You are currently viewing সুরা ফালাক বাংলা উচ্চারণ । অর্থ ও তাৎপর্য নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা
সুরা ফালাক বাংলা উচ্চারণ

সুরা ফালাক বাংলা উচ্চারণ । অর্থ ও তাৎপর্য নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা

আল কোরআনের ১১৪টি সুরার মধ্যে ১১৩ তম সুরা হলো সূরা ফালাক। সূরাটি ছোট হলেও পবিত্র কোরআনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সূরা। নিচে সুরা ফালাক বাংলা উচ্চারণ সহ এর অর্থ ও তাৎপর্য নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হলো । আশাকরি উপকৃত হবেন।

সুরা ফালাক অর্থ ও তাৎপর্য নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা

ফাতেমা জাহান লুবনা

“ফালাক” শব্দের আসল অর্থ হচ্ছে ফাটানো, চিরে ফেলা বা ভেদ করা, অথবা ভোর। এটি আল কোরআনের ১১৪টি সুরার মধ্যে ১১৩ তম সুরা। এর আয়াত বা বাক্য সংখ্যা ৫টি, এবং রুকু তথা অনুচ্ছেদ সংখ্যা ১ টি। এই সূরাটি এবং এর পরবর্তী সূরা নাসকে একত্রে মু’আওবিযাতাইন (আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাওয়ার দু’টি সূরা) নামে উল্লেখ করা হয়। আর এই সূরা দু’টি নাযিলও হয়েছে একই সাথে একই ঘটনার পরি-প্রেক্ষিতে।

সূরা ফালাকের আমল ও তাৎপর্য:

১) প্রার্থনামূলক সুরা:

এই সুরাতে মহান আল্লাহর কাছে শয়তানের অনিষ্ট হতে সাহায্য প্রার্থনা করা হয়। সূরা ফালাক পড়লে শয়তানের অনিষ্ট ও যাদু থেকে হেফাজতে থাকা যায়। হাদিসে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি সকাল-সন্ধ্যা সূরা ইখলাস ও এই দুই সূরা ( সূরা ফালাক ও সূরা নাস) পড়বে সে সকল বিপদ-আপদ থেকে নিরাপদ থাকবে। ’ (জামে তিরমিযী, হাদীস: ২৯০৩)

একদা এক ইহুদী মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লামের ওপর জাদু করেছিল। যার ফলে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। জিবরাঈল (আ.) মহানবী (সা.)-কে বলেন যে, এক ইহুদী তাকে জাদু করেছে এবং যে জিনিস দিয়ে জাদু করা হয়েছে তা একটি কূপের মধ্যে পাথরের নিচে আছে। মহানবী (সা.) সেই জিনিস কূপ থেকে উদ্ধার করার জন্য লোক পাঠালেন। সেখানে গিয়ে কয়েকটি গিরা পাওয়া গিয়েছিল। তখন তিনি সূরা নাস ও ফালাক দুইটি একসঙ্গে পড়ে ফুক দেন এবং গিরাগুলো সঙ্গে সঙ্গে খুলে যায় এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে বিছানা থেকে ওঠেন।

