সূরা কামার এর সংক্ষিপ্ত পরিচয়, শানেনুযূল, সূরাটির গুরুত্বপূর্ণ দিক, সূরাটির শিক্ষা সূরাটির মূল বিষয়বস্তু, সূরাটির ফযিলত, এবং সূরাটির আলোকে ৫টি বিষয়ভিত্তিক আয়াত অর্থসহ প্রতিটি বিষয় আলোচনা এবং সূসূরা কামার সম্পর্কে ২০টি শর্ট প্রশ্ন ও উত্তর এবং ২৫টি MCQ দেয়া হলো।
সূরা কামার
সূরা কামার সম্পর্কে ২০টি শর্ট প্রশ্ন ও উত্তর
১. সূরা কামার মক্কী না মাদানী?
উত্তর: মক্কী সূরা।
২. সূরা কামার কত নং সূরা?
উত্তর: কুরআনের ৫৪তম সূরা।
৩. সূরা কামারে কয়টি আয়াত আছে?
উত্তর: ৫৫টি আয়াত।
৪. সূরা কামারের প্রধান বিষয় কী?
উত্তর: কিয়ামতের নিদর্শন, পূর্ববর্তী জাতিদের শাস্তি ও আল্লাহর শাস্তির সতর্কতা।
৫. সূরা কামারে কোন জাতিদের কথা বলা হয়েছে?
উত্তর: নূহ, আদ, সামুদ, লূত ও ফিরাউনের জাতির কথা বলা হয়েছে।
৬. সূরা কামারে “কামার” শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: চাঁদ।
৭. সূরা কামারের প্রথম আয়াতে কী বলা হয়েছে?
উত্তর: “কিয়ামত নিকটবর্তী হয়েছে এবং চাঁদ বিদীর্ণ হয়েছে।”
৮. নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর মুজিজা হিসেবে চাঁদ বিদীর্ণ হওয়ার ঘটনা কোন সূরায় উল্লেখ আছে?
উত্তর: সূরা কামার (৫৪:১)।
৯. আদ জাতির প্রতি কে নবী হিসেবে পাঠানো হয়েছিল?
উত্তর: হুদ (আ.)।
১০. আদ জাতিকে কীভাবে শাস্তি দেওয়া হয়েছিল?
উত্তর: প্রচণ্ড ঝড় দ্বারা ধ্বংস করা হয়েছিল।
১১. সামুদ জাতির নবীর নাম কী?
উত্তর: সালেহ (আ.)।
১২. সামুদ জাতিকে কীভাবে শাস্তি দেওয়া হয়েছিল?
উত্তর: ভয়াবহ শব্দ (সাইহা) ও ভূমিকম্প দ্বারা ধ্বংস করা হয়েছিল।
১৩. লূত (আ.)-এর সম্প্রদায়কে কেন শাস্তি দেওয়া হয়েছিল?
উত্তর: সমকামিতার অপরাধে।
১৪. লূত (আ.)-এর সম্প্রদায়কে কীভাবে শাস্তি দেওয়া হয়েছিল?
উত্তর: পাথর বর্ষণ ও ভূমি উল্টে দেওয়া হয়েছিল।
১৫. ফিরাউন ও তার সম্প্রদায়কে কীভাবে শাস্তি দেওয়া হয়েছিল?
উত্তর: সমুদ্রে ডুবিয়ে ধ্বংস করা হয়েছিল।
১৬. সূরা কামারে আল্লাহ কতবার সতর্কবাণী দিয়েছেন?
উত্তর: “فَبِأَيِّ آلَاءِ رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ“—এই বাক্যটি ৪ বার repeated হয়েছে।
১৭. সূরা কামারে কুরআনকে কী বলা হয়েছে?
উত্তর: “মুযক্কির” (সতর্ককারী)—যা মানুষকে সতর্ক করে।
১৮. সূরা কামারের শেষ আয়াতে কী বলা হয়েছে?
