ধর্মপরায়ণা নারী সাংসারিক পদার্থ নহে, পারলৌকিক সৌভাগ্যের একটি উপকরণ। এই পৃথিবীর যত কল্যাণকর অর্ধেক করিয়াছে নারী আর অর্ধেক নর। এভাবে অনেক কিছু লেখা হয়েছে নারীকে নিয়ে। আজ আপনাদের জন্য নিয়ে এলাম চমৎকার ১৪টি সেরা নারী কবিতা । আশাকরি প্রতিটি কবিতা আপনাদের ভালো লাগবে।
সেরা নারী কবিতা জাগো নারী
——- নারী——
মিছিল মিটিং পোষ্টারে নয়
দিবস কিংবা রেস্তরাঁয় নয়
হোটেল মোটেল পার্কে নয়
বিজ্ঞাপন আর নগ্নতায় নয়
জাগো নারী জাগো …
——–নারী——
জানতে কি চাও কেমন হবে
তোমার অধিকার ?
ভুবন জুড়ে তোমার উপর
কেন অবিচার ??
জাগো নারী জাগো ……
——–নারী——–
অর্থ সহ আল কুরআন
বুঝতে তুমি থাকো।
অমূল্য এক রতন তুমি
ঢেকে তোমায় রাখো।
জাগো নারী জাগো …..
——–নারী——-
স্রষ্টা তোমায় সব কিছুতে
দিয়েছে বেশী সম্মান ,
দুষ্ট চালে নারী কূলের
করোনা অপমান ।
জাগো নারী জাগো ……
——–নারী——-
মোহে পড়ে নষ্ট ফাঁদে
ওরা তোমায় ডাকছে,
যুগ বদলের দোহাই দিয়ে
নষ্ট স্রোতে ভাসছে।
জাগো নারী জাগো ……
——–নারী——-
মায়ের জাতি নারী তুমি
হীরে মুক্তো মণি ,
হবেনা আর ভোগের পণ্য
থাকবে সোনার খনি।
জাগো নারী জাগো ……
জয়নব জোনাকি।
আরও পড়তে পারেন–আমার ভুল হয়েছে, ভুল নিয়ে উক্তি, স্ট্যাটাস, বাণী
নারী প্রেমের কবিতা
–আলানূর হোসাঈন
নারী প্রেমের কবিতা তোমার,
দেখেছি কত শত।
নষ্ট ছেড়ে মানব প্রেমে
হও বন্ধু আজ রত।
কি এমন সুখ পাচ্ছ তুমি
কাল করিয়া ক্ষয়।
খোদার দেয়া জ্ঞান প্রতিভা
করছ যে অপচয়।
নারী পূজা তোমার মনে
করছ মহা পাপ।
প্রভুর প্রেমে ফিরে আস
কর ভাই অনুতাপ।
খোদার দেয়া নেয়ামত খেয়ে, গাইছ নারীর গান।
নারী প্রেমের কবিতা লিখে
ভুললে প্রভুর দান!
হয়তো তোমায় বলবে ভালো, নষ্ট হৃদয় যার।
অশ্রাব্য কাব্য তোমায়
করবে যে ছারখার।।
নারী ছাড়া এই জগতে,
হয় না বুঝি লেখা?
শয়তান চোখে নারী ছাড়া
পাওনা কভু দেখা??
হাজার হাজার কাব্য লেখার, প্রভুর উপাদান।
তাই ছাড়িয়া নষ্ট কাব্যে
হয়েছ পেরেশান।
সেরা নারী কবিতা
বিদ্রহী নারী
—–আলানূর হোসাঈন
আমি এক নন্দিনী, ক্ষত বিক্ষত আত্মা,
আমি এক বিষাক্ত নিঃশ্বাস, ধ্বংস পাপিষ্ঠের।
আমি এক স্বপ্ন চুর্ণ হওয়া, জীবিত লাশ,
আমি নীড় হারা কন্যা, কোনও মানুষের।
আমি এখনও চেয়ে থাকি, নীল আকাশের পানে।
আমার সুখের কথা গায়, পাখিরা গানে গানে।
আমার হাসির সূর্য্য ওঠে, নিত্য পূব দিগন্তে।
আমার বিজয়ের সুর বাজে, সাগরের কলতানে।
ভেবেছ আমি রক্তে মাংসে, এখনও বেঁচে আছি?
