সূরা আন নাজম এর সংক্ষিপ্ত পরিচয়, শানেনুযূল, সূরাটির গুরুত্বপূর্ণ দিক, সূরাটির শিক্ষা সূরাটির মূল বিষয়বস্তু, সূরাটির ফযিলত, এবং সূরাটির আলোকে ৫টি বিষয়ভিত্তিক আয়াত অর্থসহ প্রতিটি বিষয় আলোচনা এবং সূরা আন নাজম সম্পর্কে ২০টি শর্ট প্রশ্ন ও উত্তর এবং ২৫টি MCQ দেয়া হলো।
সূরা আন নাজম
সূরা আন-নাজম সম্পর্কে ২০টি শর্ট প্রশ্ন ও উত্তর
- প্রশ্ন: সূরা আন-নাজম মক্কায় নাজিল হয়েছে নাকি মদিনায়?
উত্তর: মক্কায় নাজিল হয়েছে। - প্রশ্ন: সূরা আন-নাজমের আয়াত সংখ্যা কত?
উত্তর: ৬২টি আয়াত। - প্রশ্ন: সূরা আন-নাজমের অর্থ কী?
উত্তর: “তারা” বা “নক্ষত্র”। - প্রশ্ন: সূরা আন-নাজমে কোন ঘটনার বর্ণনা রয়েছে?
উত্তর: মি‘রাজের ঘটনার ইঙ্গিত রয়েছে। - প্রশ্ন: সূরা আন-নাজমের প্রথম আয়াতে কী বলা হয়েছে?
উত্তর: “وَالنَّجْمِ إِذَا هَوَىٰ” (নক্ষত্রের শপথ যখন তা অস্তমিত হয়)। - প্রশ্ন: সূরা আন-নাজমে নবীজি (সা.)-এর কীসের সত্যতা দেওয়া হয়েছে?
উত্তর: তাঁর ওহী ও দর্শনের সত্যতা। - প্রশ্ন: সূরা আন-নাজমে কাফিরদের কোন ভুল ধারণার খণ্ডন করা হয়েছে?
উত্তর: তারা মনে করত নবী (সা.) নিজ থেকে কুরআন রচনা করেন। - প্রশ্ন: সূরা আন-নাজমে আল্লাহর কীসের উপর জোর দেওয়া হয়েছে?
উত্তর: তাঁর একত্ববাদ ও ক্ষমতার উপর। - প্রশ্ন: সূরা আন-নাজমে কার পতনের কথা বলা হয়েছে?
উত্তর: শয়তানের পতনের কথা বলা হয়েছে (আয়াত ৫৩-৫৪)। - প্রশ্ন: সূরা আন-নাজমের শেষ আয়াতে কী বলা হয়েছে?
উত্তর: “فَاسْجُدُوا لِلَّهِ وَاعْبُدُوا” (অতএব, আল্লাহকে সিজদা করো ও ইবাদত করো)। - প্রশ্ন: সূরা আন-নাজমে কোন নবীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে?
উত্তর: ইবরাহীম (আ.)-এর নাম উল্লেখ করা হয়েছে (আয়াত ৩৭)। - প্রশ্ন: সূরা আন-নাজমে কিয়ামতের কী আলোচনা রয়েছে?
উত্তর: কিয়ামতের দিন মানুষের আমলনামা দেওয়া হবে (আয়াত ৩৯-৪১)। - প্রশ্ন: সূরা আন-নাজমে আল্লাহ মানুষকে কীসের স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন?
উত্তর: মৃত্যু ও পুনরুত্থানের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। - প্রশ্ন: সূরা আন-নাজমে কোন গোত্রের পাপের কথা বলা হয়েছে?
উত্তর: আদ ও সামুদ গোত্রের ধ্বংসের কথা বলা হয়েছে। - প্রশ্ন: সূরা আন-নাজমে আল্লাহ কীভাবে মানুষের সৃষ্টির কথা বলেছেন?
