সূরা ওয়াকিয়াহ এর সংক্ষিপ্ত পরিচয়, শানেনুযূল, সূরাটির গুরুত্বপূর্ণ দিক, সূরাটির শিক্ষা সূরাটির মূল বিষয়বস্তু, সূরাটির ফযিলত, এবং সূরাটির আলোকে ৫টি বিষয়ভিত্তিক আয়াত অর্থসহ প্রতিটি বিষয় আলোচনা এবং সূরা ওয়াকিয়াহ সম্পর্কে ২০টি শর্ট প্রশ্ন ও উত্তর এবং ২৫টি MCQ দেয়া হলো।
সূরা ওয়াকিয়াহ
সূরা ওয়াকিয়াহ সম্পর্কে ২০টি শর্ট প্রশ্ন ও উত্তর
১. সূরা ওয়াকিয়াহ মক্কী না মাদানী?
উত্তর: মক্কী সূরা।
২. সূরা ওয়াকিয়াহ কত নং সূরা?
উত্তর: কুরআনের ৫৬ নং সূরা।
৩. সূরা ওয়াকিয়াহর আয়াত সংখ্যা কত?
উত্তর: ৯৬টি আয়াত।
৪. “ওয়াকিয়াহ” শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: “ঘটনাবলী” বা “অনিবার্য ঘটনা” (কিয়ামত)।
৫. সূরা ওয়াকিয়াহতে কিয়ামতের দিন মানুষ কয় ভাগে বিভক্ত হবে?
উত্তর: তিন ভাগে—
- ডানপন্থীরা,
- বামপন্থীরা,
- এবং অগ্রবর্তীরা।
৬. সূরা ওয়াকিয়াহতে কোন গাছের কথা উল্লেখ আছে যা জাহান্নামীদের খাওয়ানো হবে?
উত্তর: যাক্কুম গাছ।
৭. সূরা ওয়াকিয়াহ পড়ার বিশেষ ফজিলত কী?
উত্তর: রাসূল (ﷺ) বলেছেন, “যে ব্যক্তি প্রতি রাতে সূরা ওয়াকিয়াহ তিলাওয়াত করবে, তাকে কখনো দারিদ্র্য স্পর্শ করবে না।” (বায়হাকী)
৮. সূরা ওয়াকিয়াহতে জান্নাতের কী কী নেয়ামতের বর্ণনা আছে?
উত্তর:
- নির্মল পানির ঝর্ণা,
- সুস্বাদু ফল,
- উন্নত শয্যা ও সুন্দর সঙ্গী।
৯. সূরা ওয়াকিয়াহর শেষে কোন সূরার কথা বলা হয়েছে?
উত্তর: সূরা ওয়াকিয়াহর শেষে “ফাসাব্বিহ বিসমি রাব্বিকাল আজীম” বলা হয়েছে (সূরা হাশরের শেষাংশের অনুরূপ)।
১০. সূরা ওয়াকিয়াহতে আল্লাহর কোন নিদর্শনগুলো উল্লেখ করা হয়েছে?
উত্তর:
- মানুষের সৃষ্টি,
- আগুন ও গাছের সৃষ্টি,
- বৃষ্টি ও ফসলের উৎপাদন।
১১. সূরা ওয়াকিয়াহতে “আস-সাবিকুন” কারা?
উত্তর: তারা হলেন নেককার ও অগ্রগামী বান্দা, যারা জান্নাতের নিকটতম স্থান পাবে।
১২. সূরা ওয়াকিয়াহতে জাহান্নামীদের কী খাওয়ানো হবে?
উত্তর:
- যাক্কুম গাছ,
- ফুটন্ত পানি,
- পুঁজ ও রক্ত।
১৩. সূরা ওয়াকিয়াহর মূল বিষয়বস্তু কী?
উত্তর: কিয়ামত, পুনরুত্থান, জান্নাত-জাহান্নামের বর্ণনা এবং আল্লাহর কুদরতের প্রমাণ।
১৪. সূরা ওয়াকিয়াহতে মানুষের সৃষ্টি সম্পর্কে কী বলা হয়েছে?
