মহান রবের দরবারে মানুষের সব চাওয়া পাওয়া। একমাত্র তার কাছেই যা কিছু প্রার্থনা করতে হবে। তিনি আমাদের সৃষ্টিকর্তা । তিনিই পারেন মানুষের প্রর্থনা কবুল করতে। যুগে যুগে কবি সাহিত্যিকগণ তারা প্রার্থনা কবিতা লিখেছেন। আজ আপনাদের জন্য তরুণ কবিদের এমন ১৮টি প্রার্থনা কবিতা তুলে ধরলাম। আশাকরি কবিতাগুলো আপনাদের ভালো লাগবে।
প্রার্থনা কবিতা আমার প্রার্থনা
–মোঃ জহিরুল হোসাইন খান নাছিম
যে গেছে চলে, সবকিছু ফেলে
হৃদয়ে মরুদ্যান তৈরী করে,
অামার প্রিয় মন, হারিয়ে সারাক্ষণ
খুঁজি তারে ফুঁসফুঁসের প্রতিটি স্তরে।
সে আসবেনা ফিরে, অভিমান ভরে
পৃথিবীর সবকিছু ছিল তার, যথেষ্ট ঘৃণার,
বুঝিনি কখনো কষ্টের বোঝা, হয়ে গেছে ভার
পারছেনা আর চলতে, কাউকে দেয়নি বুঝার।
কখনো বা দেখেছি ছলো ছলো আঁখি
প্রশ্ন করেও মিলেনি জবাব, সামলে নিয়েছে নিজেকে,
কী যে কষ্ট ছিল বুকে, কত যে ছিল শোকে
কোন ভালবাসাই পারেনি রুখে,আত্মহননের পথ থেকে।
আমার অবুঝ মন, ফিরে পেতে চায় যখন তখন
খুঁজিনাই কারণ, কেন আত্মহনন,
বুঝেছি শুধু স্রষ্টা তার, জীবন করেছে সংহার
কী আছে কার করার, যা কিছু ঘটে সবই তার আয়োজন।
সবকিছু বুঝি, তবুও অবুঝ মনে মারে উঁকিঝুঁকি
নানান প্রশ্নবানে নিজেকে বিদ্ধস্ত করে,
আমি জায়নামাজে বসে দু’রাকাত নফল নামাজ পড়ে
সকল পাপের ক্ষমা চেয়ে,অশ্রু ঝরায়ে নিজেকে রাখি সংবরে।
আমার প্রার্থণা, হে আল্লাহ যাকে নিয়েছ কেড়ে
আমার থেকে তোমার আশ্রয় নীড়ে,
সে নীড়টা যেন সুখে ভরা হয়, পাপাত্মার থাকেনা ভয়
থাকে যেনো বেহেস্তী হুরীদের ভীরে।
আরও পড়তে পারেন–সেরা ১০ টি কৃষক নিয়ে কবিতা
প্রার্থনা
হে প্রভু দাওগো সবার
জ্ঞানের দড়জা খুলে
তোমার কাছে চাইগো সহায়
হাত দুটি আজ তুলে।
সব কলমে দাওগো শক্তি
লিখতে তোমার বাণী
মন খুলিয়া এই ফরিয়াদ
করতেছি আজ আমি ।
আজ আসরে লিখবে সবাই
খুলতে জ্ঞানের দ্বার
সবার লেখায় ছন্দ দিও
হে খোদা পরোয়ার ।
আমরা সবাই নবীন লেখক
কবুল কর তুমি
এই প্রার্থনা তোমার তরে
করতেছি আজ আমি ।
প্রার্থনা
নার্গিস নাহার রুনু
পৃথিবী রূপ সাগর মাঝে
ভাসছে আমার তরি,
কোন ঘাটে নাও ভিড়বে আমার
শংকাতে যাই মরি।
পারাপারের কড়ি আমার
হয়নি কিছুই জমা,
কেঁদে মরি খালিক আমায়
করবে কিগো ক্ষমা!
