You are currently viewing যৌতুক নিয়ে ১৬ জন কবির ১৬টি কবিতা
যৌতুক কবিতা

যৌতুক নিয়ে ১৬ জন কবির ১৬টি কবিতা

যৌতুক এমন একটি ভয়ানক সামাজিক হত্যাকাণ্ড, যা নারীকে জীবীত লাশে পরিণত করে। একটি নারীর বেঁচে থাকার সব আকাংঙ্খা ধুলিষৎ হয়ে যায়। হৃদয়হীন পাষাণ্ড কাপুরুষের নির্মম নির্যতনের শিকার হন অসহায় নারী। শারীরীক মানষিক উভয় প্রকার প্রহার চলে তার উপর। যৌতুক প্রথা অনুচ্ছেদ

এটা শুধু মুর্খ সমাজে নয় শিক্ষিত সমাজেও চলে অহরহ। এ রীতি হিন্দু সমাজের সৃষ্টি। সেখান থেকে আমদানি করে কাপুরুষ মুসলমান। আমাদের জানা উচিত যৌতুক কি ?  যৌতুক প্রথা অনুচ্ছেদ সম্পর্কেও জেনে সমাজকে সচেতন করা । সমাজ থেকে যৌতুককে বিদায় করা।

 

যৌতুক ছাড়ি

— সোহেল রানা

ছেলের বিয়ে দেবো আমি

যৌতুক যদি পায়

মেয়ের বাবা থাকলে রাজি

সমস্যা আর নাই।

আমার ছেলে চাকরী করে

অনেক বেশী মাইনা

তাইতো ছেলে নেবে গাড়ী

এটাইতো তার বায়না।

একটা গাড়ী গহনা আর

চাই যে বড় টিভি

তবেই হবে মেয়েটা যে

আমার ছেলের বিবি।

এমন ছেলে চাইনা আমি

থাকবে মেয়ে ঘরে

মেয়ের বিয়ে দেবো নাকো

গেলেও আমি মরে।

ভালো ছেলের সাথে যদি

ভালো শ্বশুর পায়

তবে মেয়ের বিয়ে দেবো

প্রতিজ্ঞা এটাই।

এসব শুনে ঘটক মশায়

পায়না ভেবে কিছু

সময় থাকতে ছাড়ো সবাই

যৌতুকেরই পিছু।

আরও পড়তে পারেন–নারী কবিতা । নারী কবিতা লিরিক্স। আবৃত্তি ও ব্যাখ্যা

যৌতুক

———–নাজীর হুসাইন খান

এদেশটাতে ভিক্ষা করার

রূপ যে অনেক আছে

ছেলের বাবা ভিক্ষা করে

মেয়ের বাবার কাছে।

কি কি দেবেন বেহাই সাহেব

বলে ফেলুন আগে

মেয়ে দিলে মেয়ের সাথে

খরচা পাতি লাগে।

অনেক আবার এমন আছে

বিয়ের আগে চায় না

বুক ফুলিয়ে বলতে পারে

আমরা যৌতুক খাই না।

বিয়ের পরে তাদের থাকে

বায়না শত শত

বিদেশ যাবো, বাইক, টিভি চাই

বায়না আরো কত।

এই সমাজে যাদের কাছে

আছে বেশি ধন

তারাই দেখি বিয়েতে চায়

দামি দামি পন।

ভিক্ষুকেরা পেটের দায়ে

ভিক্ষা করে খায়

যৌতুকধারী ভিক্ষকারীর

কোন তফাত নাই।

তফাত শুধুই ভিক্ষাকরে

অতি গরীব যারা

সবচে বড় নিকৃষ্ট লোক

যৌতুক মাগেন তারা।

 

“যৌতুক”

