শিয়ালের হাত থেকে আমাদেরকে বাঘের হাতে জিম্মি করবেন না” -অধ্যাপক গোলাম আযম।
কবি নজরুল একদিন কথার প্রসঙ্গে বলেছিলেন,“খোদার বক্ষে লাথি মার” এই কথা বলার পর সারা কুমিল্লা উত্তাল হয়ে গেল।
মাওলানারা তাকে কাফের ঘোষনা দিল, আরো বললঃ
যে মানুষ খোদার বুকে লাথি মারতে পারে সেই বেয়াদবের জায়গা এই দেশে হবেনা।
কবিকে বলল এর জবাব দিতে হবে।
কবি বললেন, ঠিক আছে আমি জবাব দিবো।
আপনারা একটি সমাবেশের আয়োজন করেন।
হাজার হাজার মানুষ উপস্থিত হল।
কবি আসলেন, সবাই কবিকে বেইজ্জত করার প্রস্তুতি সম্পন্ন করল।
কবি মঞ্চে উঠে শুধু দুইটি কথা বললেন,তিনি বললেনঃ খোদা নিরাকার।
তাঁর বুকে কি লাথি মারা সম্ভব?
যে খোদার বুক আছে সেই খোদার বুকে লাথি মারতে বলেছি।
কবি একথার দ্বারা দেব দেবীকে বুঝিয়েছেন ৷
দুধ বিক্রি করে চা খাওয়া জনগণ আর বেটকায় বেটকায় নুরাণী জর্দা দিয়ে পান খাওয়া মাওলানাদের বুঝ হয়ে গেল।
না বুঝে চিল্লাইয়া, এককাপ চার বিনিময়ে বিক্রি হয় একমাত্র হুজুগে বাঙ্গালীরা ৷ স্বাধীনতা যুদ্ধে জামায়াতে ইসলামী যুদ্ধ করেনি।
অস্ত্র হাতে নেয়নি।
এই কারনে শুরু হয়ে গেল রাজাকার উপাধি।
আজ ৫৫ বছরেও কেউ জানতে চাইনি জামায়াতের বক্তব্যটি আসলে কী ছিল?
কেউ জানতে চায়নি জামায়াত ইসলাম কেন সেই দিন অস্ত্র হাতে নেয়নি?
জামায়াত ইসলামী স্বাধীনতা বিরোধী ছিলোনা।
যুদ্ধের কৌশলের বিরোধী ছিল।
মরহুম গোলাম আজম সাহেব শেখ মুজিবকে বলেছিলেন, পূর্ব আর পশ্চিম পাকিস্তান ভৌগলিক সীমারেখার যে পার্থক্য,এইভাবে কোন দেশ চলতে পারেনা।
আমরা আজ না হয় কাল স্বাধীন হবোই হব।
দয়া করে আপনি গান্ধীর ফাঁদে পা দিবেন না।
শিয়ালের হাত থেকে আমাদের বাঘের হাতে জিম্মি করবেন না।
কারণ শিয়াল হাটুর নীচে কামড়ায়, আর বাঘ মানুষের কলিজা খায়।
শেখ মুজিব গোলাম আজম সাহেবকে আস্বস্ত করলেন যে, আপনি কোন চিন্তা করবেন না।
শেখ সাহেব ৭ই মার্চ ভাষণের একদিন আগেও স্বাধীনতার ঘোষণার বিরুদ্ধে ছিলেন।
কিন্তু কিছু বাংলাদেশী গান্ধীর ভারাটে দালাল শেখ সাহেবকে জোর করে স্বাধীনতা ঘোষণা করাইলো।
যদিও শেখ সাহেবের গোটা ভাষনে স্বাধীনতা ঘোষনার পক্ষে স্পষ্ট কোনো বক্তব্য নেই ৷
এই অগোছালো সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের কোন আলেম সমাজ মেনে নেয়নি।
জামায়াতে ইসলামীও তাদের একটি অংশ।
সাড়ে সাত কোটি মানুষের মধ্যে এক কোটি মানুষও এই স্বাধীনতা চায়নি। আপনি আপনার এলাকায় যাচাই করুন কয়জন মুক্তিযোদ্ধা আছে?
