সূরা ফাতহ এর সংক্ষিপ্ত পরিচয়, শানেনুযূল, সূরাটির গুরুত্বপূর্ণ দিক, সূরাটির শিক্ষা সূরাটির মূল বিষয়বস্তু, সূরাটির ফযিলত, এবং সূরাটির আলোকে ৫টি বিষয়ভিত্তিক আয়াত অর্থসহ প্রতিটি বিষয় আলোচনা এবং সূরা ফাতহ সম্পর্কে ২০টি শর্ট প্রশ্ন ও উত্তর এবং ২৫টি MCQ দেয়া হলো।
সূরা ফাতহ
সূরা ফাতহ সম্পর্কে ২০টি শর্ট প্রশ্ন ও উত্তর এবং ২৫টি MCQ
সূরা ফাতহ সম্পর্কে ২০টি শর্ট প্রশ্ন ও উত্তর:
১. প্রশ্ন: সূরা ফাতহ মক্কী না মাদানী?
উত্তর: মাদানী সূরা।
২. প্রশ্ন: সূরা ফাতহ কত নং সূরা?
উত্তর: কুরআনের ৪৮তম সূরা।
৩. প্রশ্ন: সূরা ফাতহে কয়টি আয়াত আছে?
উত্তর: ২৯টি আয়াত।
৪. প্রশ্ন: সূরা ফাতহের মূল বিষয় কী?
উত্তর: হুদাইবিয়ার সন্ধি, মুসলিম বিজয় ও আল্লাহর সাহায্যের প্রতিশ্রুতি।
৫. প্রশ্ন: হুদাইবিয়ার সন্ধির অপর নাম কী?
উত্তর: “ফাতহুন মুবীন” (স্পষ্ট বিজয়)।
৬. প্রশ্ন: সূরা ফাতহে কোন ঐতিহাসিক ঘটনার কথা বলা হয়েছে?
উত্তর: হুদাইবিয়ার সন্ধি ও পরবর্তী বিজয়ের ভবিষ্যদ্বাণী।
৭. প্রশ্ন: সূরা ফাতহে মুমিনদের কী সুসংবাদ দেওয়া হয়েছে?
উত্তর: মক্কা বিজয় ও অন্যান্য বিজয়ের সুসংবাদ।
৮. প্রশ্ন: “সিদ্দিকীন” শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: সত্যবাদী ও বিশ্বস্ত লোকেরা।
৯. প্রশ্ন: সূরা ফাতহে আল্লাহ তাআলা মুমিনদের কী গুণে ভূষিত করেছেন?
উত্তর: ঈমান, আনুগত্য ও একত্ববাদের গুণে।
১০. প্রশ্ন: “ইন্নā ফাতাহনā লাকা ফাতহান মুবীনā” এর অর্থ কী?
উত্তর: “নিশ্চয়ই আমরা আপনাকে দিয়েছি স্পষ্ট বিজয়।” (আয়াত ১)
১১. প্রশ্ন: সূরা ফাতহে কাদের প্রতি আল্লাহর ক্রোধের কথা বলা হয়েছে?
উত্তর: কাফির ও মুনাফিকদের প্রতি।
১২. প্রশ্ন: সূরা ফাতহে রাসূল (সা.)-এর স্বপ্ন কীভাবে বাস্তবায়িত হয়?
উত্তর: মক্কায় শান্তিপূর্ণ প্রবেশের স্বপ্ন সত্য হয়।
১৩. প্রশ্ন: হুদাইবিয়ার সন্ধি কত হিজরিতে সংঘটিত হয়?
উত্তর: ৬ হিজরি (৬২৮ খ্রিস্টাব্দ)।
১৪. প্রশ্ন: সূরা ফাতহে আল্লাহ মুমিনদের কী উপাধি দিয়েছেন?
উত্তর: “রহমাতুল্লিল আলামীন” (সমগ্র বিশ্বের জন্য রহমত)।
১৫. প্রশ্ন: সূরা ফাতহে কোন নবীর ঘটনার ইঙ্গিত আছে?
উত্তর: মুসা (আ.) ও বনী ইসরাইলের ঘটনার ইঙ্গিত।
১৬. প্রশ্ন: “যালিকাল ফাদলুল্লāহি ইউ’তীহি মাই ইয়াশā” এর অর্থ কী?
উত্তর: “এটি আল্লাহর অনুগ্রহ, তিনি যাকে ইচ্ছা দেন।” (আয়াত ২১)
১৭. প্রশ্ন: সূরা ফাতহে মুনাফিকদের কী শাস্তির কথা বলা হয়েছে?
উত্তর: তারা যুদ্ধে পিছিয়ে থাকবে এবং লজ্জিত হবে।
১৮. প্রশ্ন: সূরা ফাতহের শেষ আয়াতে কী বলা হয়েছে?