মাছউদা ইসলাম :———/

যৌতুক সেত সমাজের এক অভিশপ্ত প্রথা

এটা নারীর জীবনকে করে দুর্বিসহ

এ সামাজিক কুপ্রথায় ।

দু:সহ বেদনা নি:শেসিত ,নির্যাতিত ,

নারীর জীবন ।

তাই যুগে যুগে নারীরা হচ্ছে লাঞ্ছিত

এ অভিশপ্ত যৌতুকের প্রভাবে ।

পড়তে হয় ভাগ্যের নির্মম পরিহাসের শিকারে ।

যৌতুক প্রথার কারণে নারীরা নিগৃহীত

যুগে যুগে বছরের পর বছর ।

অসহায় পিতা মাতা মেয়ের একটু শান্তির জন্য

হয়ে পড়েন সর্বশ্রান্ত ।

এ এক অভিশপ্ত সামাজিক কুপ্রথা

স্বামীর সংসারে মেয়েটি হয় নির্যাতিতা,

অসহ্য কষ্ট সহিষ্ণুতার আবর্তে ,

যৌতুকের পেষানলে পিষে

বেচে নিতে হয় আত্নহত্যা ।

হায়রে অভাগা পুরুষ পরের ধনে

খু ঁজিস নিজের সুখ ।

নারী কন্যা, বধু , মাতা ,নারী জায়া ,

বুঝেনা যৌতুকের দাবিদাররা ।

ছেলের বাবা হাকে করেছি মানুষ ছেলেকে ,

যৌতুক নিবনা কেন বাহে ?

ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার ,বারিস্টার ,এম বি এ ,

খরচ করেছি হাজারে হাজারে ।

নিব মেয়ের বাপ থেকে কড়ায় গন্ডায় ।

হায়রে দুর্ভাগা দেশের অভাগা মানুষ

বিবেকের দংশনে কেন হয়না হুশ !

নারীরা জেগে উঠ দীপ্ত শপথে ,

যৌতুকের বলি হবনা আমরা বারে বারে।

থাকবো কেন ? কোনঠাসা হয়ে ঘরের কোণে !

কন্ঠে তোলো প্রতিবাদের সুর ।

এমন জীবনসঙ্গী গ্রহণ কর যে দিবে

তোমায় সুখ, যৌতুকের বদলে সন্মান ও মর্যাদা ।

অর্থলোভী হীনমন্য পুরুষকে কর ঘৃনা ।

আত্ননির্ভরশিলতায় গড়ে তোলো নিজকে

এবং পুত্র সন্তানকে বোধসম্পন্ন মানুষ হিসেবে

যৌতুকের অভিশপ্ত প্রথা থেকে,

উচ্চবিত্ত, মধ্যবিত্ত, ও নিম্নবিত্ত ,

সকলকে বেরিয়ে আসার অঙ্গীকারে ,

সমাজ সংসার হবে শান্তিময় সুখের সন্ধানে ।

যৌতুক প্রথা অনুচ্ছেদ
যৌতুক প্রথা অনুচ্ছেদ

যৌতুক

হামিদ হোছাইন মাহাদী

আমার বাড়ির পাশে থাকে

মুন্সি নামের চাচা,

বলছে আমায় এই ভাতিজা

বয়স এখন কাঁচা।

করছি এখন নতুন বাড়ি

আনতে হবে বউ,

করবো কিযে এখন আমি

এই ভাতিজা কও?

শুনো চাচা তোমার জন্য

দেখছি একটা বধূ,

আনলে তাকে পাবে তুমি

হরেক রকম মধু।

চাচা বলে আজকে চলো

যায় যে তাদের বাড়ি,

মনের মতো নাইবা হলে

করো নাযে আড়ি।

দেখলো চাচা বধূর বাড়ির

আছে দালানকোঠা,

মনে মনে বুদ্ধি কাটলো

যৌতুক নিবে মোটা।

খুঁজবে গাড়ি-টিভি-ফ্রিজ

করতে বেশি সুখ,

আরাম-আয়েশ করবে শুধু

ভুলে সকল দুখ।

হঠাৎ করে তাঁর ভাতিজা

বললো চাচা কীযে?

যৌতুক নামের এমন কুকাজ

তোমার জন্য সাজে?

