হজ্জ ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি স্তম্ভ । আর্থিক সামর্থ্যবান প্রত্যেক মুসলমানের জন্য হজ্জ পালন করা ফরজ। আজকের আর্টিকেলে হজ্জ সর্ম্পকিত প্রতিটি বিষয় তুলে ধরা হলো।
তালবিয়া পাঠের ফযীলত ও নিয়ম
হযরত সাহল ইবনে সা’দ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবী করীম (সাঃ) এরশাদ করেছেন, কোন মুসলিম যখন তাবিয়াহ্ পাঠ করে, তখন তার ডানে-বাঁমে, পূর্ব- পশ্চিমে দৃষ্টির শেষ সীমা পর্যন্ত গাছপালা, পাথর-কঙ্কর ও মাটির ঢেলা সবকিছু তার সাথে তাবিয়াহ্ পড়তে থাকে । –তিরমিযী, ইবনে মাজাহ্, মিশকাত, হা/২৫৫০
উমরাহ্ বা হজ্জ-এর নিয়ত করার পর তাবিয়াহ্ পাঠ করবেন । পুরুষগণ উচ্চঃস্বরে আর মহিলাগণ নিম্নস্বরে পড়বেন । এটাও হজ্জ-এর একটি নিদর্শন ও প্রতীক । মসজিদে হারামে প্রবেশ করার সাথে সাথে তাবিয়াহ্ পাঠ বন্ধ করে দিবেন। আবার যিলহজ্জ মাসের ৮ তারিখ থেকে হজ্জ-এর নিয়ত করার পর থেকে ১০ই যিলহজ্জ মীনাতে এসে ‘জামরাতুল আকাবাতে’ পাথর নিক্ষেপ করার পূর্ব পর্যন্ত তাবিয়াহ্ পাঠ করবেন ।
হজ্জ গাইড- হজ্জ , হজ্জের ফরজ কয়টি , হজ্জের নিয়ম পর্ব-০১
তালবিয়া মাসায়েল
১. ইহ্রাম বাঁধার সময় তাবিয়াহ্ মুখে উচ্চারণ করা জরুরী । যদি কেউ মনে মনে পাঠ করেন তবে ইরাম হবে না ।
২. ইহ্রাম বাঁধার পর অধিক হারে তাবিয়াহ্ পড়া মুস্তাহাব ।
৩. তালবিয়াহ পাঠের সময় কথা-বার্তা না বলা বাঞ্চনীয় ও তাবিয়াহ্ পাঠরত ব্যক্তিকে সালাম দেয়া মাকরূহ ।
৪. একাধিক ব্যক্তি একসাথে থাকলে তাবিয়াহ্ সমস্বরে পাঠ না করে পৃথকভাবে পাঠ করতে
হবে ।
৫. পুরুষদের উচ্চস্বরে ও মহিলাদের নিজে শোনা যায় এরূপ নীচু স্বরে তাবিয়াহ্ পাঠ করতে হবে ।
তালবিয়া কখন পড়তে হয়
তালবিয়া পর করণীয়
তালবিয়াহ শেষ হওয়ার পর নবী করীম (সাঃ)-এর ওপর দরূদ পাঠ করা মুস্তাহাব। তাবারানী শরীফের একটি হাদীসে আছে, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) তাবিয়াহ্ পাঠ শেষে আল্লাহ্ তা’আলার কাছে নিজের গুনাহ্ মাফের জন্য এবং তাঁর সন্তুষ্টি লাভের জন্য দু’আ করতেন। মানুষের অনিষ্ট থেকে তাঁর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করতেন ।
হজ্জ ও উমরাহ্-এর নিয়ত ও দু’আ
‘নিয়ত’ শব্দের অর্থ হচ্ছে মনে মনে ইচ্ছা পোষণ করা বা সংকল্প করা । তিন প্রকার হজ্জ-এর মধ্যে যিনি হজ্জে তামাত্তু’ করার সংকল্প করবেন, তিনি প্রথমত উমরাহ্ আদায়ের জন্য ইহরামের নিয়মনীতি পালন করে ইরামের কাপড় পরে স্বশব্দে মুখে উচ্চারণ করে নিম্নোক্ত দু’আটি পড়বেন —
হজ্জ ও উমরাহ্ গাইড
তালবিয়া বাংলা
لَبَّيْكَ اللهُمَّ عُمْرَةً
উচ্চারণ ঃ লাব্বাইকা আল্লাহুম্মা উমরাতান । অর্থ ঃ হে আল্লাহ্! আমি উমরার জন্য তোমার দরবারে উপস্থিত হয়েছি ।
২. আর হজ্জ-এর সংকল্প করলে বলবেন– لبَيْكَ اللهُمَّ حَجا
উচ্চারণ ঃ লাব্বাইকা আল্লাহুম্মা হাজ্জান । অর্থ : হে আল্লাহ্! আমি হজ্জ-এর জন্য তোমার দরবারে উপস্থিত হয়েছি ।
لبَيْكَ اللهُمَّ عُمْرَةً وَحَجًا উচ্চারণ ঃ লাব্বাইকা আল্লাহুম্মা উমরাতান ওয়া