হযরত আয়েশা থেকে বর্ণিত আছে, রসূলুল্লাহ্(সা)‌ – এর উপর জাদু করলে এৱ প্রভাবে তিনি মাঝে মধ্যে দিশেহারা হয়ে পড়তেন এবং যে কাজটি করেননি তাও করেছেন বলে অনুভব করতেন। একদিন তিনি হযরত আয়েশা -কে বললেনঃ আমার রোগটা কি, আল্লাহ্ তা’আলা তা আমাকে বলে দিয়েছেন। (স্বপ্নে) দুইজন ব্যক্তি আমার কাছে আসল এবং একজন শিয়রের কাছে ও অন্যজন পায়ের কাছে বসে গেল। শিয়রের কাছে উপবিষ্ট ব্যক্তি অন্য জনকে বলল, তাঁর অসুখটা কি? অন্যজন বললঃ ইনি জাদুগ্রস্ত। প্রথম ব্যক্তি জিজ্ঞেস করলঃ কে জাদু করেছে? উত্তর হল, ইহুদীদের মিত্র মুনাফিক লবীদ ইবনে আ’সাম জাদু করেছে। আবার প্রশ্ন হলঃ কি বস্তুতে জাদু করেছে? উত্তর হল, একটি চিরুনীতে। আবার প্রশ্ন হল, চিরুনীটি কোথায়? উত্তর হল, খেজুর ফলের আবরণীতে ‘বির যরোয়ান’ কূপে একটি পাথরের নিচে চাপা দিয়ে রাখা হয়েছে। অতঃপর রসূলুল্লাহ্‌ তিনি কূপে গেলেন এবং বললেনঃ স্বপ্নে আমাকে এই কূপই দেখানো হয়েছে। অতঃপর চিরুনীটি সেখান থেকে বের করে আনলেন।

২)ফরজ-মাগরিব এবং অন্যান্য নামাজের পর:

ফজর আর মাগরিবে এই দুই ওয়াক্তে ফরজ সালাতের পর সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক ও সূরা নাস প্রতিটি সূরা তিনবার করে পড়া সুন্নত। অন্যান্য ফরজ সালাতের আদায় করে একবার করে এই তিন সূরা পড়তে হবে। (আবু দাউদ হা: ১৩৬৩)

৩) রাতের আমল:

হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) প্রতি রাতে যখন ঘুমাতে যেতেন, তখন নিজের উভয় হাত এক সঙ্গে মিলাতেন। তারপর উভয় হাতে ফুঁক দিতেন এবং সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক, সূরা নাস পড়তেন। তারপর দেহের যতটুকু অংশ সম্ভব হাত বুলিয়ে নিতেন। তিনি মাথা, মুখমণ্ডল ও শরীরের সামনের অংশ থেকে শুরু করতেন। তিনি এরূপ তিনবার করতেন। (সহি বুখারি)

৪)অসাধারণ গুরুত্বপূর্ণ সূরা:

মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘এ দুইটি সূরা তোমরা পড়তে থাক। কেননা, এ দুইটি সূরার মতো কোনো সূরা তোমরা কোনো দিন পাবে না।’ (মুসলিম ৮১৪)

~~~~~~~~সুরা ফালাক বাংলা উচ্চারণ

সুরা ফালাক বাংলা উচ্চারণ
সুরা ফালাক বাংলা উচ্চারণ

সূরা ফালাক ( প্রভাত/ভোর) এর অর্থ :

পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি

১) বল, ” আমি আশ্রয় প্রার্থনা করছি প্রভাতের প্রতিপালকের,

২) তিনি যা সৃষ্টি করেছেন তার অনিষ্ট থেকে,

৩) এবং অন্ধকারের অনিষ্ট থেকে যখন তা আচ্ছন্ন করে ফেলে,

৪) এবং গ্রন্থিতে (গিঁটে) ফুঁৎকারকারিনীদের অনিষ্ট থেকে,

৫) আর হিংসুকের অনিষ্ট থেকে, যখন সে হিংসা করে।”

*********সুরা ফালাক বাংলা উচ্চারণ

>>>>কেন প্রভাতের প্রতিপালকের নিকট কেন আশ্রয় প্রার্থনা করা হল?

উত্তর:

‘প্রভাত মানে অন্ধকারের অবসান,

প্রভাত মানে সূর্য্যালোকের অবগাহন,

প্রভাত মানে হাজারো রঙ্গীন স্বপ্নন,

প্রভাত মানে উদ্দীপ্ত কর্মস্ফুটন।

প্রভাত মানে একটি নতুন দিন,

প্রভাত মানে ক্লান্তি বিহীন।’

প্রভাত মানে

ফাতেমা জাহান লুবনা

অর্থাৎ একটি নতুন দিনের সূচনা ঘটে প্রভাতের মাধ্যমে যাতে দেহের ও মনের ক্লান্তি ঝরিয়ে ঘুমের পর মানুষ ফিরে পায় নব কর্মচ‍ঞ্চলতা। তাই যে প্রতিপালক ডুবে যাওয়া সূর্যকে ফিরিয়ে আনতে পারেন, যিনি অন্ধকারে নিমজ্জিত পৃথিবীকে আলোয় আলোকিত করতে পারেন তিনি অন্ধকারময় হতাশাগ্রস্ত বা বিপদগ্রস্ত জীবনের সব সমস্যাকে দূরীভূত করে জীবনকে উজ্জীবিত করতে পারেন। তাই এলোমেলো বা ভুলভাল কারো নিকট না চেয়ে বরং প্রভাতের প্রতিপালকের নিকটই আশ্রয় প্রার্থনা করা হয়েছে।

সুরা ফালাক বাংলা উচ্চারণ

>>>>আল্লাহ অনিষ্ট করার জন্য কিছু সৃষ্টি করেছেন কি?

এই সুরার দ্বিতীয় বাক্যে আমাদেরকে সৃষ্টির অনিষ্ট থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করার শিক্ষা দেওয়া হয়েছে, অনিষ্টকর সৃষ্টি বলা হয়নি কারন মহাবিশ্বের কোন কিছুই মহান আল্লাহ অনিষ্টের জন্য সৃষ্টি করেননি তবে সৃষ্ট মানুষ,জিন, অন্যান্য প্রানি ও বস্তুর মধ্যে তিনি যে শক্তি ও গুণ প্রদান করেছেন তার মাধ্যমে সেই সৃষ্টি মানুষের উপকার ও ক্ষতি উভয়ই করতে পারে যদিও আপাতদৃষ্টিতে কোন কোন সৃষ্টিকে আমাদের কাছে অনিষ্টকর সৃষ্টি মনে হতে পারে। যেমন সাপের দংশনে মানুষের মৃত্যু ঘটতে পারে বলে একে অনিষ্টকর সৃষ্টি মনে হলেও এই সাপের বিষে রয়েছে ব্যথানাশক ঔষধ।

সুরা ফালাক বাংলা উচ্চারণ

>>>>অন্ধকাৱেৱ অনিষ্ট কী?