শুনে রেখো যৌতুক হলো

অশান্তির এক ফাঁদ,

পরিবারে আসে না যে

কভু সুখের সাধ।

 

যৌতুক মানে

Abubakar Siddique

যৌতুক মানে কৌতুক নয়
বিষাদময় ধ্বনি,
যৌতুক মানে দুঃখের বানে
নারীর অশ্রু-গ্লানি।
যৌতুক মানে গরিব পিতার
রুদ্ধ শ্বাসের কথা,
যৌতুক মানে আমার বোনের
হাজার দুঃখ-ব্যথা।
যৌতুক মানে নষ্ট দলের
ভ্রষ্ট উন্মাদনা,
যৌতুক মানে দুঃখিনীর
বক্ষ ছেদি যন্ত্রণা।
যৌতুক জগতের অভিশাপ
অসভ্য সংস্কৃতি,
যৌতুক পৈশাচিকতার
নির্মম নিষ্ঠুর কীর্তি।

যৌতুক প্রথা অনুচ্ছেদ

যৌতুক

জয়নব জোনাকি.

.

ছমিরন আর করিমনের

আছে একটা ভাই,

পাড়ায় পাড়ায় ‍ঘুরে বেড়ায়

কামাই রুজি নাই।

স্বপ্নে বিভোর বাবা তাদের

খুশিতে মন নাচে,

লক্ষ টাকা করবে দাবি

মেয়ের বাবার কাছে।

ঘটক সাহেব আসছে হেঁকে

ছাতা কাঁধে নিয়ে,

বললো হেসে ঐ পাড়াতে

আছে একটা মেয়ে..

ছেলে আমার করবে বিয়ে

বলছিনা কৌতুক,

কন্যার বাবার দিতেই হবে

লাখ টাকা যৌতুক।

ছেলের বাবা মেয়ের বাবা

চলছে রেষারেষি,

যৌতুক নামের দাবানলে

পুড়ছে দিবানিশি।

.

মানুষ বেচার হাটবাজারে,

বসছে আজব মেলা,

ঘুচবে কবে এই সমাজের

যৌতুক নামের খেলা।

 

যৌতুক প্রথা

ফাতেমা জাহান লুবনা

মানুষ নামের অমানুষের নারকীয় কারবার,

যৌতুক প্রথায় ক্ষুণ্ণ হয় নারীর অধিকার।

ধ্বংস হয়ে যায় কত শত কনের পরিবার,

নারী হয়ে জন্মালে কি কেবলই হাহাকার?

থাকলে জ্ঞান কাটবে তবে আঁধারের ঘোর,

ইসলামিক বিয়ের প্রথা হল দেন -মোহর ।

সংসারে কম আছে কি নারীর অবদান?

এই দুনিয়ার সব মানুষই নারীর সন্তান।

শিক্ষায় আলোকিত হোক নারীর মন,

উন্নয়নের জোয়ারে সমাজ ভাসবে যখন,

বুঝবে তবে নারী কোন খেলার পুতুল নয়,

যৌতুক নামের কুসংস্কার পাবে তবে ভয়।

 

যৌতুক প্রথা অনুচ্ছেদ

আমার অঙ্গিকার

যৌতুক যা আমার পরিবারের, সমাজের তথা দেশের জন্য অভিশাপ। যা থেকে বের হয়ে আসার কথা যারাই বলে তারাই আবার এগুলোর লালনকর্তা। তাহলে আমরা এই অভিশাপ থেকে মুক্ত হবে কীভাবে?? ধর্মীয় অনুশাসনের কথা যারা বলে তারাও কিন্তু প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে এর সাথে জড়িত। এর থেকে পরিত্রাণের জন্য ভাবলাম আমার বোনটাকে মনে হয় শিক্ষা-দীক্ষায় যোগ্য করে তুলতে পারলে বোধহয় যৌতুকের কৌতুকে পড়তে হবে না তাতে হীতে বীপরীত হয়ে গেলো তার ধর আরো বেড়ে গেলো। যৌতুক প্রথা অনুচ্ছেদ