যুদ্ধ বেজে গেল,পাকিস্তানিরা ভারতের উপর ক্ষেপে গিয়ে পাইকারী ভাবে হিন্দুদের হত্যা করা শুরু করে।
ভারত সরাসরি যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করে।
দেখা গেল উভয় পক্ষে মুসলমান মরতেছে, মজা মারতেছে ভারত।
এরিই মধ্যে ভারত আবার পাকিস্তান বাহিনীর প্রধান নিয়াজীকে যুদ্ধে বিরতির প্রস্তার দিল।
নিয়াজী মেনে নিল।
যুদ্ধ বিরতি হয়ে গেল ৯৩হাজার সৈন্যের পরাজয়।
এগুলো সবার জানা বিষয়।
কিন্তু এই বাস্তব ইতিহাস আজ বিলুপ্ত।
এই ইতিহাস আজ হাস্যকর।
এই অপরাধে আজ জামায়াতের উপর এতো নির্যাতন, নেতারা ফাঁসির মঞ্চে।
✘ কবি নজরুলের কথার মত বাঙ্গালিরা কিছুদিন পর বুঝতে শুরু করে জামায়াতে ইসলামীর ভাষা।
স্বাধীনের পর যখন ভারতীয় সৈন্যদল বাংলাদেশের সব জিনিষ লুট করে নিয়ে যাচ্ছে তখন সেক্টর কমান্ডার মেজর জলিল অস্ত্র উচিয়ে বলেছিলেনঃ আমাদের আরো একটি মুক্তিযুদ্ধের দরকার।
স্বাধীনের পর শুরু হল ভারতের যুদ্ধের বিনিময়।
নয় মাস আগে শেখ সাহেবের সাথে কথা বলতে গান্ধীর বুক কাঁপত।
সেই গান্ধী শেখ সাহেবকে ২৫ বছরের গোলামী চুক্তি করাইলো।
এখনো জাতি জানেনা, এই গোলামী চুক্তিতে আসলে কী লিখা ছিল?
সেখানে ছিল শেখ সাহেবকে গান্ধী বললঃ ফারাক্কা বাঁধটিএকটু খুলে দাও’ শুধু পানির কিউচেক পরীক্ষা করার জন্য।
৭ দিন পর আবার বন্ধ করে ফেলব।
কিন্তু আজ ৫৫ বছর হয়ে গেলো, এখনও সেই ৭দিন শেষ হলো না।
হঠাৎ আমরা হয়ে গেলাম এক হিন্দু রাজার গোলাম।
এই গোলামী বোঝাবহন করে’ এখনও চলছি।
তাই তো একজন ‘বঙ্গবীর’খেতাব প্রাপ্ত কাদের সিদ্দিকী আক্ষেপ করে বলেছিলেনঃ-
স্বাধীনতা যুদ্ধ করে ভুল করেছি, জামায়াত যেটা ৪২ বছর পূর্বে বুঝেছিল,সেটা আমরা আজ বুঝতেছি।
অনেক মুক্তিযুদ্ধা যখন বলেঃ-
যদি এমন জানতাম স্বাধীনতা যুদ্ধ করতাম না।
তা হলে এখন প্রমাণিত হলঃ-
৭১ সালে জামায়াতে ইসলামীর সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল।
আজ ন্যায্যমুল্যে কিনা স্বাধীনতা ‘বিনামুল্যে’ ভোগ করছে ভারত।
যে বাঙ্গালি যেমন চিন্তা না করে কবি নজরুলকে কাফের ডাকল।
সেই বাঙ্গালী না বুঝে জামায়াতে ইসলামীকে রাজাকার ডাকা শুরু করলএবং তাদের সাথে যোগ দিলো কিছু ফতোয়া বাজরা।
এমন একদিন আসবে যেদিন বাঙ্গালী জাতি নিজের ভুল বুঝে মরহুম গোলাম আযমের কবর ধরে মাফ চাইবে।
মূল লেখকঃ মুরাদ চৌধুরী।
সাতকানিয়া, চট্টগ্রাম।
(ড. আবু তাহের খান সাহেবের পোস্ট থেকে)
মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয় সেনা বাহিনীর লুটপাটের ইতিহাস ও সাহায্যের কারন।
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে বীর মুক্তি বাহিনী যখন দেশের ৯৫-৯৯ শতাংশ অঞ্চল মুক্ত করে ফেলেছিল, ঠিক তখন ৩রা ডিসেম্বর ভারতীয় আরদালী বাহিনী লুটপাট করার জন্য বাংলাদেশে প্রবেশ করে। তারা ১৬ ডিসেম্বরের পর বাংলাদেশ জুড়ে নজির বিহীন লুটপাট চালিয়েছিলো। ৯৩ হাজার পাকিস্তানী সৈন্যদের ফেলে যাওয়া বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদ- যার মূল্য ওই সময় ছিলো ২৭ হাজার কোটি টাকা, তার সবই ভারতীয় আরদালী বাহিনী ১৫টি বিশাল জাহাজে করে বাংলাদেশ থেকে লুট করে নিয়ে যায়। অথচ সেই অস্ত্রের মালিকানা ছিলো পুরোপুরি বাংলাদেশের।