উত্তর: “নিশ্চয়ই মুত্তাকীদের জন্য রয়েছে সফলতা।”
১৯. সূরা কামারে বর্ণিত নিদর্শনগুলো থেকে কী শিক্ষা পাওয়া যায়?
উত্তর: আল্লাহর শাস্তি থেকে শিক্ষা নেওয়া এবং তাওবা করা।
২০. সূরা কামার তিলাওয়াতের ফজিলত কী?
উত্তর: এটি কিয়ামতের দিন তিলাওয়াতকারীর জন্য সুপারিশ করবে।
সূরা কামার সম্পর্কে ২৫টি MCQ (বহুনির্বাচনী প্রশ্ন)
১. সূরা কামার কত নং সূরা?
- a) ৫০
b) ৫২
c) ৫৪
d) ৫৬
২. সূরা কামারে “কামার” শব্দের অর্থ কী?
- a) সূর্য
b) চাঁদ
c) তারা
d) আকাশ
৩. সূরা কামারে কয়টি আয়াত আছে?
- a) ৫০
b) ৫৫
c) ৬০
d) ৬৬
৪. সূরা কামার মক্কী না মাদানী?
- a) মক্কী
b) মাদানী
c) উভয়টি
d) কোনোটিই নয়
৫. সূরা কামারের প্রথম আয়াতে কী বলা হয়েছে?
- a) কিয়ামত নিকটবর্তী হয়েছে
b) আল্লাহর রহমত ব্যাপক
c) নামাজ কায়েম করো
d) সবাই মৃত্যুবরণ করবে
৬. কোন নবীর সম্প্রদায়কে ঝড় দ্বারা শাস্তি দেওয়া হয়েছিল?
- a) নূহ (আ.)
b) হুদ (আ.)
c) সালেহ (আ.)
d) লূত (আ.)
৭. সামুদ জাতির নবীর নাম কী?
- a) ইব্রাহিম (আ.)
b) সালেহ (আ.)
c) শুয়াইব (আ.)
d) মুসা (আ.)
৮. লূত (আ.)-এর সম্প্রদায়কে কেন শাস্তি দেওয়া হয়েছিল?
- a) চুরির অপরাধে
b) মিথ্যা বলার অপরাধে
c) সমকামিতার অপরাধে
d) জাদুর অপরাধে
৯. ফিরাউন ও তার সম্প্রদায়কে কীভাবে শাস্তি দেওয়া হয়েছিল?
- a) আগুনে পুড়িয়ে
b) সমুদ্রে ডুবিয়ে
c) ভূমিকম্পে
d) পাথর বর্ষণ করে
১০. সূরা কামারে আল্লাহর নিদর্শন সম্পর্কে কতবার সতর্ক করা হয়েছে?
- a) ২ বার
b) ৪ বার
c) ৬ বার
d) ৮ বার
১১. সূরা কামারে কুরআনকে কী বলা হয়েছে?
- a) হুদা (পথনির্দেশ)
b) মুযক্কির (সতর্ককারী)
c) রহমত (দয়া)
d) নূর (আলো)
১২. সূরা কামারের শেষ আয়াতে কী বলা হয়েছে?
- a) আল্লাহ ক্ষমাশীল
b) মুত্তাকীদের জন্য সফলতা
c) সবাই ফিরে আসবে
d) দুনিয়া ধোঁকা
১৩. কোন নবীর সম্প্রদায়কে পাথর বর্ষণ করে শাস্তি দেওয়া হয়েছিল?
- a) নূহ (আ.)
b) লূত (আ.)
c) শুয়াইব (আ.)
d) ইব্রাহিম (আ.)
১৪. সূরা কামারে কোন প্রাণীর কথা বলা হয়েছে?
- a) উট
(সালেহ (আ.)-এর উট)
b) গরু
c) ঘোড়া
d) হাতি
১৫. সূরা কামারে আল্লাহর কোন গুণের কথা বলা হয়েছে?
