You are currently viewing সূরা সাদ সম্পর্কে ৪৫টি কুইজ প্রশ্ন সহ বিস্তারিত
সূরা সাদ

সূরা সাদ সম্পর্কে ৪৫টি কুইজ প্রশ্ন সহ বিস্তারিত

সূরা সাদ এর সংক্ষিপ্ত পরিচয়, শানেনুযূল, সূরাটির গুরুত্বপূর্ণ দিক, সূরাটির শিক্ষা সূরাটির মূল বিষয়বস্তু, সূরাটির ফযিলত, এবং সূরাটির আলোকে ৫টি বিষয়ভিত্তিক আয়াত অর্থসহ প্রতিটি বিষয় আলোচনা এবং সূরা সাদ সম্পর্কে ২০টি শর্ট প্রশ্ন ও উত্তর এবং ২৫টি MCQ দেয়া হলো।

সূরা সাদ

সূরা সাদ সম্পর্কে ২০টি শর্ট প্রশ্ন ও উত্তর

১. সূরা সাদ কুরআনের কত নম্বর সূরা?

উত্তর: ৩৮ নম্বর সূরা।

২. সূরা সাদ মক্কী না মাদানী?

উত্তর: মক্কী সূরা।

৩. সূরা সাদে কয়টি আয়াত আছে?

উত্তর: ৮৮টি আয়াত।

৪. সূরা সাদের প্রথম আয়াতে কী শপথ করা হয়েছে?

উত্তর: “সাদ” (ص) দ্বারা শপথ করা হয়েছে।

৫. সূরা সাদের মূল বিষয় কী?

উত্তর: তাওহীদ, রিসালাত, আখিরাতের প্রতি ঈমান এবং পূর্ববর্তী নবীদের কাহিনী।

৬. সূরা সাদে কোন নবীদের কথা উল্লেখ করা হয়েছে?

উত্তর: দাউদ (আ.), সুলাইমান (আ.), আইয়ুব (আ.), ইব্রাহীম (আ.), ইসহাক (আ.), ইসমাইল (আ.), ইলিয়াস (আ.) ও যুল-কিফ্ল (আ.)।

৭. সূরা সাদে শয়তানের কী পরিণতি বর্ণনা করা হয়েছে?

উত্তর: শয়তান অহংকারবশত আদম (আ.)-কে সিজদা করতে অস্বীকার করে এবং অভিশপ্ত হয়।

৮. দাউদ (আ.)-কে আল্লাহ কী বিশেষ নিয়ামত দিয়েছিলেন?

উত্তর: তাকে নবুয়ত, রাজত্ব, জবুর কিতাব ও পাহাড় ও পাখিদের তার অনুগত করা হয়েছিল।

৯. সুলাইমান (আ.)-এর কী পরীক্ষা হয়েছিল?

উত্তর: তার সামনে একদিন এক ঘোড়া উপস্থিত করা হয়েছিল, যা তাকে আল্লাহর স্মরণ থেকে কিছুক্ষণ বিরত রেখেছিল।

১০. আইয়ুব (আ.)-এর ধৈর্যের কাহিনী কীভাবে বর্ণনা করা হয়েছে?

উত্তর: তিনি মারাত্মক রোগে আক্রান্ত হয়েও ধৈর্যধারণ করেছিলেন এবং আল্লাহ তাকে সুস্থতা দান করেছিলেন।

১১. সূরা সাদের ২৯ নং আয়াতে কুরআনের কী বৈশিষ্ট্য বলা হয়েছে?

উত্তর: এটি বরকতময় কিতাব, মানুষ যেন এর আয়াতগুলো গভীরভাবে চিন্তা করে।

১২. সূরা সাদে কাফিরদের কী সতর্ক করা হয়েছে?

উত্তর: তারা যদি সত্য প্রত্যাখ্যান করে, তবে আগামীতে তাদের জন্য মর্মন্তুদ শাস্তি রয়েছে।

১৩. সূরা সাদের শেষ আয়াতে কী বলা হয়েছে?

উত্তর: “নিশ্চয় এটি একটি উপদেশ, সুতরাং যার ইচ্ছা, সে তার রবের দিকে ফিরে আসার পথ অবলম্বন করবে।”

১৪. সূরা সাদে জান্নাতের কী বিবরণ দেওয়া হয়েছে?

