You are currently viewing স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসা ম্যাসেজ। স্ত্রী সহবাসের দোয়া ও নিয়ম
স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসা

স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসা ম্যাসেজ। স্ত্রী সহবাসের দোয়া ও নিয়ম

স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক পৃথিবীর সবচেয়ে বড় পবিত্র সম্পর্ক যখন স্বামী স্ত্রীর মাঝে ভালোবাসা থাকে তখন সেই পরিবারটা অনেক সুন্দর হয় এবং তাদের সন্তানরা অনেক ভালোভাবে বেড়ে উঠতে পারে।একটা পরিবারে সুন্দর পরিবেশ তখনই গড়ে ওঠে যখন স্বামী স্ত্রীর মাঝে আন্ডারস্ট্যান্ডিং ভালোবাসাও বিশ্বাস থাকে। এবং সময় থাকতে ভালোবাসার মানুষটাকে যত্ন নেয়া দরকার। আজ husband and wife তথা  স্বামী স্ত্রী ভালোবাসা নিয়ে আর্টিকেল। স্ত্রী সহবাসের দোয়া ও নিয়ম ও কিছু হাদিস দেয়া হলো।

স্বামী স্ত্রী

একজন স্বামী হলেন বৈবাহিক সম্পর্কের পুরষ। একজন স্বামীর স্ত্রী ও অন্যান্যের উপর অধিকার এবং বিধি নিষেধ এবং তার অবস্থান সমাজ, সংস্কৃতি এবং সময়ের পরিক্রমা অনুযায়ী বিভিন্ন হতে পারে।

স্ত্রী বা স্ত্রীলিঙ্গ বলতে বোঝানো হয় প্রাণীর সেই লিঙ্গকে যে নিজেদের শরীরে সন্তান ধারণ করে। স্ত্রীজাতীয় প্রাণীদের শরীরে যৌন সঙ্গমের দ্বারা পুরুষজাতীয় প্রাণীদের শুক্রাণু প্রবেশ হয়ে সন্তান উৎপাদন করে।…

স্বামী স্ত্রী অর্থ

দম্পতি, দম্পতী /বিশেষ্য পদ/ স্বামী ও স্ত্রী, জায়া ও পতি, পতি-পত্নী।

স্ত্রী ও স্ত্রীর মধ্যে পার্থক্য husband and wife

যেখানে ‘স্বামী’ এবং ‘স্ত্রী’ শব্দগুলি যথাক্রমে বিবাহে পুরুষ এবং মহিলা সঙ্গীকে বর্ণনা করতে ব্যবহৃত হয়, ‘স্বামী’ উভয় লিঙ্গকে বর্ণনা করতে ব্যবহার করা যেতে পারে । ‘পত্নী কি’ প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সময়, এটা মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে ‘পত্নী’ শব্দটি তখনই ব্যবহার করা যেতে পারে যখন কোনো দম্পতি বিবাহিত হয়।

আরও পড়তে পারেন–কষ্টের স্ট্যাটাস, ফেসবুক স্ট্যাটাস, ইসলামিক স্ট্যাটাস, কষ্টের পিক

স্বামী স্ত্রী শব্দটির উৎপত্তি

স্বামী শব্দটি পুরানো নর্স থেকে এসেছে, স্বামী, যেখানে হুস মানে বাড়ি এবং বন্ডি মানে বাসিন্দা । একটি বিশেষ্য হিসাবে, বিবাহে একজন পুরুষ অংশীদার। একটি ক্রিয়াপদ হিসাবে, সাবধানে এবং মিতব্যয়ীভাবে ব্যবহার করুন। এটি সংরক্ষণ, অর্থনীতির জন্য বোঝায়। স্ত্রী শব্দটি পুরানো ইংরেজি Wif থেকে এসেছে যার অর্থ নারী, বিবাহিত মহিলা বা স্ত্রী স্ত্রী।