এই সুৱাৱ তৃতীয় আয়াতে অন্ধকাৱেৱ অনিষ্ট হতে মহান আল্লাহৱ আশ্রয় প্রার্থনা করার শিক্ষা প্রদান করা হয়েছে। পৃথিবীতে যত অপরাধ সংঘটিত হয় তার অধিকাংশ দিনের চেয়ে রাতেই অধিক ঘটে থাকে। রাতের আঁধারে সবাই যখন ঘুমিয়ে থাকে তখন দুষ্ট মানুষ ও জিন অপকর্ম করতে তৎপর হয়। চুরি, ডাকাতি, মারামারি, খুন, ধর্ষণ, মাদকাসক্তি ইত্যাদি অপরাধ রাতেই অধিক সংঘটিত হয়। তাই মহান আল্লাহ রাতের অনিষ্ট থেকে আমাদের তাঁর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করার শিক্ষা প্রদান করেছেন।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “যখন সূর্য ডুবে যায়, তখন শয়তানরা সবদিকে ছড়িয়ে পড়ে। কাজেই শিশুদেরকে তখন ঘরের মধ্যে রাখো এবং নিজেদের গৃহপালিত পশুগুলোও বেঁধে রাখে। যতক্ষণ রাতের আধার খতম না হয়ে যায়৷” [বুখারী: ৩২৮০, ৩৩১৬, মুসলিম: ২০১২]।

সুরা ফালাক বাংলা উচ্চারণ

>>>>>জাদুকর কেবল নারীরাই হয়ে থাকে কি?

না, জাদুকর কেবল নারীরাই হয় না; অনেক পুরুষরাও রয়েছে তবে Black magic তথা কালো জাদু করার ক্ষেত্রে নারীদের উপস্থিতি অধিক পরিলক্ষিত হয়। এর কারণ নারীরা সাধারণত পুরুষের চেয়ে অধিক পরিমানে পরাশ্রীকাতর হয়ে থাকে, অন্যের সুখ সহ্য করতে না পেরে তার ক্ষতি সাধনে তৎপর হয়ে থাকে। এছাড়াও নারীরা কালো জাদুকরদের নিকট অধিক গমন করে থাকে ও পরিণামে তারা এই জঘন্য কাজে অধিক পারদর্শিতা অর্জন করে থাকে।

তাই এই সুরার চতুর্থ আয়াতে গ্রন্থি বা গিঁটে ফুৎকারকারিনী জাদুকরদের অনিষ্ট থেকে মহান আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনা করার শিক্ষা প্রদান করা হয়েছে।তবে যদিও পুরুষরা কম সংখ্যায় জড়িত আর তাই এখানে তাদের উল্লেখ হয়নি তবুও এই সুরাতে নারী পুরুষ উভয় জাদুকরদের অনিষ্ট হতে আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা উদ্দেশ্য হবে এবং এই সুরা পাঠ করলে উভয় ধরনের জাদুকরদের অনিষ্ট হতে রক্ষা পাওয়া যাবে ইংশাআল্লাহ।

এখানে উল্লেখ্য যে, যারা কালো জাদু করে তারা জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হবে।পবিত্র কোরআনের অন্যত্র বলা হয়েছে:

‘…আর তারা শিখত যা তাদের ক্ষতি করত, তাদের উপকার করত না এবং তারা অবশ্যই জানত যে, যে ব্যক্তি তা ক্রয় করবে, আখিরাতে তার কোন অংশ থাকবে না। আর তা নিশ্চিতরূপে কতই-না মন্দ, যার বিনিময়ে তারা নিজদেরকে বিক্রয় করেছে। যদি তারা জানত!’ (সুরা বাকারা: আয়াত১০২)

সুরা ফালাক বাংলা উচ্চারণ

>>>হিংসুকের অনিষ্ট কী

এই সুরার পঞ্চম তথা শেষ আয়াতে হিংসুকের অনিষ্ট থেকে আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করার শিক্ষা প্রদান করা হয়েছে।

হিংসার মানে হচ্ছে, কোন ব্যক্তিকে আল্লাহ যে অনুগ্রহ, শ্রেষ্ঠত্ব বা গুণাবলী দান করেছে তা দেখে কোন ব্যাক্তি নিজের মধ্যে জ্বালা অনুভব করে এবং তার থেকে ওগুলো ছিনিয়ে নিয়ে এ দ্বিতীয় ব্যক্তিকে দেয়া হোক, অথবা কমপক্ষে তার থেকে সেগুলো অবশ্যি ছিনিয়ে নেয়া হোক- এ আশা করা। তবে কোন ব্যক্তি যদি আশা করে অন্যের প্রতি যে অনুগ্রহ করা হয়েছে তার প্রতিও তাই করা হোক, তাহলে এটাকে হিংসার সংজ্ঞায় ফেলা যায় না। সুতরাং, হিংসার মূল হলো, কারও নেয়ামত ও সুখ দেখে দগ্ধ হওয়া ও সে নেয়ামতের অবসান কামনা করা। হিংসার কারণেই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর উপর ইহুদীরা জাদু করেছিল, হত্যার প্রচেষ্টা চালিয়েছিল। [আদওয়াউল বায়ান]