উত্তর: সেখানে থাকবে পবিত্র স্ত্রী, ছায়াদার উদ্যান ও প্রবাহিত জলধারা।

১৫. সূরা সাদে দুনিয়ার জীবনকে কীভাবে বর্ণনা করা হয়েছে?

উত্তর: এটি ক্ষণস্থায়ী ভোগমাত্র, আখিরাতই স্থায়ী আবাস।

১৬. সূরা সাদে আল্লাহর কী গুণবাচক নাম উল্লেখিত হয়েছে?

উত্তর: “আল-ওয়াহিদ” (একক), “আল-গাফুর” (ক্ষমাশীল), “আর-রহীম” (দয়ালু)।

১৭. সূরা সাদে মুমিনদের কী সুসংবাদ দেওয়া হয়েছে?

উত্তর: তাদের জন্য রয়েছে মহান পুরস্কার ও আল্লাহর সন্তুষ্টি।

১৮. সূরা সাদে কুরাইশ নেতারা রাসুল (সা.)-কে কী বলেছিল?

উত্তর: তারা বলেছিল, তিনি যেন জিন-পরী সম্পর্কে বানোয়াট গল্প বন্ধ করেন।

১৯. সূরা সাদে কার কথা বলা হয়েছে যিনি আল্লাহর আদেশ পালনে অটুট ছিলেন?

উত্তর: ইসমাইল (আ.), ইদ্রিস (আ.) ও যুল-কিফ্ল (আ.)।

২০. সূরা সাদের শিক্ষা কী?

উত্তর: আল্লাহর আদেশ মেনে চলা, অহংকার ত্যাগ করা এবং আখিরাতের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া।

সূরা সাদ সম্পর্কে ২৫টি MCQ (বহু নির্বাচনী প্রশ্ন)

১. সূরা সাদ কুরআনের কততম সূরা?
a) ৩৫
b) ৩৬
c) ৩৭
d) ৩৮
উত্তর: d) ৩৮

২. সূরা সাদের আয়াত সংখ্যা কত?
a) ৭৫
b) ৮৮
c) ৯৯
d) ১১১
উত্তর: b) ৮৮

৩. সূরা সাদের প্রথম শব্দ কী?
a) حم
b) ص
c) الر
d) يس
উত্তর: b) ص

৪. সূরা সাদে কার কাহিনী সবচেয়ে বিস্তারিত বর্ণিত হয়েছে?
a) মুসা (আ.)
b) দাউদ (আ.)
c) ঈসা (আ.)
d) নূহ (আ.)
উত্তর: b) দাউদ (আ.)

৫. শয়তানের অহংকারের ঘটনা সূরা সাদের কত নং আয়াতে আছে?
a) ৭১-৭৪
b) ৫০-৫৫
c) ২০-২৫
d) ৩০-৩৫
উত্তর: a) ৭১-৭৪

৬. দাউদ (আ.)-কে আল্লাহ কী দিয়েছিলেন?
a) জবুর
b) তাওরাত
c) ইনজিল
d) কুরআন
উত্তর: a) জবুর

৭. সুলাইমান (আ.)-এর পরীক্ষা কী ছিল?
a) ধন-সম্পদ হারানো
b) ঘোড়ার প্রতি মোহ
c) সন্তান হারানো
d) রাজ্য হারানো
উত্তর: b) ঘোড়ার প্রতি মোহ

৮. আইয়ুব (আ.)-এর ধৈর্যের কারণ কী ছিল?
a) দারিদ্র্য
b) রোগ-শোক
c) সন্তানহানি
d) সবকটি
উত্তর: b) রোগ-শোক

৯. সূরা সাদের ২৯ নং আয়াতে কুরআনকে কী বলা হয়েছে?
a) হিদায়াত
b) বরকতময় কিতাব
c) রহমত
d) নূর
উত্তর: b) বরকতময় কিতাব

১০. সূরা সাদের শেষ আয়াতে কী বলা হয়েছে?
a) আল্লাহর প্রশংসা
b) কিয়ামতের ভয়
c) উপদেশ ও ফিরে আসার আহ্বান
d) জান্নাতের বর্ণনা
উত্তর: c) উপদেশ ও ফিরে আসার আহ্বান

১১. সূরা সাদে কার নাম উল্লেখ নেই?
a) ইব্রাহীম (আ.)
b) মুসা (আ.)
c) ইদ্রিস (আ.)
d) নূহ (আ.)
উত্তর: d) নূহ (আ.)