ভেবেছ আমি তোমাদের, খুব কাছাকাছি!
ভেবেছ আমি সবচেয়ে, মহা সুখি এই জগতের!
ভেবেছ আমি সুখি নারী, কোনও এক পুরুষের!
আমার হৃদয় করেছে ছিন্ন, ঐ কাপুরুষ মানব শয়তান।
আমি এক পরাজিত নারী, যৌতুকের নির্মম বলিদান।
আমার কান্না কেউ শোনে না, এই নিষ্ঠুর সমাজের।
আমার রক্তাক্ত আত্মা, শুধু অভিশাপ দেয় তাহাদের।
আমার মত আর্ত্মানাদ করে, কত অসহায় অবলা কন্যা।
জীবন বিনাশ করেছে কত হৃদয়ে বয়েছে শত ঝড় বন্যা।
কত বাবা মা কন্যা হারিয়ে, কেঁদে কেঁদে আজ নয়ন করেছে অন্ধ।
কত নারীর সংসার ভেঙ্গে যায়, চলে নিত্য কলহ দ্বন্দ।
আর নয় এবার সত্যের দিপ্ত মশাল ধর, হে সত্য সন্ধানী তরুনী।
ধর্মের আলোয় আলোকিত কর, মূর্খ মানব সমাজ যামীনী।
আপন মহিমা বিকশিত কর, শিখবে ভগিনী যারা পশ্চাতে।
আপন সম্মান অটুট কর, কোনও পুরুষ পারবে না হীন করিতে।।
নারী জাতি
স্বপ্নীল কর
তোমার দাসি নয় সে
অধাঙ্গিনী প্রিয়া,
নারী করলো লালন-পালন
তোমায় জন্ম দিয়া।
নারী তো মানুষেরই সন্তান
রাখো ঘরে বন্দি,
তার স্বাধীনতা কেড়ে নিতে
করো নানা ফন্দি।
নারী তো নয় বোঝা কারো
নারী প্রভুর কৃপা,
তবে কেন নারীর উপর
থাকো পুরুষ টেন্ডা।
এই দুনিয়ার বাস্তবতার মাঝে
চলা বড় দায়,
আপদে-বিপদে নারী জাতি
দেবী হয়ে দাঁড়ায়।
মায়ের পায়ের নিচে স্বর্গ
জেনে রেখো ভাই,
সকল নারী কে ভাই
সম্মানের চোখে দেখতে চাই।
নারী
………..এমআর রকি
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
এই নারী শোন তুই
খাড়া করে কান,
খোঁচা পেলে করিস না
না বুঝার ভান।
সহজ ভাষায় লেখা
তোর কিছু ছল,
বিবেক দিয়ে পড়
চোখে আসবে জল।
মায়ের জাতী তুই
সৃষ্টির সেরা,
তোর পায়ে পুজো দেয়
দেব..দেবতারা।
স্বর্গের দরজা খোলে
তোর পদাঘাতে,
নরক তালার চাবি
রাখা তোর হাতে।
ভগবান আর যদি
সিজদা না চায়,
বিশ্ব সিজদা দিবে
শুধু তোর পায়।
আর তুই কিনা বাঁকা ঠোঁটে
হাসি দিস মেলে
চুম্বন খুঁজিস তোর
মনহারী গালে।
পায়ে বেধেঁ নুপুর দিস
রুনুঝুনু লম্ফ,
ছলনায় মাতিয়া ছুটছিস
দিস যৌবনে কম্প।
ঠাকুরও চোক্ষু মেলে
দেখে তোর উচ্ছ্বাস,
তোর বুকে মুখ রেখে
নিতে চায় নিশ্বাস।
বোকা নারী শোনরে
থাক তুই লুকিয়ে,
স্রষ্টার মতো করে
সৃষ্টি তে মিলিয়ে।
দেহ তোর দুস্প্রাপ্য
অমুল্য রত্ন,
ঢেকে রাখ আবরণে
করে অতি যত্ন।
আদর সন্মান পাবি
পাবি তুই মমতা,
তোর পায়ে ফুল দিবে
নরান্তক দেবতা।
কি ভাবছিস লুকালে
হারাবি তোর অধিকার?
পারবিনা কোন দিন
মাথা তুলে বাঁচিবার?