উত্তর: তিনি মানুষকে বিন্দু থেকে সৃষ্টি করেছেন (আয়াত ৪৬)। - প্রশ্ন: সূরা আন-নাজমে আল্লাহর নিদর্শনগুলোর মধ্যে কী উল্লেখ আছে?
উত্তর: আকাশ, পৃথিবী ও পাহাড়ের নিদর্শন উল্লেখ আছে। - প্রশ্ন: সূরা আন-নাজমে মানুষের ভাগ্য কে লিখে?
উত্তর: আল্লাহই মানুষের ভাগ্য লিখেন (আয়াত ৩৯)। - প্রশ্ন: সূরা আন-নাজমে আল্লাহ মানুষকে কোন জিনিস থেকে সতর্ক করেছেন?
উত্তর: মিথ্যা উপাস্য থেকে সতর্ক করেছেন। - প্রশ্ন: সূরা আন-নাজমের কোন আয়াতে সিজদার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে?
উত্তর: শেষ আয়াতে (৬২ নং আয়াত)। - প্রশ্ন: সূরা আন-নাজমে আল্লাহর কী গুণ বর্ণনা করা হয়েছে?
উত্তর: তিনি সর্বজ্ঞ ও সর্বশক্তিমান।
সূরা আন-নাজম সম্পর্কে ২৫টি MCQ (বহুনির্বাচনী প্রশ্ন)
- সূরা আন-নাজম কোন ধরনের সূরা?
- (ক) মাদানি
- (খ) মক্কি
- (গ) মিশ্র
- (ঘ) কোনোটিই নয়
- সূরা আন-নাজমের আয়াত সংখ্যা কত?
- (ক) ৫৫
- (খ) ৬২
- (গ) ৭৮
- (ঘ) ১১৪
- সূরা আন-নাজমের অর্থ কী?
- (ক) সূর্য
- (খ) তারা/নক্ষত্র
- (গ) চাঁদ
- (ঘ) পৃথিবী
- সূরা আন-নাজমের প্রথম আয়াতে কীসের শপথ করা হয়েছে?
- (ক) চাঁদের
- (খ) সূর্যের
- (গ) নক্ষত্রের
- (ঘ) পাহাড়ের
- সূরা আন-নাজমে কোন ঘটনার ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে?
- (ক) হিজরত
- (খ) মি‘রাজ
- (গ) বদর যুদ্ধ
- (ঘ) কোনোটিই নয়
- সূরা আন-নাজমে কার পতনের কথা বলা হয়েছে?
- (ক) ফেরাউনের
- (খ) শয়তানের
- (গ) কারুনের
- (ঘ) আবু জাহেলের
- সূরা আন-নাজমে কোন নবীর নাম এসেছে?
- (ক) মুসা (আ.)
- (খ) ইবরাহীম (আ.)
- (গ) ঈসা (আ.)
- (ঘ) নূহ (আ.)
- সূরা আন-নাজমের শেষ আয়াতে কী করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে?
- (ক) নামাজ পড়তে
- (খ) সিজদা করতে
- (গ) দান করতে
- (ঘ) রোজা রাখতে
- সূরা আন-নাজমে আল্লাহ মানুষকে কী থেকে সৃষ্টি করেছেন?
- (ক) মাটি থেকে
- (খ) পানি থেকে
- (গ) বিন্দু থেকে
- (ঘ) আগুন থেকে
- সূরা আন-নাজমে কার আমলনামার কথা বলা হয়েছে?
- (ক) ফেরেশতাদের
- (খ) জিনদের
- (গ) মানুষের
- (ঘ) পশুদের
- সূরা আন-নাজমে কোন গোত্রের ধ্বংসের কথা বলা হয়েছে?
- (ক) কুরাইশ
- (খ) আদ ও সামুদ
- (গ) ইহুদি
- (ঘ) নাসারা
- সূরা আন-নাজমে আল্লাহর কোন গুণের কথা বলা হয়েছে?