৩. যিনি হজ্জে ক্বিরান করবেন তিনি বলবেন– হাজ্জান । অর্থ : হে আল্লাহ্! আমি উমরাহ্ ও হজ্জ-এর জন্য তোমার দরবারে উপস্থিত হয়েছি ।
৪. বদলী হজ্জ-এর সংকল্প করলে বলবেন– لبَيْكَ اللهُمَّ حَبًّا عَنْ
উচ্চারণ ঃ লাব্বাইকা আল্লাহুম্মা হাজ্জান আন. এটা বলে যার জন্য বদলী হজ্জ করবেন তার নাম উচ্চারণ করবেন ।
অর্থ : হে আল্লাহ্! আমি…… এর পক্ষ থেকে বদলী হজ্জ করার জন্য তোমার দরবারে উপস্থিত হয়েছি ৫. হজ্জ ও উমরাতে বাধাপ্রাপ্ত হওয়ার আশংকা হলে দু’আটি পড়বেন–
فَإِنْ حَبَسَنِيْ حَابِسٌ فَمَحَلَّيْ حَيْثُ حَبَسْتَنِيْ উচ্চারণ ঃ ফা-ইন হাবাসানী হাবিসুন ফামাহাল্লী হাইসু হাবাসতানী
অর্থ : যদি আমার (হজ্জ ও উমরাহ্ পালনে) কোন কিছু বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়, তাহলে যেখানে আমি বাঁধাগ্রস্ত হব, সেখানেই আমার হালাল হওয়ার স্থান হবে । –বুখারী, হা/৫০৮৯, মুসলিম, হা/২৯০৩ এ দু’আ পড়ার পর কেউ যদি কোন সমস্যার জন্য উমরাহ্ বা হজ্জ করতে না পারেন, তাহলে তার কোন দম বা কাফফারা দিতে হবে না । আবার সুবিধামত সময় ইরামের নিয়ত করলেই চলবে ।

আরও পড়তে পারেন–ঈদুল আযহা নিয়ে ৭টি ইসলামী গান রিলিক্স
কা’বা শরীফে প্রবেশ ও তাওয়াফ
আসবাবপত্র নিরাপদ স্থানে বা হোটেলে রেখে গোসল করে ধীরস্থিরভাবে কা’বা শরীফে যাওয়া, কা’বা শরীফে বা মসজিদুল হারামের চত্বরে পৌঁছে তাবিয়া পড়া বন্ধ করে দিতে হবে এবং কা’বা শরীফে প্রবেশের সময় বিনয়ের সাথে ডান পা রেখে নিম্নোক্ত দু’আ পাঠ করুন ঃ اللهُمَّ افْتَحْ لِي أَبْوَابَ رَحْمَتِكَ
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মাফ্তাহ্ লী আবওয়াবা রাহ্মাতিক অর্থ : হে আল্লাহ্! আমার জন্য আপনার রহমতের দরজাসমূহ খুলে দিন । –মুসলিম, মিশকাত, হা/৭০৩ ফরয নামাযের সময় কাছাকাছি হলে প্রথমত ফরয নামায আদায় করে নিবেন। অন্যথায় বিলম্ব হলে সরাসরি তাওয়াফ শুরু করে দিবেন । তাহিয়্যাতুল অযু বা দুখুলুল মসজিদ হিসেবে কোন নামায পড়তে হবে না ।
তাওয়াফ-এর সংজ্ঞা
হজ্জ বা উমরা ইচ্ছা পোষণকারী প্রত্যেক ব্যক্তিকে মক্কা শরীফ পৌছে বিশেষ প্রক্রিয়ায় কা’বা ঘর সাতবার প্রদক্ষিণ করাকে ‘তাওয়াফ’ বলে।
তাওয়াফ ও হাজারে আসওয়াদের ফযীলত
১. রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) বলেন, “যে ব্যক্তি বায়তুল্লাহ্’র সাতটি তাওয়াফ করবে ও শেষে দু’রাক’আত নামায আদায় করবে, সে যেন একটি গোলাম আযাদ করল । এ সময় প্রতিটি পদক্ষেপ রাখা ও উঠানোর সাথে একটি করে গুনাহ্ ঝরে পড়ে ও একটি করে নেকী লেখা হয় ।”
–তিরমিযী, মিশকাত, হা/২৫৮০ ২. তিনি আরও বলেন, “তাওয়াফ হল নামাযের ন্যায় । এ সময় কোন কথা বলা যাবে না, নেকীর কথা ব্যতীত ।”
–তিরমিযী, নাসায়ী, মিশকাত, হা/২৫৭৬ ৩. হাজারে আসওয়াদের ফযীলত সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) বলেন, “যে ব্যক্তি রুকনে ইয়ামানী ও হাজারে আসওয়াদকে স্পর্শ করবে, তার সমস্ত গুনাহ্ ঝরে পড়বে ।” –সহীহ ইবনে খুযায়মা, হা/২৭২৯
