You are currently viewing ১৯৭১ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি আমেরিকার রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর কী আলাপ হয়েছিল
মার্কিন ডকুমেন্টে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ- পিনাকী ভট্টাচার্য

১৯৭১ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি আমেরিকার রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর কী আলাপ হয়েছিল

পাকিস্তানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত জোসেফ ফারল্যান্ড ১৯৭১ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি সকালেই ঢাকায় বঙ্গবন্ধুর ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর বাসায় দেখা করতে এসেছিলেন। সেখানে এক ঘণ্টাব্যাপী আন্তরিক পরিবেশে ফারল্যান্ডের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর আলোচনা হয়। ফারল্যান্ড সেদিনই ওয়াশিংটনে এই আলোচনার বিস্তারিত জানিয়ে তারবার্তা পাঠান। কী ছিল সেই তারবার্তায়? আসুন ফারল্যান্ডের বয়ানেই শুনি সেই মিটিংয়ের খুঁটিনাটি। এটা সেক্রেটারি অব স্টেটকে পাঠানো রাষ্ট্রদূতের

বার্তা :

১। ফেব্রুয়ারির ২৮ তারিখ সকাল নয়টায় আমি শেখ মুজিবরের সঙ্গে তার ঢাকার বাসভবনে দেখা করতে যাই। তিনি গাড়িতেই আমাকে রিসিভ করেন এবং তার বাসা পর্যন্ত আমাকে নিয়ে যান। এটা খুবই স্পষ্ট ছিল যে, তিনি আমাকে দেখে খুশি হয়েছেন এবং আমাকে দারুণ আন্তরিকভাবে অভ্যর্থনা জানান। সামাজিক কুশলাদি বিনিময়ের পরে মূল আলোচনা শুরু হলো। সামাজিক কুশলাদির পর তার এই বক্তব্যও ছিল, আমাদের এই মিটিংটা হচ্ছে পাকিস্তানের ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে। আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘কী অবস্থা মনে হচ্ছে আপনার?’ এই কথা বলে তিনি সরাসরি মূল আলোচনায় প্রবেশ করলেন। আমি উনাকে বললাম, একজন কৌতূহলী দর্শক হিসেবে সব ঘরানার সংবাদপত্র থেকে পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের রাজনৈতিক অচলাবস্থা নিয়ে যে সংবাদ দেখি তাতে আমি উদ্বিগ্ন। তবে আওয়ামী লীগের প্রধান হিসেবে আপনিই বরং বর্তমান অবস্থার পর্যালোচনা ভালোভাবে করতে পারবেন। আপনার কাছে থেকে সেটা শুনতে চাওয়াটাই বেশি সঙ্গত।

২। শেখ মুজিব বললেন, তাঁর মতে, বর্তমান রাজনৈতিক অচলাবস্থা একমাত্র ভুট্টোর কুমন্ত্রণার কারণে হচ্ছে বলে তিনি মনে করেন না। বরং ভুট্টো এমন একটা অবস্থার প্রতিনিধিত্ব করছেন, যা তৈরি হয়েছে সেইসব মানুষের দ্বারা যারা আইয়ুবকে সমর্থন করেছিল। তিনি বলেন, ভুট্টো সম্ভবত নিজের ইচ্ছায় চলছেন না। কারণ তার যথেষ্ট সংগঠিত কোন রাজনৈতিক দল নেই। পশ্চিম পাকিস্তানি কিছু সামরিক অফিসারের সাহায্য ও নেতৃত্ব ছাড়া ভুট্টো অচল। ঠিক এই কারণেই ভুট্টো সামরিক প্রস্তুতির জন্য মাত্রাতিরিক্ত খরচ করার পক্ষে।