স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসা

পৃথিবীতে স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক  সবচেয়ে বড় পবিত্র সম্পর্ক যখন  উভয়ের মাঝে ভালোবাসা থাকে তখন সেই পরিবারটা অনেক সুন্দর হয় এবং তাদের সন্তানরা অনেক ভালোভাবে বেড়ে উঠতে পারে।একটা পরিবারে সুন্দর পরিবেশ তখনই গড়ে ওঠে যখন স্বামী স্ত্রীর মাঝে আন্ডারস্ট্যান্ডিং ভালোবাসাও বিশ্বাস থাকে। এবং সময় থাকতে ভালোবাসার মানুষটাকে যত্ন নেয়া দরকার। কারণ যেদিন সেই ভালোবাসার মানুষটা থাকবে না সেদিন আফসোস করা ছাড়া আর কোন উপায় নেই

স্ত্রীকে ভালোবাসা প্রসঙ্গে হাদিসে হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘তোমাদের মধ্যে তারাই উত্তম যারা তাদের স্ত্রীদের জন্য উত্তম। আর আমি আমার স্ত্রীদের জন্য তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম ব্যক্তি। ’ -তিরমিজি

অন্য হাদিসে আরও ইরশাদ হয়েছে, ‘স্ত্রীদের সঙ্গে ভালো ব্যবহারের অসিয়ত আমার কাছ থেকে গ্রহণ করো। ’ এই আদেশ পালনের উদ্দেশ্য কেউ যখন স্ত্রীকে ভালোবাসে তখন তা আর দুনিয়া থাকে না; বরং সরাসরি দ্বীন হয়ে যায়, ইবাদতভুক্ত কাজ হয়ে যায়।

আমাদের পূর্ববর্তী অলি-আউলিয়ারা তাদের স্ত্রী-সন্তানের প্রতি গভীর ভালোবাসা পোষণ করতেন। এটা দোষের কিছু নয়। আমরাও আমাদের স্ত্রী-সন্তানদের ভালোবাসি, তবে তাদের মতো গভীর ভালোবাসা আমাদের মধ্যে নেই। এখানে বড় পার্থক্য রয়েছে। পার্থক্যটা হলো, আমরা স্ত্রীদের ভালোবাসি আনন্দ লাভের জন্য। স্ত্রীর সঙ্গে দাম্পত্য সম্পর্ক এজন্য যে, এতে আনন্দের বিষয় আছে। কিন্তু অলি-আউলিয়ারা এজন্য ভালোবাসেন যে, আল্লাহতায়ালা স্ত্রীদের দায়-দায়িত্ব তাদের ওপর অর্পণ করেছেন। এজন্য আমাদের ভালোবাসা ও তাদের ভালোবাসায় আকাশ-পাতালের ব্যবধান।

হজরত নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পুণ্যাত্মা স্ত্রীদের প্রতি অত্যন্ত হৃদ্যতাপূর্ণ আচরণ করতেন, তাদের প্রচণ্ড ভালোবাসতেন। যা বিভিন্ন হাদিসের বর্ণনায় এসেছে। যেমন হজরত আয়েশা (রা.)-এর সঙ্গে দৌঁড় প্রতিযোগিতা করছেন, কাঁধের পিছনে তাকে দাঁড় করিয়ে হাবশিদের লাঠিখেলা দেখিয়েছেন, রাতের বেলায় এগারো মহিলার কাহিনী শুনিয়েছেন।

আমরা মুসলামান। আমাদের প্রত্যেকটি কাজ সুন্নতের অনুসরণে হওয়া দরকার। জীবনের যে পর্যায়ের বিষয় হোক না কেন, নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নতে তার সূত্র পাওয়া যাবে। তাই প্রত্যেক কাজ সুন্নতের নিয়তে করা জরুরি। তাহলে দুনিয়ার সব কাজ দ্বীনের কাজে পরিণত হবে, এর দ্বারা সওয়াব হাসিল হবে। তবে এ জন্য দরকার অনুশীলন। ধরুন, আপনি ঘরে প্রবেশ করলেন, বাচ্চাকে খেলতে দেখে আনন্দ হলো, ইচ্ছা হলো তাকে কোলে নিয়ে আদর করবেন, কিন্তু এক মুহূর্তের জন্য থেমে গেলেন এবং ভাবলেন যে, ইচ্ছে হচ্ছে এজন্য এ কাজ করব না, পর মুহূর্তেই ভাবলেন, হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শিশুদেরকে আদর করতেন, তারই অনুসরণে আমি তাকে কোলে নিয়ে আদর করবো। এরপর তাকে কোলে নিয়ে আদর করলেন; তো এই কাজটাও সুন্নতের অনুসরণের কারণে ‘দ্বীন’ হিসেবে গণ্য হবে।