তাওয়াফ করার নিয়ম কা’বা ঘরের তাওয়াফ (প্রদক্ষিণ) করার উদ্দেশ্যে সে ঘরের দক্ষিণ-পূর্ব কোণে অবস্থিত হাজারে আসওয়াদ (কালো পাথর) বরাবর এসে এবং কা’বা ঘরকে বামে রেখে তাওয়াফ শুরু করবেন । হাজারে আসওয়াদকে সরাসরি চুম্বন করা সম্ভব হলে চুম্বন করবেন, তা না হলে হাত দিয়ে হাজারে আসওয়াদকে স্পর্শ করে হাতে চুম্বন করবেন। অন্যথায় হাত দিয়ে সে দিকে ইশারা করে বলবেন : بسْمِ اللَّهِ اللَّهُ أَكْبَرُ
“বিস্ মিল্লাহি আল্লাহু আকবার” তারপর নিম্নোক্ত দু’আ পড়ে তাওয়াফ শুরু করবেন । اللهُمَّ إِيْمَانًا بِكَ وَتَصْدِيقًا بِكِتَابِكَ وَوَفَاءً بِعَهْدِكَ وَاتَّبَاعًا لِسُنَّةِ نَبِيِّكَ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ঈমানাম বিকা ওয়া-তাসদীক্বাম বি-কিতাবিকা ওয়া ওয়াফাআম বি আহদিকা ওয়াত্তিবা‘আন লিসুন্নাতি নাবিয়্যিকা মুহাম্মাদিন সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ।
অর্থ : আল্লাহ্র নামে (তাওয়াফ) শুরু করছি এবং আল্লাহ্ মহান । হে আল্লাহ্! আমি আপনার প্রতি ঈমান এনেছি, আপনার কিতাব (কুরআন)-কে সত্য বলে বিশ্বাস স্থাপন করেছি, আপনার সাথে কৃত অঙ্গীকার পালন করেছি এবং আপনার নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নত অনুসরণ করেছি । –বায়হাক্বী, ৫/৭৯ এ তাওয়াফকে তাওয়াফে কুদূম বা আগমনী তাওয়াফ বলে ।
এ তাওয়াফের সময় পুরুষেরা ‘ইযত্বিবা’ করবেন । অর্থাৎ, তাদের পরনের ইহরামের কাপড়ের উপরের অংশটি ডান বগলের নীচ দিয়ে বাম কাঁধের উপরে উঠিয়ে রাখবেন আর ডান কাঁধ খোলা রাখবেন । সাত তাওয়াফ শেষে পূর্বের মত ডান কাঁধ ঢেকে নিবেন । এ নিয়ম শুধু তাওয়াফে কুদূমের জন্যই ।
তাওয়াফ হাজারে আসওয়াদ থেকে শুরু করে রুকনে ইয়ামানী হয়ে আবার হাজারে আসওয়াদে এসে শেষ করতে হবে। ৭টি তাওয়াফের মধ্যে প্রথম তিন চক্করে পুরুষেরা রমল বা একটু জোরে চলবেন। আর বাকী চারটিতে স্বাভাবিকভাবে চলবেন। মহিলারা রমল করবেন না । তারা স্বাভাবিকভাবেই চলবেন । –মুসলিম
অতঃপর কা’বার দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে এসে রুকনে ইয়ামানীকে’ ডান হাত দিয়ে স্পর্শ করে বলবেন : بِسْمِ اللَّهِ اللَّهُ أَكْبَرُ
“বিস্মিল্লাহি আল্লাহু আকবার এখানে চুম্বন করতে হবে না । ভিড়ের জন্য স্পর্শ করতে না পারলে ইশারা করার প্রয়োজন নেই । بسْمِ اللَّهِ اللَّهُ أَكْبَرُ
“বিস্ মিল্লাহি আল্লাহু আকবার” বলে চলে যাবেন। রুকনে ইয়ামানী থেকে হাজারে আসওয়াদের দিকে যেতে প্রতি চক্করে নিম্নের দু’আটি পড়া সুন্নত। رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الآخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا
عَذَابَ النَّارِ উচ্চারণঃ রাব্বানা আ-তিনা ফিদদুনইয়া হাসানাতাঁও ওয়া ফিল আ-খিরাতি হাসানাতাও ওয়া কিনা আযাবান নার।
অর্থ ঃ হে আমাদের রব! আমাদেরকে দুনিয়া ও আখেরাতে কল্যাণ দান করুন এবং জাহান্নাসের আযাব থেকে আমাদেরকে রক্ষা করুন ।
তাওয়াফের সময় হাজারে আসওয়াদের নিকটে পৌঁছে এ দু’আ পড়বেন ও إلا الله وَحْدَهُ صَدَقَ وَعَلَهُ وَنَصَرَ عَبْدَهُ وَهَزَم الأحزابَ وَحْدَهُ لاَ إِلَهَ إِلَّا اللهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ
وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٍ –
উচ্চারণ ঃ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু সাদাকা ওয়া দাহু ওয়া নাসারা আবদাহু ওয়া হাযামাল্ আহ্যাবা ওয়াদাহু, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াদাহু লা শারীকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ওয়াহুয়া আলা কুল্লি শাইইন্ কাদীর।
অর্থ : আল্লাহ্ ছাড়া কোন মা’বুদ নেই। তিনি এক ও একক, তাঁর ওয়াদা সত্য । তিনি তাঁর বান্দাকে সাহায্য করেছেন । তিনি একাই কাফির গোত্রসমূহকে পর্যুদস্ত করেছেন। আল্লাহ্ ছাড়া কোন মা’বুদ নেই । তিনি এক ও একক, তাঁর কোন শরীক নেই। সকল রাজত্ব ও প্রশংসা আল্লাহ্র জন্য। তিনি সর্ববিষয়ে ক্ষমতাবান।
তাওয়াফ অবস্থায় যে কোন দু’আ, যিকির, কুরআন তেলাওয়াত ইত্যাদি করতে পারেন। নিম্নোক্ত দু’আগুলোও পাঠ করা যেতে পারে। তাওয়াফ করার সময় কা’বার সাথে দেয়াল ঘেরা ‘হাতীম’-এর বাহির দিক দিয়ে তাওয়াফ করতে হবে । ভিতর দিয়ে গেলে ঐ তাওয়াফ বাতিল ও পুনরায় আরেকটি তাওয়াফ করতে হবে। ক হাতীম কাবার ভিতরের অংশ।
কা’বাকে বামে রেখে উত্তরমুখী হয়ে সামনে চলতে চলতে নিজের মুখস্থ দো’আ পড়ুন । সাত তাওয়াফের জন্য পৃথক পৃথক কোন দো’আ নেই । যে কোন দো‘আই পড়া যায় । তবে বুজুর্গ ও বিশিষ্ট আলেমগণ পাঠ করেন, এমন কয়েকটি তাওয়াফের প্রসিদ্ধ, প্রচলিত, হৃদয়স্পর্শী ও অর্থবহ দো’আ নিচে দেয়া হল ।
তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম, নিয়ত, সময়, দোয়ার গুরুত্ব ও ফজিলত
তাওয়াফ করার নিয়ম
প্রথম তাওয়াফ (চক্কর)-এর দো’আ
سُبْحَانَ اللهِ وَالْحَمْدُ لِلهِ وَ لا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَ اللَّهُ أَكْبَرُ وَ لَا حَوْلَ وَ لا قُوَّةَ إِلَّا بِاللهِ العَلِيِّ الْعَظيمِ وَ الصَّلَاةُ وَ السَّلامُ عَلى رَسُوْلِ اللهِ صلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَ أَلِهِ وَ سلم ” اللهُمَّ إِيْمَانَا بِكَ وَ تَصْدِيقًا بِكِتَابِكَ وَ وَقَاءً بعَهْدِكَ وَ اتَّبَاعًا لِسُنَّةِ نَبِيِّكَ وَحَبِيْبِكَ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَ أَلِهِ وَ سَلَّمَ – اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ العَفْوَ وَالعَافِيَة وَ المُعَافَة الدَّائِمَة فِي الدِّيْنِ وَ الدُّنْيَا وَالآخِرَةِ وَ الْفَوْرُ بِالْجَنَّةِ وَالنَّجَاةَ مِنَ النَّارِ
দ্বিতীয় তাওয়াফ (চক্কর)-এর দো’আ
الامن هذا و و اللهُمَّ إِنَّ هَذا البَيْتَ بَيْتُكَ والحرم حَرَمُكَ أنا عَبْدُكَ وَابْنُ عَبْدِكَ و العَبْدَ عَبْدُكَ و مقامُ العَائِذٍ بِكَ مِنَ النَّار فحرّم ُلحُوْمَنَا وَ بَشَرَتَنَا عَلَى النار اللهم حَبِّبْ إلينا الإِيْمَانَ وَ زَيِّنْهُ فِي قُلُوْبَنَا وَ كرة الينا الكفر والفُسُوقَ وَ العِصْيَانَ وَاجْعَلْنَا مِنَ الراشدين – اللهُمَّ قِنِي عَذَابَكَ يَوْمَ تَبْعَثُ عَبْدَكَ اللهُمَّ 2 ارزقني الجنَّة بغَيْرِ حِسَابٍ .