প্রভুর দয়ায় বেঁচে আছি
নাজ নিয়ামত পেয়ে,
শোকর গুজার তাও করি না
আসছে সমন ধেয়ে।
ভবের লীলায় মজে দেহে
জ্বরা ব্যাধির বাসা,
হাড়ে হাড়ে জং ধরেছে
তাও মেটে না আশা।
চুল পেকেছে দাঁত নড়েছে
দেহের মাঝে ভাটি,
আকুল হয়ে দোয়া মাঙ্গি
ঈমান করো খাঁটি।
দুরু দুরু বুকে আশা
তুমি দয়ার আঁধার,
তোমার দয়া পেলেই হবে
পাড়ি অকূল পাথার।
আরও পড়তে পারেন-স্বাধীনতা কি ? স্বাধীনতা কবিতা
প্রার্থনা
যে আলোটা জ্বলতে ছিলো
সাহিত্যের এই ময়দানে ।
সে আলোটি না নিভিয়ে
দাও ছড়িয়ে সব খানে।
.
আমর ক’জন হাত তুলেছি
প্রভু তোমার দরবারে।
সকল কিছুর মালিক তুমি
সুস্থ করে দাও তারে।
.
সবই তুমি করতে পার
তোমার আপন ক্ষমতায়
বোনকে তুমি সুস্থ করো
আমরা আছি অপেক্ষায়।
তোমার কাছে এইতো চাওয়া
এইতো সবার অণুনয়।
দাও মুছে দাও সব হতাশা
দূর করর দাও যতো ভয়।
গভীর রাতে প্রার্থনা
রশীদ রওশান
কেউ আছো কি গভীর রাতে
রবের দ্বারে মাগফিরাতে
হাত উঠিয়ে কাঁদো,
এমন সময় আল্লাহ তা’য়ালা
দোর খুলে দেয় সকল তালা
উঠরে পাপি-সাধু।
.
জয় করে নে আল্লাহ-রাসুল
দিসনা তুই আর পাপের মাসুল
কামায় করো নেকি,
নেই জানা তোর দমের হিসাব
নয়ন খুলে ভাঙ্গরে কু-খাব
সাজবে বোকা সে-কী?
.
ফজর হলে মসজিদে যা
পাড়ায় পাড়ায় তাবলীগে যা
ডাকরে শিশু-নবীন,
ফজর শেষে তাছবীহ পড়িস
কুরআন-হাদীস সাহিত্য পড়িস
শ্রদ্ধা করিস প্রবীণ।
প্রভুর কাছে প্রার্থনা
-মুহাম্মাদ মাহমূদ হাসান রমজান
হে প্রভূ! মালিক-মেহেরবান
তুমি রহীম-রহমান,
তব দয়া অাজো সৃষ্ট মাঝে বহমান
বেঁচে অাছে তব দয়ায় এ অধমেরও প্রাণ।
অতুল্য তব নাম জাব্বার
যাচিব তব দ্বারে সালাম ‘ডাকবান’
তব কৃপা রাজ্জাক অফুরান।
মহা প্রলয়ে বলিবে তুমি, হে! পাপিষ্ঠ নরাধম
তব দ্বারে রয়েছে কী তিতিক্ষা অনুপম?
নিরোত্তর অধম…!!!
ত্রস্ত্র হৃদয়ে, অবনত শিরে… কহিব অধম
তব নাম হালিম নিরুপম।
ভিক্ষা যখন চাইবো ভিখারী
ক্ষমা ভিক্ষা দিও স্বামী।
করিলে রহম এ অধমে, কম নাহি হবে তবে
ধুয়ে নাও না প্রভূ মোরে, তব রহমত জলে।
তব রহমত পুঁজি করে
নরাধম যাবো তরে।
আমার প্রার্থনা
………এমআর রকি
আল্লাহ আমার সারা দেহে
দাওগো যদি ব্যাধি,