যৌতুক দেবো না বলে যে পণ করেছিলাম তা ভাঙতে হলো বোনকে আয়বুড়ু হতে দেখে, মা-বাবার সারাক্ষণ চিন্তার উদ্রেক দেখে। বোনদেরকেতো অনিচ্ছা স্বত্ত্বেও যৌতুক দিতে বাধ্য হলাম। তাহলে এর থেকে পরিত্রাণের উপায় কী?? যদি আমি নিজেই না নেয়ার উদাহরণ তৈরি করতে পারি তবে তা আস্তে আস্তে ইনশাআল্লাহ সবার মাঝে প্রভাব ফেলবে।

আমরা চার ভাই দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ইনশাআল্লাহ আমরা যৌতুক নিয়ে বিয়ে করবো না। তাইতো নিজেকে অতটুকু প্রস্তুত করতে হবে সবার আগে। এই ভাবে কথার সাথে কাজের মিল রাখুন আপনিও। দেখবেন সমাজ থেকে একটু একটু করে এই অভিশাপ বিদায় হয়েছে। যৌতুক প্রথা অনুচ্ছেদ

 

“যৌতুক”

জলে ডুবে মর!

—————আবদুস সামাদ

—————৩১-০৫-১৬ ইং

এক চিলতে জমি চাষার

নদী নিছে কেড়ে ,

ঘরের দুটো মেয়েই তার

উঠছে তারা বেড়ে।

বাড়ি, ঘর, ভিটে, মাটি

কিছুই চাষীর নাই,

এমন সময় বড় মেয়ের

বাজে বিয়ের সানাই।

ঘটক বলে ছেলে ভাল

খুব কাজের ধান্ধা,

চলতে ফিরতে চায় সে

দামী একটা হুন্ডা।

বাবার চোখে অশ্রু ঝরে

করল নাকী কৌতুক?

কেমন করে পুরন করবে

বরের এই যৌতুক ?

ভাবটা বুঝে ঘটক বলে

মেয়ে তোমার বড়,

যৌতুক যদি নাই দাও

জলে ডুবে মরো !

‘কু-প্রথা’

তুষার সুভ্র

সর্পের ফণা সম ফোঁসে ফোঁসে ত্রাসে,/ ‘
যৌতুক’ এ বিষ-প্রথা সমাজেরে ঘ্রাসে।/
আঁধারের বলয়ে জাতি আজি রুদ্ধ,/
মাযলুম কেঁদে ফেরে ধরা আজি ক্রোদ্ধ।/
বিষাদের ঘনঘটা ভাগ্যের আকাশে,/
দিশে নাই অবলায়; অবয়ব ফেকাশে।/
যাতনার বারি-স্রোত বহে যায় লোচনে,/
ললনার ভালে ক্লেদ শোষকের শোষণে।/
নীল আকাশ মৃয়মাণ অবলার কাঁদনে,/
নিভৃত্যে কেঁদে যায় সুকরুণ স্বননে।/
নিগ্রেহিতার শোণিতে মৃত্তিকা সিক্ত;/
নারী জাতি কেন আজ সবহারা রিক্ত?/
অভিশাপ-অনলে জাতি পুঁড়ে ভস্ম,/
দানবের অধীনে মানবতা নিঃস্ব।/
কে আছ মর্ত্যে আজিকে লড়তে; দাড় টান্/
রণ নিত্যে; নাশিতে মিথ্যে প্রলয় বান।/
ভাঙ্গো ঘোঁর, ভাঙ্গো নিদ্ জেগে উঠ্ গর্জণে,/
চেতন ফেরাও জনে বাক্য-বাণ বর্ষণে।/
কলঙ্কিত সমাজের শৃংখল ভেঙ্গে ফেল্,/
পিচাশ-হিয়া দূর্জনে বিঁধে দে রে শেল্।/
আর নয় সমাজেতে পাষাণের কালো হাত,/
যৌতুককে ‘না’ বলো; দ্বারে আন্ সুপ্রভাত!