শুধু তাই নয়, বাংলাদেশের শত শত মিল কারখানার যন্ত্রপাতি, ব্যাংক, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যাল, ঘর-বাড়ির গৃহস্থালী জিনিসপত্র পর্যন্ত বাদ যায়নি লোভী ভারতীয় লুটেরাদের হাত থেকে। এসব সম্পদ ও দ্রব্যাদির তখনকার মূল্য ছিলো আনুমানিক ৯০ হাজার কোটি টাকা। শৌচাগারের বদনাগুলোও বাদ দেয়নি ভারতীয় লুটেরার দল। এছাড়াও যুদ্ধকালীন ও যুদ্ধ পরবর্তীকালীন সময়ে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রদত্ত বিপুল পরিমাণ অর্থ ও অন্যান্য সাহায্যও লুট করে নিয়ে যায় আমাদের পরম মিত্র (!!!) ভারত।
বাংলাদেশে ভারতীয় আরদালীদের লুন্ঠনের ব্যাপারে আজিজুল করিম ‘হোয়াই সাচ এন্টি-ইন্ডিয়ান ফিলিংস এমং বাংলাদেশী?’ শিরোনামে এক নিবন্ধে ১৯৭৪ সালের ডিসেম্বরে প্রকাশিত ভারতীয় মাসিক ‘অনিক’-এর রিপোর্টের উদ্ধৃতি দিয়ে লিখেছেন, “ভারতীয় সৈন্যদের লুণ্ঠিত মালামালের মূল্য ছিল প্রায় ১শ’ কোটি মার্কিন ডলার।”
বাংলাদেশে ভারতীয় আরদালীদের লুণ্ঠনের ব্যাপারে ‘বাংলাদেশ পাস্ট এন্ড প্রেজেন্ট’ পুস্তকে সালাহউদ্দিন আহমদ লিখেছেন, “যুদ্ধ শেষ হয়ে যাবার পর ভারতীয় সৈন্যরা পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিক সময় অবস্থান করতে থাকায় ভারত সমালোচিত হতে থাকে। অভিযোগ করা হয় যে, ভারতীয় সেনাবাহিনী ট্রাক বহরে করে বাংলাদেশ থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র ও সাজসরঞ্জাম সরিয়ে নিয়ে যায়। ফলে ভারত বাংলাদেশকে আত্মমর্যাদাশালী রাষ্ট্রের পরিবর্তে একটি তাঁবেদার রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায় এমন একটি আশঙ্কা থেকে বাংলাদেশের প্রতি ভারতীয় নীতির বিরুদ্ধে উত্তেজনা ও সংশয় সৃষ্টি হয়।”
মুক্তিযোদ্ধা ও লেখক জয়নাল আবেদীনের ‘র এন্ড বাংলাদেশ’ শিরোনামে লেখা একটি বইয়েও বাংলাদেশে ভারতীয় আরদালীদের লুন্ঠনের বর্ণনা দেয়া হয়েছে। বইটিতে তিনি লিখেছেন, “পাকিস্তানি সৈন্যদের আত্মসমর্পণের পর ভারতীয় সৈন্যদের ব্যাপক লুটতরাজ দেখতে পেয়ে ভারতের প্রকৃত চেহারা আমার কাছে নগ্নভাবে ফুটে উঠে। ভারতীয় সৈন্যরা যা কিছু দেখতে পেতো তার উপর হুমড়ি খেয়ে পড়তো এবং সেগুলো ভারতে বহন করে নিয়ে যেতো। লুটতরাজ সহজতর করার জন্য তারা আমাদের শহর, শিল্প স্থাপনা, বন্দর, সেনানিবাস, বাণিজ্যিক কেন্দ্র এমনকি আবাসিক এলাকায় কারফিউ জারি করে। তারা সিলিং ফ্যান থেকে শুরু করে সামরিক সাজসরঞ্জাম, তৈজষপত্র ও পানির ট্যাপ পর্যন্ত উঠিয়ে নিয়ে যায়। লুণ্ঠিত মালামাল ভারতে পরিবহনের জন্য হাজার হাজার সামরিক যান ব্যবহার করা হয়।”
বইটির আরেকটি অংশে তিনি লিখেছেন, “বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে ভারত অর্থনৈতিক, সামরিক, কৌশলগত ও আন্তর্জাতিকভাবে ব্যাপক লাভবান হয়েছে। এ কারণে দেশটি তার নিজের স্বার্থে আমাদের মুক্তিযুদ্ধে সম্পৃক্ত হয়, আমাদের স্বার্থে নয়।”