- (ক) তিনি ক্ষমাশীল
- (খ) তিনি সর্বজ্ঞ
- (গ) তিনি রিজিকদাতা
- (ঘ) তিনি নিদ্রাহীন
- সূরা আন-নাজমে মানুষের ভাগ্য কে লিখেন?
- (ক) ফেরেশতা
- (খ) নবী
- (গ) আল্লাহ
- (ঘ) মানুষ নিজে
- সূরা আন-নাজমে আল্লাহ মানুষকে কোন দিনের স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন?
- (ক) কিয়ামতের দিন
- (খ) ঈদের দিন
- (গ) শুক্রবার
- (ঘ) জন্মদিন
- (ক) কিয়ামতের দিন
- সূরা আন-নাজমে আল্লাহর কোন নিদর্শনের কথা বলা হয়েছে?
- (ক) আকাশ ও পৃথিবী
- (খ) সমুদ্র
- (গ) গাছ
- (ঘ) পাখি
- (ক) আকাশ ও পৃথিবী
- সূরা আন-নাজমে কাফিররা নবীজি (সা.)-কে কী মনে করত?
- (ক) জাদুকর
- (খ) কবি
- (গ) রাজা
- (ঘ) পাগল
- সূরা আন-নাজমে আল্লাহ মানুষকে কী থেকে সতর্ক করেছেন?
- (ক) গুনাহ থেকে
- (খ) মিথ্যা উপাস্য থেকে
- (গ) শত্রু থেকে
- (ঘ) দারিদ্র্য থেকে
- সূরা আন-নাজমে আল্লাহর সিজদা করার নির্দেশ কত নং আয়াতে এসেছে?
- (ক) প্রথম আয়াত
- (খ) মধ্যবর্তী আয়াত
- (গ) শেষ আয়াত
- (ঘ) ১০ নং আয়াত
- সূরা আন-নাজমে আল্লাহ কীসের মালিক?
- (ক) পৃথিবীর
- (খ) আকাশের
- (গ) পরকালের
- (ঘ) সবকিছুর
- সূরা আন-নাজমে কার অনুসরণ করতে নিষেধ করা হয়েছে?
- (ক) সৎ লোকদের
- (খ) পাপীদের
- (গ) নবী-রাসূলদের
- (ঘ) ফেরেশতাদের
- সূরা আন-নাজমে আল্লাহ কী প্রকাশ করেছেন?
- (ক) গায়বের জ্ঞান
- (খ) সম্পদের হিসাব
- (গ) যুদ্ধের কৌশল
- (ঘ) বাণিজ্যের পদ্ধতি
- (ক) গায়বের জ্ঞান
- সূরা আন-নাজমে মানুষের সৃষ্টি কী থেকে?
- (ক) আলো থেকে
- (খ) বিন্দু থেকে
- (গ) আগুন থেকে
- (ঘ) বায়ু থেকে
- সূরা আন-নাজমে আল্লাহর কীসের উপর জোর দেওয়া হয়েছে?
- (ক) দয়া
- (খ) ক্ষমা
- (গ) একত্ববাদ
- (ঘ) রিজিক
- সূরা আন-নাজমে কার কথা বলা হয়েছে যারা সত্য প্রত্যাখ্যান করে?
- (ক) মুমিন
- (খ) কাফির
- (গ) মুনাফিক
- (ঘ) আহলে কিতাব
- সূরা আন-নাজমে আল্লাহ মানুষকে কোন দিনের জন্য প্রস্তুত হতে বলেছেন?