উত্তর: মানুষকে মাটি, পানি ও শুক্রবিন্দু থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে।
১৫. সূরা ওয়াকিয়াহ পড়লে দারিদ্র্য দূর হয়—এই হাদিসের সনদ কী?
উত্তর: এটি দুর্বল হাদিস (যদিও অনেক আলেম এটির ফজিলত স্বীকার করেন)।
১৬. সূরা ওয়াকিয়াহতে বামপন্থীরা কারা?
উত্তর: তারা হলেন পাপাচারী ও কাফেররা, যারা জাহান্নামে যাবে।
১৭. সূরা ওয়াকিয়াহর কোন আয়াতে রিজিকের গ্যারান্টি দেওয়া হয়েছে?
উত্তর: আয়াত ৫৮-৭৩ এ আল্লাহ রিজিকদাতা হিসেবে নিজের দায়িত্বের কথা বলেছেন।
১৮. সূরা ওয়াকিয়াহর শুরুতে কী দিয়ে কিয়ামতের বর্ণনা করা হয়েছে?
উত্তর: “যখন কিয়ামত সংঘটিত হবে…” (আয়াত ১-২)।
১৯. সূরা ওয়াকিয়াহতে আল্লাহর অঙ্গীকার কী?
উত্তর: তিনি কখনো মিথ্যা বলেন না এবং তাঁর প্রতিশ্রুতি সত্য (আয়াত ৯৫-৯৬)।
২০. সূরা ওয়াকিয়াহ তিলাওয়াতের সময় কোন দুআ পড়া ভালো?
উত্তর:
“আল্লাহুম্মাজ়’alْنِي مِنَ السَّابِقِينَ“ (হে আল্লাহ! আমাকে অগ্রগামীদের মধ্যে শামিল করুন।)
সূরা ওয়াকিয়াহ সম্পর্কে ২৫টি MCQ (বহু নির্বাচনী প্রশ্ন)
১. সূরা ওয়াকিয়াহ কত নং সূরা?
- a) ৫৫
b) ৫৬
c) ৫৭
d) ৫৮
২. সূরা ওয়াকিয়াহর আয়াত সংখ্যা কত?
- a) ৯০
b) ৯৬
c) ৯৮
d) ১০০
৩. “ওয়াকিয়াহ” শব্দের অর্থ কী?
- a) দয়া
b) ঘটনাবলী
c) বিজয়
d) রহমত
৪. সূরা ওয়াকিয়াহতে মানুষ কয় ভাগে বিভক্ত?
- a) ২
b) ৩
c) ৪
d) ৫
৫. জাহান্নামীদের কী খাওয়ানো হবে?
- a) যাক্কুম গাছ
b) আঙ্গুর
c) খেজুর
d) মধু
৬. সূরা ওয়াকিয়াহতে “আস-সাবিকুন” কারা?
- a) পাপীরা
b) অগ্রগামী নেককার বান্দা
c) ফেরেশতা
d) নবী-রাসূল
৭. সূরা ওয়াকিয়াহ কোন ধরনের সূরা?
- a) মাদানী
b) মক্কী
c) উভয়টিই
d) কোনোটিই নয়
৮. সূরা ওয়াকিয়াহর শেষে কী বলা হয়েছে?
- a) “ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন”
b) “ফাসাব্বিহ বিসমি রাব্বিকাল আজীম”
c) “আমানার রাসূলুল্লাহ”
d) “লা হাওলা ওয়ালা কুওয়্যাটা ইল্লা বিল্লাহ”
৯. সূরা ওয়াকিয়াহতে আল্লাহর কোন নিদর্শন উল্লেখ নেই?
- a) মানুষের সৃষ্টি
b) পাহাড়ের সৃষ্টি
c) বৃষ্টি
d) গাছ
১০. সূরা ওয়াকিয়াহ পড়ার ফজিলত কী?