husband and wife
husband and wife

স্বামী স্ত্রী ভালোবাসা নিয়ে কিছু হাদিস

১ ‘হযরত আম্‌র ইব্‌নু ‘আস (রা.) বর্ণনা করেছেন তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিকট উপস্থিত হয়ে জিজ্ঞেস করলাম, মানুষের মধ্যে কে আপনার নিকট সবচেয়ে প্রিয়? তিনি বললেন, ‘আয়িশাহ্! আমি বললাম, পুরুষদের মধ্যে কে? তিনি বললেন, তাঁর পিতা (আবূ বাক্‌র)। আমি জিজ্ঞেস করলাম, অতঃপর কোন লোকটি? তিনি বললেন, ‘উমার ইব্‌নু খাত্তাব অতঃপর আরো কয়েকজনের নাম করলেন।
(সহিহ বুখারী-৩৬৬২)

২ ‘ হযরত আয়িশা (রা.) বর্ণনা করেছেন তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার কোলে হেলান দিয়ে কুরআন তিলাওয়াত করতেন।
(সহিহ বুখারী-২৯৭)

আরও পড়ুন–হিংসা নিয়ে উক্তি, স্ট্যাটাস, কবিতা। হিংসা কাকে বলে? হিংসা থেকে বাাঁচার উপায়

৩ ‘ হযরত আয়িশা (রা.) বর্ণনা করেছেন তিনি বলেন, আমি ও নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একই পাত্র  হতে  গোসল করতাম।সেই পাত্রকে ফারাক বলা হতো। (সহিহ বুখারী- ২৫০)

৪ ‘ হযরত আয়িশাহ (রা.) বর্ণনা করেছেন রসূলূল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন ই’তিকাফ করতেন তখন আমার দিকে তাঁর মাথা ঝুঁকিয়ে দিতেন। আমি তা আঁচড়ে দিতাম। (সহিহ মুসলিম-৫৭১)

৫ ‘ হযরত আয়িশাহ (রা.) বর্ণনা করেছেন তিনি বলেন, আমি ঋতুবতী অবস্থায় পানি পান করতাম এবং পরে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে অবশিষ্টটুকু প্রদান করলে আমি যেখানে মুখ লাগিয়ে পান করতাম তিনিও পাত্রের সে স্থানে মুখ লাগিয়ে পান করতেন। আবার আমি ঋতুবতী অবস্থায় হাড় খেয়ে তা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে দিলে আমি যেখানে মুখ লাগিয়েছিলাম তিনি সেখানে মুখ লাগিয়ে খেতেন। (সহিহ মুসলিম- ৫৭৯)

৬ হযরত আয়িশাহ (রা.) বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সামনেই আমি পুতুল বানিয়ে খেলতাম। আমার বান্ধবীরাও আমার সাথে খেলা করত। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঘরে প্রবেশ করলে তারা দৌড়ে পালাত। তখন তিনি তাদের ডেকে আমার কাছে পাঠিয়ে দিতেন এবং তারা আমার সঙ্গে খেলত। (সহিহ বুখারী- ৬১৩০)

৭ ‘ হযরত আয়িশাহ (রা.) বর্ণনা করেছেন তিনি এক সফরে নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে ছিলেন। তিনি বলেন, আমি তাঁর সাথে দৌড় প্রতিযোগিতা করে তার আগে চলে গেলাম। অতঃপর আমি মোটা হয়ে যাওয়ার পর তার সাথে আবারো দৌড় প্রতিযোগিতা করলাম, এবার তিনি আমাকে পিছে ফেলে দিলেন বিজয়ী হলেন। তিনি বলেন, এই বিজয় সেই বিজয়ের বদলা। (সুনানে আবু দাউদ- ২৫৭৮)
৮ ‘আয়িশা (রা.) বর্ণনা করেছেন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে আড়াল করে দাঁড়িয়ে ছিলেন আর আমি হাবশীদের খেলা দেখছিলাম। মসজিদের কাছে তারা যুদ্ধাস্ত্র নিয়ে খেলা করছিল। (সহিহ বুখারী- ৩৫৩০)

