সূরা মুনাফিকুন এর সংক্ষিপ্ত পরিচয়, শানেনুযূল, সূরাটির গুরুত্বপূর্ণ দিক, সূরাটির শিক্ষা সূরাটির মূল বিষয়বস্তু, সূরাটির ফযিলত, এবং সূরাটির আলোকে ৫টি বিষয়ভিত্তিক আয়াত অর্থসহ প্রতিটি বিষয় আলোচনা এবং সূরা মুনাফিকুন সম্পর্কে ২০টি শর্ট প্রশ্ন ও উত্তর এবং ২৫টি MCQ দেয়া হলো।
সূরা মুনাফিকুন সম্পর্কে ২০টি শর্ট প্রশ্ন ও উত্তর এবং ২৫টি MCQ
সূরা মুনাফিকুন সম্পর্কে ২০টি শর্ট প্রশ্ন ও উত্তর
১. সূরা মুনাফিকুন মক্কায় নাকি মদিনায় নাযিল হয়েছে?
উত্তর: মদিনায় নাযিল হয়েছে।
২. সূরা মুনাফিকুনে কয়টি আয়াত আছে?
উত্তর: ১১টি আয়াত।
৩. মুনাফিকদের প্রধান বৈশিষ্ট্য কী?
উত্তর: মুখে ঈমানের দাবি করা কিন্তু অন্তরে কুফরি লুকানো।
৪. মুনাফিকরা কার কথাকে ঠাট্টা-তামাশা হিসেবে গ্রহণ করে?
উত্তর: ইসলাম ও রাসুল (সা.)-এর শিক্ষাকে।
৫. মুনাফিকদের অন্তরের অবস্থা কেমন?
উত্তর: তাদের অন্তর বিকৃত ও কপটতাপূর্ণ।
৬. মুনাফিকদের সম্পর্কে আল্লাহ কী সতর্ক করেছেন?
উত্তর: তারা মানুষের সামনে ভালো কাজের ভান করে কিন্তু আল্লাহ জানেন তাদের আসল অবস্থা।
৭. মুনাফিকদের শাস্তি কী?
উত্তর: জাহান্নামের নিম্নতম স্তরে তাদের স্থান হবে।
৮. সূরা মুনাফিকুনে আল্লাহ মুমিনদের কী নির্দেশ দিয়েছেন?
উত্তর: মুনাফিকদের চালাকি ও ধোঁকায় না পড়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
৯. মুনাফিকরা কার নেতৃত্ব মানে?
উত্তর: তাদের নিজেদের নেতৃস্থানীয় মুনাফিকদের।
১০. মুনাফিকদের দোয়া কবুল হয় না কেন?
উত্তর: কারণ তাদের ঈমান সত্য নয়, তারা শুধু লোক দেখানোর জন্য কাজ করে।
১১. সূরা মুনাফিকুনে আল্লাহ কীভাবে মুনাফিকদের বর্ণনা করেছেন?
উত্তর: তারা এমন যে, যখন তোমাদের দেখে তখন বলে, “আমরা ঈমান এনেছি,” কিন্তু যখন একান্তে থাকে তখন কুফরি করে।
১২. মুনাফিকরা মুমিনদের কী মনে করে?
উত্তর: তারা মুমিনদের বোকা ও সহজ-শিকার মনে করে।
১৩. সূরা মুনাফিকুনে আল্লাহ মুমিনদের কী স্মরণ করিয়ে দেন?
উত্তর: ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি যেন আল্লাহর স্মরণ থেকে বিমুখ না করে।
১৪. মুনাফিকরা কোন গুণের কারণে ধ্বংস হয়েছে?
উত্তর: মিথ্যাচার ও কপটতার কারণে।
১৫. সূরা মুনাফিকুনের মূল শিক্ষা কী?
উত্তর: মুনাফিকি থেকে বেঁচে থাকা এবং খাঁটি ঈমানদার হওয়া।
১৬. মুনাফিকরা কেন মুমিনদের সাথে বাহ্যিক সম্পর্ক রাখে?