উত্তর: মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহর রাসূল এবং তাঁর সহচররা কাফিরদের প্রতি কঠোর, নিজেদের মধ্যে দয়ালু।
১৯. প্রশ্ন: সূরা ফাতহ তিলাওয়াতের ফজিলত কী?
উত্তর: এটি নবী (সা.)-এর প্রিয় সূরা এবং বিজয়ের সুসংবাদ বহন করে।
২০. প্রশ্ন: সূরা ফাতহে আল্লাহর কী বিশেষ গুণবাচক নাম উল্লেখিত হয়েছে?
উত্তর: “আল-আজীয, আল-হাকীম” (পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়)।
সূরা ফাতহ সম্পর্কে ২৫টি MCQ (বহুনির্বাচনী প্রশ্ন):
১. সূরা ফাতহ কোন ধরনের সূরা?
a) মক্কী
b) মাদানী
c) মিশ্র
২. সূরা ফাতহে কয়টি আয়াত আছে?
a) ২৫
b) ২৯
c) ৩০
৩. “ফাতহুন মুবীন” বলতে কী বোঝায়?
a) হুদাইবিয়ার সন্ধি
b) বদরের যুদ্ধ
c) খন্দকের যুদ্ধ
৪. সূরা ফাতহে কার বিজয়ের ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে?
a) রোমান
b) মুসলিমরা
c) ইহুদিরা
৫. হুদাইবিয়ার সন্ধি কত হিজরিতে হয়?
a) ৫ হিজরি
b) ৬ হিজরি
c) ৭ হিজরি
৬. “ইন্না ফাতাহনা লাকা ফাতহান মুবিনা” কোন সূরার আয়াত?
a) সূরা নাসর
b) সূরা ফাতহ
c) সূরা আনফাল
৭. সূরা ফাতহে মুমিনদের কী বলা হয়েছে?
a) দয়ালু ও কঠোর
b) শুধু কঠোর
c) শুধু দয়ালু
৮. সূরা ফাতহে মুনাফিকদের কী বলা হয়েছে?
a) তারা সাহসী
b) তারা পিছিয়ে থাকবে
c) তারা নেতৃত্ব দেবে
৯. সূরা ফাতহের শেষ আয়াতে কাদের বৈশিষ্ট্য বলা হয়েছে?
a) নবী ও সাহাবায়ে কেরাম
b) শুধু নবী (সা.)
c) শুধু সাহাবী
১০. “রহমাতুল্লিল আলামীন” বলা হয়েছে কাকে?
a) নবী মুহাম্মদ (সা.)
b) ফেরেশতাদের
c) সাহাবীদের
১১. সূরা ফাতহে আল্লাহর কোন গুণবাচক নাম এসেছে?
a) আল-আজীয, আল-হাকীম
b) আল-রহীম, আল-মালিক
c) আল-কাদির, আল-বাসির
১২. সূরা ফাতহে কার স্বপ্নের কথা বলা হয়েছে?
a) হযরত আবু বকর (রা.)
b) হযরত মুহাম্মদ (সা.)
c) হযরত উমর (রা.)
১৩. সূরা ফাতহে আল্লাহ কাদের প্রতি ক্রোধান্বিত?
a) মুমিন
b) কাফির ও মুনাফিক
c) আহলে কিতাব
১৪. “সিদ্দিকীন” শব্দের অর্থ কী?
a) ধৈর্যশীল
b) সত্যবাদী
c) জ্ঞানী
১৫. সূরা ফাতহে কোন যুদ্ধের ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে?
a) বদর
b) খন্দক
c) হুদাইবিয়া
১৬. সূরা ফাতহে আল্লাহ মুমিনদের কী দিয়েছেন?
a) শাস্তি
b) বিজয় ও শান্তি
c) সম্পদ
১৭. সূরা ফাতহে নবী (সা.)-এর সহচরদের কী বলা হয়েছে?
a) দয়ালু ও কঠোর
b) শুধু কঠোর
c) শুধু দয়ালু
১৮. সূরা ফাতহে আল্লাহর কোন বিশেষ অনুগ্রহের কথা বলা হয়েছে?
a) বৃষ্টি দান
b) বিজয় দান
c) সম্পদ দান
১৯. সূরা ফাতহের মূল বার্তা কী?
a) আল্লাহর সাহায্য ও বিজয়
b) কিয়ামতের ভয়
c) ইবাদতের পদ্ধতি
২০. সূরা ফাতহে আল্লাহ মুমিনদের কী উপাধি দিয়েছেন?
a) সত্যের সাক্ষী
b) বিশ্বাসীদের জন্য রহমত
c) জিহাদি
২১. সূরা ফাতহে কার কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে?
a) ফেরেশতা জিবরাঈল
b) নবী (সা.) ও সাহাবায়ে কেরাম
c) পূর্ববর্তী নবীরা
২২. সূরা ফাতহের অন্যতম শিক্ষা কী?
