যুদ্ধ মানে পৃথিবীর মৃত্যু; মানুষের হাতেই মানুষের ধ্বংস
(People for the Planet or Planet for the People; War destroys both)
–ফাতেমা জাহান লুবনা
যুদ্ধের কারণে মানুষ যেমন সরাসরি মৃত্যুবরণ করছে, তেমনই প্রতিটি যুদ্ধ পৃথিবীতে বসবাসকারী ভিন্ন প্রান্তের মানুষদেরও ক্ষতিগ্রস্ত করছে আর পৃথিবীর মৃত্যুর সময়কেও ঘনীভূত করছে, নিকটবর্তী করছে।
১) অক্সিজেনের ঘাটতি সৃষ্টি:
যুদ্ধের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে গাছ, ধ্বংস হচ্ছে বনাঞ্চল ও আবাদি জমি। এক একটি বৃক্ষ যেন এক একটি অক্সিজেনের ফ্যাক্টরি যেটা শুধু একটি এলাকাতেই সীমাবদ্ধ থাকে না, ছড়িয়ে পরে পুরো পৃথিবীতে। আর পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের ভারসাম্য রক্ষা করতে সহযোগিতা করে। কিন্তু যুদ্ধের কারণে একটি এলাকার গাছ ধ্বংস হয়ে পৃথিবীর অক্সিজেনের ঘাটতি সৃষ্টি করে যেটা আশেপাশের এলাকাগুলিতে এবং পুরো পৃথিবীতে প্রভাব ফেলতে পারে।
২) কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্যাস নিঃসরণ:
যুদ্ধের সময় ব্যবহৃত বিভিন্ন বোমা কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্যাস নিঃসরণের মাত্রাকে অতিরিক্ত হারে বৃদ্ধি করে। এই গ্রীনহাউজ গ্যাসটা পৃথিবীর বায়ুমন্ডলকে অধিক উত্তপ্ত করে তোলে। এতে গলে যায় মেরু অঞ্চলের বয়ফ আর বাড়তে থাকে সমুদ্রের পানির লেভেল। বিভিন্ন অঞ্চল তাতে তলিয়ে যায় পানির নীচে আবার অন্যত্র দেখা দেয় তীব্র পানির সংকট। অর্থাৎ এই কার্বন-ডাই-অক্সাইড প্রবৃদ্ধির কারণে পুরো পৃথিবীই বসবাসের অযোগ্য হয়ে যাচ্ছে দিন দিন আর যুদ্ধের সময় ব্যবহৃত গোলাবারুদ অতি অল্প সময়ে এই কাজটি দ্রুতগতিতে করছে।
৩) তাপমাত্রা বৃদ্ধি:
যুদ্ধের সময় ব্যবহৃত গোলাবারুদ, বোমা ইত্যাদি বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে সরাসরি ও পরোক্ষভাবে কাজ করছে। একদিকে যেমন এগুলো নিক্ষেপের কারণে সরাসরি আগুন ও উত্তাপ তৈরি হয়ে তাপমাত্রা বৃদ্ধি করছে, তেমনই বোমায় ব্যবহৃত কার্বন-ডাই-অক্সাইড ও অন্যান্য গ্যাস পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে গ্রীনহাউজ ইফেক্টকে জটিল করছে ও তাপমাত্রা বৃদ্ধি করছে।