You are currently viewing সেরা ১০ টি কৃষক নিয়ে কবিতা
সেরা ১০ টি কৃষক নিয়ে কবিতা

সেরা ১০ টি কৃষক নিয়ে কবিতা

কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে। কৃষক তার শরীরের রক্ত পানি করে শত পরিশ্রমে অর্থনৈতিক উন্নয়নের চাঁকা সচল রাখেন। তারাই হলো সত্যিকারের দেশপ্রেমিক। আজ সেইসব কৃষক নিয়ে কবিতা দিলাম । আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।

কৃষক নিয়ে কবিতা

কিষাণ

ই স লা ম ত রি ক

রৌদ্র বাদল মাথায় নিয়ে
ফসল ফলায় চাষী
অন্তরে কি দেয় খোঁচা দেয়
ওদের মলিন হাসি??

নেই সুখে নেই কৃষক চাষী
করছি তাদের শোষণ
ঘৃণা মাখা সস্তা শ্রমে
করছি মন্দ পোষণ।।

নিচ্ছি না কেউ তাদের খবর
দেই না কোনো খ্যাতি
ভাবি নাতো আমরা সবাই
কৃষক কূলের জ্ঞাতি।।

যাদের হাতে ফলছে ক্ষেতে
বেঁচে থাকার আহার
তাদের মনে জ্বলছে আগুন
বুকে কষ্ট পাহাড়।।

যাদের শ্রমে উড়ছে ক্রমে
উন্নয়নের নিশান
দেখুন ভেবে সত্য ঘেঁটে

2//

আমার দেশের চাষী

সাজিদুর রহমান

তপ্ত রোদের এইনা খরায়
নিজের গায়ের ঘাম যে ঝরায়
তবু মুখে হাসি!
আমার দেশের চাষী
ওভাই আমার দেশের চাষী।

কাজ করে যায় দেশের সুখের
আহার যোগায় সবার মুখের
স্বপ্ন রাশি রাশি!
আমার দেশের চাষী
ওভাই আমার দেশের চাষী।

দেশের সেবায় আছে তারা
অটুট থাকুক এদের ধারা
নয়তো তারা দাসী!
আমার দেশের চাষী
ওভাই আমার দেশের চাষী।

তাদের জীবন কাটুক হেসে
শান্তি আসুক আমার দেশে
বাজুক সুখের বাঁশি!
আমার দেশের চাষী
ওভাই আমার দেশের চাষী।
ওরাই হলো কিষান।।

আরও পড়তে পারেন–মাকে নিয়ে কবিতা । মাকে নিয়ে ১৩টি কবিতা । ’’মা ‘’

3//

কৃষক মনে খুশির আমেজ’

মাহবুব এ রহমান

তপ্তরোদে সোনার তনু ঘামছে কী যে!
ঝড়-তুফানে ফসল মাঠেই শরীর ভিজে।
শীতসকালে ঘুমায় সবে লেপের তলে
পান্তা খেয়ে কৃষক মাঠে যায়রে চলে।
সারা দিনই মাটির সাথে মাখামাখি
সোনার ফসল দেখলে মাঠে জুড়ায় আঁখি।
মাঠের মাঝে ফসল যখন দেয়রে দোলা
কৃষক মনও যায় হয়ে যায় দুঃখ ভুলা।
মিঠেল রোদে সোনার ধানে দেয়রে ঝিলিক
চাষার মনে দেয়রে কেমন স্বপ্ন চিলিক্‌।
ফসল কেটে খুশির আমেজ কৃষকমনে
স্বস্তি কেমন যায় দেখা যায় সব বদনে।
মাতে সবাই নবান্নেরই উৎসবেতে
কৃষাণীরা নানান পিঠা করে খেতে।
তপ্তরোদ আর ঝড়ের কষ্ট নেই যে কারো
সবুজ গাঁয়ে আসলে এসব দেখতে পারো।

