You are currently viewing রূপতত্ত্বের আলোচ্য বিষয় – প্রমিত বাংলা ভাষার ব্যাকরণ-নাসীমুল বারী
সৃজনশীল লেখার নিয়ম

রূপতত্ত্বের আলোচ্য বিষয় – প্রমিত বাংলা ভাষার ব্যাকরণ-নাসীমুল বারী

অধ্যায় : ৮

রূপতত্ত্ব-২: শব্দশ্রেণি

ভাব প্রকাশের জন্য আমরা কথা বলি। কথায় থাকে নানা রকমের শব্দ। শব্দ একক ভাব প্রকাশ করে বলে কথার জন্য শুধু শব্দ কার্যকর নয়। পূর্ণ ভাব প্রকাশের জন্য বাক্যগঠন করতে হয়। বাক্য গঠনের জন্য শব্দতে বিভক্তি যুক্ত করে পদ বানিয়ে বাক্যে ব্যবহার করতে হয়। এই পদাশ্রিত এক এক শব্দ এক এক ধরনের অর্থ, বোধ, বৈশিষ্ট্য ধারণ করে ভাবপ্রকাশের পূর্ণ বাক্য গঠন করে।

পদনির্মাণ করে অর্থবহ ও স্বার্থক বাক্য গঠন করতে হলে বাক্যের শব্দগুলোকে শ্রেণিকৃত করে চিহ্নিত করতে হয়। প্রথাগত ব্যাকরণে বা প্রাচীন ধারার ব্যাকরণে শব্দশ্রেণি নির্ধারিত হতো শুধু শব্দের অর্থের ভিত্তিতে। সেটি ছিল সংস্কৃত ব্যাকরণের ধারা পদ্ধতি। প্রমিত বাংলা ব্যাকরণে বাক্যে শব্দের সম্পর্কগত ভূমিকা অর্থাৎ ব্যাকরণগত ভূমিকার উপর নির্ভর করে শব্দশ্রেণি নির্ধারণ করা হয়। যেমন ‘বিশেষ্য’- প্রাচীন ধারায় শুধু অর্থনির্ভর ‘নাম’ বৈশিষ্ট্যের উপর জোর দেওয়া হতো। অথচ ভূমিকাগত দিক থেকে বিশেষ্য বাক্যের কর্তা ও কর্ম উভয়ই হতে পারে। সম্বন্ধ বিভক্তিও গ্রহণ করতে পারে। নিচের বাক্য দুটি দেখি-

মেহেদী মিরাজ ভালো অলরাউন্ডার।

দর্শকরা মেহেদী মিরাজকে অনেক ভালোবাসে

১ম বাক্যে ‘মেহেদী মিরাজ’ নাম বিশেষ্য। কিন্তু বাক্যে কর্তা হিসেবেও অবস্থান আছে। ২য় বাক্যে ‘মেহেদী মিরাজ’ নাম বিশেষ্যটি কর্ম হিসেবেও অবস্থান নিয়েছে। আবার ‘কে’ বিভক্তিও যোগ করে ‘মেহেদী মিরাজ+কে’ হয়েছে।

এভাবে শব্দ বাক্যের মধ্যে ভাব প্রকাশে অবস্থা বুঝে ভূমিকা রাখছে। বাক্যে শব্দের ব্যাকরণগত অবস্থানের উপর ভিত্তি করে সনাক্তকরণ ও বিশ্লেষণে শব্দের শ্রেণিগত ধারা গড়ে উঠেছে। বাক্যের শ্রেণিকৃত শব্দের এমন ধারাই শব্দশ্রেণি ।