তৃতীয় তাওয়াফ (চক্কর)-এর দো’আ
اللهُمَّ إِنِّي أَعُوْدُ بِكَ مِنَ التَكَ وَ الشِّرْكِ وَالشقاق وَالنّفاق وَ سُوْء الاخلاق و سُوْء المنظر وَالْمُنْقلب فِي الاهل والولد – اللهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ رِضَاكَ المَالِ وَالجَنَّة و أعُوْدُ بِكَ مِنْ سَخَطِكَ وَ النَّارِ – اللَّهُمَّ إِنِّي اعُوْدُ بِكَ مِنَ فِتنة القبر و اعُوْدُ بِكَ مِنَ فِتْنَةِ الْمَحْيَاءِ وَالْمَمَاتِ
উচ্চারণ আল্লাহুম্মা ইন্নী আউযুবিকা মিনাশাকি ওয়াশিক্বাক্কি ওয়ানিফাকি, ওয়া সূ-ইল আখলাকি, ওয়া সূ-ইল মানযারি, ওয়াল মুনকালাবি, ফিল মালি ওয়াল আলি ওয়াল ওয়ালাদ । আল্লাহুম্মা ইন্নী আস্আলুকা রিদ্বাকা ওয়াল জান্নাতা ওয়া আউযু বিকা মিন সাখাতিকা ওয়ান্নার । আল্লাহুম্মা ইন্নী আউযুবিকা মিন ফিনাতিল ক্বাবরি ওয়া আউযুবিকা মিন ফিতনাতিল মাহইয়ায়া ওয়াল মামাত ।
কপটতা, চরিত্রভ্রষ্টতা ও মন্দ দৃশ্য দর্শ ফিরে আমার ধন-সম্পদ ও পরিবার পরিজন, সন্তানাদির বিনাশ দর্শন থেকে আপনার নিকট আ প্রার্থনা করছি। হে আল্লাহ্ আপনার সমষ্টি এ আপনার জান্নাতই আমার সদা কাম্য। আপনার ক্রোধ ও জাহান্নামের আগুন থেকে আপনার দরবারে আমি আশ্রয় প্রার্থনা করছি। হে আল্লাহ্ কবরের মহাপরীক্ষা এবং জীবন ও মৃত্যুর যাবতীয় বিপর্যয় হতে আপনার দরবারে আশ্রয় চাই ।
চতুর্থ তাওয়াফ (চক্কর)-এর দো‘আ
اللهُمَّ اجْعَلْهُ حَبًّا مَبْرُورًا وَ سَعْيًا مَشْكُوْرًا وَّ ذَنْبًا مغْفُورًا وَ عَمَلا صَالِحًا َوتِجَارَةَ لَنْ تَبُورَ – يَا عَالِمَ ما في الصُّدُور وأخرجنِي يَا اللَّهُ مِنَ الظُّلُمَاتِ إلى النور – اللهم إنّي أَسْأَلُكَ مُوْجِبَاتِ رَحْمَتِكَ وَ لائم مغفرتك و السلامة من كل إثم والغَنِيْمَة من كل والفوز بالجنة والنَّجَاةَ مِنَ النَّارِ رَبِّ فلم وبارك لي فِي مَا أَعْطَيْتَنِي . على كل غانية فى منك بخير