- a) দারিদ্র্য দূর হয়
b) রোগমুক্তি হয়
c) শত্রু হারিয়ে যায়
d) বৃষ্টি আসে
১১. সূরা ওয়াকিয়াহতে বামপন্থীরা কীভাবে শাস্তি পাবে?
- a) ঠাণ্ডা পানিতে
b) আগুনে
c) বরফে
d) অন্ধকারে
১২. সূরা ওয়াকিয়াহতে জান্নাতের নেয়ামত কী নয়?
- a) সুস্বাদু ফল
b) যাক্কুম গাছ
c) নির্মল ঝর্ণা
d) উন্নত শয্যা
১৩. সূরা ওয়াকিয়াহর মূল বিষয় কী?
- a) বাণিজ্য
b) কিয়ামত ও পরকাল
c) জিহাদ
d) বিবাহ
১৪. সূরা ওয়াকিয়াহতে মানুষের সৃষ্টি কী থেকে?
- a) আগুন
b) আলো
c) মাটি ও পানি
d) বাতাস
১৫. সূরা ওয়াকিয়াহর হাদিসে দারিদ্র্য দূর হয়—এই হাদিসের মান কী?
- a) সহীহ
b) দুর্বল
c) মাওযু
d) হাসান
১৬. সূরা ওয়াকিয়াহতে আল্লাহর অঙ্গীকার কী?
- a) তিনি মিথ্যা বলতে পারেন
b) তাঁর প্রতিশ্রুতি সত্য
c) তিনি ভুল করেন
d) তিনি পরিবর্তনশীল
১৭. সূরা ওয়াকিয়াহর শুরুতে কী বলা হয়েছে?
- a) বিসমিল্লাহ
b) কিয়ামতের বর্ণনা
c) জান্নাতের বর্ণনা
d) নবীদের কথা
১৮. সূরা ওয়াকিয়াহতে কোন ফলের কথা বলা হয়েছে?
- a) আঙ্গুর
b) খেজুর
c) কলা
d) আপেল
১৯. সূরা ওয়াকিয়াহতে আল্লাহ কীসের সাক্ষ্য দেন?
- a) তাঁর মহিমার
b) কুরআনের সত্যতার
c) নবীর মিশনের
d) ফেরেশতাদের
২০. সূরা ওয়াকিয়াহ পড়লে কোন গুনাহ মাফ হয়?
- a) সব গুনাহ
b) শিরক
c) বিশেষ ফজিলত আছে, কিন্তু সব গুনাহ নয়
d) কোনো গুনাহ নয়
২১. সূরা ওয়াকিয়াহর ভাষা কীভাবে বর্ণিত হয়েছে?
- a) কঠিন
b) সহজ
c) প্রমাণ ও উপদেশমূলক
d) রূপক
২২. সূরা ওয়াকিয়াহতে আল্লাহর কোন গুণের কথা বলা হয়েছে?
- a) তিনি রিজিক দেন
b) তিনি শাস্তি দেন
c) তিনি ভুলে যান
d) তিনি পরিবর্তিত হন
২৩. সূরা ওয়াকিয়াহর শিক্ষা কী?
- a) আল্লাহর একত্ব ও আখিরাতে বিশ্বাস
b) জিহাদ করা
c) দান করা
d) রোজা রাখা
২৪. সূরা ওয়াকিয়াহতে কার কথা বলা হয়েছে যারা জান্নাতের নিকটতম?
- a) নবীরা
b) শহীদরা
c) আস-সাবিকুন
d) ফেরেশতারা
২৫. সূরা ওয়াকিয়াহ তিলাওয়াতের সময় কোন দোয়া পড়া উত্তম?
