সূরা ফুসসিলাত এর সংক্ষিপ্ত পরিচয়, শানেনুযূল, সূরাটির গুরুত্বপূর্ণ দিক, সূরাটির শিক্ষা সূরাটির মূল বিষয়বস্তু, সূরাটির ফযিলত, এবং সূরাটির আলোকে ৫টি বিষয়ভিত্তিক আয়াত অর্থসহ প্রতিটি বিষয় আলোচনা এবং সূরা ফুসসিলাত সম্পর্কে ২০টি শর্ট প্রশ্ন ও উত্তর এবং ২৫টি MCQ দেয়া হলো।
সূরা ফুসসিলাত সম্পর্কে ২০টি শর্ট প্রশ্ন ও উত্তর এবং ২৫টি MCQ
সূরা ফুসসিলাত সম্পর্কে ২০টি শর্ট প্রশ্ন ও উত্তর
- প্রশ্ন: সূরা ফুসসিলাত মক্কায় নাযিল হয়েছে নাকি মদীনায়?
উত্তর: মক্কায় নাযিল হয়েছে। - প্রশ্ন: সূরা ফুসসিলাত কত নং সূরা?
উত্তর: ৪১ নং সূরা। - প্রশ্ন: সূরা ফুসসিলাতের অন্য নাম কী?
উত্তর: সূরা হা-মীম আস-সাজদা বা সূরা ফুসসিলাত। - প্রশ্ন: সূরা ফুসসিলাতে কয়টি আয়াত আছে?
উত্তর: ৫৪টি আয়াত। - প্রশ্ন: সূরা ফুসসিলাতের মূল বিষয় কী?
উত্তর: তাওহীদ, কুরআনের মাহাত্ম্য, আখিরাতের সতর্কতা ও শিরকের পরিণতি। - প্রশ্ন: ফুসসিলাত শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করা। - প্রশ্ন: সূরা ফুসসিলাতের শুরুতে কোন হরফে কসম করা হয়েছে?
উত্তর: “হা-মীম” (حٰمٓ)। - প্রশ্ন: সূরা ফুসসিলাতে কীভাবে কুরআনের শ্রেষ্ঠত্ব বর্ণনা করা হয়েছে?
উত্তর: একে “ফুরকান” (সত্য-মিথ্যার পার্থক্যকারী) বলা হয়েছে। - প্রশ্ন: সূরা ফুসসিলাতে কাফিরদের কী শাস্তির কথা বলা হয়েছে?
উত্তর: জাহান্নামের শাস্তি। - প্রশ্ন: সূরা ফুসসিলাতে আল্লাহর নিদর্শনগুলোর মধ্যে কোনটি উল্লেখ করা হয়েছে?
উত্তর: আকাশ, পৃথিবী, পাহাড়, রাত-দিনের পরিবর্তন ইত্যাদি। - প্রশ্ন: সূরা ফুসসিলাতে শয়তানের অনুসারীদের কী বলা হয়েছে?
উত্তর: তারা জাহান্নামের জ্বালানী হবে। - প্রশ্ন: সূরা ফুসসিলাতে মুমিনদের কী পুরস্কারের কথা বলা হয়েছে?
উত্তর: জান্নাত ও আল্লাহর সন্তুষ্টি। - প্রশ্ন: সূরা ফুসসিলাতে আল্লাহর রহমতের কী উদাহরণ দেওয়া হয়েছে?
উত্তর: বৃষ্টি দ্বারা মৃত ভূমিকে সজীব করা। - প্রশ্ন: সূরা ফুসসিলাতে কোন নবীর কথা উল্লেখ আছে?
উত্তর: হযরত মুসা (আ.) ও ফেরাউনের কথা উল্লেখ আছে। - প্রশ্ন: সূরা ফুসসিলাতে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনার কী উপদেশ দেওয়া হয়েছে?
উত্তর: “ইস্তিগফার” (ক্ষমা প্রার্থনা) ও ধৈর্য ধারণের কথা বলা হয়েছে। - প্রশ্ন: সূরা ফুসসিলাতে কাফিররা কুরআন শুনে কী বলত?
উত্তর: “আমাদের অন্তর এ কথায় অন্ধকারাচ্ছন্ন।” - প্রশ্ন: সূরা ফুসসিলাতে আল্লাহ কিসের শপথ করেছেন?
উত্তর: আকাশের নক্ষত্রপুঞ্জের শপথ করেছেন। - প্রশ্ন: সূরা ফুসসিলাতে মানুষের সৃষ্টি সম্পর্কে কী বলা হয়েছে?
উত্তর: মাটি থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে। - প্রশ্ন: সূরা ফুসসিলাতে আল্লাহর নিকট সবচেয়ে ঘৃণিত কাজ কী?