৯ হযরত আয়িশাহ (রা.) বর্ণনা করেছেন তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মিসওয়াক করে তা ধোয়ার জন্য আমাকে দিতেন। আমি নিজে প্রথমে তা দিয়ে মিসওয়াক করতাম, অতঃপর সেটা ধুয়ে তাঁকে দিতাম। (সুনানে আবু দাউদ- ৫২)
১০ হযরত আয়িশাহ (রা.) বর্ণনা করেছেন মৃত্যু রোগকালীন অবস্থায় রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জিজ্ঞেস করতেন, আমি আগামীকাল কার ঘরে থাকব। আগামীকাল কার ঘরে? এর দ্বারা তিনি ‘আয়িশাহ (রা.)-এর ঘরের পালার ইচ্ছা পোষণ করতেন। সহধর্মিণীগণ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে যার ঘরে ইচ্ছা অবস্থান করার অনুমতি দিলেন। তখন নবী করীম (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ‘আয়িশাহ (রাঃ)-এর ঘরে ছিলেন। এমনকি তার ঘরেই তিনি ইন্তিকাল করেন।

স্বামী স্ত্রী
স্বামী স্ত্রী

 

স্ত্রী সহবাসের দোয়া

আল্লাহ তাআলা বিবাহের মাধ্যমে নারী-পুরুষের যৌন সম্ভোগ তথা বংশ বৃদ্ধিকে কল্যাণের কাজে পরিণত করেছেন। বিবাহের ফলে স্বামী-স্ত্রীর যাবতীয় বৈধ কার্যক্রম হয়ে ওঠে কল্যাণ ও ছাওয়াবের কাজ। বংশবৃদ্ধির একমাত্র মাধ্যমে হচ্ছে স্বামী-স্ত্রীর সহবাস। এর রয়েছে কিছু নিয়ম-নীতি ও দোয়া। জাগো নিউজের পাঠকের জন্য তা তুলে ধরা হলো-
দোয়টি এই-
بِسْمِ اللّهِ اللّهُمَّ جَنِّبْنَا الشَّيْطَانَ وَ جَنِّبِ الشَّيْطَانَ مَا رَزَقْتَنَا
উচ্চারণ : বিসমিল্লাহি আল্লাহুম্মা জান্নিবনাশ শায়ত্বানা ওয়া জান্নিবিশ শায়ত্বানা মা রাযাক্বতানা।
অর্থ : ‘হে আল্লাহ! তোমার নামে আরম্ভ করছি,  তুমি আমাদের নিকট হতে শয়তানকে দূরে রাখ। আমাদের এ মিলনের ফলে যে সন্তান দান করবে,  তা হতেও শয়তানকে দূরে রাখ।’

স্ত্রী সহবাসের নিয়ম

০১. স্বামী-স্ত্রী উভয়ই পাক পবিত্র থাকবে।
০২. “বিসমিল্লাহ” বলে সহবাস শুরু করা মুস্তাহাব। ভুলে গেলে যদি বীর্যপাতের পূর্বে স্মরণ হয় তাহলে মনে মনে পড়ে নিতে হবে।
০৩. সহবাসের পূর্বে সুগন্ধি ব্যবহার করা। যা আল্লাহর রাসুলের সুন্নাত।
০৪. সব ধরনের দুর্গন্ধ জাতীয় জিনিস পরিহার করা। উল্লেখ্য যে,  ধূমপান কিংবা অপরিচ্ছন্ন থাকার কারণে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়। আর এতে কামভাব কমে যায়। আগ্রহের স্থান দখল করে নেয় বিতৃষ্ণা।
০৫. কেবলামুখি হয়ে সহবাস না করা।
০৬. একেবারে উলঙ্গ না হওয়া।
০৭. স্ত্রীকে পরিপূর্ণ তৃপ্তি দান করার পূর্বে বিচ্ছিন্ন না হওয়া।
০৮. বীর্যপাতের সময় মনে মনে নির্ধারিত দোয়া পড়া। কেন না যদি সে সহবাসে সন্তান জন্ম নেয় তাহলে সন্তান শয়তানের প্রভাব মুক্ত থাকবে।
০৯. স্ত্রীর হায়েজ-নেফাসের (ঋতুকালীন) সময় সহবাস না করা।
১০. চন্দ্র মাসের প্রথম এবং পনের তারিখ রাতে মিলিত না হওয়া।
১১. স্ত্রীর জরায়ুর দিকে চেয়ে সহবাস না করা।
১২. বিদেশে বা সফরে যাওয়ার আগের রাতে স্ত্রী সহবাস না করা।
১৩. সহবাসের সময় স্ত্রীর সহিত বেশি কথা না বলা।
১৪. জোহরের নামাজের পরে স্ত্রী সহবাস না করা।
১৫. ভরা পেটে স্ত্রী সহবাস না করা।
১৬. উল্টাভাবে স্ত্রী সহবাস না করা।
১৭. স্বপ্নদোষের পর গোসল না করে স্ত্রী সহবাস না করা।

