You are currently viewing লাইলাতুল কদর নিয়ে তিনজন কবির চমৎকার ৫টি কবিতা
লাইলাতুল কদর নিয়ে তিনজন কবির চমৎকার ৫টি কবিতা

লাইলাতুল কদর নিয়ে তিনজন কবির চমৎকার ৫টি কবিতা

ক্বদরের রজনী-জয়নব জোনাকি

-জয়নব জোনাকি
ক্বদরের আলোময় ঝিলিমিলি এরাতে,
মন-প্রাণ পুলকিত শান্তির ছায়াতে।
এসুযোগ আসে নাতো সকলের হায়াতে,
ফেরেশতা নিয়োজিত ভাগ্যটা লিখাতে।।
সুখবর দিয়ে যায় পৃথিবীর বাসিকে,
দেখে যায় আল্লার সব দাস দাসীকে।
বিশ্বাসী সারা রাত সওয়াবের আশাতে,
সিজদাতে কেঁদে যায় অনুনয় ভাষাতে।
এই রাত ঘিরে থাকে ভরপুর রহমে,
বঞ্চিত হবে সেই-মন যার অহমে।
শ্রেষ্ঠ এ রজনীতে হয়নি যে সিক্ত,
নাজাতের আশা থেকে সেই হবে রিক্ত।
পঙ্কিলতা ভরা পাপগুলো সরাতে,
পবিত্র এই রাত নেমে এলো ধরাতে।
ফেরেশতাকুল নামে সুশোভন ছড়াতে,
আসমানে ফিরে তারা ফজরের প্রভাতে।
১৩/৪/২০২৩

সুরা ক্কদরের কাব্যানুবাদ – আজম খান

আজম খান
১৪/০৬/২০১৬ ইং
” করিতেছি শুরু আমি নামেতে আল্লাহ্’র
যিনি পরম দয়ালু দাতা অনন্ত অপার “
এ কুরআন ক্কদরের পবিত্র নিশায় ,
নিশ্চয় করেছি আমি নাযিল ধরায় ।
হে নবী এ ক্কদরের নিশি যে কেমন ,
তোমার নিকটে তা করিব জ্ঞাপন ।
সম্মানে ও মর্জাদায় এ শবে ক্কদর ,
সহস্র মাসের চেয়ে হয় শ্রেষ্ঠতর ।
এ নিশিতে রূহ আর ফেরেস্তাগন ,
প্রভুর আদেশে ধরায় করে আগমন ।
এ নিশি প্রভাত না হয় যতক্ষন ,
সে অবধি শান্তি সুধা হয় বরষণ ।।
( সুরা ক্কদরের কাব্যানুবাদ )

ক্বদর তালাশ করো -জয়নব জোনাকি

-জয়নব জোনাকি
নিজের সকল পাপ-কালিমার
ক্ষমা পেতে হলে,
অনুনয়ে মুমিন সকল
অনুতাপে গলে-
এই সিয়ামের শেষ দশকে
ক্বদর তালাশ করো,
এগারোটি মাসের জন্য
নেকিগুলো ভরো।
বেশি বেশি কুরআন পড়ে
দ্বীনের পথে চলো,
রবের প্রতি একীন রেখে
হকের কথা বলো।
ক্ষণে ক্ষণে অবিরত
ক্ষমার তাসবীহ পড়ো,
তাকওয়াতে পরিপাটি-
শুদ্ধ জীবন গড়ো।
কিয়াম করে,সিজদা মাঝে
দাও কাটিয়ে রাত,
অশ্রু ঝরাও মোনাজাতে
তুলে দুটি হাত।
হাশরমাঠে মুক্তি পেতে
সিয়াম হলো ঢাল,
ভয়-বাঁধাহীন আলোকিত
হবে পরোকাল।
সংযমে লোভ,রিপুগুলো
নিয়ন্ত্রণে রাখো,
পবিত্রতার ঘ্রাণ সুরভী
মনের মাঝে মাখো।
দান-সাদাকায় নিজের আমল
করবে যতো জড়ো,
রবের নিকট ততোই হবে
সম্মানিত বড়ো।
২৭/৪/২০২২

আরও পড়তে পারেন–চোখ ভালো রাখার উপায়-চোখ ভালো রাখার খাবার- এবং চোখের ব্যায়াম

“ক্বদর রাত” ……উম্মে হাবিবা রাহনুমা

……উম্মে হাবিবা রাহনুমা
এসেছে “ক্বদর” বুঝি !
যার তুল্যের পাইনা কো নিশি
সহস্রাব্দ যুজি ।
রহম সিক্ত ‘হৃদয় মরুভুমি চৌচির’, বেহেস্ত সমির
মু’মিন মানসে পথ পায় সন্ধির ।
খুলি আলখেল্লা পাপের ,
বিনম্র মনে উপায় খুঁজি
‘গুনাহের ভার’ মাফের ।
হেরার জ্যাতিতে ঝলমল করা
প্রভুর পাক কুরআন ,
নূরানি আলোয় আলোকের দিকে কি মধুর আহ্বান !
প্রশান্ত সমিরন !
ভ্রমাণ্ডের ধুলি উপ ধুলির
নিপুন আলিঙ্গন ।
ভাগ্যের ডালি শুশভিত করে নেমে আসে ‘জিব্রিল’,
অবনত শিরে কৃতজ্ঞতার গান গাও হে নিখিল ।
“ লাইলাতুল ক্কদর “

বলতে পারো? -জয়নব জোনাকি

-জয়নব জোনাকি
বলতে পারো সকল মাসের
কোনটি সেরা মাস!
কোন রাতে হয় গুনাহ মাফের
হাজার নেকির চাষ?
বলতে পারো কোন মাসেরই
একটু খানি দান,
রাশি রাশি সওয়াব লেখা
হয় যে অফুরাণ?
বলতে পারো কোন মাসেতে
রহম ঝরে ফোঁটায়
ত্যাগের শিক্ষা হয় যে বিলীন
গীবত মন্দ খোঁটায়?
বলতে পারো কোন মাসে হয়
পাপের বোঝা ক্ষয়,
হিংসা বিবাদ না তাড়ালে
আসবে পরাজয়?
বলতে পারো কোন মাসেতে
নাযিল হলো ক্বদর,
কোন মাসেতে মুসলমানের
জয় এনেছে বদর?
বলতে পারো মানব কূলের
কোথায় সমাধান?
প্রভুর বাণী নিয়ে এলো
প্রিয় রমাদান।

Leave a Reply