উত্তর: শিরক (আল্লাহর সাথে অংশীদার স্থাপন)। - প্রশ্ন: সূরা ফুসসিলাত তিলাওয়াতের সময় কোথায় সিজদা করতে হয়?
উত্তর: ৩৭ নং আয়াতে সিজদা করতে হয়।
আরও পড়তে পারেন-- সূরা কাসাস সম্পর্কে ৪৫টি কুইজ প্রশ্ন এবং MCQ
সূরা ফুসসিলাত সম্পর্কে ২৫টি MCQ (বহু নির্বাচনী প্রশ্ন)
- সূরা ফুসসিলাত কততম সূরা?
a) ৩৯
b) ৪১
c) ৪৫
d) ৪৮
উত্তর: b) ৪১ - সূরা ফুসসিলাতের অন্য নাম কী?
a) সূরা আল-ফাতিহা
b) সূরা হা-মীম আস-সাজদা
c) সূরা আল-ইখলাস
d) সূরা আন-নাস
উত্তর: b) সূরা হা-মীম আস-সাজদা - সূরা ফুসসিলাতে কয়টি সিজদার আয়াত আছে?
a) ১
b) ২
c) ৩
d) ৪
উত্তর: a) ১ (৩৭ নং আয়াত) - সূরা ফুসসিলাতে কার কথা উল্লেখ আছে?
a) ফেরাউন
b) ক্বারুন
c) আবু লাহাব
d) আবু জাহেল
উত্তর: a) ফেরাউন - সূরা ফুসসিলাতে আল্লাহর কোন নিদর্শনের কথা বলা হয়েছে?
a) উট
b) পাহাড়
c) নক্ষত্র
d) সবগুলো
উত্তর: d) সবগুলো - সূরা ফুসসিলাতে কাফিররা কুরআন শুনে কী বলত?
a) আমরা বিশ্বাস করি
b) আমাদের অন্তর অন্ধকারাচ্ছন্ন
c) এটি জাদু
d) এটি কবিতা
উত্তর: b) আমাদের অন্তর অন্ধকারাচ্ছন্ন - সূরা ফুসসিলাতে আল্লাহ কীভাবে মৃত ভূমিকে জীবিত করেন?
a) আগুন দ্বারা
b) বৃষ্টি দ্বারা
c) বাতাস দ্বারা
d) সূর্য দ্বারা
উত্তর: b) বৃষ্টি দ্বারা - সূরা ফুসসিলাতে মুমিনদের পুরস্কার কী?
a) দুনিয়ার সম্পদ
b) জান্নাত
c) ক্ষমতা
d) দীর্ঘ জীবন
উত্তর: b) জান্নাত - সূরা ফুসসিলাতে শিরকের পরিণতি কী?
a) ক্ষমা
b) জাহান্নাম
c) দুনিয়ার শাস্তি
d) কোনো শাস্তি নেই
উত্তর: b) জাহান্নাম - সূরা ফুসসিলাতের শুরুতে কোন হরফ দিয়ে শুরু হয়েছে?
a) আলিফ-লাম-মীম
b) হা-মীম
c) তা-সীন
d) কাফ-হা-ইয়া-আইন-সাদ
উত্তর: b) হা-মীম - সূরা ফুসসিলাতে আল্লাহর নিকট সবচেয়ে ঘৃণিত কাজ কোনটি?
a) মিথ্যা বলা
b) শিরক
c) চুরি করা
d) গীবত করা
উত্তর: b) শিরক - সূরা ফুসসিলাতে মানুষের সৃষ্টি কী থেকে?
a) আগুন
b) মাটি
c) পানি
d) বাতাস
উত্তর: b) মাটি - সূরা ফুসসিলাতে আল্লাহ কিসের শপথ করেছেন?
a) কুরআনের
b) নক্ষত্রপুঞ্জের
c) ফেরেশতাদের
d) নবীদের
উত্তর: b) নক্ষত্রপুঞ্জের - সূরা ফুসসিলাতে কাফিরদের কী বলা হয়েছে?
a) তারা বিজয়ী হবে
b) তারা জাহান্নামের জ্বালানী
c) তারা ক্ষমা পাবে
d) তারা নেতা হবে
উত্তর: b) তারা জাহান্নামের জ্বালানী - সূরা ফুসসিলাতে আল্লাহর রহমতের উদাহরণ কী?
a) সম্পদ
b) বৃষ্টি
c) সন্তান
d) স্বাস্থ্য
উত্তর: b) বৃষ্টি - সূরা ফুসসিলাতে কোন নবীর উল্লেখ আছে?
a) মুসা (আ.)
b) ঈসা (আ.)
c) ইব্রাহীম (আ.)
d) নূহ (আ.)