উত্তর: স্বার্থসিদ্ধির জন্য।
১৭. মুনাফিকদের চিনার উপায় কী?
উত্তর: তাদের কথা ও কাজের মধ্যে অসামঞ্জস্য দেখা।
১৮. সূরা মুনাফিকুনে আল্লাহ কীভাবে সম্পদ ও সন্তানের মোহ থেকে সতর্ক করেছেন?
উত্তর: এগুলো যেন আল্লাহর ইবাদত থেকে বিরত না রাখে।
১৯. মুনাফিকদের অন্তর কেন অন্ধ?
**উত্তর:**因为他们拒不接受真理 এবং hypocrisy has covered their hearts.
২০. সূরা মুনাফিকুন পড়ার ফজিলত কী?
উত্তর: মুনাফিকির চরিত্র থেকে সতর্ক হওয়া এবং ঈমানকে শুদ্ধ করা।
সূরা মুনাফিকুন সম্পর্কে ২৫টি MCQ (বহুনির্বাচনী প্রশ্ন)
১. সূরা মুনাফিকুন কোন ধরনের সূরা?
a) মক্কী
b) মাদানী
c) মিশ্র
d) কোনোটিই নয়
২. সূরা মুনাফিকুনে কয়টি আয়াত আছে?
a) ১০
b) ১১
c) ১২
d) ৯
৩. মুনাফিকদের প্রধান বৈশিষ্ট্য কী?
a) প্রকাশ্যে কুফরি করা
b) মুখে ঈমানের দাবি করা কিন্তু অন্তরে কুফরি লুকানো
c) সম্পদের লোভ
d) সবাইকে বিশ্বাস করা
৪. মুনাফিকরা কার কথা ঠাট্টা করে?
a) নিজেদের
b) ইসলাম ও রাসুল (সা.)-এর শিক্ষা
c) কাফিরদের
d) ফেরেশতাদের
৫. মুনাফিকদের অন্তর কেমন?
a) পরিষ্কার
b) বিকৃত
c) শান্ত
d) নির্ভীক
৬. মুনাফিকদের শাস্তি কী?
a) জান্নাত
b) জাহান্নামের নিম্নতম স্তর
c) ক্ষমা
d) শাস্তি নেই
৭. মুনাফিকরা কার নেতৃত্ব মানে?
a) মুমিনদের
b) নিজেদের মুনাফিক নেতাদের
c) ফেরেশতাদের
d) কাফিরদের
৮. মুনাফিকদের দোয়া কবুল হয় না কেন?
a) তারা মিথ্যা বলে
b) তাদের ঈমান সত্য নয়
c) তারা গরিব
d) তারা বেশি দোয়া করে
৯. সূরা মুনাফিকুনে আল্লাহ মুমিনদের কী নির্দেশ দিয়েছেন?
a) মুনাফিকদের চালাকিতে না পড়া
b) তাদের সাহায্য করা
c) তাদের সাথে বন্ধুত্ব করা
d) তাদের উপহাস করা
১০. মুনাফিকরা মুমিনদের কী মনে করে?
a) বুদ্ধিমান
b) বোকা ও সহজ-শিকার
c) ভয়ংকর
d) অলৌকিক
১১. সূরা মুনাফিকুনে আল্লাহ কী স্মরণ করিয়ে দেন?
a) সম্পদ ও সন্তান যেন আল্লাহর স্মরণ থেকে না বিরত রাখে
b) বেশি অর্থ উপার্জন করতে
c) শত্রুদের ভয় করতে
d) সবাইকে বিশ্বাস করতে
১২. মুনাফিকরা কোন গুণের কারণে ধ্বংস হয়েছে?
a) দানশীলতা
b) মিথ্যাচার ও কপটতা
c) সাহসিকতা
d) ধৈর্য
১৩. সূরা মুনাফিকুনের মূল শিক্ষা কী?