৩। ভুট্টো অধিবেশনে যোগ দেবেন কি-না আমার এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন যে, তিনি মনে করেন ভুট্টো অধিবেশনে যোগ দেবেন। কারণ আওয়ামী লীগ ভুট্টোকে, তাঁর ভাষায় চেপে ধরেছে বলে মনে করেন তিনি। যদিও তিনি বললেন, তিনি অনুমান করছেন ভুট্টো, যাকে তিনি হাদা গরু’ বলে অভিহিত করেন, সেই ভুট্টো তাঁর দলের লোকদের খোঁয়াড়ে ঢুকিয়ে পশ্চিম পাকিস্তানের পক্ষেই নিয়ে যাবেন। সেই সময় থেকেই বাংলাদেশের জীবন সংগ্রাম শুরু হবে।

৪। আমি তখন তাকে জিজ্ঞেস করলাম, পিপিপি এবং আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক অবস্থানের দূরত্ব কতটুকু? তিনি বললেন, বিশাল দূরত্ব এবং এই দূরত্ব এতই বিশাল যে, কোনো মতৈক্যে আসা রীতিমতো অসম্ভব। আরো বিশেষ করে বলতে গেলে আওয়ামী লীগ এবং সেই দলের নির্বাচিত নেতা হিসেবে তিনি ছয় দফা প্রশ্নে কোনো আপোস করবেন না এবং তা করতেও পারেন না। এই ছয় দফাকে তিনি প্রায় এক দশক ধরে নিজের জীবনের অংশ করে নিয়েছেন। তিনি বললেন, ভুট্টো চান পররাষ্ট্রমন্ত্রী হতে এবং পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টকে মনোনীত করার অধিকার পেতে। শেখ মুজিব বললেন, ভুট্টোর পররাষ্ট্রনীতি, তাঁর মতে যাচ্ছেতাই, ভুট্টোর কমিউনিস্ট চীনের প্রতি রয়েছে প্রবল অনুরাগ এবং ভারতের প্রসঙ্গে তিনি একরোখা। শেখ মুজিব এরপরে তার কমিউনিস্টবিরোধী অবস্থানের কথা দীর্ঘ সময় ধরে ব্যাখ্যা করলেন এবং বললেন চীন এই অঞ্চলের জন্য কী বিপদ সৃষ্টি করছে। ভারত প্রশ্নে তিনি মনে করেন, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের অবশ্যই ঐতিহাসিক ভালো সম্পর্কপুনস্থাপন করা দরকার এবং আগের বাণিজ্য রুটগুলো চালু করা দরকার। তিনি এই মত দিলেন, ভুট্টো যা চান এবং বাংলাদেশের মানুষ যা দাবি করে এই দুই বিষয়ের পার্থক্য অনতিক্রম্য।

৫। এরপরে তিনি পুরো ১০ মিনিটের একটা ভাষণ দিলেন, যা তাঁর রাজনৈতিক বক্তৃতার অংশ হতে পারত। তিনি বললেন, “তার দেশের জনগণ তার পিছনে আছে, তিনি অল্প কিছু ছোট ছোট হার্ডকোর কমিউনিস্টদের দৌড়ের ওপর রেখেছেন। ভাসানীর ছত্রভঙ্গ অবস্থা দেখে তা বোঝা যাচ্ছে। তিনি বললেন, কমিউনিস্টরা তার দলের তিনজন নেতাকে খুন করেছে। তিনিও পাল্টা প্রতিজ্ঞা করেছেন, প্রত্যেক নিহত আওয়ামী লীগ নেতার জন্য কমিউনিস্টদের তিনজনকে খুন করবেন এবং ‘এইটাই আমরা করেছি।’ পশ্চিম পাকিস্তানি নেতৃত্বের হাতে যে কয়দিন জেলে কাটিয়েছেন সেটা উল্লেখ করে তিনি বলেন, যদি ঐক্য রক্ষা করা না-ই যায়, তবে ‘বুলেটের মুখে দাঁড়াতে’ তার কোন ভয় থাকবে না। তিনি নাটকীয়ভাবে বলে উঠলেন, তিনি জেলের ভয়ে ভীত নন, এমনকি তাঁকে টুকরো টুকরো করে ফেললেও জনগণের দেয়া ম্যান্ডেট থেকে তিনি বিচ্যুত হবেন না। তিনি স্বগতোক্তির মতো বলতে থাকলেন, তিনি বিচ্ছিন্ন হতে চাননি, বরং তিনি চেয়েছিলেন পাকিস্তানের সঙ্গে এমন একটি কনফেডারেশন যেখানে বাংলাদেশের জনগণ বৈদেশিক সাহায্যের মাত্র ২০% নয় বরং একটা ন্যায্য হিস্যা পাবে। যেখান থেকে বৈদেশিক মুদ্রার ৬০% আসে সে অংশকে কীভাবে ইসলামাবাদ ভিখিরির মতো এই সামান্য ভাগ ছুড়ে দেয়?