বাংলাদেশে ভারতীয় আরদালীদের লুণ্ঠনের ব্যাপারে “বাংলাদেশ পাস্ট এন্ড প্রেজেন্ট” পুস্তকে সালাহউদ্দিন আহমদ লিখেছেন, “যুদ্ধ শেষ হয়ে যাবার পর ভারতীয় সৈন্যরা পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিক সময় অবস্থান করতে থাকায় ভারত সমালোচিত হতে থাকে। অভিযোগ করা হয় যে, ভারতীয় সেনাবাহিনী ট্রাক বহরে করে বাংলাদেশ থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র ও সাজসরঞ্জাম সরিয়ে নিয়ে যায়। ফলে ভারত বাংলাদেশকে আত্মমর্যাদাশালী রাষ্ট্রের পরিবর্তে একটি তাঁবেদার রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায় এমন একটি আশঙ্কা থেকে বাংলাদেশের প্রতি ভারতীয় নীতির বিরুদ্ধে উত্তেজনা ও সংশয় সৃষ্টি হয়।”
এবার আসুন দেখি মুক্তিযুদ্ধে “তথাকথিত” সাহায্যের কারণ এবং বর্তমানের লুটপাট।
১. পাকিস্তানকে অর্থনৈতিকভাবে দূর্বল করার লক্ষ্যে দুই টুকরো করতে পারলে ভারতের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন বাস্তবায়িত করা, ভারতও ভালভাবেই জানত পূর্ব পাকিস্তানের আয় (বিশেষত পূর্ব পাকিস্তানের পাট, চা, চামড়া, নিউজপ্রিন্ট ও আরো অন্যান্য পন্য রপ্তানী বাবত বিপুল বৈদেশিক মূদ্রা অর্জন ) দিয়েই পশ্চিম পাকিস্তানের অর্থনৈতিক উন্নয়ন বা অর্থনীতির চাকা সচল রাখা হত।
২. পূর্ব পাকিস্তানকে পাকিস্তানের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করা গেলে সামরিক দিক দিয়েও লাভবান হবে ভারত, ভারতকে আর তার পূর্রাঞ্চলে (ইস্টার্ন সেক্টরে) সামরিক শক্তি মোতায়েন রাখতে হবেনা, পুরো সামরিক শক্তিই তখন ভারতের পশ্চিমাঞ্চলে (ওয়েস্টার্ন সেক্টরে) পাকিস্তানের বিপরীতে প্রস্তুত রাখা যাবে। আরেকটা ব্যাপার ছিল ৬৫ সালের পাক-ভারত পুর্ব পাকিস্তানী(বাংলাদেশী) সৈন্য দের ব্যাপক বীরোচিত আক্রমন।
৩. ভারত বাংলাদেশের অর্থনীতিকে ধীরে ধীরে এমনভাবে ভারত নির্ভরশীল করে তুলবে এবং বাংলাদেশের নিজস্ব অর্থনীতি ও অর্থনীতির মূল শক্তিগুলোকে এমনভাবে ধ্বংশ করে দিবে যাতে বাংলাদেশ অনেকাংশে ভারতের উপর নির্ভর শীল হয়ে থাকে। বাংলাদেশের পাট ও চা শিল্প আরো অনেক আগেই ধ্বংশ হয়ে এখন এই বাজার একচেটিয়া ভারতের দখলে চলে গেছে, বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্প এবং জনশক্তি রপ্তানী খাতও ভারতের তীব্র প্রতিযোগিতা ও ষড়যন্ত্রের শিকারে পরিনত হয়েছে।
আর উজানে বিভিন্ন নদীতে বাঁধ দিয়ে বাংলাদেশের নদ-নদীকে মরুভূমি বানিয়ে বাংলাদেশের কৃষি, জলবায়ূ ও প্রকৃতিকে ইতমধ্যেই ধ্বংশের শেষ সীমায় ঠেলে দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ বাংলাদেশ স্বাধীন হলেও ভারতের জন্য কোন হুমকী হবেনা, বরং ভারতের লাভই হবে এবং কার্যত ভারতই বাংলাদেশের জন্য হুমকী হয়ে থাকতে পারবে। এসব হিসাব-নিকাশ সঠিকভাবে করেই ভারত ১৯৭১ সালে পূর্ব পাকিস্তানকে পাকিস্তান থেকে পৃথক তথা স্বাধীন বাংলাদেশ হতে সাহায্য করেছিল।
যে কারনে বাঙ্গালীদের মনে এতো প্রশ্ন ভারতের সেই তথাকথিত সাহায্যের জন্য।
- কেন ভারত আমাদের ২৬ শে মার্চ এর পর পরই সাহায্য করল না, যদি সত্যই তারা আমাদের সাহায্য করতে চাইত?