- a) “রাব্বি জ়িদনী ইলমা”
b) “আল্লাহুম্মাজ়’alْنِي مِنَ السَّابِقِينَ”
c) “রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া”
d) “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ”
সঠিক উত্তর চিহ্নিত করা হয়েছে।
এই প্রশ্নোত্তরগুলো সূরা ওয়াকিয়াহ সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা দেবে এবং পরীক্ষা বা সাধারণ জ্ঞানের জন্য সহায়ক হবে।
সূরাটির সংক্ষিপ্ত পরিচয়, শানেনুযূল, সূরাটির গুরুত্বপূর্ণ দিক, সূরাটির শিক্ষা, সূরাটির মূল বিষয়বস্তু, সূরাটির ফযিলত, এবং সূরাটির আলোকে ৫টি বিষয়ভিত্তিক আয়াত অর্থসহ প্রতিটি বিষয় বিস্তারিত চাই
সূরা ওয়াকিয়াহ: সম্পূর্ণ বিশ্লেষণ
১. সংক্ষিপ্ত পরিচয়
- নাম: সূরা আল-ওয়াকিয়াহ (আরবি: سورة الواقعة)
- অর্থ: “অনিবার্য ঘটনা” বা “কিয়ামত”
- সূরার অবস্থান: কুরআনের ৫৬তম সূরা
- আয়াত সংখ্যা: ৯৬
- নাযিলের স্থান: মক্কা (মক্কী সূরা)
- পারা: ২৭তম পারা
২. শানে নুযূল (নাযিলের প্রেক্ষাপট)
সূরা ওয়াকিয়াহ মক্কায় নাযিল হয়, যখন কাফিররা কিয়ামত ও পুনরুত্থানকে অস্বীকার করত। এই সূরার মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা কিয়ামতের ভয়াবহতা, জান্নাত-জাহান্নামের বর্ণনা এবং তাঁর কুদরতের প্রমাণ দেন, যাতে মানুষ সত্য গ্রহণ করে।
৩. সূরাটির গুরুত্বপূর্ণ দিক
- কিয়ামতের বর্ণনা: সূরার শুরুতে কিয়ামতের ভয়াবহতা বর্ণনা করা হয়েছে।
- মানুষের বিভাজন: কিয়ামতের দিন মানুষ তিন দলে বিভক্ত হবে—
- ডানপন্থীরা (জান্নাতি),
- বামপন্থীরা (জাহান্নামি),
- অগ্রগামীরা (আস-সাবিকুন, যারা সর্বোচ্চ মর্যাদায় থাকবে)।
- আল্লাহর নিদর্শন: মানুষের সৃষ্টি, গাছ, আগুন, বৃষ্টি ইত্যাদির মাধ্যমে আল্লাহর মহিমা প্রমাণিত।
- জান্নাত-জাহান্নামের বিবরণ: জান্নাতের সুখ ও জাহান্নামের শাস্তির বিস্তারিত বর্ণনা।
- কুরআনের সত্যতা: আল্লাহর কালামের সত্যতা ও অলৌকিকতার প্রমাণ।
৪. সূরাটির শিক্ষা
- আখিরাতে বিশ্বাস: কিয়ামত, হাশর ও হিসাব-নিকাশে দৃঢ় বিশ্বাস রাখা।
- আল্লাহর কুদরতের স্বীকৃতি: প্রকৃতি ও মানুষের সৃষ্টিতে আল্লাহর মহত্ত্ব উপলব্ধি করা।
- অগ্রগামী হওয়ার চেষ্টা: নেক আমলের মাধ্যমে “আস-সাবিকুন”-এর মর্যাদা লাভের প্রচেষ্টা।
- দুনিয়ার মোহ ত্যাগ: জান্নাতের স্থায়ী নেয়ামতের জন্য দুনিয়ার ক্ষণস্থায়ী সম্পদের মোহ পরিহার।
- কুরআন অধ্যয়ন: কুরআনের সত্যতা মেনে নিয়ে তা অনুসরণ করা।
৫. সূরাটির মূল বিষয়বস্তু
বিষয় | বিবরণ |