মনটা ভালো রেখো তোমায় –
ডাকতে নিরবধি।
দুঃখ শোকে আল্লাহ তোমায়
না যেন যাই ভুলে,
তোমায় যেন ডাকতে পারি
হাত দুটো সাই তুলে।
নিরাশ যেন না হই প্রভু
দিওগো মনে বল,
তোমার পায়ে ঢালতে দিও
সিজদায় চোখে জল।
যেন স্বীকার করি তোমার দয়া,
ওগো দয়াল – দয়াময়,
বিপদে যেন বিপথে না যাই
দিও জাহান্নামের ভয়।
খোদা রেখো আমায় হাসি মুখে
মরন আসেও যদি,
মনটা ভাল রেখো তোমায়
ডাকতে নিরবধি ।
প্রার্থনামূলক কবিতা
মাতাল ঈমাম
অকুলে অনলে তুমি রয়েছ যত
প্রণাম প্রভু তোমায় অবিরত।
শস্য শ্যামলে ভরা বসন্ধুরা
প্রাণীর হৃদয়ে প্রেমের দিয়েছ মহড়া।
সাগর পাহাড় নদী ঝর্ণা ধারা
আকাশের কালো মেঘে বৃষ্টি ঝরা।
সকালে উঠে রবি থাকে সারাদিন
রাতের আঁধারে আলোয় জ্যােত্স্নায়
রঙ্গিন।
সত্য প্রভু তুমি প্রেম বিলাসী
সুন্দর দেখিতে কত তোমার হাসি।
যেমন, ছোট্ট শিশুরা হাসে মায়ের
কোলে।
অবাক দেখিতে তোমায় বৃক্ষ ফলে
হাসিতে দেখেছি তোমায় ফুলে ফুলে
প্রণাম প্রভু তোমার পাদ্যমূলে।।
প্রার্থনা কবিতা
***শাফীন শাহেদ
তুলি দুই হাত;করি মোনাজাত
ওহে পর্ওয়ার দিগার,
আমি গুণাহ্গার;দিয়েছো তবু তুমি
রহমতের পয়গাম।
আমি নাফরমান;তবু তোমার দান
অরণ্যের শীতলতা,
সবুজ-শ্যামল ছায়ায়;জুড়ায় তবু
এই-অধমের প্রাণ।
আমি-হুকুমের গোলাম;তবু করি সদা
পাগলের প্রলাপ,
মিথ্যে অহঙ্কারে;ডুবে থাকি আমি
করছি অবশেষে-বৃথাই বিলাপ।
অবাধ্য আমি;তবু তুমি আমায়-করণি কভু
দিনের-আলো থেকে বঞ্চিত,
নেয়ামত ভোগের;শত ভাগের ভাগি আমি
দাওনি বাঁধা তবু-কিঞ্চিত।
খড়-তাপের হাহাকারে;চৌচীর ভূমিতে
দিয়েছো-শীতল বর্ষন,
শীতল করেছো মন;যদিও আমি-আমাকে
করিনি তোমাতে-অর্পণ।
পানি চাই-দিয়েছো পানি;আহার চাই
দিয়েছো তার সন্ধান,
তৃষ্ণার্ত হৃদয়;করেছো তৃপ্ত
করিবার পূর্বে আর্তনাদ।
দোলনা থেকে কবর অবদি;যত ছিল
একান্ত আমার চাহিদা,
ভোগ করেছি অনায়াসেই;ও প্রভূ
তোমার কত-শত নিয়ামাহ।
দিয়েছো কত কিছু;চাওনিতো কভু
কিঞ্চিৎ প্রতিদান,
ইবাদাতে মশগুল-থাকি যেনো
এই ছিলো তোমার-আহবান।
নিয়ামাহ খেয়েছি তোমার;চলেছি আমি
হরদম-উল্টো পথে,
কোন অধিকারে আজ ;চাইব ক্ষমা বল
তোমার দরগাতে?