- রেসকোর্স ময়দানে আমাদের সর্বাধিনায়ক আতাউল গনি অসমানী সাহেব ছিলেন না কেন? তাকে কি আসতে বাঁধা দেয়া হয়েছিল?
- কেন আমরা ৯০ভাগ অঞ্চল মুক্ত করার পর ভারত ডিসেম্বরের ৩ তারিখ আক্রমণ করল?
- আপনাদের মনে আছে জর্জ হ্যারিসনের “কনসার্ট ফর বাংলাদেশ” এই ধরনের অনুষ্ঠান গুলো থেকে প্রাপ্ত অর্থ সহ বিশাল পরিমাণ ফান্ডের টাকা গুলো কোথায় গেল? ভারত কি হিসেব দিয়েছিল?
- কেন রাশিয়ার দেয়া অস্ত্র গুলো ভারত নিজেদের দেয়া বলে চালিয়ে নিয়েছিল?
- ‘ইটস মিলিনিয়াম ইয়ার অপরচুনিটি টু ডিভাইড পাকিস্থান ইন্টু টু পিস’ – এই কথাটি কে বলেছিল?
বস্তুত বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে ভারত অর্থনৈতিক, সামরিক, কৌশলগত ও আন্তর্জাতিকভাবে ব্যাপক লাভবান হয়েছে। এ কারণে দেশটি তার নিজের স্বার্থে আমাদের মুক্তিযুদ্ধে সম্পৃক্ত হয়, আমাদের স্বার্থে নয়।” আজ এরাই গলা লম্বা করে বলে তারা নাকি বাংলাদেশকে সাহায্যে না করলে দেশ স্বাধীন হতনা!!! এই জনই বলে চোরের মার বড় গলা !
তথ্যসমুহঃ
- মুক্তিযোদ্ধা ও লেখক জয়নাল আবেদীনের “র এন্ড বাংলাদেশ”।
- “বাংলাদেশ পাস্ট এন্ড প্রেজেন্ট” পুস্তকে সালাহউদ্দিন আহমদ।
- আজিজুল করিম “”হোয়াই সাচ এন্টি-ইন্ডিয়ান ফিলিংস এমোং বাংলাদেশী?।
- বিভ্ন্নি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক আর্টিকেল।
বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদান কতটুকু সেটার প্রমাণ ইতিহাসে বিদ্যমান। ইতিহাস সাক্ষী বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার মাত্র ১৩ দিন আগে ভারত আসে, এসে তারা যেকাজ গুলো করে তার বিবরন একটু পরেই দিচ্ছি।
আর্শ্চয কথা হচ্ছে বাংলাদেশ সরকার এই ভারতীয় দের ৫ লাখ রুপি করে ১৭০০ পরিবারকে ১১৭ কোটি ৩৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা দিতে যাচ্ছে (
http://bit.ly/2nUzlc9)। শুধু তাই নয় ভারতীয় এসব হিন্দু সৈন্যদের শহীদ উপাধিও দেয়া হয়েছে। শহীদ কাকে বলে সরকার কি সেটাও ভুলে গেছে?