কিয়ামত | কিয়ামতের ভয়াবহতা ও মানুষের বিভাজন (আয়াত ১-৫৬)। |
আল্লাহর নিদর্শন | মানুষ, প্রকৃতি ও রিজিকের মাধ্যমে আল্লাহর কুদরত (আয়াত ৫৭-৭৪)। |
জান্নাত-জাহান্নাম | জান্নাতের নেয়ামত ও জাহান্নামের শাস্তির বিবরণ (আয়াত ১-৪০, ৮৮-৯৬)। |
কুরআনের সত্যতা | কুরআন আল্লাহর বাণী এবং এর সত্যতার প্রমাণ (আয়াত ৭৫-৮২)। |
৬. সূরাটির ফজিলত
- দারিদ্র্য দূরীকরণ:
- রাসূল (ﷺ) বলেছেন, “যে ব্যক্তি প্রতি রাতে সূরা ওয়াকিয়াহ তিলাওয়াত করবে, তাকে কখনো দারিদ্র্য স্পর্শ করবে না।” (বায়হাকী, শু‘আবুল ঈমান)
- যদিও হাদিসটি দুর্বল, তবে অনেক আলেম এটির আমলকে গুরুত্ব দিয়েছেন।
- মৃত্যুর সময় সহজ হওয়া:
- ইবনে মাসঊদ (রা.) বলতেন, “যে ব্যক্তি নিয়মিত সূরা ওয়াকিয়াহ পড়বে, তার মৃত্যু কষ্টদায়ক হবে না।”
- আখিরাতের সতর্কতা:
- এ সূরা পড়লে কিয়ামত ও পরকালের চিন্তা বৃদ্ধি পায়, যা গুনাহ থেকে বিরত রাখে।
৭. সূরাটির আলোকে ৫টি বিষয়ভিত্তিক আয়াত (অর্থসহ)
১. কিয়ামতের বর্ণনা
আয়াত ১-২:
“যখন কিয়ামত সংঘটিত হবে, তখন তার সংঘটনকে মিথ্যা বলার কেউ থাকবে না। এটি একদলকে নামিয়ে দেবে ও একদলকে উঠিয়ে নেবে।”
- শিক্ষা: কিয়ামত অনিবার্য, এবং তা মানুষকে উচ্চ ও নিম্ন মর্যাদায় বিভক্ত করবে।
২. মানুষের বিভাজন
আয়াত ৭-১০:
“তোমরা তিন প্রকারের হবে: ডানপন্থী (জান্নাতি), বামপন্থী (জাহান্নামি) এবং অগ্রগামী (আস-সাবিকুন)। তারাই হবে নিকটবর্তী।”
- শিক্ষা: নেক আমল করে “অগ্রগামী” হওয়ার চেষ্টা করা উচিত।
৩. আল্লাহর নিদর্শন
আয়াত ৬৩-৬৪:
“তোমরা যে ফসল সংগ্রহ করো, তা সম্পর্কে ভেবে দেখেছ কি? তোমরাই তা উৎপাদন করো, না আমিই উৎপাদনকারী?”
- শিক্ষা: রিজিকের প্রকৃত দাতা আল্লাহ, মানুষের শ্রম只是一个 মাধ্যম।
৪. জান্নাতের নেয়ামত
আয়াত ২৮-৩৪:
“তারা থাকবে ঝর্ণাধারায়, সুউচ্চ শয্যায়। আমি তাদের জন্য সৃষ্টি করেছি পবিত্র স্ত্রীদের।”
- শিক্ষা: জান্নাতের নেয়ামত অফুরন্ত, এবং তা অর্জন করতে নেক আমল প্রয়োজন।
৫. কুরআনের সত্যতা
আয়াত ৭৭-৮০:
“নিশ্চয় এটি এক সম্মানিত কুরআন, যা এক গোপন কিতাবে সংরক্ষিত। একে স্পর্শ করে না অশুচিরা।”
- শিক্ষা: কুরআন আল্লাহর পক্ষ থেকে এবং তা হিফাজতকৃত।
সারসংক্ষেপ:
সূরা ওয়াকিয়াহ কিয়ামত, আল্লাহর কুদরত, জান্নাত-জাহান্নাম এবং কুরআনের সত্যতা নিয়ে আলোচনা করে। এটি তিলাওয়াতকারীর জন্য দারিদ্র্য মুক্তি ও আখিরাতের প্রস্তুতির সুযোগ সৃষ্টি করে। এই সূরার শিক্ষাগুলো জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা উচিত।