ফজিলত
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত,  রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যখন তোমাদের কেউ আপন স্ত্রীর সঙ্গে মিলিত হওয়ার ইচ্ছা করে তখন উক্ত দোয়া পড়ে যেন মিলিত হয়। এ মিলনে যদি তাদের কিসমতে কোনো সন্তান আসে,  সে সন্তানকে শয়তান কোনো ক্ষতি করতে পারবে না। (বুখারি, মুসলিম, মিশকাত)।

হজরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন,  যে ব্যক্তি সহবাসের ইচ্ছা করে,  তার নিয়্যাত যেন এমন হয় যে, আমি ব্যভিচার থেকে দূরে থাকবো। আমার মন এদিক ওদিক ছুটে বেড়াবে না আর জন্ম নেবে নেককার ও সৎ সন্তান। এই নিয়্যাতে সহবাস করলে তাতে সওয়াব তো হবেই সঙ্গে সঙ্গে নেক উদ্দেশ্যও পূরণ হয়।

স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসার মেসেজ :

স্বামী-স্ত্রী হচ্ছে পৃথিবীর সব থেকে শ্রেষ্ঠ সম্পর্ক। বিপদে-আপদে এরা একে অপরের পাশে থাকে। স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক নিয়ে রয়েছে অনেক উক্তি রয়েছে অনেক স্ট্যাটাস। তাদের মধ্যে থেকে সেরা কিছু উক্তি নিচে শেয়ার করা হলো:-

১.তুমি যে কত সুন্দর তাই তোমার দিকে চেয়ে থাকি এটাই হয়তো আমার অপরাধ।

২.স্বামীর উপর স্ত্রীর অধিকার এই যে স্বামী তার খাবার, পোশাক-পরিচ্ছেদ,বাসস্থান এবং আনুষঙ্গিক জিনিসপত্র সরবরাহ করে দিবে।

৩.সেই ব্যক্তি হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় কাপুরুষ যে স্ত্রীর কাছে প্রেমিক হতে পারিনি।

৪.প্রতিদিন যদি কেউ তার স্ত্রীকে আমি তোমাকে ভালোবাসি এই কথাটা বলে তাহলে তার মাথার সকল দুশ্চিন্তা দূর হয়ে যায়।

স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসার স্ট্যাটাস :

স্বামী-স্ত্রীর যখন অনেক দূরে থাকে তখন তারা একে অপরকে ভালোবাসার মেসেজ পাঠিয়ে থাকে। অনেকে ইন্টারনেট থেকে এই সকল মেসেজ সংগ্রহ করতে চান। তাদের জন্য নিচে সেরা কিছু স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসার মেসেজ দেওয়া হলো

স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসার ক্যাপশন :

স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক নিয়ে ভালো কিছু ছন্দ রয়েছে যেগুলো নিচে আপনাদের ভালোলাগার জন্য দেওয়া হলো।এই ছন্দ গুলো আপনারা চাইলে একে অপরের সাথে শেয়ার করতে পারেন।

পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী ব্যক্তি হচ্ছে সেই ব্যক্তি যে ব্যক্তি একজন নেককার স্ত্রী পেয়েছে।

স্ত্রীদেরকে যথেষ্ট পরিমানে সময় দিতে হবে অথবা যথেষ্ট পরিমাণে বিশ্বাস করতে হবে। সংসার আর যুদ্ধক্ষেত্র মনে হবে না।

স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসার মেসেজ 

পোস্টে আপনাকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও স্বাগতম। আপনাদের জন্য আমরা নিয়ে এসেছি বাছাইকৃত স্বামী-স্ত্রীর ভালবাসার স্ট্যাটাস, ছন্দ ও উক্তি। পছন্দের স্ট্যাটাস দিয়ে আপনার স্বামী অথবা স্ত্রীকে মুগ্ধ এবং আনন্দ দিতে পারেন।