উত্তর: a) মুসা (আ.) - সূরা ফুসসিলাতে আল্লাহর নিদর্শন দেখেও কারা অবাধ্য হয়?
a) মুমিনরা
b) কাফিররা
c) মুনাফিকরা
d) ফেরেশতারা
উত্তর: b) কাফিররা - সূরা ফুসসিলাতে আল্লাহ কীভাবে কুরআনকে অভিহিত করেছেন?
a) কবিতা
b) ফুরকান
c) গল্প
d) ইতিহাস
উত্তর: b) ফুরকান - সূরা ফুসসিলাতে আল্লাহর নিকট ক্ষমা পেতে কী করতে বলা হয়েছে?
a) বেশি নামাজ পড়া
b) ইস্তিগফার ও ধৈর্য ধারণ
c) বেশি দান করা
d) হজ্জ করা
উত্তর: b) ইস্তিগফার ও ধৈর্য ধারণ - সূরা ফুসসিলাতে শয়তানের অনুসারীদের কী হবে?
a) তারা সফল হবে
b) তারা ক্ষমা পাবে
c) তারা জাহান্নামে যাবে
d) তারা নেতা হবে
উত্তর: c) তারা জাহ
সূরাটির সংক্ষিপ্ত পরিচয়, শানেনুযূল, সূরাটির গুরুত্বপূর্ণ দিক, সূরাটির শিক্ষা, সূরাটির মূল বিষয়বস্তু, সূরাটির ফযিলত, এবং সূরাটির আলোকে ৫টি বিষয়ভিত্তিক আয়াত অর্থসহ প্রতিটি বিষয় বিস্তারিত চাই
সূরা ফুসসিলাত: সংক্ষিপ্ত পরিচয়, শানে নুযূল, গুরুত্বপূর্ণ দিক, শিক্ষা, মূল বিষয়বস্তু, ফযিলত ও বিষয়ভিত্তিক আয়াত
১. সংক্ষিপ্ত পরিচয়
- নাম: সূরা ফুসসিলাত (আরবি: فُصِّلَتْ), যা সূরা হা-মীম আস-সাজদা নামেও পরিচিত।
- অর্থ: “বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করা”।
- সূরার অবস্থান: কুরআনের ৪১তম সূরা, ২৪তম পারায় অবস্থিত।
- আয়াত সংখ্যা: ৫৪টি।
- নাযিলের স্থান: মক্কায় নাযিল হয়েছে (মাক্কী সূরা)।
- সিজদার আয়াত: ৩৭ নং আয়াতে সিজদায়ে তিলাওয়াত রয়েছে।
২. শানে নুযূল (প্রেক্ষাপট)
সূরা ফুসসিলাত মক্কী জীবনে নাযিল হয়, যখন কাফিররা রাসূল (ﷺ)-কে কষ্ট দিচ্ছিল এবং কুরআনের সত্যতা অস্বীকার করছিল। এই সূরায় আল্লাহ তাআলা কুরআনের মাহাত্ম্য, তাওহীদের দাওয়াত, শিরকের ভয়াবহ পরিণতি এবং আখিরাতের সতর্কতা তুলে ধরেছেন।
৩. সূরাটির গুরুত্বপূর্ণ দিক
- কুরআনের শ্রেষ্ঠত্ব: এটিকে “ফুরকান” (সত্য-মিথ্যার পার্থক্যকারী) বলা হয়েছে।
- তাওহীদের দাওয়াত: শুধুমাত্র আল্লাহর ইবাদতের নির্দেশ।
- প্রকৃতির নিদর্শন: আকাশ, পৃথিবী, পাহাড়, বৃষ্টি ইত্যাদির মাধ্যমে আল্লাহর কুদরতের প্রমাণ।
- কাফিরদের প্রত্যাখ্যান ও শাস্তি: জাহান্নামের ভয়াবহতা বর্ণনা।
- মুমিনদের পুরস্কার: জান্নাত ও আল্লাহর সন্তুষ্টির প্রতিশ্রুতি।
৪. সূরাটির শিক্ষা
- কুরআন আল্লাহর বাণী: এটি মানুষের জন্য পথনির্দেশক।
- শিরক সবচেয়ে বড় জুলুম: আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক করা মারাত্মক পাপ।
- প্রকৃতির নিদর্শনে চিন্তা: সৃষ্টিজগত নিয়ে গভীরভাবে ভাবলে ঈমান বৃদ্ধি পায়।
- ধৈর্য ও ইস্তিগফার: মুমিনদের প্রধান হাতিয়ার।