৬। বৈদেশিক সাহায্যের প্রশ্নে শেখ সাহেব বললেন, পাকিস্তান এই মুহর্তে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ভয়াবহ সংকটে আছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভকার্যত শূন্য। এটা অবশ্য বাংলাদেশের জন্য শাপেবর হয়েছে। কারণ তার দলকে বশে আনার জন্য আর্থিক সঙ্গতি পশ্চিম পাকিস্তানের নাই। তিনি আরো বললেন, ‘পশ্চিম পাকিস্তান জাপানের কাছে একটা বড় ধরনের সাহায্য চাচ্ছে, সেটা যদি তারা পেয়ে যায় তবে তারা আমাদের অবস্থা খারাপ করে দেবে। সেই মুহর্তে তিনি স্পষ্টতই আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, আমেরিকা এবং কনসোর্টিয়াম কি বাংলাদেশের পুনর্গঠনে সাহায্য করবে? আমি তাকে বললাম, একজন রাজনৈতিক নেতা হিসেবে তিনি নিশ্চয়ই জানেন আমেরিকা এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য আগ্রহী। তবে আমাদের এবং কনসোর্টিয়ামের আর্থিক সাহায্যের বিষয়ে দুটো সীমাবদ্ধতা আছে :

১. আর্থিক সাহায্যের জন্যে যে ফান্ড এখন আছে, তা আগের তুলনায় সীমিত। মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধ

২. আর্থিক সাহায্যের প্রজেক্টগুলো সতর্কতার সঙ্গে তৈরি করা হয় এবং মনিটর করা হয়। বিশেষ জোর দেয়া হয় সাহায্যগ্রহীতা দেশের জনশক্তি ও সরকারি কর্মকর্তাদের ফান্ডের ব্যবহারের বিষয়ে দক্ষতা জ্ঞান এবং প্রকল্পের প্রশাসনিক দিক সামলানোর ক্ষমতার ওপরে। আমি বর্তমানে পূর্বপাকিস্তানে গ্রামীণ উন্নয়নের জন্য ফান্ডের অপ্রতুল ব্যবহার এবং দক্ষ জনশক্তির অভাবের বিষয়ে আমার উদ্বেগের কথা তাঁকে জানালাম।

৭। এরপরে শেখ মুজিব দীর্ঘ সময় নিয়ে জানালেন, কেন পূর্বপাকিস্তান একটা টেকসই অঞ্চল হিসেবে দাঁড়াতে পারে। তিনি গ্যাসের বিশাল রিজার্ভের কথা জানালেন, যা শুধু একটা পেট্রে-কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রির জন্য স্থানীয়ভাবেই ব্যবহার করা যাবে তাই নয় বরং ভারতেও রপ্তানি করা যাবে। তিনি বললেন, তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ দুই বছরের মধ্যে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণহয়ে যাবে। বোরো ধান চাষাবাদ হবে তার প্রধান আগ্রহের বিষয়। আমি যখন পূর্বপাকিস্তানের অবিশ্বাস্য জন্মহারের কথা মনে করিয়ে দিলাম, তখন তিনি বললেন, জন্মনিয়ন্ত্রণ তার প্রধান লক্ষ্য হবে। আজকে যেভাবে পরিবার ছোট করার জন্যে চাপ দিতে হচ্ছে, সেটা না করেই তিনি মানুষকে পরিবার ছোট রাখার ক্ষেত্রে উদ্বুদ্ধ করতে পারবেন।