- (ক) মৃত্যুর দিন
- (খ) কিয়ামতের দিন
- (গ) হিসাবের দিন
- (ঘ) শাফায়াতের দিন
সঠিক উত্তর চিহ্নিত
এই প্রশ্নোত্তরগুলি সূরা আন-নাজমের মূল বিষয়বস্তু ও শিক্ষাকে সহজে বুঝতে সাহায্য করবে।
সূরাটির সংক্ষিপ্ত পরিচয়, শানেনুযূল, সূরাটির গুরুত্বপূর্ণ দিক, সূরাটির শিক্ষা, সূরাটির মূল বিষয়বস্তু, সূরাটির ফযিলত, এবং সূরাটির আলোকে ৫টি বিষয়ভিত্তিক আয়াত অর্থসহ প্রতিটি বিষয় বিস্তারিত চাই
সূরা আন-নাজমের সংক্ষিপ্ত পরিচয়, শানে নুযূল, গুরুত্বপূর্ণ দিক, শিক্ষা, মূল বিষয়বস্তু, ফযিলত ও বিষয়ভিত্তিক আয়াত
১. সূরা আন-নাজমের সংক্ষিপ্ত পরিচয়
- নাম: সূরা আন-নাজম (আরবি: النجم)
- অর্থ: “তারা” বা “নক্ষত্র”
- আয়াত সংখ্যা: ৬২
- সূরার অবস্থান: ৫৩তম সূরা (মাক্কি)
- নাযিলের সময়: নবুয়তের ৫ম বছর, মি‘রাজের আগে
- সিজদাহ: শেষ আয়াতে (৬২ নং আয়াত) সিজদার নির্দেশ রয়েছে।
২. শানে নুযূল (প্রেক্ষাপট)
সূরা আন-নাজম মক্কায় নাযিল হয়, যখন কাফিররা নবী মুহাম্মাদ (সা.)-এর ওহী ও নবুয়তের দাবিকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করছিল। তারা দাবি করত যে, তিনি নিজে কুরআন রচনা করেন। এই সূরার মাধ্যমে আল্লাহ নবীজির ওহীর সত্যতা প্রমাণ করেন এবং মি‘রাজের ঘটনার ইঙ্গিত দেন।
- বিশেষ ঘটনা:
- সূরার শুরুতে আল্লাহ নক্ষত্রের শপথ করে বলেন, নবী (সা.) কোনো ভ্রষ্ট হননি বা ভুল বলেননি।
- কাফিররা নবীজিকে কবি বা জাদুকর বলত—এসব অপবাদ খণ্ডন করা হয়েছে।
- শেষে আল্লাহর একত্ব ও ইবাদতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
৩. সূরাটির গুরুত্বপূর্ণ দিক
- মি‘রাজের ইঙ্গিত: আয়াত ১৩-১৮ এ নবীজির (সা.) বিশেষ দর্শনের কথা বলা হয়েছে।
- ওহীর সত্যতা: নবীজি (সা.) নিজ থেকে কিছু বলেননি, সবই আল্লাহর পক্ষ থেকে (আয়াত ৩-৪)।
- আখিরাতের বর্ণনা: কিয়ামত, হিসাব ও জান্নাত-জাহান্নামের আলোচনা রয়েছে।
- শিরকের প্রতিবাদ: মূর্তিপূজার অসারতা ও আল্লাহর একত্বের প্রমাণ দেওয়া হয়েছে।
- মানুষের সৃষ্টি রহস্য: মানুষ কীভাবে সৃষ্টি হয়েছে, তার বর্ণনা রয়েছে (আয়াত ৪৫-৪৬)।
৪. সূরাটির শিক্ষা
- আল্লাহর একত্বে বিশ্বাস: তিনি ছাড়া কোনো ইলাহ নেই।
- আখিরাতে বিশ্বাস: প্রতিটি কাজের হিসাব হবে।
- নবীর অনুসরণ: নবীজি (সা.)-এর দেখানো পথই সত্য।
- শিরক থেকে দূরে থাকা: মিথ্যা উপাস্যের পূজা বর্জন করতে হবে।