আরও পড়ুন– বাবাকে নিয়ে ১৩ টি প্রিয় বাবা কবিতা

সেরা ১০ টি কৃষক নিয়ে কবিতা
সেরা ১০ টি কৃষক নিয়ে কবিতা

4//

আমার চাষি ভাই

আনিস আরমান

দিবস জুড়ে রোদে পুড়ে
আমার চাষি ভাই,
আপন মনে ফসল বোনে
বিশ্রাম যে তাঁর নাই।
.
লাঙল হাতে সন্ধ্যা-প্রাতে
মাঠের পানে ধায়,
ভাটিয়ালি, জারি-সারি
আপন মনে গায়।
.
কষ্টে, দুখে ধুকে ধুকে
জীবন করে পার,
নেই অভিযোগ, নেই অনুযোগ
একটুখানি তাঁর।
.
রোদে খেটে যাচ্ছে কেটে
চাষি ভাইয়ের মাস,
তাঁরাই দেশের সোনার ছেলে
নয়তো কারো দাস।

5//

‘মাটির বন্ধু

উম্মে হাবিবা

মাটির সাথে জমিয়ে প্রচুর গল্প হলো,
প্রাণের প্রিয় বন্ধু তোমার নাম কি বলো?
সকাল-সাঁঝে ভিজিয়ে আমায় করলে তাজা!
এর চে’ বেশি চাইনা তো ভাই মিঠাই-খাজা।
.
গরীব চাষি;নেইকো আমার ভিটের মাটি,
ঘরের কোণে নেইতো পাতার শীতল পাটি।
দুপুর রোদে আমার আবাস বটের তলে,
সেও আমায় জাপটে ধরেই বন্ধু বলে!
.
কর্ষে জমি আমার বুকের;হালকা করো,
ফলাও কতো সোনার ফসল আমন-বোরো।
যবের আঁটি আঁখের ছোবড়া আরও কতো!
কার বা আছে এই মহাভাগ আমার মতো!
.
এপথ ধরে চলছে সুদূর ঐ মহাজন,
কিপটে জাতি তাহায় পেলেই অপ্রয়োজন!
বুকখানি যে সকল সময় ফুলায় তাপে,
তাই দেখে তো দুস্থ লোকের কলজে কাঁপে!
ও মাটি ভাই!বন্ধু আমার;রাখবে কথা?
দাও ধ্বসিয়ে এই সমাজের নষ্ট প্রথা।
দাও গুঁড়িয়ে ওদের গরব দুঃখীর বরে,
আমাদের ও বাঁচতে অনেক ইচ্ছে করে।

6//

চাষী

কবিতা মাহবুবা

ভোর বিহানে উদোম গায়ে
যাচ্ছে ও ভাই চাষী,
খোশ মেজাজে হেঁটে পায়ে
মুখে অটুট হাসি।
তপ্তরোদে গা পুড়ে যায়
দিন কেটে যায় কাজে,
সোনার ফসল তুলবে ঘরে
সুখের বীনা বাজে।
দেশের তরে কাজ করে যায়
আমার দেশের চাষা,
ন্যায্য মূল্য পায়না যখন
ভাঙ্গে মনের আশা।
লাঞ্ছনা আর অবহেলায়
জীবন যাচ্ছে চলে,
পেটের দায়ে যুদ্ধ করে
ভাসে চোখের জলে।

7//

চাষী কবিতা

মোঃ গোলাম মোস্তফা টুটুল

সকাল হলে লাঙ্গল জোয়াল
কাধেঁ নিয়ে যায়
হাড় ভাঙ্গা খাটুনী খাটে
পেট না পুরে খায়।

ঘাম ঝরিয়ে কাজ করে
ফসল ফলায় মাঠে
বেলা গড়ালেই যেতে হবে
দুর গ্রামের হাটে।
.
আশা থাকে সোনার ফসল
বেচবে মনের মত
হাসি মুখে ফিরবে বাড়ি
করবে সওদা কত।
.
মনের আশা মনেই থাকে
বুকে ব্যথা জমে
সোনার ফসল ম্লান হয়ে যায়
দামটা গেছে কমে।
.
চোখের জলে বুক ভাসিয়ে
আমার চাষী ভাই
ফসল রেখে শুন্য হাতে
বাড়ি ফিরে যায়।