উলঙ্গ হয়েইবা
কি পেলি এতদিন?
এসিড দগ্ধ দেহ ..
যৌবন জড়াজীন..!
কুকুর ওতো আদর পায়
পায় বেশ সন্মান,
তোর সাথে কুকুরের
কোই আর ব্যবধান ..?
ভাবছিস তোকে নিয়ে
বারাবারি করছি,
ঠিক নয়, আমিওতো
তোর হয়েই লড়ছি।
তোকে যখন ছিড়ে খায়
হিংস্র শকুন দল,
আফসোস করা ছাড়া
আর নেই সম্বল।
ভাবছিস পুরুষরা
প্রতিবাদে ব্যর্থ,
তবে তোর জানা নেই
প্রতিবাদের অর্থ।
প্রতিবাদ মানে কি
নোংরামির প্রশ্রয়,
নগ্ন দেহ মনে
পেশী তলে আশ্রয়।
এই নারী বলি তোরে
মন দিয়ে শোন,
হয় তুই কারো মা
না হয় কারো বোন।
আমিতো পুরুষ জাত
আল্লাহর দোস্ত,
খেয়েছে আল্লাহ আমার
শরীরের গোস্ত।
কি ভাবছিস নিজেকে
বড়ই এক রূপসী?
সত্যি একারনেই
ছেলেরা তোর তপস্বী।
কতদিন আর থাকবে
তোর এই গর্ব
একদিন হয়ে যাবি
পচা লাউ থর্ব।
মা ডেকে তোরে আমি
দেই যদি কষ্ট,
বল দেখি কি করে
মন থাকে তুষ্ট।
ইচ্ছে হয় নাআর
দেখতে তোর পরাজয়,
তুইতো বিশ্বজয়ী
বাসন্তী নিশ্চয়।
নবী রাসুল মহাপুরুষ
তোর পেটেতেই সৃষ্টি,
কোরআন গীতা বেদ বাইবেল
তোর চোখের দৃষ্টি।
তাই বলি আর নয়
নে পরিবর্তন,
হয়ে থাক মহাদেবী –
প্রিয়া – মা – কিম্বা বোন।।
——-
১ম ৪ চরন– নারী কি,
২য় ৪ চরন– নারী নির্যাতিত,
৩য় ৪ চরন– নারী জাগারণ।
“নারীতে নম”
—রাসেল কবির
নারী নহে নিছক নীরব,
নারী নহে নৃত্যরত নৃপী।
নারীতে নিহিত নবগ্রহ,
নারীতে নরের ন্যায়নীতি।
নিত্য নারী নৃশংসিত নীড়ে,
নিত্য নারী নির্যাতিত নরে।
নর নেত্র নিঙরাচ্ছে নারীদেহ,
নিশি-গন্ধা নামে নাসারন্ধ্রে।
নঁহু নত নারী নরাধম নমে,
নিদ্রাভাঙ্গ ন্যায়নীতি নামে।
নেও নামা নিদ্রা নিশিতে
নারীদেহ নহে ন্যাস্ত নরাধমে।
নারী
-ফাতেমা জাহান লুবনা
রাতের আকাশে না থাকে যদি চাঁদের জোছনা,
আকাশটা তবে মনে হয় যেন আঁধারের বিছানা।
সূর্য তার আলো বিলায় চাঁদের বুকে,
রাত-দিন ধরণীকে আলো করে রাখে।
সূর্যের তেজে থাকে পৃথিবী কর্মময়,
ক্লান্ত পৃথিবী চাঁদের স্নিগ্ধ কোলে ঘুমায়।
না থাকলে চাঁদের প্রতি সূর্যের ভালোবাসা,
পৃথিবী ক্লান্ত হত-
কর্মে পরিশ্রান্ত হত-
রন্ধ্রে রন্ধ্রে ছড়াত হতাশা।
বিধাতা সৃজিলেন মাটি হতে আদম(আ),
স্বর্গদেশে সুখ-শান্তি ছিল না তো কম।
এত সুখের মাঝেও তবু সঙ্গীর অভাব,