১২. সূরা সাদে জান্নাতের বর্ণনায় কী নেই?
a) পবিত্র স্ত্রী
b) স্বর্ণের অলংকার
c) প্রবাহিত নদী
d) ছায়াদার বাগান
উত্তর: b) স্বর্ণের অলংকার

১৩. সূরা সাদে আল্লাহর কোন গুণবাচক নাম নেই?
a) আল-আজিজ
b) আল-গাফুর
c) আল-মুহাইমিন
d) আর-রহীম
উত্তর: c) আল-মুহাইমিন

১৪. সূরা সাদে কাফিরদের কীভাবে সতর্ক করা হয়েছে?
a) দুনিয়ায় শাস্তি
b) আখিরাতে শাস্তি
c) অর্থনৈতিক ক্ষতি
d) সামাজিক অপমান
উত্তর: b) আখিরাতে শাস্তি

১৫. সূরা সাদে দুনিয়ার জীবনকে কী বলা হয়েছে?
a) চিরস্থায়ী
b) ক্ষণস্থায়ী ভোগ
c) পরীক্ষার স্থান
d) বিনোদনের স্থান
উত্তর: b) ক্ষণস্থায়ী ভোগ

১৬. সূরা সাদে কার কথা বলা হয়েছে যিনি আল্লাহর আদেশে অটুট ছিলেন?
a) ইসমাইল (আ.)
b) ইসহাক (আ.)
c) ইউসুফ (আ.)
d) লুত (আ.)
উত্তর: a) ইসমাইল (আ.)

১৭. সূরা সাদে রাসুল (সা.)-কে কাফিররা কী বলেছিল?
a) কবিতা পড়া বন্ধ করুন
b) জিন-পরীর গল্প বন্ধ করুন
c) ব্যবসা বন্ধ করুন
d) ধর্ম প্রচার বন্ধ করুন
উত্তর: b) জিন-পরীর গল্প বন্ধ করুন

১৮. সূরা সাদে আল্লাহ কিসের শপথ করেছেন?
a) কুরআনের
b) সাদ (ص) এর
c) ফজরের
d) কাবার
উত্তর: b) সাদ (ص) এর

১৯. সূরা সাদে দাউদ (আ.)-কে কী বিশেষ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল?
a) পাহাড় ও পাখি নিয়ন্ত্রণ
b) সমুদ্র নিয়ন্ত্রণ
c) বৃষ্টি নিয়ন্ত্রণ
d) জীবিতকে মৃত করা
উত্তর: a) পাহাড় ও পাখি নিয়ন্ত্রণ

২০. সূরা সাদের মূল বার্তা কী?
a) অর্থনৈতিক উন্নতি
b) সামাজিক ন্যায়বিচার
c) তাওহীদ ও আখিরাতে বিশ্বাস
d) রাজনৈতিক শক্তি অর্জন
উত্তর: c) তাওহীদ ও আখিরাতে বিশ্বাস

২১. সূরা সাদে কার নাম “যুল-কিফ্ল” বলা হয়েছে?
a) একজন নবী
b) একজন ফেরেশতা
c) একজন জ্ঞানী ব্যক্তি
d) একজন রাজা
উত্তর: a) একজন নবী

২২. সূরা সাদে আল্লাহর নিদর্শন সম্পর্কে কী বলা হয়েছে?
a) তা অস্পষ্ট
b) তা সুস্পষ্ট
c) তা শুধু আলেমদের জন্য
d) তা শুধু নবীদের জন্য
উত্তর: b) তা সুস্পষ্ট

২৩. সূরা সাদে মুমিনদের পুরস্কার কী?
a) শুধু জান্নাত
b) শুধু আল্লাহর সন্তুষ্টি
c) জান্নাত ও আল্লাহর সন্তুষ্টি
d) শুধু দুনিয়ার সম্পদ
উত্তর: c) জান্নাত ও আল্লাহর সন্তুষ্টি

২৪. সূরা সাদে দাউদ (আ.)-এর বিচারকাজে কী ঘটেছিল?
a) তিনি ভুল করেছিলেন
b) তিনি সঠিক ছিলেন
c) আল্লাহ তাকে সংশোধন করেছিলেন
d) লোকেরা তার বিরোধিতা করেছিল
উত্তর: c) আল্লাহ তাকে সংশোধন করেছিলেন