তবু জানি তোমার নাম;রহমানুর রহীম
ওগো দয়াময়,
রহমতের দ্বার;খুলে দিও আমায়
যদি কভু তোমার-কৃপা হয়।
নাযাতের জন্য প্রার্থনা
::::::::::::::::আকলিমা
সকল প্রশংসা করি নিবেদন
তোমার শাহী দরবারে,
মুসলমান করে পাঠিয়েছ
তোমার বিশ্ব চরাচরে।
কত সুন্দর করে পৃথিবী
করেছ তুমি সৃজন,
তোমারই জন্য উৎসর্গিত
আমার গোলামীর আয়োজন।
সেইপথে চালাও আমায়
যা জান্নাতে গেছে চলে,
তাদের সাথী করে দাও
যারা তোমার পথে চলে।
শয়তানের ধোঁকায় পড়ে যেন
না করি সময় ব্যয়,
তোমার সন্তুষ্টিই শুধু
আমার উদ্দেশ্য হয়।
সহায় থেকো সকল সময়
আর নেই কোন শক্তি,
কঠিনদিনে সহজ করো
হাশরে দিও মুক্তি।
দ্বীনের পথে সাহসী হতে
ঈমান বাড়িয়ে দিও,
বিচার দিবসে ভালবেসে
আরশের ছায়াতলে নিও।
জাহান্নামের আগুন হতে
আমায় দিও নাযাত,
নিস্পাপ প্রান চাই
দিও মৃত্যুহীন শাহাদাত।
( আমীন)
খুকির প্রার্থনা
আমি একটা ছোট্ট খুকি
দেখতে যে ফুটফুটে ,
নামাজ পড়ে পড়তে বসি
ভোর বেলাতে উঠে ।
ওগো আল্লাহ আমায় তুমি
মস্ত জ্ঞানী বানাও
এই পৃথিবীর সকল কিছু
ভালোভাবে জানাও.।
সৃজন কারি ও রহমান
আমায় দয়া করো
আমি যেন তোমার ভবে
হতে পারি বড়.।।
আমার প্রার্থনা
অসহায়ের সহায় তুমি
তুমি আমার বল ,
দ্বীনের পথে রেখ আমায়
অটল অবিচল ।
একের পর এক আঘাত আসুক
ভেঙে যেন না পরি ,
ধৈর্য্য নিয়ে বেয়ে যাব
জীবন নামের এই তরী ।
ঝড়ে যেন না যাই ভেঙে
বাতাস না নেয় উড়িয়ে ,
দুঃখ নামের অগ্নশীখা
না দেয় আমায় পুড়িয়ে ।
পুড়তে যদি হয়ই প্রভু
সোনার মত পোড়ো ,
পুড়ে পুড়ে আমায় তুমি
খাঁটি সোনায় গড়ো ।
ঈমান আমার শক্ত করো
নড়োবড়ো নয় ,
বুকের মাঝে রেখ তোমার
কঠোরতার ভয় ।
আমায় তুমি আমার উপর ছেড়ে দিওনা ,
রহমতের ঐ দৃষ্ট তোমার
ফিরিয়ে নিওনা ।
চাওয়া আমার পূর্ণ করো
করো আমায় দান ,
দোজাহানের মালিক তুমি
সর্ব শক্তিমান ।।
আবুবকর মুহাম্মদ সালেহ’র প্রর্থনা কবিতা
প্রার্থনার শব্দ
অার একবার জ্বলে ওঠো প্রার্থনা
বাছা বাছা দুর্ধর্ষ শব্দগুলো খুঁজে খুুঁজেহ
তৈরী করো জ্বালাময়ী কবিতার হিংস্র উচ্চারণ।
তোমার পরতে পরতে
দানা বেঁধে উঠুক গনগনে ক্রোধ
সেই ক্রোধের অাগুনে পুড়িয়ে দাও বেদনার সমস্ত প্রাচীর
যারা ঠান্ডা মাথায় উল্লাস করে
তাদের ঠোঁট থেকে মুছে দাও দূর্বিনীত হাসির ঝলক।
অার নয় দু’হাত পেতে সবিনয় কোন নিবেদন
এবার ছুঁড়ে দাও অব্যর্থ যত শব্দের কার্তুজ
রক্তাক্ত করে দাও নিঃসংকোচে নির্লজ্জতার সকল নির্মাণ
ছুঁড়ে ফেলো ভিখারির মত হাত জোর করে দাঁড়িয়ে থাকার অবলম্বন।
দুঃসাহসে ভর করে ঝলসে উঠুক অনির্বাণ বিশ্বাসের সব লোকালয়।
দুর্ধর্ষ হও প্রার্থনা
চেয়ে দেখো যারা ড্রাকুলার মত রক্তপান করে
মাংস ঠুকরে ঠুকরে খেয়ে তৃপ্তির ঢেকুর তোলে