উচ্চারণ : আল্লাহুমাজআলহু হাজ্জান মাবরূরান ওয়া সা‘ইয়ান মাশকুরাও ওয়া যাম্বাম্ মাগফুরাও ওয়া আমালান সালিহান ওয়া তিজারাতান লান তাবূরা। ইয়া আ-লিমা মা ফিস্সুদূর, ওয়া আখরিজনী ইয়া আল্লাহু মিনায যুলুমাতি ইলান নূর । আল্লাহুম্মা ইন্নী আসআলুকা মুজিবাতি রাহমাতিকা ওয়া আযাইমা মাগফিরাতিকা ওয়াস্সালামাতা মিন কুল্লি ইসমিন ওয়াল গানীমাতা মিন্ কুল্লি বিররিন, ওয়াল্ ফাওযা বিজান্নাতি ওয়ান্ নাজাতা মিনান্নার। রাব্বি কান্নি’নী বিমা রাযাক্তানী ওয়া বারিক্ লী ফী মা ‘আতাইতানী । ওয়াখলুফ্ আলা কুল্লি গা-ইবাতিল্ লী মিনকা বিখাইর ।
অর্থ : হে আল্লাহ আমার এ হজ্জকে মকবুল হজ্জ হিসেবে গ্রহণ করুন। আমার এ প্রচেষ্টাকে গ্রহণযোগ্য করুন । আমার গুনাহরাশি মাফ করে দিন, সৎকর্মসমূহ কবুল করুন এবং আমার ব্যবসাকে ক্ষতিশূন্য ব্যবসায় পরিণত করুন । হে অন্তর্যামী হে আল্লাহ্ আমাকে গোমরাহীর অন্ধকার থেকে বের করে হেদায়েতের আলো দান করুন ।
আল্লাহ্ আমি আপনার সমীপে এমন আমল চাই যা আপনার রহমত ও মাগফিরাত লাভের কারণ হয়। সকল প্রকার গুনাহ হতে বাঁচার এবং সর্বপ্রকার নেকীর সৌভাগ্য লাভ করার তাওফীক আমি আপনার দরবারে প্রার্থনা করছি । জান্নাত লাভের সাফল্য এবং জাহান্নাম হতে মুক্তির দরখাস্ত পেশ করছি। হে পরওয়ারদিগার আপনি আমাকে যে রিজিক দান করেছেন, তাতে আমাকে তৃপ্ত ও সন্তুষ্ট রাখুন এবং আপনার প্রদত্ত নিয়ামতরাজিতে আমাকে বরকত দিন । আমার সব অপূর্ণতাকে মঙ্গল দ্বারা পূর্ণ করে দিন ।
পঞ্চম তাওয়াফ (চক্কর)-এর দো’আ
اللهم اظلنِي تَحْتَ ظَلَّ عَرْشِكَ يَوْمَ لَا ظَلَّ إِلا ظُلُكَ لا باقي إلا وَجْهُكَ وَاسْقِنِي مِنْ حَوْضِ نَبِيِّكَ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ صلي الله تَعَالي عَلَيْهِ وَالِه وَسَلَّمَ شَرَبَة هَنِيْئَة مَرينة لا اظمَا بَعْدَهَا أَبَدًا اللهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ مِنْ خَيْرٍ مَا سَأَلَكَ مِنهُ نَبِيُّكَ سَيِّدُنَا مُحَمَّدٌ صَلَّي اللهُ تَعَالي عَلَيْهِ وَالِهِ وَسَلَّمَ واعُوْذُبِكَ مِنْ شَرِّ مَا اسْتَعَاذَ بِكَ مِنْهُ نَبِيُّكَ سَيِّدُنَا مُحَمَّدٌ صَلي اللهُ تَعَالَي عَلَيْهِ وَالِهِ وَسَلَّمَ- مَا يُقْرَبُنِي إِلَيْهَا و اللهُمَّ إِنِّي أسألُكَ الْجَنَّةِ وَنَعِيْمَهَا منْ قَوْلِ اوْ فِعْلِ اوْ عَمَلٍ واعُوْذُبِكَ مِنْ النَّارِ وَ مَا يُقربُنِي إِلَيْهَا مِنْ قَوْلِ أَوْ فِعْلِ أَوْ عَمَلٍ.