a) সম্পদ উপার্জন
b) মুনাফিকি থেকে বেঁচে থাকা
c) যুদ্ধ করা
d) সবাইকে সন্দেহ করা
১৪. মুনাফিকরা কেন মুমিনদের সাথে সম্পর্ক রাখে?
a) ভালোবাসার জন্য
b) স্বার্থসিদ্ধির জন্য
c) ভয়ে
d) বাধ্য হয়ে
১৫. মুনাফিকদের চিনার উপায় কী?
a) তাদের পোশাক দেখে
b) কথা ও কাজের অসামঞ্জস্য
c) তাদের সম্পদ দেখে
d) তারা গরিব
১৬. সূরা মুনাফিকুনে আল্লাহ কী থেকে সতর্ক করেছেন?
a) সম্পদ ও সন্তানের মোহ
b) বেশি খাওয়া
c) বেশি ঘুমানো
d) বেশি কথা বলা
১৭. মুনাফিকদের অন্তর কেন অন্ধ?
a) তারা অন্ধ
b) তারা সত্য গ্রহণ করে না
c) তারা পড়ালেখা করে না
d) তারা গরিব
১৮. সূরা মুনাফিকুন পড়ার ফজিলত কী?
a) ধনী হওয়া
b) মুনাফিকির চরিত্র থেকে সতর্ক হওয়া
c) শত্রু মারার শক্তি পাওয়া
d) সব রোগ সেরে যায়
১৯. মুনাফিকরা কার সাথে ধোঁকা করে?
a) শুধু কাফিরদের
b) শুধু মুমিনদের
c) আল্লাহ ও মুমিনদের
d) কাউকে নয়
২০. মুনাফিকরা কোন সময় ঈমানের দাবি করে?
a) যখন মুমিনদের সামনে থাকে
b) যখন একা থাকে
c) যখন ঘুমায়
d) যখন কাফিরদের সাথে থাকে
২১. মুনাফিকদের কাজের উদ্দেশ্য কী?
a) আল্লাহর সন্তুষ্টি
b) লোক দেখানো
c) সাহায্য করা
d) সত্য প্রচার
২২. মুনাফিকরা কার আদেশ অমান্য করে?
a) নেতাদের
b) আল্লাহ ও রাসুলের
c) বন্ধুদের
d) পরিবারের
২৩. মুনাফিকরা কোন গুনাহ বেশি করে?
a) চুরি
b) মিথ্যা ও বিশ্বাসঘাতকতা
c) হত্যা
d) জুয়া
২৪. সূরা মুনাফিকুনে আল্লাহ মুমিনদের কী করতে বলেছেন?
a) মুনাফিকদের সাহায্য করতে
b) তাদের থেকে সতর্ক থাকতে
c) তাদের সাথে বন্ধুত্ব করতে
d) তাদের উপহার দিতে
২৫. মুনাফিকরা আখিরাতে কী বলবে?