ক্ষুধার্ত শকুনের মত। আর অামাদের বানিয়েছে তাদের
ইচ্ছে অার অনিচ্ছার ক্রীতদাস
জাগো প্রার্থনা জাগো
অার একবার উদিত করো সূর্যের সমুজ্জ্বল প্রকাশ।
আমার প্রার্থনা কবিতা
— সোহেল রানা
পড়বো নামাজ নিয়ম মেনে
রাখবো রোজা রমজানে
সবার আগে সালাম দেবো
পথে ঘাটে সবখানে।
যাকাত দেবো নিয়ম মাফিক
লোভের বসে পড়বো না
খারাপ পথে আয় করে আর
অট্টালিকা গড়বো না।
পরের জিনিস নিজের ভেবে
বুক ফুলিয়ে চলবো না
সকাল বিকাল বানিয়ে আমি
মিথ্যা কথা বলবো না।
গরীব দুঃখীর থাকবো পাশে
থাকবে কোনো স্বার্থ না
রবের হুকুম মানবো সদা
এটাই আমার প্রার্থনা।
সুস্থতার জন্য প্রার্থনা
“”””””””””””””””””””””””””””””””
ই স লা ম ত রি ক
“”””””””””””””””””””””””””””””””
আল্লাহ তুমি সুখ ঢেলে দাও
সকল পরিবারে
অশান্তিটা দুর করে দাও
মন্দ পরিহারে।
:
পরিবারের ইচ্ছে অনেক
এই আমাদের ঘিরে
তাদের আশা দাও পুরে দাও
সকল কাজের ভিরে।
:
ছোট্ট থেকে এই আমাদের
করেছে যারা পালন
আখিরাতে সেই অছিলায়
করিও তাদের লালন।
:
আমার জন্য করেছে যারা
কষ্ট বুকে জমা
শেষ বিচারে আল্লাহ তুমি
করিও তাদের ক্ষমা।
(আমিন…)
একটি প্রার্থনা কবিতা
উম্মে হাবিবা
বর্ণিল জনপদে স্বর্নীল হৃদে,
গরমিল করে নাতো কিছুতে !
স্বপ্নীল মনে এসে অশ্লীল চাওয়া;
নামাতে পারে না তারে নীচুতে !
গগনের তলে আর অবনীর পরে;
যেই তরী বয়ে চলে সতত,
কলমের জোড়ে তার
পবনের বেগে-সর্বদা হই অনুপ্রাণিত !
তুফানের আঘাতে ভু-পাণে
চলি-দিশাহীন হই যবে নিরাশে,
ছুটে এসে সেইজন টুটে দেয় হতাশা;
ভরে দেয় মন শুভ পিয়াসে !
যে জনার এত গুণ সেই মোর নানা ভাই,
তরুনের মাঝে চির জাগরুক,
সকলের প্রিয়জন দখলের মাঝেও;
আমৃত্যু মুমীনের কাতারে থাকুক।
(আমিন)
কবিতা প্রার্থনা
এস জামান হুসাইন
সুখের দিনে তোমার শোকর
করি যেন আমি,
বিপদ এলে ধৈর্য দিও
তুমি অন্তর্যামী।
সহজ সরল পথে চালাও
নবীগনের পথে,
ভ্রষ্ট পথে না যাই যেন
ভ্রান্ত জীনের মতে।
দূর করিও চিন্তা মনের
মনের সকল বাঁধা,
ধাঁধাঁয় ভরা ধরার মায়ায়
না হই যেন গাধা।
সাহস দিও ভাল কাজের
আদেশ দেওয়ার তরে,
অসৎ কাজে বাঁধা দেওয়ার
শক্তি দিও মোরে।
পাপের বোঝা মাথায় নিয়ে
দিওনা গো মরন,
মরন কালে নসিব কর
শুধু তোমার স্বরন।
প্রার্থনা কবিতা
মাসুদুল ইসলাম ভূঁইয়া
বাবা হবার ইচ্ছে আমার
পূর্ণ করলেন রব,
শোকর হাজার প্রভুর তরে
যার দয়াতে সব।
ছেলে আমার মানুষ হলে
মনে পাবো সুখ
হাজার দুখে হাসবো সুখে
ভরে যাবে বুক
কবুল করো হে দয়াময়
ওগো আমার রব।।
হৃদয়ের মাঝে দিও কোরানের সুর
দিবাযামী শুনি যেন সুর সুমধুর
নিজ সুখ খোঁজে পাক মানুষের মাঝে
উদারতা থাকে যেন তার প্রতি কাজে
দ্বীনের পথে অটুট রেখো
মনটা রেখো খাঁসা
সহজ ভাবে বুঝে যেনো
মানুষ তারই ভাষা
কবুল করো হে দয়াময়
ওগো আমার রব।