গরীব বাবার স্বপ্ন

হাঃওমর ফারুক

ধন্য আমি ধন্য মাগো

আসলি জবে ঘরে,

ক্ষুন্ন আমি ক্ষুন্ন মাগো

কাঁদছি যে এক ডরে।

তুই কেন মা জন্মনিলি

এই গরীবের ঘরে,

স্বপ্ন গুলো ভাংবে বুঝি

তোর এক এশারার ঝড়ে।

১৮বছর থাকবি মাগো

হয়ে গলার মালা,

১৮বছর পরেই তোকে

জবাই দেবার পালা।

জবাই দিতেও লাগবে আবার

অর্থ কড়ি ধন,

টাকা পয়সা মটর সাইকেল

দিতেই হবে পোণ।

যৌতুক নেয়া দন্ডনিয়

হাদিয়া তার ছল,

দেখবে কি আর সেদিন কেহ

বাবার চোখের জল।

বাবা মায়ের চোখের জলে

বইবে সেদিন নদী,

সেই নদীতেই বরের ডিঙ্গী

চাইবে আবার গদি।

খাট পালং শুকেজ ছাড়া

বর কি হবে রাজি?

যৌতুক নয় হাদিয়া সব

দিতেই হবে আজি।

ভিটে মাটি বিক্রী করে

ফাটলো বাবার বুক,

তবুও যেন মেলে মাগো

তোর একটু খানি সুখ।

ছড়া

যৌতুক পর্ব

….

অাবুবকর মুহাম্মাদ সালেহ

……

দেখছি কত হরহামেশা

এই সমাজের পাপ

একটি মেয়ে জন্ম দিয়ে

কাঁদছে মা ও বাপ।

নারীর কত স্বাধীনতা

নারীর জন্যে মানবতা

বিয়ের বেলা একোন খেলা

নারীই অভিশাপ।

এমনি করে হয় পরাজয়

রক্ত দিয়ে সেই করা জয়

রক্ত অাজো দিচ্ছে নারী

চাপল ঘাড়ে সাপ।

করছি হিসেব দিনের শেষে

সভ্যতা অাজ ভদ্রবেশে

নারীর উপর চাপিয়ে দিলো

একোন অভিশাপ।

পুড়ছে কত বিয়ের অাসর

জ্বলছে কত স্বপ্ন বাসর

বেচা কেনার এ যৌতুকে

পশুও হাসে কৌতুকে।

 

 

জাগো মজলুম নারী

সুমাইয়া আফরোজ

নিত্যদিনই হচ্ছে কত

যৌতুকের বলি।

না ফুটতেই ঝরে পড়ে শত

ফুলের কলি।

আজ বাঙালি ভদ্র হয়ে

বলেনা বরপণ।

এক্সপেনসিভ গিফ্ট চায়,

এটাই তো ফ্যাশন।

কন্যা সন্তান গলগ্রহ,

উদ্ধার করে বীর-পুরুষ।

সম্প্রদানের সময় লাগে

এত্ত এত্ত ঘুষ।

পুরুষ হয়ে জন্মে তোরা

করেছিস এক কর্ম!

টাকার কাছে বিকিয়ে দিস

নিজের বিবেক ধর্ম।

আর কত কাল করবি তোরা

মানবতার অপমান?

আর কত দিন লুটবে ধুলায়

মা-বোনদের সম্মান?

হবেই তো তাই,

এই তো হবার কথা।

ইসলামকে দুরে ঠেলে

মানছ হিন্দু প্রথা।

খোদার আইন ভুলে গিয়ে

রাস্তায় নেমে কর চিৎকার।

পুরুষের পোশাক পরে

চাও সাম্যের অধিকার।

অনেক করেছ,কী পেলে

তার প্রতিদান?

রেল লাইনে কাটা পড়া

নারীর সম্মান?

মজলুম নারীগণ

জেগে ওঠ আজ।

মুছে ফেল জীবনের

বঞ্চনার সাজ।

যৌতুকের বিষদাঁত

ভেঙে দাও সবে।

মোহরানা-ই অধিকার

বুঝে দিতে হবে।

মানলে খোদার আইন

কেটে যাবে রাত।

জীবনে আসবেই হেসে

সোনালী প্রভাত।

রোগতো মনেই

শাহ আলম বাদশা

পাপের কাজেই দাওনা বাধা

হোক না মানুষ পাপের গাধা

হোক সে ভালো এক্কেবারেই সৎ;

চুরি ছাড়ুক ঘুষটা ছাড়ুক

বাধায় বাধায় শুধুই হারুক

যাক না কমে শয়তানী হিম্মত?