স্বামী স্ত্রীর রোমান্টিক কথা আপনি নিশ্চয়ই খুঁজতেছেন। আপনাদের জন্যই কেবল আজকের আমাদের এই আয়োজন। স্বামী বা স্ত্রীকে খুশি করার মেসেজ প্রয়োজন হলে এই পোস্টটি আপনাকে অনেক সাহায্য করবে। স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসার ছন্দ ও স্ট্যাটাস নিয়ে এই পোস্টটি সাজানো হয়েছে।

_????༅༎প্রিয়༅༎????জীবনের স্বপ্ন নিয়ে বেধেছি একটি ঘর,
তোমাকে পাবো বলে সাজিয়েছি প্রেমের বাসর,
আবেগ ভরা মনে অফুরন্ত ভালোবাসা,
সারা দেয় কোনে -কোনে শিহরন জাগে মনে,
তোমাকে পাওয়ার আশায়????

__????’༉༎চোখের আড়াল হতে পার মনের আড়াল নয়,
মন যে আমার সব সময় তোমার কথা কয়,
মনকে যদি প্রশ্ন কর তোমার আপন কে ?
মন বলে এখন তোমার লেখা পড়ছে যে !????

❥????︎─༊পৃথিবীর যত সুখ যত ভালোবাসা সবটুকু দিবো আমি তোমায়,,,
আমার একটাই আশা তুমি ভূলে যেওনা আমায়,
বড় বেশী ভালবাসি তোমায় ।????

︵♡︎????যদি তুমি মনে করো সুখে নেই,
সুখে নেই, সুখে নেই.
তবে তুমি ফিরে আসো এখনো আগের মতো ভালবাসি তোমাকেই,,,!!????❤️

⎯⃝????অজস্র স্বপ্নের ভিড়ে তোমায় দেখি.
সমস্ত কল্পনা জুড়ে তোমার বসবাস,
অজস্র কাব্য শুধু তোমায় নিয়ে লেখা অফুরন্ত বন্ধুত্ব নিয়ে তোমার অপেক্ষা থাকা।????

♡︎⎯⃝????আজকে তুমি রাগ করছো,
দু:খ পাবো তাতে।কালকে যখন মরে যাবো,
রাগ দেখাবা কাকে?বিধির বিধান এই রকমি,
একদিন তো যাবো মরে।
বুঝবে সেদিন তুমি,
ভালোবাসতাম শুধু তোমাকে ….????.. !????

‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎︵ღ۵__????মাঝে -মাঝে তোমাকে খুব কষ্ট দিই,
কারন তোমাকে ভালবাসি বলে.
নীরবে নিজেও কষ্ট পাই.,
তোমাকে মিস করবো বলে.????
তোমাকে যখন মিস করি,
তখন পৃথিবীকে এড়িয়ে চলি..????……
কারন তখন আমার সব..
,অনুভূতি জুড়ে শুধুই তুমি..????

°_:))-বুক ভরা ভালোবাসা আমি রেখেছি তোমার জন্য_
তুমি যে আমার আমি যে তোমার_
তুমি শুধু আমার জন্যে।????????

╓╮/╱
╰????
╱/╰┘‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎ ‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎লাগবে যখন খুব একা,
চাঁদ হয়ে দিবো দেখা ..
মনটা যখন থাকবে খারাপ,
স্বপ্নে গিয়ে করবো আলাপ ..
কষ্ট যখন মন আকাশে,
তাঁরা হয়ে জ্বলবো পাশে .❤️????

  • তোমায় আমি বলতে চাই,
    তুমি ছাড়া প্রিয় আর কেহ নাই।
    ভালবাসি শুধু তোমায় আমি,
    জনম -জনম ভালবাসতে চাই।????????