- a) ক্ষমাশীল
b) মহাপরাক্রমশালী
c) দয়ালু
d) সর্বজ্ঞ
১৬. সূরা কামারে কিসের বারবার উল্লেখ আছে?
- a) নামাজ
b) সতর্কবার্তা
c) যাকাত
d) হজ্জ
১৭. সূরা কামারে কার কথা বলা হয়নি?
- a) নূহ (আ.)
b) মুসা (আ.)
c) ঈসা (আ.)
d) হুদ (আ.)
১৮. সূরা কামারে আল্লাহর শাস্তিকে কী বলা হয়েছে?
- a) সহজ
b) কঠিন
c) মিষ্টি
d) অদৃশ্য
১৯. সূরা কামারে কোন নবীর উল্লেখ নেই?
- a) ইব্রাহিম (আ.)
b) সালেহ (আ.)
c) লূত (আ.)
d) হুদ (আ.)
২০. সূরা কামারে আল্লাহর নিদর্শন প্রত্যাখ্যানকারীদের কী বলা হয়েছে?
- a) বিজয়ী
b) ধ্বংসপ্রাপ্ত
c) ধনী
d) সম্মানিত
২১. সূরা কামারে “আল-কুরআন” শব্দটি কতবার এসেছে?
- a) ১ বার
b) ৩ বার
c) ৫ বার
d) ৭ বার
২২. সূরা কামারে আল্লাহর শাস্তির উদাহরণ দেওয়া হয়েছে কেন?
- a) ভয় দেখানোর জন্য
b) শিক্ষা নেওয়ার জন্য
c) শাস্তি দেওয়ার জন্য
d) পরীক্ষা করার জন্য
২৩. সূরা কামারে কোন নবীকে “আব্দানা” (আমাদের বান্দা) বলা হয়েছে?
- a) নূহ (আ.)
b) মুসা (আ.)
c) দাউদ (আ.)
d) সুলাইমান (আ.)
২৪. সূরা কামারে আল্লাহর শাস্তি থেকে রক্ষা পেতে কী করতে বলা হয়েছে?
- a) বেশি দান করতে
b) তাওবা ও আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাইতে
c) বেশি নামাজ পড়তে
d) হিজরত করতে
২৫. সূরা কামার তিলাওয়াতের ফজিলত কী?
- a) ধন-সম্পদ বৃদ্ধি
b) কিয়ামতে সুপারিশকারী
c) রোগমুক্তি
d) দীর্ঘ জীবন
সঠিক উত্তর
এই প্রশ্নোত্তরগুলো সূরা কামার সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা দেবে এবং পরীক্ষা বা সাধারণ জ্ঞানের জন্য সহায়ক হবে।
সূরাটির সংক্ষিপ্ত পরিচয়, শানেনুযূল, সূরাটির গুরুত্বপূর্ণ দিক, সূরাটির শিক্ষা, সূরাটির মূল বিষয়বস্তু, সূরাটির ফযিলত, এবং সূরাটির আলোকে ৫টি বিষয়ভিত্তিক আয়াত অর্থসহ প্রতিটি বিষয় বিস্তারিত চাই
সূরা কামার : সংক্ষিপ্ত পরিচয়, শানে নুযূল, গুরুত্বপূর্ণ দিক, শিক্ষা, মূল বিষয়বস্তু, ফযিলত ও বিষয়ভিত্তিক আয়াত
১. সংক্ষিপ্ত পরিচয়
- নাম: সূরা কামার (আরবি: القمر)
- অর্থ: “চাঁদ”
- সূরার অবস্থান: কুরআনের ৫৪তম সূরা
- আয়াত সংখ্যা: ৫৫
- নুযূলের স্থান: মক্কা (মক্কী সূরা)
- নুযূলের ক্রম: ৩৭তম (তাফসীরে ইবনে আব্বাস অনুযায়ী)