২৫. সূরা সাদের শিক্ষা হলো—
a) শুধু ইবাদত করা
b) শুধু জ্ঞান অর্জন করা
c) আল্লাহর আদেশ মেনে চলা ও অহংকার ত্যাগ করা
d) শুধু দান-খয়রাত করা
উত্তর: c) আল্লাহর আদেশ মেনে চলা ও অহংকার ত্যাগ করা

এই প্রশ্নোত্তর ও MCQ গুলো সূরা সাদ সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা দেবে এবং পরীক্ষা বা সাধারণ জ্ঞানের জন্য সহায়ক হবে।

সূরা সাদ: সংক্ষিপ্ত পরিচয়, শানে নুযূল, গুরুত্বপূর্ণ দিক, শিক্ষা, মূল বিষয়বস্তু, ফযিলত ও বিষয়ভিত্তিক আয়াত বিশ্লেষণ

১. সূরার সংক্ষিপ্ত পরিচয়

  • নাম: সূরা সাদ (আরবি: ص)
  • অবতরণের স্থান: মক্কা (মক্কী সূরা)
  • আয়াত সংখ্যা: ৮৮
  • পারা: ২৩তম পারা
  • রুকু: ৫টি
  • নাযিলের ক্রম: ৩৮তম (তাফসীরকারদের মতে)
  • বিশেষ বৈশিষ্ট্য: এই সূরার শুরুতে “ص” (সাদ) দ্বারা শপথ করা হয়েছে, যা কুরআনের মুকাত্তাআত হরফগুলোর মধ্যে একটি।

২. শানে নুযূল (প্রেক্ষাপট)

সূরা সাদ মক্কায় নাযিল হয় যখন কুরাইশ নেতারা রাসুল (সা.)-এর দাওয়াতকে কঠোরভাবে প্রত্যাখ্যান করছিল। তারা নবীজিকে জাদুকর, পাগল বা কাব্যিক বক্তা বলে অপবাদ দিত। এই সূরায় তাদের সমালোচনার জবাব দেওয়া হয়েছে এবং পূর্ববর্তী নবীদের সংগ্রামের উদাহরণ দিয়ে মুমিনদের ধৈর্য ধারণের শিক্ষা দেওয়া হয়েছে।

৩. সূরাটির গুরুত্বপূর্ণ দিক

  1. তাওহীদের ঘোষণা: আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয়, তিনি ছাড়া কোনো ইলাহ নেই।
  2. নবীদের কাহিনী: দাউদ (আ.), সুলাইমান (আ.), আইয়ুব (আ.), ইব্রাহীম (আ.), ইসমাইল (আ.), ইদ্রিস (আ.) ও যুল-কিফ্ল (আ.)-এর ঘটনা বর্ণনা।
  3. শয়তানের অহংকার: শয়তান আদম (আ.)-কে সিজদা করতে অস্বীকার করে এবং অভিশপ্ত হয়।
  4. আখিরাতের সতর্কতা: কাফিরদের জন্য জাহান্নামের শাস্তি ও মুমিনদের জন্য জান্নাতের সুসংবাদ।
  5. কুরআনের মর্যাদা: এটি একটি বরকতময় গ্রন্থ, যা মানুষকে সঠিক পথ দেখায়।

৪. সূরাটির শিক্ষা

  1. অহংকার পরিহার করা: শয়তানের মতো অহংকার ধ্বংসের কারণ।
  2. ধৈর্য ধারণ: আইয়ুব (আ.)-এর মতো পরীক্ষায় ধৈর্য রাখা।
  3. আল্লাহর আদেশ পালন: দাউদ (আ.) ও সুলাইমান (আ.)-এর মতো আল্লাহর বিধান মেনে চলা।
  4. দুনিয়ার মোহ ত্যাগ: দুনিয়া ক্ষণস্থায়ী, আখিরাতই চিরস্থায়ী।
  5. কুরআন অধ্যয়ন: গভীরভাবে কুরআন চিন্তা করা মুমিনের কর্তব্য।

৫. সূরাটির মূল বিষয়বস্তু

  • আল্লাহর একত্ববাদের প্রমাণ (তাওহীদ)
  • নবীদের সংগ্রাম ও শিক্ষা
  • শয়তানের বিদ্রোহ ও পরিণতি
  • দুনিয়ার মোহ ও আখিরাতের সত্যতা
  • কুরআনের মাহাত্ম্য ও হিদায়াত

৬. সূরাটির ফযিলত (মর্যাদা)