শূণ্যতায় হৃদয়ে পড়ে দুঃখের প্রভাব।
আদমের(আ) বাঁ পাঁজর হতে বিধাতা সৃজিলেন হাওয়া(আ),
পূর্ণতার পরশে পূর্ণ হল আদমের(আ) সুখের স্বর্গ পাওয়া।
নারী হল পুরুষের তরে বিধাতার দান,
উত্তম ব্যক্তিরাই করে নারীদের সম্মান।
খুশি হলে স্রষ্টা কোন বান্দার পরে,
কন্যা শিশু পরিবারে জন্মগ্রহণ করে।
কন্যাকে সঠিকভাবে গড়লে পিতা,
স্বর্গে নিবেন তাকে স্বর্গের বিধাতা।
উত্তম সেই হয় এই ধরণী তলে,
মন থেকে স্ত্রী যাকে উত্তম বলে।
নারী যখন মা হয় তার পদতলে বিছানো জান্নাত,
মায়ের সস্নেহ শিক্ষায় আসে সন্তানের তরে সুপ্রভাত।
নেককার নারী পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সম্পদ,
নারী হল পুরুষের তরে বিধাতার আর্শীবাদ।
যে পুরুষ করবে নারীকে অসম্মান,
পণ্ড হয়ে যাবে তার বিদ্যা-বুদ্ধি-জ্ঞান,
প্রজ্জলিত হবে তার তরে নরকের আগুন।
নারী হে
Md Yasir Irfan
নারী হে,
আমি তোমায় বলবো না-
তুমি স্বাধীন মতে চলো না,
ইচ্ছে মত সজ্জায় নিজেরে সজ্জিত করো না,
পোষাকের বাহারে ম্যাচিং অলংকারে
প্রসাধনী মেখে, আপনারে প্রকাশ করো না ।
আমি তোমায় এমন, কিছুই বলবো না ।
নারী হে,
আমি তোমায় আগ বাড়িয়ে বলতে যাবো না-
তুমি ভোগবাদী মতাদর্শে মত্ত হয়ো না,
দেহ প্রদর্শনের অসুস্থ প্রতিযোগিতায়
মেতে উঠো না,
অশালীন বসনে অনিয়ম চলনে
ঐশী বিধানের বিপরীত করো না,
অনাচার, তোমার যে ধাতে সইবে না ।
আমি এসবের কিছুই বলতে যাবো না ।
নারী হে,
আমি অখন্ড মনযোগে বলতে যাবো না-
নষ্ট মানুষদের ভ্রষ্ট কথা তুমি শোন না,
মিথ্যা স্বাধীনতার বোলে তুমি ভোল না,
প্রগতির নামে অশ্লীলতার পথে যেয়ো না,
নিরাপত্তা ভুলে পাপাচার গ্রহন করো না,
শান্তির বদলে অশান্তি ডেকে এনো না,
স্বাধীকারের আদলে ভ্রমের ধ্বংসলীলায় যেয়ো না,
ঘোরের এমন নেশায় তুমি মেশো না ।
এমন কোন বারণ
আমি তোমায় শোনাব না ।
আমি দূর্বল, আমি অধম, আমি অতি ক্ষুদ্র
কেমন করে শোনায় তোমায় সংযমের মন্ত্র !
আমারই দৃষ্টিতে সংযম নেই,
বিধান তো আমার জন্য এসেছিল
তোমারও আগেই ।
আমিই যে সংযম মানি না,
পর্দা করি না,
নারী হে, কিভাবে তোমায় বলি-
তুমি অশালীন চলো না ?
না, আমি বলতে পারবো না !