__????༅༎প্রিয়༅༎????যদি চাদঁ হতাম সারা রাত পাহারা দিতাম!
যদি জল হতাম-সারা দেহ ভিজিয়ে দিতাম।
যদি বাতাস হতাম-তোমার কানে চুপি- চুপি বলতাম-????
আমি তোমাকে ভালবাসি.❤️

❥┼─༊জীবনে ভালোবাসা আসার পূর্বে হাজার বছর একা থাকা যায়।
কিন্তু ভালোবাসার পর এক মুহুর্ত একা থাকা যায় না ????
আর ভালোবাসার মানুষটি কিছু সময়ের জন্য
কাছে না থাকলে মন টা কেমন বেকুল হয়ে থাকে তাকে????
কাছে পাওয়ার জন্য হইতোবা এটাই বাস্তবতা????

__????’༉༎ শীতের চাদর জড়িযে,
কুয়াশার মাঝে দারিয়ে,
হাত দুটো দাও বারিয়ে,
শিশিরের শীতল স্পর্শে যদি,
শিহরিত হয় মন????
বুঝেনিও আমি আছি তোমার পাশে সারাক্ষন।????

  • তুমিই যা আমার হৃদয়ের সর্বদা প্রয়োজন ছিল – তুমি এবং আমি, একসাথে বাড়িতে, দুটি আত্মা এক হিসাবে।
  • আমি তোমাকে সারাজীবন ভালোবাসবো.
  • আমার বিশেষ স্ত্রীর কাছে।তোমার প্রতি আমার ভালোবাসার শেষ নেই;আমি যখন আপনার সাথে দেখা করেছি তখন আমার প্রার্থনার উত্তর দেওয়া হয়েছিল। আমার পাশে আপনার সাথে থাকার চেয়ে আমার জীবন কাটানোর জন্য আমি আর কোনও ভাল উপায় ভাবতে পারি না।
  • তুমি সেই বাতাস যা আমি নিঃশ্বাস নিই।
  • আমি তোমার কারণে আমার জীবনের অর্থ খুঁজে পেয়েছি, এবং আমি চিরকাল তোমাকে ভালবাসতে প্রতিশ্রুতি দিয়েছি।
  • তুমি আমার শ্রেষ্ঠ বন্ধু.
  • তুমিই কারণ আমি শক্তিশালী হয়েছি, কিন্তু তবুও, তুমিই আমার দুর্বলতা।তোমাকে খুশি করার জন্য আমি তোমার জন্য সবকিছু করতে চাই।আমি তোমাকে সূর্য, চন্দ্র, তারা এবং আমার সমস্ত হৃদয় চিরতরে দেব।
  • আমি তোমাকে কতটা ভালোবাসি তা বলার জন্য একটি শুভ সকাল নোট!
  • তোমাকে আমার বাহুতে ধরার চেয়ে ভাল অনুভূতি আর নেই।
  • যেদিন তোমার সাথে দেখা হয়েছিল সেদিনই আমার প্রার্থনার উত্তর দেওয়া হয়েছিল।আপনি আমার জীবনের একটি আশীর্বাদ, এবং আমি আমাদের বাকি জীবনের জন্য আপনাকে আমার সঙ্গী কল করার ভাগ্যবান হবে.
  • তোমার হাসি আমার সব।
  • একটি শুভরাত্রি নোট বলতে আমি আপনার প্রেমে কতটা!
  • আমি এখন এবং চিরতরে তোমাকে ভালোবাসি.আমি মরার আগ পর্যন্ত তোমাকে ভালোবাসবো, তারপরও যদি জীবন থেকে যায়, তাহলেও তোমাকে ভালোবাসবো।
  • সর্বোত্তম ভালবাসা হল সেই ধরনের যা আত্মাকে জাগ্রত করে এবং আমাদের আরও বেশি কিছুর জন্য পৌঁছায়, যা আমাদের হৃদয়ে আগুন লাগায় এবং আমাদের মনে শান্তি আনে।আর সেটাই তুমি আমাকে দিয়েছ।এটাই আমি তোমাকে চিরতরে দিতে আশা করেছিলাম
  • আমার আকাশ বা তারার দরকার নেই।আমার সোনা বা ধন-সম্পদ দরকার নেই।যেদিন আমি আপনার সাথে দেখা করেছি সেদিন আমি যা চাইতাম তা আমি অর্জন করেছি: আমি একটি স্থির হাত, একটি দয়ালু আত্মা এবং এমন একজনকে পেয়েছি যার সাথে আমি ঘুমিয়ে পড়ব এবং আমার বাকি জীবনের জন্য জেগে উঠব। তুমি আমার হৃদয় – তুমিই আমার সবকিছু।
  • তোমার ভালোবাসা আমাকে বদলে দিয়েছে!
  • তুমি আমার জীবনে আসার আগে আমি কি ভেবেছিলাম?
  • রাতে যখন আমি চোখ বন্ধ করি, আমি জেগে ওঠার জন্য অপেক্ষা করতে পারি না যাতে আমি আপনাকে দেখতে পারি, কারণ আপনি আমার স্বপ্নের চেয়েও ভাল।
  • আপনার জন্য আমার ভালবাসা কোন সীমানা জানে না, কোন সীমা জানে না, কখনও বিবর্ণ হয় না এবং চিরকাল স্থায়ী হবে।
  • তোমার সুখ আমার কাছে সব কিছুর মানে।