  1. রাসুল (সা.)-এর প্রিয় সূরা: তিনি সূরা সাদ তিলাওয়াত করতেন এবং এতে বিশেষ গুরুত্ব দিতেন।
  2. আখিরাতে সুপারিশকারী: হাদীসে আছে, কিয়ামতের দিন কুরআন তার পাঠকের জন্য সুপারিশ করবে, বিশেষ করে সূরা সাদের মতো সূরাগুলো।
  3. রোগ-শোক থেকে মুক্তি: আইয়ুব (আ.)-এর ধৈর্যের সূরা হিসেবে এটি বিপদে ধৈর্য ধারণের শিক্ষা দেয়।
  4. অহংকার দূরীকরণ: শয়তানের ঘটনা অহংকারের ভয়াবহতা শেখায়।

৭. সূরাটির আলোকে ৫টি বিষয়ভিত্তিক আয়াত (অর্থসহ)

১. তাওহীদ ও আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব

আয়াত (৩৮:৬৫):

قُلْ إِنَّمَا أَنَا مُنذِرٌ ۖ وَمَا مِنْ إِلَٰهٍ إِلَّا اللَّهُ الْوَاحِدُ الْقَهَّارُ
অর্থ: “বলুন, আমি তো কেবল একজন সতর্ককারী। আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই, তিনি এক, সর্বশক্তিমান।”

ব্যাখ্যা: এই আয়াতে আল্লাহর একত্ব ও সর্বশক্তিমান হওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

২. শয়তানের অহংকার ও পরিণতি

আয়াত (৩৮:৭৪-৭৫):

فَسَجَدَ الْمَلَائِكَةُ كُلُّهُمْ أَجْمَعُونَ . إِلَّا إِبْلِيسَ اسْتَكْبَرَ وَكَانَ مِنَ الْكَافِرِينَ
অর্থ: “ফেরেশতারা সবাই একসাথে সিজদা করল, কিন্তু ইবলিস (শয়তান) অহংকার করল এবং সে কাফিরদের অন্তর্ভুক্ত হল।”

ব্যাখ্যা: অহংকার মানুষকে আল্লাহর অবাধ্য করে এবং ধ্বংসের দিকে নিয়ে যায়।

৩. দাউদ (আ.)-এর ন্যায়বিচার

আয়াত (৩৮:২৬):

يَا دَاوُودُ إِنَّا جَعَلْنَاكَ خَلِيفَةً فِي الْأَرْضِ فَاحْكُم بَيْنَ النَّاسِ بِالْحَقِّ
অর্থ: “হে দাউদ! আমরা তোমাকে পৃথিবীতে খলীফা বানিয়েছি, সুতরাং মানুষের মধ্যে ন্যায়বিচার কর।”

ব্যাখ্যা: নেতৃত্ব ও বিচারকার্যে ন্যায় প্রতিষ্ঠা করা ঈমানের দাবি।

৪. আইয়ুব (আ.)-এর ধৈর্য

আয়াত (৩৮:৪৪):

إِنَّا وَجَدْنَاهُ صَابِرًا ۚ نِّعْمَ الْعَبْدُ ۖ إِنَّهُ أَوَّابٌ
অর্থ: “নিশ্চয় আমরা তাকে ধৈর্যশীল পেয়েছি। কত উত্তম বান্দা! নিশ্চয় সে আল্লাহর দিকে ফিরে আসত।”

ব্যাখ্যা: বিপদে ধৈর্য ধারণকারী আল্লাহর প্রিয় বান্দা হয়।

৫. আখিরাতের সতর্কতা

আয়াত (৩৮:২৭-২৮):

وَمَا خَلَقْنَا السَّمَاءَ وَالْأَرْضَ وَمَا بَيْنَهُمَا بَاطِلًا
অর্থ: “আমি আকাশ, পৃথিবী ও এতদুভয়ের মধ্যবর্তী সবকিছু অযথা সৃষ্টি করিনি।”

ব্যাখ্যা: দুনিয়ার জীবন ক্ষণস্থায়ী, আখিরাতই চিরস্থায়ী।

উপসংহার

সূরা সাদ তাওহীদ, নবীদের ইতিহাস, অহংকারের পরিণতি, ধৈর্যের গুরুত্ব ও আখিরাতের সতর্কতা নিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ দিকনির্দেশনা দেয়। এটি মুমিনদের জন্য একটি আলোকবর্তিকা, যা তাদের ঈমানকে শক্তিশালী করে।