এত বড় অবিচার, এমন দ্বৈতনীতি
আমার দ্বারা হবে না ।
সঙ্কোচে সংকুচিত হয়ে
মাতা-ভগ্নী-কন্যা সম সকল নারীকূলে-
উপদেশ নহে, অনুরোধ-উপরোধও নহে
কেবলি মিনতি জানাই ।
সংযমের ভূষনে, শালীন চলনে
সম্মান-সৌন্দর্য্য দুই-ই যে বৃদ্ধি পায় ।
“নারী তুমি”
নাছির বিন ইব্রাহীম ——-
বীভৎস বিবসনা হয়ো না গো নারী
হয়ো না গো ক্ষুধাতুর হিংস্রের টোপ,
ভোগ্য বস্তু ভেবে, যেন শিকারী
নাহি যেন দিতে পারে বিষাক্ত কোপ।।
–
বিকশিত হও নারী ফুলের মতন
বিস্ময়ে বিমোহিত হয় যেন ধরা,
বিকানো না হয় যেন তোমার রতন
ধিক্কারো তারে যে পাপাচারে ভরা।।
–
সুমিষ্ট হতে পারো সৎ সংস্রবে
সুশোভিত করে তুলো সুখে সংসার,
সুললিত নেই হতে বাঁধা এই ভবে
হয়ো না নারী তবে মাল সওদার।।
–
পরাধীন না হই হও পরশ পাথর
পরিহার করো তবে পঙ্কিল পথ,
পাঁকে পড়ে ফের যেন না হও কাতর
ঝেটে করো বিদূরিত প্রগতির মত।।
–
খাপ খাও কাক যেন খোরাক ভেবে
শকুন কাবাব বুঝি দেয় কাড়া কাড়ি,
কল্যাণী হও নারী সাবধানে তবে
ক্ষতি আর লাভ বুঝে পথ দাও পারি।।
–
বিদূষীনী হয়ে যাও বিদ্ধেষী নয়
বিতন্ডা করে শুধু কাটিও না বেলা,
বিধাতার বিধি যেন না হয় বিলয়
বিভাজনে অহেতুক করিওনা হেলা।।
–
ধার্মিক হও নারী ধর্মান্ধ নহে
ধিকৃত না হই হও ধরায় ধীমান,
ধাপপায় পড়ে যেন কবু নাহি বহে
মজবুত করে গড়ো তোমার ঈমান।।
নারী নির্যাতন
-ফাতেমা জাহান লুবনা
মা-বোন-বধু আরো কত নামে,
নারী বাঁধে সংসার মমতার দামে।
মমতার বিনিময়ে নারী পেলে নির্যাতন,
ঘরে ঘরে কি করে ছড়াবে মানিক রতন?
মানবতার দুয়ার খুলে বন্ধ করো নির্যাতন,
আলোয় আলোকিত হোক নারীর ভুবন।
নারী পাক তার মানবিক অধিকার,
নারী-পুরুষ পৃথিবীতে সবার সমধিকার।
পুরুষ থাকে বাইরে উপার্জনে ব্যস্ত,
সংসারের দায়িত্ব নারীর উপর ন্যস্ত।
নারী-পুরুষ মিলেমিশে করবে কাজ,
গড়বে তবে এক মঙ্গলময় সমাজ।
নির্যাতনের কবলে হলে নারীর জীবন নষ্ট,
জাতি তবে কেমনে হবে বিশ্ব মাঝে শ্রেষ্ঠ ???
নারী-পুরুষ শত্রু নয়- বন্ধু পরস্পরে,
নারী নির্যাতন শব্দখানি যাক মুছে চিরতরে।
নারী কবিতা
——————–শাহিন ইসলাম
০৮/০৩/১৭ ইং
নারীজাতি সেরাজাতি
মহা তার মূল্য,
এ ধরায় নেই কিছু
তার সমতুল্য।
কাপুরুষে নারীদের
দেয় যত পীড়ন,
বুঝেনা সে নারীজাতি
সুখেরই কিরণ।
নারী পারে পৃথিবীটা
প্রেমদিয়ে সাজাতে,
নরকের ঢোলটাও
সেই পারে বাজাতে।
কালেকালে নারী আজ
ভুলপথে বসেছে,
অধিকার আদায়ের
ভ্রমনামা কষেছে।
জগতের মাঝে আজ
নারী কেনো পণ্য?
সমতার নামে কারা
করলো নগণ্য?
হতভাগা নারী তার
মূল্যটা বুঝেনা,
মর্যাদা কোথা আছে
ভুলেও সে খুঁজেনা।
নারী তার ফিরে পাক
অধিকার-শান্তি,
দূর হোক অমানিশা
যতসব ভ্রান্তি।
উঠুক নারী জেগে
মোঃনূরুল ইসলাম রাকিব
নারী জাতির কতো খাতির
আঁধার ঘরে আলো বাতির
যতন করো আগে,
ভালোবাসায় কাঁদা হাসায়
সকল সেবা করে ভাসায়
রাত দিবসে জাগে!
মা বোন ভাবী মনের দাবী
বধূ কন্যা ঘরের চাবী
বৃদ্ধা দাদী নানী,
বিয়ান খালা ফুপুর পালা
ননদ নাকি জানের জ্বালা
সবাই নারী জানি!
