজ হাড়ের সন্ধিস্থলে ভেঙে যাওয়া চর্বিসমূহের পরিমাণ বাড়তে বাধা দেয় ফলে বাতের ব্যথা কমিয়ে দেয়।অপরদিকে প্রাকৃতিক বস্তু হওয়ায় এর কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই
- কুমড়ার বিচিতে থাকা জিংক সহজেই কোমর, মেরুদণ্ডের হাড়সহ দেহের অন্যান্য হাড়ের ক্ষয় রোধ করতে বিশেষ ভুমিকা রাখে।
- মিষ্টি কুমড়ার বীজে ফাইটোস্টেলের পরিমাণ বাদামে চেয়ে দ্বিগুণেরও বেশি যা আমাদের দেহের রক্তের কোলেস্টেরল কমায়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিসহ ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।
- এতে রয়েছে প্রচুর জিংক যা আমাদের দেহের কোষ আবরণীর গঠন ও কার্যাবলী নিয়ন্ত্রণ করে। প্রজনন ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে এবং সুস্থ স্বাস্থ্যবান শিশুর জন্ম দেয়া।
- কুমড়ার বীজে প্রচুর আয়রন রয়েছে যা আমাদের দেহের লোহিত রক্ত কণিকা তৈরি ও মাংসপেশী গঠনে ভূমিকা রাখে। ফলে রক্তশূন্যতা বা এনিমিয়া রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
- শিশুর বৃদ্ধি, দুগ্ধদানকারী মা, খেলোয়াড়দের প্রতিদিন খাদ্যতালিকায় মিষ্টি কুমড়ার বীজ রাখা উচিত।
- মিষ্টি কুমড়ার বীজে রয়েছে প্রচুর ম্যাঙ্গানিজ মস্তিষ্ক ও স্নায়ুকোষ স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে।
- ডায়াবেটিস, হৃদরোগ ও বাতের ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে মিষ্টি কুমড়ার বীজ বিশেষ ভুমিকা রাখে।
- শরীরের হরমোনসমূহের কার্যাবলী নিয়ন্ত্রণ, হৃৎপিণ্ড সচল, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ, দৈহিক বৃদ্ধি, হাড় মজবুত করাসহ অনেক রোগের নিরাময় করে।
- মিষ্টি কুমড়ার বীজ থেকে উৎপন্ন তেল প্রোস্ট্রেট গ্রন্থির টিউমার নিয়ন্ত্রণে ভুমিকা রাখে। কেননা মিষ্টি কুমড়ার বীজে প্রচুর ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, জিংক ও ক্যারোটিনয়েড রয়েছে। যা প্রোস্ট্রেট গ্রন্থির টিউমার নিয়ন্ত্রণ করে।
mixed dry fruits (মিক্সড ড্রাই ফ্রুটস) এর উপকারীতা mixed dry fruits (মিক্সড ড্রাই ফ্রুটস) এর উপকারীতা mixed dry fruits (মিক্সড ড্রাই ফ্রুটস) এর উপকারীতা