আরও পড়তে পারেন–চোখ ভালো রাখার উপায়-চোখ ভালো রাখার খাবার- এবং চোখের ব্যায়াম

ইসলাম বিরোধীতা এবং নাস্তিক্যবাদ- শেখ আবুল কাসেম মিঠুন

একটি বিদ্রোহী কবিতা ‘’কসম’’ -কবি আবদুল হাই সিকদার

প্রমিত বাংলা ব্যাকরণে শব্দের ভূমিকা অনুসারে শব্দশ্রেণি আট প্রকার

১. বিশেষ্য

২. সর্বনাম

৩. বিশেষণ

৪. ক্রিয়া

৫. ক্রিয়াবিশেষণ

৬. যোজক

৭. অনুসর্গ

৮. আবেগশব্দ

◉◉◉◉◉◉◉◉◉◉◉◉◉◉◉◉◉◉

উপরের অংশটুকু আমার লেখা ‘প্রমিত বাংলা ভাষার ব্যাকরণ‘ বইয়ের কিয়দংশ।

হাঁ, এভাবেই সংস্কৃত প্রভাবিত বাংলা ব্যাকরণ থেকে বেরিয়ে নিজস্ব ধারায় প্রমিত বাংলা ব্যাকরণ প্রণয়ন করা হয়েছে। এবারের ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে ৬ষ্ঠ ও ৭ম ও ৯ম শ্রেণিতে এই প্রমিত ধারায় পাঠ কার্যক্রম চালু হয়েছে জাতীয় শিক্ষাক্রম পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের বইয়ের মাধ্যমে। ৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণির মূল বাংলা বইয়ে এসব পাঠ কিছু কিছু সংযোজিত হয়েছে।

প্রমিত বাংলা ব্যাকরণের সম্পূর্ণ ও স্বতন্ত্র বই হিসেবে আমি ‘প্রমিত বাংলা ভাষার ব্যাকরণ’ বইটি প্রণয়ন করেছি। এটি ৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণির মূল বাংলা বইয়ের সহায়ক বই হিসেবে খু্বই ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে আমার বিশ্বাস।

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পাঠের সংযোগ ঘনিষ্ঠ করতে ভাষা ব্যবহারে অভিজ্ঞতা-ভিত্তিক শিক্ষা-কার্যক্রমের অংশ হিসেবে NCTB বাংলা বই তৈরি করেছে। সে বইতে শিক্ষার্থীদের সাতটি ভাষাদক্ষতা বাড়ানোর দিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণগুলো-

■ বাংলা ভাষায় রচিত কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ, নাটক ইত্যাদি পড়ে বুঝতে পারা;

■ প্রমিত ভাষায় বিবরণ লিখতে পারা, অনুভূতি প্রকাশ করতে পারা এবং কোনো কিছু ব্যাখ্যা করতে পারা;

■ কবিতা-গল্প-প্রবন্ধ-নাটক রচনার মধ্য দিয়ে নিজের কল্পনা ও অনুভূতিকে প্রকাশ করার চেষ্টা করা।

উপরের দক্ষতা বাড়ানোর বিষয়কে সামনে রেখে আমার লেখা ‘প্রমিত বাংলা ভাষার ব্যাকরণ’ বইটিতে কবিতা-গল্প-প্রবন্ধ-নাটক রচনার সহজ ও কার্যকর নিয়মকানুন দেওয়া হয়েছে। সমকালীন ও প্রতিষ্ঠিত লেখকদের লেখাও উদাহরণ হিসেবে দেওয়া হয়েছে, যাতে শিক্ষার্থীরা লেখার অনুশীলন করতে পারে।

আপনার সন্তান বা পরিচিত কেউ এবারের ৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থী হলে অবশ্যই একটা বই সংগ্রহ করতে পারেন।

মাত্র ২৫০ টাকা- আপনার সন্তানের অনেক অনেক উপকারে লাগবে। শিক্ষা ও ভাষার শেকড় মজবুতে সহায়ক হবে।

আপনার নিকটস্থ বইয়ের দোকানে খোঁজ করুন

অথবা

ইনবক্সে যোগাযোগ করুন।

  • •••••••••••••••••••••••••••••••••••••

প্রমিত বাংলা ভাষার ব্যাকরণ

নাসীমুল বারী

রূপতত্ত্বের আলোচ্য বিষয় কি কি? রূপতত্ত্ব রসতত্ত্ব অলংকার ছন্দ । রূপতত্ত্ব

নিচের কোনটি রূপতত্ত্বের আলোচ্য বিষয় । রূপতত্ত্বের আলোচ্য বিষয়

 

Leave a Reply