নাতনী আছে ভাস্তি পাছে
বউটা ছুটে জায়ের কাছে
থাকলে সবে মিলে,
উৎসবেতে থাকবে মেতে
দারুণ রবে আনন্দেতে
খুশী সবার দিলে!
বাড়ির কাজে সকল রাজে
ভালোবাসায় আপন সাজে
মায়ার প্রেমে বাঁধা,
খাবার ভাগে সবার আগে
বলতে হবে দারুণ লাগে
মায়ের হাতে রাঁধা!
কাটুক বেলা নয়তো হেলা
বন্ধ করো পাপের খেলা
উঠুক নারী জেগে,
মুখোশধারী অত্যাচারী
কিংবা আছে দু’নম্বারী
যাক না সবে ভেগে!
রাজশাহী, বাংলাদেশ।
কবিতা নারী
আ/র/জু আ/হ/মে/দ নো/মানী।
================================
নারী তুমি জীবন সাজাও বোন ফাতিমার মত,
জীবন জুড়ে দুঃখ-কষ্ট আসে আসুক যত।
চরিত্রবান হতে চাইলে মা আয়েশা হও,
সমাজে তুমি সম্মানিয়া তুচ্ছ কেহ নও।
ধৈর্য্যশীলা নারীর শিক্ষা পাবে আসিয়ার কাছে,
যুগযুগান্তরের এই ইতিহাস সামনেই পড়ে আছে।
দানশীলতার সবক পাবে মা খাদিজার কাছে,
শিক্ষানুরাগির যত গুন মা হাফসার আছে।
নারী তুমি হেলার নও তুমি হলে মাতা,
সম্মান আর মর্যাদাতে তুমি পুরুষের মাথা।
ইসলাম তোমায় সম্মানিয়া করেছে ধরার মাঝে,
সেটা ফেলে কোথায় ঘুরছো সকাল দুপুর সাঁঝে?
আদর্শ নারী নবী নন্দিনী উম্মুল জননীদের রেখে
কার কাছে গিয়ে নারীরা সব আদর্শের সবক শেখে!
মুসলিম নারীরা হল বেসামাল পায়না খুঁজে দিক,
হে মুসলিম নারী তুমি ছুটনা দিকবিদিক।
চেয়ে দেখ তোমার সামনে আদর্শের ছড়াছড়ি,
মিছে কেন তুমি আদর্শ কিনতে ঢালছো টাকাকড়ি।
তুমি নও কোন লক্ষ্মী দেবী নও নারায়নী,
তুমি মুসলিম বিরঙ্গনা তুমি জয়ধ্বনি।
তুমি নও কারো দাসী নও ভোগবিলাসের পন্য,
তুমি মুসলিম নারী কন্যা,জায়া,জননী তুমি ধন্য।
‘ জন্ম
জন্মান্ত’ রে নারী’ ~
আইনুল হোসেন সানু ~
নারী’র প্রতি
শ্রদ্ধা’ভক্তি নহে সে’ ক্ষণিকের —
রেখো তা’ মনে আজন্মকাল
জন্ম জন্মান্তরে —
নারী’ কেবল নয়’ কো মাতা
নারী’ পিতাও বটে,
অন্তর্ধানে যখন পিতা কিংবা অন্তরালে
জেনো’ মাতা ই সর্বখানে !
মাতা ওষ্ঠে
পিষ্ঠে মাতা আগলে সদা’ বুকে
সকল ব্যথার মালিশ মাতা
যখন ই ব্যথা পেলে !
শুরু থেকে শেষ —
মমতাময়ী সে’ বেশ
খেলার সাথী মাতা তোমার
মাতা’ ই প্রথম বোলে !
মাতার মত
প্রেরণা ময়ী কে’ বা এ’ জগতে —
সর্ব সুখী সেই সে’ জন
মাতা যাহার আছে ত্রি’ ভূবনে!
নারী’ মাতা
ভগ্নি নারী’ জেনো নারী’ পিতাও বটে —
কন্যা যায়া জননী নারী’
সকল সুখে দুখে !!
অনেক শ্রদ্ধা
প্রাপ্তি আশে ব্যথায় করো দান !
হারিয়ে পেতে ব্যথার সুখে
কখনও অভিমান !!
লাকসাম, ৮ -মার্চ’ ২০২১