এই হিংসা হারাম ও মহাপাপ। এটাই আকাশে কৃত সর্বপ্রথম গোনাহ এবং এটাই পৃথিবীতে কৃত সর্বপ্রথম গোনাহ। আকাশে ইবলীস আদম আলাইহিস সালাম এর প্রতি এবং পৃথিবীতে আদমপুত্র তার ভাইয়ের প্রতি হিংসা করেছিল। [কুরতুবী]

হিংসুক ব্যক্তি যেহেতু অন্যের নিয়ামতের অবসান বা ধ্বংস কামনা করে আর কখনো কখনো বদনজর বা বদদোয়া, বদনাম বা অন্য কোন উপায়ে ক্ষতি কামনা করে বা ক্ষতি করে তাই হিংসুকের অনিষ্ট হতে আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করার শিক্ষা প্রদান করা হয়েছে।

তবে এখানে একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে যে হিংসা করলে নিজেরই অধিক ক্ষতি হয়। হাদিসে আছে:

‘নিশ্চয়ই যেভাবে আগুন কাঠকে ভক্ষণ করে [জ্বালিয়ে নিঃশ্বেষ করে], হিংসাও ঈমানকে ভক্ষণ করে’। (আল কাফী, খণ্ড ২, পৃষ্ঠা ৩০৬, হাদীস নং ১)

ইমাম সাদিক (আঃ) বলেছেন : ‘একে অপরের সাথে হিংসা করা থেকে বিরত থাকো, কেননা হিংসা হল কুফরের ভিত্তি স্বরূপ’। (আল কাফী, খণ্ড ৮, পৃ. ৮, হাদীস নং ১)

‘সন্দেহ নেই, হিংসা নেক আমলসমূহের নূর ও আলোকে নিভিয়ে দেয়।’ (সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ৪৯০৬)

‘কোনো বান্দার হৃদয়ে ঈমান ও হিংসা একত্রিত হতে পারে না।’ (সুনানে নাসাঈ, হাদীস ৩১০৯)

অবশ্য হিংসার আৱেকটি রূপ এমন ৱয়েছে যেখানে কারও অমঙ্গল কামনা নেই, কারও ভালো কোনো কিছু দেখে তার বিনাশ নয়, বরং নিজের জন্যেও অর্জিত হোক অনুরূপ ভালো ও কল্যাণ। প্রথমটিকে আরবীতে বলে ‘হাসাদ’ আর পরেরটিকে বলা হয় ‘গিব্তা’, বাংলায় যাকে আমরা বলি ‘ঈর্ষা’। এই ঈর্ষা দোষণীয় কিছু তো নয়, বরং ক্ষেত্রবিশেষে প্রশংসনীয়ও। ঈর্ষা অনেক নেক কাজে উদ্ধুদ্ধ করে তোলে।

সুরা ফালাক বাংলা উচ্চারণ

بِسْمِ اللہِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِیْمِ
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
পরম করুণাময় অসীম দয়ালু আল্ল­াহর নামে (শুরু করছি)
قُلْ أَعُوذُ بِرَ‌بِّ الْفَلَقِ
কুল্ আ‘ঊযু বিরব্বিল্ ফালাক্বি
বলুন, আমি আশ্রয় গ্রহণ করছি প্রভাতের পালনকর্তার,
مِن شَرِّ‌ مَا خَلَقَ
মিন্ শার রিমা-খলাক্ব
তিনি যা সৃষ্টি করেছেন, তার অনিষ্ট থেকে,
وَمِن شَرِّ‌ غَاسِقٍ إِذَا وَقَبَ
অমিন্ শাররি গ-সিক্বিন্ ইযা-অক্বাব্
অন্ধকার রাত্রির অনিষ্ট থেকে, যখন তা সমাগত হয়,
وَمِن شَرِّ‌ النَّفَّاثَاتِ فِي الْعُقَدِ
অমিন্ শাররি ন্নাফ্ফা-ছা-তি ফিল্ ‘উক্বদ্
গ্রন্থিতে ফুঁৎকার দিয়ে জাদুকারিনীদের অনিষ্ট থেকে
وَمِن شَرِّ‌ حَاسِدٍ إِذَا حَسَدَ
অমিন্ শাররি হা-সিদিন্ ইযা-হাসাদ্
এবং হিংসুকের অনিষ্ট থেকে যখন সে হিংসা করে ।

 

আরও পড়তে পারেন–সূরা ফাতিহা বাংলা অর্থ , ব্যাখ্যা , ফজিলত, কুরআনিক নলেজ প্রশ্ন-১