a) ধৈর্য ও আল্লাহর উপর ভরসা
b) শুধু জিহাদ
c) শুধু দান
২৩. সূরা ফাতহে আল্লাহ মুমিনদের কীভাবে বর্ণনা করেছেন?
a) দুর্বল
b) শক্তিশালী ও সম্মানিত
c) ভীত
২৪. সূরা ফাতহে আল্লাহর কোন অঙ্গীকারের কথা বলা হয়েছে?
a) জান্নাতের অঙ্গীকার
b) দুনিয়ায় বিজয়
c) সম্পদের অঙ্গীকার
২৫. সূরা ফাতহ কোন ঘটনার পর নাযিল হয়?
a) বদরের যুদ্ধ
b) হুদাইবিয়ার সন্ধি
c) মক্কা বিজয়
এই প্রশ্নোত্তরগুলো সূরা ফাতহের মূল বিষয়বস্তু ও শিক্ষা বুঝতে সহায়ক হবে।
সূরাটির সংক্ষিপ্ত পরিচয়, শানেনুযূল, সূরাটির গুরুত্বপূর্ণ দিক, সূরাটির শিক্ষা, সূরাটির মূল বিষয়বস্তু, সূরাটির ফযিলত, এবং সূরাটির আলোকে ৫টি বিষয়ভিত্তিক আয়াত অর্থসহ প্রতিটি বিষয় বিস্তারিত চাই
সূরা ফাতহ: সংক্ষিপ্ত পরিচয়, শানে নুযূল, গুরুত্বপূর্ণ দিক, শিক্ষা, মূল বিষয়বস্তু, ফযিলত ও বিষয়ভিত্তিক আয়াত
১. সংক্ষিপ্ত পরিচয়
- নাম: সূরা ফাতহ (আরবি: الفتح)
- অর্থ: “বিজয়”
- সূরার ধরন: মাদানী
- আয়াত সংখ্যা: ২৯
- রুকু সংখ্যা: ৪
- কুরআনে অবস্থান: ৪৮তম সূরা
- নাযিলের সময়: হুদাইবিয়ার সন্ধির পর (৬ হিজরি)
২. শানে নুযূল (প্রাসঙ্গিক পটভূমি)
সূরা ফাতহ হিজরি ৬ষ্ঠ সালে হুদাইবিয়ার সন্ধির পর নাযিল হয়। রাসূলুল্লাহ (সা.) স্বপ্নে দেখেন যে মুসলিমরা মক্কায় শান্তিপূর্ণভাবে প্রবেশ করছে। তিনি সাহাবীদের নিয়ে উমরাহ করার উদ্দেশ্যে মক্কার দিকে রওনা হন, কিন্তু কুরাইশরা বাধা দেয়। শেষে হুদাইবিয়ার সন্ধি স্বাক্ষরিত হয়, যা প্রথমে কষ্টদায়ক মনে হলেও পরবর্তীতে এটি ইসলামের জন্য একটি বড় বিজয় হিসেবে প্রমাণিত হয়। এই সন্ধির মাধ্যমে:
- ১০ বছরের যুদ্ধবিরতি হয়।
- মুসলিমরা পরের বছর উমরাহ করার সুযোগ পায়।
- অন্যান্য গোত্রের সাথে চুক্তির পথ সুগম হয়।
- ইসলাম প্রচারের নতুন দিগন্ত খোলে।
এই প্রেক্ষাপটে সূরা ফাতহ নাযিল হয়ে মুমিনদেরকে বিজয়ের সুসংবাদ দেয়।
৩. সূরাটির গুরুত্বপূর্ণ দিক
- হুদাইবিয়ার সন্ধিকে “স্পষ্ট বিজয়” (ফাতহুন মুবীন) বলা হয়েছে।
- মুমিনদের ঈমান ও আত্মসমর্পণের প্রশংসা করা হয়েছে।
- মুনাফিকদের ভণ্ডামির সমালোচনা করা হয়েছে।
- মক্কা বিজয় ও অন্যান্য ভবিষ্যত বিজয়ের সুসংবাদ দেওয়া হয়েছে।
- রাসূল (সা.) ও তাঁর সাহাবীদের বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করা হয়েছে।
৪. সূরাটির শিক্ষা
- আল্লাহর উপর পূর্ণ ভরসা রাখা: হুদাইবিয়ার সন্ধি দেখিয়েছে যে আল্লাহর পরিকল্পনা মানুষের চিন্তার চেয়ে মহান।
- ধৈর্য ও আনুগত্য: সাহাবায়ে কেরাম কঠিন পরিস্থিতিতেও রাসূল (সা.)-এর আনুগত্য করেছেন।
- মুনাফিকী থেকে দূরে থাকা: মুনাফিকরা সবসময় দুর্বলতার পরিচয় দেয়।
- আল্লাহর সাহায্যের প্রতি বিশ্বাস: মুমিনরা যেকোনো পরিস্থিতিতে আল্লাহর সাহায্য পাবে।