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা আযিল্লানী তাহ্তা যিল্লি আরশিকা ইয়াওমা লা-যিল্লা ইল্লা যিলুকা, ওয়া লা বাক্বিয়া ইল্লা ওয়াজ্হুকা, ওয়াক্বিনী মিন্ হাওদি নাবিয়্যিকা সায়্যিদিনা মুহাম্মাদিন সাল্লাল্লাহু তা’আলা আলাইহি ওয়া সাল্লামা শারবাতান হানীআতাম মারীআতান, লা আযমাউ বা’দাহা আবাদা। আল্লাহুম্মা ইন্নী আসআলুকা মিন খাইরি মা সাআলাকা মিনহু নাবিয়্যুকা মুহাম্মাদুন সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম । ওয়াআউজুবিকা মিন শাররি মাসতা‘আজাবিকা মিনহু নাবিয়্যকা সাইয়্যিদুনা মুহাম্মাদুন সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম । আল্লাহুম্মা ইন্নী আসআলুকাল জান্নাতা ওয়া নাঈমাহা ওয়ামা ইউকাররিবুনি ইলাইহা মিন কাওলিন আও ফিলিন আও আ‘মালিন ওয়া আউযুবিকা মিনান্নার ওয়া-মা ইউকাররিবুনী ইলাইহা মিন কাওলিন আও ফিলিন আও আমালিন ।
অর্থ : হে আল্লাহ্ আমাকে সেদিন আপনার আরশের নিচে ছায়াদান করুন, যে দিন আপনার আরশের
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা আযিল্লানী তাহ্তা যিল্লি
আরশিকা ইয়াওমা লা-যিল্লা ইল্লা যিলুকা, ওয়া লা বাকিয়া ইল্লা ওয়াজ্হুকা, ওয়াক্বিনী মিন্ হাওদি নাবিয়্যিকা সায়্যিদিনা মুহাম্মাদিন সাল্লাল্লাহু তা’আলা আলাইহি ওয়া সাল্লামা শারবাতান্ হানীআতাম মারীআতান, লা আযমাউ বা’দাহা আবাদা ।
আল্লাহুম্মা ইন্নী আসআলুকা মিন খাইরি মা সাআলাকা মিনহু নাবিয়্যুকা মুহাম্মাদুন সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম । ওয়াআউজুবিকা মিন শাররি মাসতা‘আজাবিকা মিনহু নাবিয়্যকা সাইয়্যিদুনা মুহাম্মাদুন সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম । আল্লাহুম্মা ইন্নী আসআলুকাল জান্নাতা ওয়া নাঈমাহা ওয়ামা ইউকারিবুনি ইলাইহা মিন কাওলিন আও ফিলিন আও আ’মালিন ওয়া আউযুবিকা মিনান্নার ওয়া-মা ইউকারিবুনী ইলাইহা মিন কাওলিন আও ফিলিন আও আমালিন ।
অর্থ : হে আল্লাহ্ আমাকে সেদিন আপনার আরশের নিচে ছায়াদান করুন, যে দিন আপনার আরশের ডা
ষষ্ঠ তাওয়াফ (চক্কর)-এর দো’আ اللهُمَّ إِنَّ لَكَ عَلَيَّ حُقوقًا كَثِيرَةَ فِيْمَا بَيْنِي وَبَيْنَكَ وَ حقوقًا كَثِيرَةَ فِيْمَا بَيْنِي وبَيْنَ خَلْقِكَ – اللهُمَّ مَا كَانَ لكَ مِنْهَا فَاغْفِرْهُ لِي – اللهُمَّ مَا كَانَ لِخَلْقِكَ فَتَحَمَّلَهُ عَنِّى وَ أَغْنِنِي بِحَلالِكَ عَنْ حَرَامِكَ وَ بِطَاعَتِكَ عَنْ مَعْصِيَتِكَ وَ بِفَضْلِكَ عَن مَّنْ سِوَاكَ يَا وَاسِعَ المَغْفِرَةِ – اللهُمَّ اِنَّ بَيْتِكَ عَظِيمٌ وَ وَجْهَكَ كَرِيمٌ أَنْتَ يَا اللهُ حَلِيْمٌ كَرِيمٌ عَظِيْمٌ تُحِبُّ الْعَفْوَ فَاعْفُ
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্না লাকা আলাইয়্যা হুকুকান কাছীরাতান ফী মা বাইনী ওয়া বাইনাকা ওয়া হুকুকান কাছীরাতান ফী মা বাইনী ওয়া বাইনা খালক্কিক্ । আল্লাহুম্মা মা কানা লাকা মিনহা ফাগ্-ফিরহু লী । ওয়া মা কানা লিখাক্কিকা ফাতাহাম্মালহু ‘আন্নী । ওয়াআগুনিনী বিহালালিকা আন্ হারামিকা ওয়া বিতা‘আতিকা আম মা’সিয়াতিকা ওয়া বিফাদলিকা আম্মান সিওয়াকা ইয়া ওয়াসি‘আ মাগফিরাহ । আল্লাহুম্মা ইন্না
সপ্তম তাওয়াফ (চক্কর)-এর দো’আ
اللهُمَّ إِنِّي أَسْتَلْكَ إِيْمَانًا كَامِلاً وَيَقِيْنَا صَادِقًا وَ قَلْبًا خَاشِيعًا وَ لِسَانًا دَاكِرًا و رِزْقًا وَاسِعًا وَ كَسْبًا حَلالاً طيِّبًا وَتَوْبَة نَصُوْحَة وَ تَوْبَة قَبْلَ الْمَوْتِ وَ رَاحَة عِنْدَ الْمَوْتِ وَ رَحْمَة بَعْدَ المَوْتِ وَ الْعَفْوَ عِنْدَ الْحِسَابِ وَ الْفَوْرُ بالجَنَّةِ وَالنَّجَاةَ مِنَ النَّارِ بِرَحْمَتِكَ يَا عَزِيْزُ يَا غَفَّارُ، رَبِّ زِدْنِي عِلْمًا والْحِقْنِي بِالصَّالِحِيْنَ.