স্বামী স্ত্রীর ঝগড়া

রাত একটার সময় ,,,

স্বামী-স্ত্রী খাটের অপর বসে বসে ঝগড়া করছে ..

  • স্বামী : তুমি আবার রাহুলকে মেসেজ দিছো ???
  • স্ত্রী : তো কি,,! তুমিও তো সুমীকে মেসেজ দিছো ???
  • স্বামী : সুমী আমার কলিগ হয় নেহা ??
  • স্ত্রী : রাহুলোতো আমার ফ্রেন্ড হয় ,,,( স্বামীর কলার ধরে )
  • স্বামী : কিন্তু ও তোমাকে বাবু বলে ডাকবে কেনো ??( ধমক দিয়ে )
  • স্ত্রী : আরে !!! স্কুল লাইফে সবাই তোমার পিচ্চি বৌকে বাবু বলেই ডাকতো !!!

ঝ’গ’ড়া তারপর হা’তা’হাতি, তারপর একসময় তা মা’রা’মা’রি । খাটের অপর দুজনে সেই দমে কাবাডি খেলছে …

একসময় আর সহ্য করতে না পেরে খাটের নিচ থেকে বেরিয়ে এলো এক ভয়ঙ্কর দানব । অর্থাৎ আমাদের ভুত ভাই । দুজনে মা’রা’মা’রির পজিশনে থেমে গিয়ে হা করে তাকিয়ে আছে ভুত ভাইয়ের দিকে । ভুত ভাই চোখ লাল করে বিরক্তির সুরে,,

” তরা কি আমারে একমিনিট ঘুমাইতে দিবি না ?? তরা কি ভাবস,, তোগো হিন্দি সিরিয়ালের ভুতেগো মতো আমাগো কাম কাজ নাই ?? আমরা হিন্দি সিরিয়ালের ভুতেগো মতো সারারাত ভয় দেখায় ঘুরে বেড়াই ?? ,,, সারাদিন মাছ,,গোস্ত যোগার করে স্ত্রীর সাথে ঝ’গ’ড়া করে জঙ্গল থেকে বের হয়ে এখানে ইকটু আসি শান্তিতে ঘুমানোর জন্য ,, আর তোরা , প্রতিদিন খাটের অপর ভূমিকম্প ভূমিকম্প খেলছ ?? কি কথা ক ?? তরা আর ঝগড়া করবি না,, দুজনে কোলাকুলি কর । ( কিছুক্ষন চুপ থেকে ) কিরে,, আমার দিকে এভাবে তাকায় আছোস কেন ?? আমি কিন্তু ভুত,, তোদের খেয়ে ফেলমু !! ”

সেদিনের পর থেকে ভুত ভাই আর ওখানে যায় না । লাভ মেরিজ করা স্বামী – স্ত্রীর ঝগড়ার মাঝখানে ঢুকা মানে রাশিয়া – ইউক্রেইন এর যুদ্ধের মধ্যে ঢুকা ।

ট্যাগ: স্বামী স্ত্রীর রোমান্টিক কথা
স্বামী স্ত্রীর আদর ভালোবাসা
স্ত্রীকে খুশি করার মেসেজ
স্বামী স্ত্রীর কষ্টের মেসেজ
স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসা কবিতা
স্বামী স্ত্রীর কষ্টের স্ট্যাটাস

স্বামী স্ত্রীর আদর ভালোবাসা
স্বামী স্ত্রীর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক
স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসা উক্তি
স্বামী স্ত্রীর রক্তের গ্রুপ
স্বামী স্ত্রীর ঝগড়া