a) “আমরা সত্যিকার মুমিন ছিলাম”
b) “আমাদের আর একবার সুযোগ দিন”
c) “আমরা জান্নাতে যাব”
d) “আমরা ফেরেশতা”
এই প্রশ্নোত্তরগুলো সূরা মুনাফিকুনের মূল শিক্ষা ও বিষয়বস্তু বুঝতে সহায়ক হবে।
সূরা মুনাফিকুন: সংক্ষিপ্ত পরিচয়, শানে নুযূল, গুরুত্বপূর্ণ দিক, শিক্ষা, মূল বিষয়বস্তু, ফযিলত ও বিষয়ভিত্তিক আয়াত
১. সংক্ষিপ্ত পরিচয়
- নাম: সূরা মুনাফিকুন (المُنَافِقُون)
- অর্থ: “মুনাফিকরা”
- আয়াত সংখ্যা: ১১টি
- সূরার অবস্থান: কুরআনের ৬৩তম সূরা
- নাযিলের স্থান: মাদানী সূরা (মদিনায় নাযিল হয়েছে)
- পারা: ২৮তম পারায় অবস্থিত
২. শানে নুযূল (নাযিলের প্রেক্ষাপট)
সূরা মুনাফিকুন মদিনার মুনাফিকদের চরিত্র ও কর্মকাণ্ড সম্পর্কে নাযিল হয়েছে। মুনাফিকরা ছিল এমন এক গোষ্ঠী যারা মুখে ইসলাম গ্রহণের দাবি করত কিন্তু অন্তরে কুফরি পোষণ করত। তারা মুসলিম সমাজে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করত, গোপন শত্রুতায় লিপ্ত ছিল এবং বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্র করত। বিশেষত, আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই ইবনে সালুল নামক এক প্রভাবশালী মুনাফিক নেতার নেতৃত্বে তারা মুসলমানদের বিরুদ্ধে কাজ করত।
উল্লেখযোগ্য ঘটনা:
- মুনাফিকরা বনু মুস্তালিক যুদ্ধের সময় মুসলিম বাহিনীতে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছিল।
- তারা মসজিদে নববীতে গোপনে মুনাফিকদের জন্য আলাদা মসজিদ (মসজিদে যিরার) নির্মাণ করেছিল, যার কথা সূরা তওবায় উল্লেখ হয়েছে।
৩. সূরাটির গুরুত্বপূর্ণ দিক
- মুনাফিকদের চরিত্র উন্মোচন: তাদের মুখে ঈমানের দাবি ও অন্তরে কুফরির বর্ণনা।
- মুনাফিকদের কৌশল: লোক দেখানো আমল, মিথ্যা শপথ ও ষড়যন্ত্র।
- মুমিনদের সতর্কীকরণ: মুনাফিকদের ধোঁকা থেকে সাবধান থাকার নির্দেশ।
- দুনিয়ার মোহ থেকে সতর্কতা: সম্পদ ও সন্তান যেন আল্লাহর স্মরণ থেকে বিমুখ না করে।
- তাওবার আহ্বান: মৃত্যুর আগে তাওবা ও সৎকর্মের প্রতি উৎসাহ।
৪. সূরাটির শিক্ষা
মুনাফিকি থেকে বেঁচে থাকা: অন্তরের সাথে কাজের সামঞ্জস্য রাখা।
আল্লাহর উপর ভরসা: মুনাফিকদের চক্রান্তে ভয় না পাওয়া।
দুনিয়ার মোহ ত্যাগ: সম্পদ ও সন্তানের প্রেমে আল্লাহকে ভুলে না যাওয়া।
সত্যবাদিতা: মুনাফিকদের মতো মিথ্যা ও কপটতা পরিহার করা।
আখিরাতের প্রস্তুতি: মৃত্যুর আগেই সৎকর্মে আত্মনিয়োগ করা।
৫. সূরাটির মূল বিষয়বস্তু
মুনাফিকদের স্বরূপ: তাদের মুখে ঈমান, অন্তরে কুফরি (আয়াত ১-২)।
মুনাফিকদের কূটকৌশল: মুমিনদের ঠকানোর চেষ্টা (আয়াত ৪)।
মুনাফিকদের পরিণতি: জাহান্নামে নিক্ষেপ (আয়াত ৬-৮)।
দুনিয়ার মোহ থেকে সাবধানতা: সম্পদ ও সন্তান যেন আল্লাহর ইবাদতে বাধা না হয় (আয়াত ৯)।
মৃত্যুর আগে তাওবার তাগিদ: আখিরাতের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া (আয়াত ১০-১১)।