- আখিরাতে বিশ্বাস: দুনিয়ার জীবনের সমাপ্তি মৃত্যুতে নয়, বরং পরকালেই চূড়ান্ত ফলাফল।
৫. সূরাটির মূল বিষয়বস্তু
- তাওহীদ ও রিসালাত: আল্লাহ এক ও তাঁর পক্ষ থেকে কুরআন নাযিল হয়েছে।
- কুরআনের মাহাত্ম্য: এটি হিদায়াত ও রহমত।
- শিরকের ভয়াবহতা: শিরককারীদের জন্য কঠিন শাস্তি।
- প্রকৃতির নিদর্শন: আল্লাহর কুদরতের প্রমাণ।
- মুমিন ও কাফিরের পার্থক্য: মুমিনদের জন্য সুসংবাদ ও কাফিরদের জন্য সতর্কবাণী।
৬. সূরাটির ফযিলত
- সিজদার সূরা: এই সূরার সিজদার আয়াত তিলাওয়াত করলে সিজদা করা ওয়াজিব।
- ঈমান বৃদ্ধিকারক: প্রকৃতির নিদর্শন নিয়ে চিন্তা করলে ঈমান দৃঢ় হয়।
- কুরআনের হিফাজত: এ সূরায় কুরআনের হেফাজতের কথা বলা হয়েছে (আয়াত ৪১-৪২)।
- শিরক থেকে বাঁচার উপদেশ: শিরকের ভয়াবহতা স্মরণ করিয়ে দেয়।
- আখিরাতের প্রস্তুতি: মৃত্যু ও পরকালের স্মরণে উদ্বুদ্ধ করে।
৭. সূরাটির আলোকে ৫টি বিষয়ভিত্তিক আয়াত (অর্থসহ)
১. তাওহীদ ও আল্লাহর একত্ব
আয়াত:
“وَمَا كَانَ مَعَهُ مِنْ إِلَٰهٍ إِذًا لَّذَهَبَ كُلُّ إِلَٰهٍ بِمَا خَلَقَ وَلَعَلَا بَعْضُهُمْ عَلَىٰ بَعْضٍ“
অর্থ:
“আর যদি তাঁর সাথে অন্য কোনো ইলাহ থাকত, তবে প্রত্যেক ইলাহ নিজ নিজ সৃষ্টি নিয়ে পৃথক হয়ে যেত এবং একে অপরের উপর প্রাধান্য বিস্তার করত।” (সূরা ফুসসিলাত ৪১:৪৫)
২. কুরআনের মাহাত্ম্য
আয়াত:
“قُلْ هُوَ لِلَّذِينَ آمَنُوا هُدًى وَشِفَاءٌ“
অর্থ:
“বল, এটি (কুরআন) মুমিনদের জন্য হিদায়াত ও আরোগ্য।” (সূরা ফুসসিলাত ৪১:৪৪)
৩. শিরকের পরিণতি
আয়াত:
“إِنَّ الَّذِينَ كَفَرُوا بِالذِّكْرِ لَمَّا جَاءَهُمْ ۖ وَإِنَّهُ لَكِتَابٌ عَزِيزٌ“
অর্থ:
“নিশ্চয় যারা কুফরি করেছে এই উপদেশ (কুরআন) তাদের কাছে আসার পর, আর নিশ্চয় এটি এক পরাক্রমশীল কিতাব।” (সূরা ফুসসিলাত ৪১:৪১)
৪. প্রকৃতির নিদর্শন
আয়াত:
“وَفِي الْأَرْضِ آيَاتٌ لِّلْمُوقِنِينَ“
অর্থ:
“আর পৃথিবীতে নিদর্শন রয়েছে দৃঢ় বিশ্বাসীদের জন্য।” (সূরা ফুসসিলাত ৪১:৫৩)
৫. আখিরাতের সতর্কতা
আয়াত:
“فَإِنِ اسْتَكْبَرُوا فَالَّذِينَ عِندَ رَبِّكَ يُسَبِّحُونَ لَهُ بِاللَّيْلِ وَالنَّهَارِ وَهُمْ لَا يَسْأَمُونَ“
অর্থ:
“অতএব, যদি তারা অহংকার করে, তবে যারা তোমার রবের নিকট আছে তারা রাত-দিন তাঁর তাসবিহ পাঠ করে এবং তারা ক্লান্ত হয় না।” (সূরা ফুসসিলাত ৪১:৩৮)
উপসংহার
সূরা ফুসসিলাত তাওহীদ, কুরআনের মাহাত্ম্য, শিরকের ভয়াবহতা, প্রকৃতির নিদর্শন ও আখিরাতের সতর্কতা নিয়ে আলোচনা করে। এটি মুমিনদের জন্য হিদায়াত, সান্ত্বনা ও সতর্কবাণী হিসেবে এসেছে। নিয়মিত এ সূরা তিলাওয়াত ও চিন্তাভাবনা করলে ঈমানী শক্তি বৃদ্ধি পায় এবং শিরক থেকে বেঁচে থাকার প্রেরণা মেলে।