- আল্লাহর নিদর্শন নিয়ে চিন্তা: প্রকৃতি ও সৃষ্টিতে আল্লাহর কুদরত রয়েছে।
৫. সূরাটির মূল বিষয়বস্তু
বিষয় | আলোচ্য要点 |
১. নবীর দর্শন ও ওহী | নবীজি (সা.) যা দেখেছেন ও শুনেছেন, তা সত্য (আয়াত ১-১৮)। |
২. আল্লাহর একত্ব | তিনি সবকিছুর স্রষ্টা ও মালিক (আয়াত ১৯-২৩)। |
৩. কিয়ামত ও পুনরুত্থান | মানুষের আমলনামা দেওয়া হবে (আয়াত ৩৮-৪১)। |
৪. শিরকের অসারতা | মূর্তি ও ভ্রান্ত ধর্মের খণ্ডন (আয়াত ১৯-২০)। |
৫. ইবাদতের নির্দেশ | আল্লাহকে সিজদা ও ইবাদত করতে বলা হয়েছে (আয়াত ৬২)। |
৬. সূরাটির ফযিলত (মাহাত্ম্য)
- সিজদার সূরা: শেষ আয়াতে সিজদা করা সুন্নাত।
- মি‘রাজের স্মরণ: এ সূরায় মি‘রাজের রহস্য রয়েছে।
- কাফিরদের মোকাবেলা: এটি কুরাইশদের অপপ্রচারকে ধ্বংস করেছিল।
- তাওহীদের শিক্ষা: আল্লাহর একত্বের ঘোষণা এতে স্পষ্ট।
- আখিরাতের সতর্কতা: এটি মানুষকে পরকালীন প্রস্তুতি নিতে উদ্বুদ্ধ করে।
৭. সূরার আলোকে ৫টি বিষয়ভিত্তিক আয়াত (অর্থসহ)
১. নবীর ওহী ও দর্শন
আয়াত ৪-৫:
“وَإِنَّهُ لَتَنزِيلُ رَبِّ الْعَالَمِينَ ﴿٤﴾ أَفَتُمَارُونَهُ عَلَىٰ مَا يَرَىٰ ﴿٥﴾“
অর্থ: “এটা (কুরআন) বিশ্বজগতের রবের পক্ষ থেকে অবতীর্ণ। তোমরা কি সে বিষয়ে বিতর্ক করছ যা সে দেখেছে?”
২. আল্লাহর একত্ব
আয়াত ২৩:
“إِنْ هِيَ إِلَّا أَسْمَاءٌ سَمَّيْتُمُوهَا أَنتُمْ وَآبَاؤُكُم“
অর্থ: “এগুলো তো কেবল নাম, যা তোমরা ও তোমাদের পিতৃপুরুষরা রেখেছ।”
৩. কিয়ামত ও হিসাব
আয়াত ৩৯-৪১:
“وَأَن لَّيْسَ لِلْإِنسَانِ إِلَّا مَا سَعَىٰ ﴿٣٩﴾ وَأَنَّ سَعْيَهُ سَوْفَ يُرَىٰ ﴿٤٠﴾“
অর্থ: “মানুষ তার চেষ্টার ফল ছাড়া কিছুই পাবে না। এবং তার চেষ্টা অচিরেই দেখা হবে।”
৪. শিরকের অসারতা
আয়াত ১৯-২০:
“أَفَرَأَيْتُمُ اللَّاتَ وَالْعُزَّىٰ ﴿١٩﴾ وَمَنَاةَ الثَّالِثَةَ الْأُخْرَىٰ ﴿٢٠﴾“
অর্থ: “তোমরা লাত, উযযা ও তৃতীয় আরেকটি মানাতকে দেখেছ কি?”
৫. ইবাদতের নির্দেশ
আয়াত ৬২:
“فَاسْجُدُوا لِلَّهِ وَاعْبُدُوا ﴿٦٢﴾“
অর্থ: “অতএব, আল্লাহকে সিজদা করো এবং তাঁর ইবাদত করো।”
উপসংহার
সূরা আন-নাজমে তাওহীদ, নবুয়ত, আখিরাত ও শিরকের খণ্ডন গুরুত্বপূর্ণভাবে আলোচিত হয়েছে। এটি মানুষকে আল্লাহর দিকে ফিরে আসার ডাক দেয় এবং মিথ্যা বিশ্বাস থেকে দূরে থাকতে শিক্ষা দেয়। এই সূরার শিক্ষা ও ফযিলত মুমিনদের জন্য অত্যন্ত মূল্যবান।