8// কৃষক নিয়ে কবিতা

সোনা ধান

আব্দুল হাকিম

মাথাল মাথায় যায় ছুটে যায় মাঠের কৃষাণ ভাই
মাটির আঁশে বারমাসে কাজের জুড়ি নাই।
লাঙল ফেলে গরু চেলে মাটির বাড়ায় সান।
আলতো করে তারই পরে দিলো জোয়াল টান।
খালের পানি সেঁচে আনি বাঁধাল বেঁধে দেয়
পাচুন কাচিঁ নিয়ে চাষী দুবলা নিরে নেয় ।
তার উপরে দু’হাত ভরে বুনল সোনা ধান
মনের সুখে তাইতো মুখে ধরল বাউল গান।
ক’দিন পরে উঠল ভরে সবুজেরই মাঠ
মুখে হাসি কাটবে চাষী বেচবে মিয়ার হাট।
এক দুপুরে আকাশ জুড়ে নামল কালো মেঘ
দক্ষিণ থেকে এঁকেবেঁকে উঠল ঝড়ের বেগ।
বৃষ্টি ঝড়ে শিলা পরে ধানের হলো সাড়া
চাষী মূকে ধানের দুঃখে কাঁদে ব্যথার পাড়া।
কষ্ট করে তখন ঘরে হয়না ফসল তোলা
নিত্য বাটে ভুখে কাটে শূন্য ধানের গোলা।
রক্ত ঘামে মাঠের কামে চাষীর হৃদয় খাঁটি
হঠাৎ করে তমুল ঝড়ে সব হয়ে যায় মাটি।

9//

কৃষক নিয়ে কবিতা

-ফাতেমা জাহান লুবনা

হলুদ সরষের হরষে মাতে কৃষকের নবীন প্রাণ,
সবুজ ধানের ক্ষেতে খুঁজে পায় স্বপ্ন পুরনের ঘ্রাণ।
সোনালি ফসল আসবে তার বাড়ির উঠোন জুড়ে,
এই স্বপ্নে বিভোর হয়ে সে যায় মাঠে খুব ভোরে।
তপ্ত রোদে মাথার উপর টুপি সম এক ছাউনি,
আপন মনে সুর তুলে গায় গাও গ্রামের গাওনী।
বৃষ্টি এলে শরীর ভিজে খড়ায় পুড়ে হয় লাল,
টুপি খানিকটা হয়ে যায় তার মস্ত বড় এক ঢাল।
আহার জোগাড় করে সে সমগ্র জাতির তরে,
সব ঘরেতে আহার থাকলেও থাকে না তার ঘরে।
ছেলেমেয়েরা বায়না ধরে নতুন জামা ও লাল গাড়ি,
টাকার জোগাড় হবে কি করে তার চিন্তায় পড়ে ভারি।
যাদের শ্রেমে পেটে আমাদের জুটল আহার অন্ন,
আমাদেরও সাহায্যের হাত থাকুক তাদের জন্য ।

10//

চাষী কবিতা

জয়নব জোনাকি

কষ্ট ক্লেশে তপ্ত খরায়
অন্ন যোগায় এই ধরায়,
ফোটায় মুখে হাসি।
মাটি খুঁড়ে ফসল ফলায়
রোদে পুড়ে ঘাম ঝরায়,
এইতো সবার চাষী।
সকল জীবের নাম আঁকায়
কচি কচি সবুজ পাতায়,
ঠোঁটে টুকরো হাসি।
এই পৃথিবীর মাটির খাতায়
দুঃখ সুখের জীবন কাটায়
এইতো সবার চাষী।
অবহেলায় দিন কেটে যায়
বিনিময়ে লাঞ্চনা পায়
ভাবে সবাই দাসী।
ধ্যান মগ্ন দেশের সেবায়
ক্ষুধাতুরের অভাব মেটায়
সেইতো সবার চাষী।