এবার আসুন দেখা যাক স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতের অবদান কি ছিলো:
= বাংলাদেশে ভারতীয়দের লুন্ঠনের ব্যাপারে আজিজুল করিম ‘হোয়াই সাচ এন্টি-ইন্ডিয়ান ফিলিংস এমং বাংলাদেশী?’ শিরোনামে এক নিবন্ধে ১৯৭৪ সালের ডিসেম্বরে প্রকাশিত ভারতীয় মাসিক ‘অনিক’-এর রিপোর্টের উদ্ধৃতি দিয়ে লিখেছেন, “ভারতীয় সৈন্যদের লুণ্ঠিত মালামালের মূল্য ছিল প্রায় ১শ’ কোটি মার্কিন ডলার।”
= বাংলাদেশে ভারতীয়দের লুণ্ঠনের ব্যাপারে ‘বাংলাদেশ পাস্ট এন্ড প্রেজেন্ট’ পুস্তকে সালাহউদ্দিন আহমদ লিখেছেন, “যুদ্ধ শেষ হয়ে যাবার পর ভারতীয় সৈন্যরা পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিক সময় অবস্থান করতে থাকায় ভারত সমালোচিত হতে থাকে। অভিযোগ করা হয় যে, ভারতীয় সেনাবাহিনী ট্রাক বহরে করে বাংলাদেশ থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র ও সাজসরঞ্জাম সরিয়ে নিয়ে যায়। ফলে ভারত বাংলাদেশকে আত্মমর্যাদাশালী রাষ্ট্রের পরিবর্তে একটি তাঁবেদার রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায় এমন একটি আশঙ্কা থেকে বাংলাদেশের প্রতি ভারতীয় নীতির বিরুদ্ধে উত্তেজনা ও সংশয় সৃষ্টি হয়।”
= মুক্তিযোদ্ধা ও লেখক জয়নাল আবেদীনের ‘র এন্ড বাংলাদেশ’ শিরোনামে লেখা একটি বইয়েও বাংলাদেশে ভারতীয় আরদালীদের লুন্ঠনের বর্ণনা দেয়া হয়েছে। বইটিতে তিনি লিখেছেন, “পাকিস্তানি সৈন্যদের আত্মসমর্পণের পর ভারতীয় সৈন্যদের ব্যাপক লুটতরাজ দেখতে পেয়ে ভারতের প্রকৃত চেহারা আমার কাছে নগ্নভাবে ফুটে উঠে। ভারতীয় সৈন্যরা যা কিছু দেখতে পেতো তার উপর হুমড়ি খেয়ে পড়তো এবং সেগুলো ভারতে বহন করে নিয়ে যেতো। লুটতরাজ সহজতর করার জন্য তারা আমাদের শহর, শিল্প স্থাপনা, বন্দর, সেনানিবাস, বাণিজ্যিক কেন্দ্র এমনকি আবাসিক এলাকায় কারফিউ জারি করে। তারা সিলিং ফ্যান থেকে শুরু করে সামরিক সাজসরঞ্জাম, তৈজষপত্র ও পানির ট্যাপ পর্যন্ত উঠিয়ে নিয়ে যায়। লুণ্ঠিত মালামাল ভারতে পরিবহনের জন্য হাজার হাজার সামরিক যান ব্যবহার করা হয়।”
বইটির আরেকটি অংশে তিনি লিখেছেন, “বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে ভারত অর্থনৈতিক, সামরিক, কৌশলগত ও আন্তর্জাতিকভাবে ব্যাপক লাভবান হয়েছে। এ কারণে দেশটি তার নিজের স্বার্থে আমাদের মুক্তিযুদ্ধে সম্পৃক্ত হয়, আমাদের স্বার্থে নয়।”
যারা আমাদের সাহায্যের নামে বাথরুমের বদনাও চুরি করে নিয়ে গেছে আজ তাদের সম্মান করার জন্য “শহীদ” উপাধি দেয়া হচ্ছে, সম্মাননা হিসাবে ১৭০০ পরিবারকে ১১৭ কোটি টাকা দেয়া হচ্ছে। অপরদিকে আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা পেটের দায়ে ভিক্ষা করছে (
http://bit.ly/2o8JYHM,
http://bit.ly/2oHfbzw)
সূতরাং কেন ভারতকে সন্তুষ্ট করতে শত শত কোটি দেয়া হচ্ছে? জাতি জানতে চায় ভারততোষনের মূলে কি আছে। ৭১ এ যারা আমাদের সম্পদ লুট করেছে তাদেরকে আমাদের পকেটের টাকা দিয়ে অনুদান দেয়া কখনোই মেনে নেয়া যাবে না।