- পারার অবস্থান: ২৭তম পারা
২. শানে নুযূল (প্রেক্ষাপট)
সূরা কামার মক্কায় নাযিল হয়েছিল, যখন কাফিররা নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর দাওয়াতকে প্রত্যাখ্যান করছিল। এই সূরার প্রথম আয়াতে “চাঁদ বিদীর্ণ হওয়ার” ঘটনার উল্লেখ আছে, যা নবী (সা.)-এর একটি মু‘জিজা ছিল।
ঘটনা:
- মক্কার কাফিররা নবী (সা.)-কে মু‘জিজা দেখাতে চাপ দিলে তিনি আল্লাহর কাছে দোয়া করলে চাঁদ দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে যায় এবং পরে আবার জোড়া লেগে যায়।
- এ ঘটনা দেখেও কাফিররা ঈমান আনেনি, বরং বলেছিল, “এটা যাদু!” (সহিহ বুখারী ও মুসলিম)।
৩. সূরাটির গুরুত্বপূর্ণ দিক
- কিয়ামতের নিদর্শন: চাঁদ বিদীর্ণ হওয়ার ঘটনা কিয়ামতের নিকটবর্তী হওয়ার আলামত।
- পূর্ববর্তী জাতিদের শাস্তির বিবরণ: নূহ, আদ, সামুদ, লূত ও ফিরাউনের কওমের ধ্বংসের ইতিহাস।
- আল্লাহর শাস্তির সতর্কতা: অবিশ্বাসীদের জন্য ভয়াবহ পরিণতির বার্তা।
- কুরআনের সত্যতা: এটি একটি সতর্ককারী গ্রন্থ (মুযক্কির)।
- তাওবার আহ্বান: আল্লাহর শাস্তি থেকে বাঁচতে তাওবা ও ইবাদতের নির্দেশ।
৪. সূরাটির শিক্ষা
১. আল্লাহর নিদর্শনকে অস্বীকার করার পরিণতি ভয়াবহ।
২. অতীত জাতিদের ধ্বংসের ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেওয়া।
৩. কুরআন একটি সতর্কবাণী, যা মানুষকে সঠিক পথ দেখায়।
৪. আল্লাহর শাস্তি থেকে বাঁচতে তাওবা ও ইখলাস জরুরি।
৫. কিয়ামত অবশ্যম্ভাবী, তাই দুনিয়ার জীবনে প্রস্তুতি নিতে হবে।
৫. সূরাটির মূল বিষয়বস্তু
১. কিয়ামতের আলামত: চাঁদ বিদীর্ণ হওয়া (আয়াত ১)।
২. পূর্ববর্তী নবীদের কওমের ধ্বংস:
- নূহ (আ.)-এর কওম (আয়াত ৯-১৭)
- আদ জাতি ও হুদ (আ.) (আয়াত ১৮-২২)
- সামুদ জাতি ও সালেহ (আ.) (আয়াত ২৩-৩২)
- লূত (আ.)-এর কওম (আয়াত ৩৩-৪০)
- ফিরাউন ও তার সৈন্যবাহিনী (আয়াত ৪১-৪৬)
৩. কুরআনের সত্যতা ও সতর্কতা: এটি সহজবোধ্য উপদেশ (আয়াত ১৭, ২২, ৩২, ৪০)।
৪. অবিশ্বাসীদের পরিণতি: জাহান্নামের শাস্তি (আয়াত ৪৭-৪৮)।
৫. মুত্তাকীদের সফলতা: জান্নাতের প্রতিশ্রুতি (আয়াত ৫৪-৫৫)।
৬. সূরাটির ফযিলত (মাহাত্ম্য)
১. কিয়ামতের দিন সুপারিশকারী:
- নবী (সা.) বলেছেন, “যে ব্যক্তি সূরা কামার তিলাওয়াত করবে, কিয়ামতের দিন তা তার জন্য সুপারিশ করবে।” (তাবারানী)
২. চাঁদ বিদীর্ণ হওয়ার মু‘জিজার স্মরণ:
- এটি নবী (সা.)-এর একটি বড় মু‘জিজা, যা ঈমান বাড়ায়।
৩. সতর্কতা ও উপদেশ গ্রহণের সুযোগ:
- এ সূরায় অতীত জাতিদের শাস্তির বিবরণ রয়েছে, যা মানুষকে সতর্ক করে।
৭. সূরার আলোকে ৫টি বিষয়ভিত্তিক আয়াত (অর্থসহ)
১. কিয়ামতের নিকটবর্তী হওয়া ও চাঁদ বিদীর্ণ হওয়া
আয়াত ১:
“اقْتَرَبَتِ السَّاعَةُ وَانشَقَّ الْقَمَرُ“
অর্থ: “কিয়ামত নিকটবর্তী হয়েছে এবং চাঁদ বিদীর্ণ হয়েছে।”
২. নূহ (আ.)-এর কওমের ধ্বংস
আয়াত ৯-১১:
“كَذَّبَتْ قَبْلَهُمْ قَوْمُ نُوحٍ فَكَذَّبُوا عَبْدَنَا وَقَالُوا مَجْنُونٌ وَازْدُجِرَ“
অর্থ: “তাদের আগে নূহের সম্প্রদায়ও মিথ্যা বলেছিল। তারা আমাদের বান্দাকে মিথ্যাবাদী বলেছিল এবং বলেছিল, ‘এ তো পাগল!’ আর তাকে তিরস্কার করা হয়েছিল।”
৩. সামুদ জাতির উটের ঘটনা
আয়াত ২৭-২৯:
“وَأَرْسَلْنَا عَلَيْهِمْ صَيْحَةً وَاحِدَةً فَكَانُوا كَهَشِيمِ الْمُحْتَظِرِ“
অর্থ: “আমি তাদের উপর এক ভয়াবহ আওয়াজ পাঠালাম, ফলে তারা খড়কুটোর মতো হয়ে গেল।”
৪. লূত (আ.)-এর কওমের শাস্তি
আয়াত ৩৭-৩৯:
“فَجَعَلْنَا عَالِيَهَا سَافِلَهَا وَأَمْطَرْنَا عَلَيْهِمْ حِجَارَةً مِّن سِجِّيلٍ“
অর্থ: “আমি তাদের নিচের অংশ উপরে উল্টে দিলাম এবং তাদের উপর পোড়া মাটির পাথর বর্ষণ করলাম।”
৫. মুত্তাকীদের জন্য জান্নাতের সুসংবাদ
আয়াত ৫৪-৫৫:
“إِنَّ الْمُتَّقِينَ فِي جَنَّاتٍ وَنَهَرٍ (54) فِي مَقْعَدِ صِدْقٍ عِندَ مَلِيكٍ مُّقْتَدِرٍ“
অর্থ: “নিশ্চয়ই মুত্তাকীরা থাকবে জান্নাতে ও নহরের তীরে, সত্যের আসনে পরাক্রমশালী রাজার সান্নিধ্যে।”
সারসংক্ষেপ:
সূরা কামার কিয়ামতের নিদর্শন, পূর্ববর্তী জাতিদের শাস্তি, কুরআনের সত্যতা ও তাওবার আহ্বান নিয়ে আলোচনা করে। এটি আমাদেরকে আল্লাহর শাস্তি থেকে সতর্ক থাকতে এবং মুত্তাকী হওয়ার শিক্ষা দেয়। এ সূরার তিলাওয়াত কিয়ামতের দিন সুপারিশকারী হবে।
ব্যবহারের নির্দেশনা:
- তাফসীর অধ্যয়ন: ইবনে কাসির, তাবারি, জালালাইন।
- আমল: নিয়মিত তিলাওয়াত ও শিক্ষাগুলো বাস্তবায়ন।
- দাওয়াহ: কাফির-মুনাফিকদের সামনে চাঁদ বিদীর্ণ হওয়ার মু‘জিজা উপস্থাপন।