- শান্তি ও কূটনীতির গুরুত্ব: হুদাইবিয়ার সন্ধি যুদ্ধের চেয়ে শান্তির মাধ্যমে বড় বিজয় এনেছিল।
৫. সূরাটির মূল বিষয়বস্তু
বিষয় | বিবরণ |
১. বিজয়ের সুসংবাদ | আল্লাহ মুসলিমদেরকে দুনিয়া ও আখিরাতে বিজয় দেবেন (আয়াত ১-৩)। |
২. মুমিনদের প্রশংসা | যারা আল্লাহ ও রাসূলের প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস রাখে, তাদের জন্য জান্নাতের প্রতিশ্রুতি (আয়াত ৪-৫)। |
৩. মুনাফিকদের সমালোচনা | যারা যুদ্ধে পিছিয়ে থাকে, তাদের জন্য লজ্জা ও শাস্তি (আয়াত ৬)। |
৪. হুদাইবিয়ার সন্ধির তাৎপর্য | এটি একটি মহান বিজয়, যা ভবিষ্যতের সাফল্যের দরজা খুলে দিয়েছে (আয়াত ১৮-২১)। |
৫. রাসূল (সা.) ও সাহাবীদের বৈশিষ্ট্য | তারা কাফিরদের প্রতি কঠোর, নিজেদের মধ্যে দয়ালু (আয়াত ২৯)। |
৬. সূরাটির ফযিলত
- নবী (সা.)-এর প্রিয় সূরা: তিনি একে “আমার সবচেয়ে প্রিয় সূরা” বলেছেন (সহিহ বুখারী)।
- বিজয়ের সুসংবাদ: এটি তিলাওয়াত করলে আল্লাহর সাহায্য ও বিজয় লাভ হয়।
- গুনাহ মাফের মাধ্যম: রাসূল (সা.) বলেছেন, “যে সূরা ফাতহ পড়বে, সে যেন হুদাইবিয়ার দিনের মতো ক্ষমা পেল” (তাফসীরে ইবনে কাসীর)।
৭. সূরাটির আলোকে ৫টি বিষয়ভিত্তিক আয়াত (অর্থসহ)
১. আল্লাহর সাহায্য ও বিজয়
আয়াত ১:
“নিশ্চয়ই আমরা আপনাকে দিয়েছি স্পষ্ট বিজয়।”
ব্যাখ্যা: হুদাইবিয়ার সন্ধিকে আল্লাহ “ফাতহুন মুবীন” (স্পষ্ট বিজয়) বলেছেন, যা পরবর্তীতে মক্কা বিজয়ের পথ প্রশস্ত করেছিল।
২. মুমিনদের জান্নাতের প্রতিশ্রুতি
আয়াত ৫:
“যাতে তিনি মুমিন পুরুষ ও নারীদেরকে জান্নাতে প্রবেশ করান, যার নিচে নদী প্রবাহিত।”
ব্যাখ্যা: আল্লাহ মুমিনদের জন্য চিরস্থায়ী পুরস্কারের ঘোষণা দিয়েছেন।
৩. মুনাফিকদের শাস্তি
আয়াত ৬:
“এবং যারা মুনাফিক, তাদেরকে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি দেবেন।”
ব্যাখ্যা: মুনাফিকরা আল্লাহর রহমত থেকে বঞ্চিত হবে।
৪. রাসূল (সা.)-এর স্বপ্নের বাস্তবায়ন
আয়াত ২৭:
“নিশ্চয়ই আল্লাহ তাঁর রাসূলের স্বপ্নকে সত্যে পরিণত করেছেন।”
ব্যাখ্যা: রাসূল (সা.)-এর মক্কায় প্রবেশের স্বপ্ন সত্য হয়েছিল।
৫. মুমিনদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য
আয়াত ২৯:
“মুহাম্মদ আল্লাহর রাসূল, আর তাঁর সহচররা কাফিরদের প্রতি কঠোর, নিজেদের মধ্যে দয়ালু।”
ব্যাখ্যা: মুমিনদের বৈশিষ্ট্য হলো শত্রুর প্রতি দৃঢ় ও ভাইদের প্রতি সদয় হওয়া।
সারসংক্ষেপ:
সূরা ফাতহ একটি বিজয়মূলক সূরা, যা মুমিনদেরকে ধৈর্য, আনুগত্য ও আল্লাহর সাহায্যের প্রতি বিশ্বাস রাখতে শেখায়। এটি হুদাইবিয়ার সন্ধির মাধ্যমে ইসলামের ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী অধ্যায়ের সূচনা করেছিল।