কিন্তু যারা নারীর লোভী

যৌতুক-মদ-তাড়ির লোভী

মনের ভেতর নোংরা-কঠিনরোগ;

মনবদলের কী হাতিয়ার

শয়তানটাই ঠিক সাথী তার

দাও করে তাই নৈতিকতাই যোগ।

বদলে দিতে জীবনবোধই

কাজ দেবেনা প্রতিরোধই

মরণভয়ের শিক্ষাদীক্ষা চাই

সবকিছু তাই আন্দোলনেই

বদলানো যায়?রোগতো মনেই

দরকারই খুব মনোচিকিৎসাই!

কাজল লতা

সরদার মোহাম্মদ আলী

১৬/১০/২০২০

বিয়ে করে আনছো তুমি

আমায় দেখে শুনে

কালো বলে যৌতুক নিছো

টাকা গুনে- গুনে।

আমার বাবা গরীব মানুষ

জন্ম দিয়ে মোরে

কন্যা দায়ে পরে ছিল

বিপদে ভিষম ফেরে।

এক বিঘা জমি ছিল

ফসল ফলাতো বাবা

কন্যা দায়ে বিক্রি হলো

তোমার কালো থাবা।

বাবা আমার দিন মজুর

চালায় রিক্সা গাড়ী

অসুখ হলে উপোস থাকে

জ্বলেনা ভাতের হাঁড়ি।

কারনে অকারনে দেওযে গালি

আমি কালো বলে

তবেকি বাবা জমির টাকা

ফেলে দিছে জলে।

ন্যায় অন্যায় দেখনা তুমি

নির্যাতন করো মোরে

চেয়ে দেখ আমার জিনিস

আছে থরে- থরে।

বেকার তুমি করনা কাজ

ঘুরে বেড়ায় খাও

আমার রেখে অনা- হারি

তুমি হোটেলে খাও

যাব আমি বাপের বাড়ী

কষ্ট করবো কত

ভাল মানুষ হবেনা তুমি

বুঝাই শত- শত।

গরীব পিতার কন্যা আমি

নাম কাজল লতা

স্বামীর সংসার হলোনা আমার

মনে অনেক ব্যথা।

মা বাবাকে ছেড়ে আমি

এলাম তোমার বাড়ি

আপন করে লওনা মোরে

আমায় দিলে তাড়ি।

রুপ দেখিয়া ভালো মন্দের

যায়না বিচার করা

কাঁচ ভেবে হিরা লয়না

তাদের কপাল পোড়া।

বাচ্চা দুটি লইয়া সাথে

চললাম বাপের বাড়ি

দুখিনী আমি অসহায় অতি

আমি নির্যাতিত নারী।

যৌতুকের যম.

Aminul Islam Ustar

যৌতুকের যমে যদি.

গিলে খায় দেশ,

পুরুষ পৌরষ তবে.

হবে নাকি শেষ?

সু’পুরুষ কী চায় তা.

যে.পুরুষের জাত,

দাতা হাত উপরে যার. খোঁটা সয় রাত?

নারীর অধিকার এই.

পরম যা পাওয়া,

ভরন পোষণ সহ আর. যতো চাওয়া।

মল তবু খায় নয়,

পথের কাঙ্গাল,

নারী কেনো দেয় তা.

যে.নয়রে ভেজাল?

যৌতুক দেয়া নেয়া.

দুটো ই অন্যায়,

নারী পুরুষ এক হয়ে,

রুখো এর দায়!

পুরুষ পৌরষে হও.

স্বামী এক অতি.

পবীত্র প্রণয় হোক.

সুখের দম্পতি।

অভিশাপ

আবু রুফাইদাহ রফিক

বোনটি আমার বড় হচ্ছে দিন দিন

বাবা মায়ের চিন্তা বাড়ছে অন্তহীন।

একটু আধট কালো ছাড়া সবই ঠিক

লেখাপড়া ভালো ছাড়াও অমায়িক।

তবু এত চিন্তা কেন জানেন কি?

যৌতুক নামক অভিশাপটা এই আর কি!