৬. সূরাটির ফযিলত
মুনাফিকির চরিত্র থেকে সুরক্ষা: এ সূরা পাঠ করলে মুনাফিকির গুণ থেকে বেঁচে থাকা যায়।
ঈমানের সততা বৃদ্ধি: খাঁটি মুমিন হওয়ার প্রেরণা দেয়।
দুনিয়ার মোহ থেকে মুক্তি: সম্পদ ও সন্তানের মোহ থেকে হিফাজতের দোয়া রয়েছে।
আখিরাতের স্মরণ: মৃত্যু ও পরকালীন জীবনের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।
৭. সূরাটির আলোকে ৫টি বিষয়ভিত্তিক আয়াত (অর্থসহ)
১. মুনাফিকদের চরিত্র
আয়াত ১:
“যখন মুনাফিকরা আপনার কাছে আসে, তখন তারা বলে, ‘আমরা সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আপনি নিশ্চয়ই আল্লাহর রাসূল।’ আল্লাহ জানেন যে, আপনি নিশ্চয়ই তাঁর রাসূল। আর আল্লাহ সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে, মুনাফিকরা অবশ্যই মিথ্যাবাদী।”
প্রয়োগ: মুনাফিকরা মুখে ঈমানের স্বীকৃতি দেয় কিন্তু অন্তরে তা মানে না।
২. মুনাফিকদের কপটতা
আয়াত ৪:
“আপনি যখন তাদের দেখেন, তাদের দেহ-সৌষ্ঠব আপনাকে মুগ্ধ করে, আর তারা যখন কথা বলে, আপনি তাদের কথায় আকৃষ্ট হন। প্রকৃতপক্ষে তারা যেন কাঠের ভেলানো দেয়াল। তারা মনে করে প্রতিটি চিৎকারই তাদের বিরুদ্ধে। তারা শত্রু, অতএব তাদের থেকে সতর্ক থাকুন। আল্লাহ তাদের ধ্বংস করুন! তারা কোথায় ফিরে যাচ্ছে?”
প্রয়োগ: মুনাফিকরা বাহ্যিকভাবে আকর্ষণীয় হলেও অন্তরে শত্রুতা পোষণ করে।
৩. মুনাফিকদের শাস্তি
আয়াত ৬:
“আপনি তাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করুন বা না করুন, তাদের জন্য সমান। আল্লাহ তাদের কখনই ক্ষমা করবেন না। নিশ্চয়ই আল্লাহ পাপাচারী সম্প্রদায়কে হিদায়াত করেন না।”
প্রয়োগ: মুনাফিকদের তাওবা কবুল হয় না, কারণ তাদের ঈমান সত্য নয়।
৪. সম্পদ ও সন্তানের মোহ
আয়াত ৯:
“হে মুমিনগণ! তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি যেন তোমাদেরকে আল্লাহর স্মরণ থেকে গাফিল না করে। যারা এমন করে, তারাই তো ক্ষতিগ্রস্ত।”
প্রয়োগ: দুনিয়ার মোহ যেন আখিরাতের পথে বাধা না হয়।
৫. মৃত্যুর আগে তাওবা
আয়াত ১০:
“তোমরা মৃত্যু আসার আগেই আল্লাহর পথে ব্যয় করো। তখন পাপী বলবে, ‘হে আমার রব! আমাকে আরও কিছু সময় দিলে না কেন? তাহলে আমি সদকা দিতাম ও সৎকর্মীদের অন্তর্ভুক্ত হতাম!'”
প্রয়োগ: মৃত্যুর আগেই সৎকর্মে আত্মনিয়োগ করা উচিত, পরে অনুশোচনা কোনো কাজে আসবে না।
সারসংক্ষেপ:
সূরা মুনাফিকুন মুসলিম সমাজে মুনাফিকদের চরিত্র ও তাদের ধোঁকা থেকে সতর্ক করে। এটি ঈমানের সততা, দুনিয়ার মোহ থেকে মুক্তি এবং আখিরাতের প্রস্তুতির শিক্ষা দেয়। মুনাফিকদের পরিণতি জাহান্নাম, আর মুমিনদের কর্তব্য হলো তাদের চক্রান্ত থেকে সতর্ক থাকা এবং আল্লাহর স্মরণে নিবেদিত থাকা।
সূরা মুনাফিকুন অধ্যয়নের মাধ্যমে আমরা মুনাফিকির ধ্বংসাত্মক প্রভাব থেকে বেঁচে থাকতে পারি এবং খাঁটি মুমিন হিসেবে গড়ে উঠতে পারি।