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নী আসআলুকা ঈমানান কামিলান ওয়া ইয়াক্বিনান্ সাদিকান্ ওয়া কালবান খাশি’আন ওয়া লিসানান যা-কিরান ওয়া রিযক্কান ওয়াসি’আন ওয়া কাসবান হালালান ত্বায়্যেবান ওয়া তাওবাতান নাসূহা ওয়া তাওবাতান কাবলাল মাওতি ওয়া রাহাতান্ ইন্দাল মাওতি ওয়া মাগফিরাতান ওয়া রাহ্মাতান বা’দাল মাওতি । ওয়াল আয়া ইন্দাল হিসাবি, ওয়াল ফাওয়া বিল জান্নাতি ওয়া-নাজাতা মিনান্নারি । বিরাহমাতিকা ইয়া আযীযু ইয়া গাফ্ফার । রাব্বি যিদনী ইমান ওয়া আলহিনী বিছুছালিহীন ।
অর্থ ঃ হে আল্লাহ্! আমি আপনার নিকট পরিপূর্ণ ঈমান, সত্যিকারের আস্থা, প্রশস্ত জীবিকা, বিনয়ী হৃদয়, যিকিরে অভ্যস্ত জিহ্বা, বৈধ জীবিকা, সত্যিকারের তাওবা, মৃত্যুর পূর্বে তাওবা, মৃত্যুকালীন শান্তি, মৃত্যুর পরে ক্ষমা ও দয়া, বিচারের সময় অপরাধ মার্জনা, জান্নাত লাভের মাধ্যমে সাফল্য এবং জাহান্নাম হতে পরিত্রানের জন্য প্রার্থনা করছি । হে মহাপরাক্রমশালী ও ক্ষমাশীল! আপনার দয়ায় আমার দো’আ কবুল করুন । হে আমার প্রতিপালক! আমার ইলম বৃদ্ধি করে দিন । সৎকর্মশীলদের দলে আমাকে শামিল করুন ।
মাক্কামে ইবরাহীম ঃ সাতবার তাওয়াফ শেষ করে কা’বা ঘরের পূর্বে মাক্কামে ইবরািীমের পিছনে চলে
আসবেন ।
মাক্কামে ইবরাহীমের পিছনে দু’রাক’আত নফল নামায আদায় করবেন। সম্ভব না হলে হারাম শরীফের যে কোন স্থানেই নামায আদায় করতে পারবেন । প্রথম রাক’আতে সূরা ফাতিহার সাথে সূরা
কাফিরূন এবং দ্বিতীয় রাক’আতে সূরা ফাতিহার সাথে সূরা ইখলাস পড়বেন । নামায শেষে একাকী আল্লাহ্র কাছে দু’আ করবেন। আর সম্ভব হলে হাজরে আসওয়াদকে স্পর্শ করবেন ।
যমযমের পানি পান : মাক্কামে ইবরাহীমের পিছনে নামায শেষে যমযমের পানি পান করা সুন্নত । কারণ, নবী করীম (সাঃ) যমযমের পানি পান করেছেন । এটা যে কোন রোগের ঔষধ । নবী করীম (সাঃ) বলেছেন : “যমযমের পানি হচ্ছে আহার (খাদ্য) এবং রোগের ঔষধ” । –বুখারী ও মুসলিম
যমযমের পানি দাঁড়িয়ে বা বসে উভয়ভাবেই পান করা জায়েয ।
যমযমের পানি পান করার দু’আ
اللهُمَّ إنّي أسْتَلْكَ عِلْمًا نَافِعًا وَّ عَمَلًا مُتَقَبِّلًا وَرِزْقًا وَّاسِعًا وَشِفَاءً مِنْ كُلَّ دَاءٍ
উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা ইন্নী আসআলুকা ইলমান নাফি‘আও ওয়া ‘আমালাম মুতাক্বাব্বালাও ওয়া রিষ্কাও ওয়াসি‘আও ওয়া শিফা‘আম মিন কুল্লি দা-ইন ।
অর্থ ঃ হে আল্লাহ্! আমি আপনার নিকট উপকারী জ্ঞান, গ্রহণযোগ্য আমল, প্রশস্ত জীবিকা এবং যাবতীয় রোগ থেকে মুক্তি চাচ্ছি । —ফিকহুস সুন্নাহ, ১/৬৩৪