৮। খুব সিরিয়াস মুডে শেখ মুজিব বললেন, যদিও তিনি বলতে চাচ্ছিলেন না, তবুও তার বলা উচিত, আমেরিকার একটা বদনাম আছে- সে মতের অমিল হলেই তার বন্ধুকে ত্যাগ করে। তিনি মনে করেন, এই অঞ্চল নিয়ে মতের অমিল হবেই, তখন আমেরিকা সত্যিকারের পরীক্ষায় পড়বে। আমি শেখ মুজিবকে বললাম, আমি মনে করি তাঁর বক্তব্যটা খুবই যুক্তিযুক্ত, তবে আমেরিকা তার বন্ধুদের সাহায্যের জন্য কারন ভূমিকা নেয় সে বিষয়ে আরেকদিন আলাপ করব। আমি আরো যুক্ত করলাম, আমরা এই বিশ্বাস থেকেই পাকিস্তানকে সাড়ে চার বিলিয়ন ডলারের কিছু বেশি দিয়ে সাহায্য করেছি। শেখ সাহেবের কৌশলী উত্তর ছিল, আমাকে যদি আমেরিকা এক বিলিয়ন ডলার দিত, আমি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ আর গণতন্ত্রের শক্ত দেয়াল তৈরি করতাম।

৯। এইসব আলাপের পিছনে শেখ সাহেব যা প্রশ্ন করতে চেয়েছিলেন তা হচ্ছে, পাকিস্তানের প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নীতি কী? সর্বোচ্চ সতর্কতার সঙ্গে আমি আমেরিকান নীতি যা স্টেট ৩৫৫৩৪-এ উদ্ধৃত আছে, তা ব্যাখ্যা করলাম। এবং আমি এমনভাবে পাকিস্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে আমাদের উদ্বেগের কথা তুললামনা যেন কখনো অবস্থাতেই মনে না হয়, বাঙালিদের আশা-আকাঙ্ক্ষার পক্ষে আমেরিকার অবস্থান পরিবর্তনীয় নয়। আমি যদিও এটা বলতে ভুললাম না যে, বৈদেশিক সাহায্য প্রাচুর্যে পরিপূর্ণ ভাণ্ডার নয়, যা থেকে অসীম আর্থিক সাহায্য পৃথিবীর সব সমস্যার সমাধানের জন্য বেরিয়ে আসবে। এরপরে শেখ সাহেব প্রশ্নের আকারে না বলে বললেন, বাংলাদেশের সকল বন্ধুদের উচিত তাদের সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে ওদের নিরস্ত করা, যারা অস্ত্রের শক্তি ব্যবহার করে ‘আমার দেশের জনগণকে ঔপনিবেশিক শৃঙ্খলে আবদ্ধ রাখতে চায়।’ তিনি বললেন, তিনি দীর্ঘসময় ধরে বিশ্ব রাজনীতির ছাত্র হিসেবে এটা জানেন, আমেরিকা এবং অন্যান্য সাহায্যদাতা দেশগুলোর পশ্চিম পাকিস্তানকে এই ধরনের চাপ দেয়ার ক্ষমতা আছে, যদি তারা সেটা চায়। যেহেতু কখনো প্রশ্ন করা হয়নি তাই তার উত্তর দেয়া থেকে আমি বিরত থাকলাম। তবে এই কথার একটা উত্তর দেয়ার প্রয়োজন হতে পারে, আমরা যে সময়ের কথা চিন্তা করি তার আগেই। তাই এ নিয়ে সিরিয়াসভাবে ভাবা দরকার। আমি ধারণা করেছিলাম শেখ সাহেব স্বীকৃতির প্রসঙ্গটা তুলবেন, যেহেতু তিনি এই বিষয়ে আগ্রহ দেখিয়েছেন বলে আমার মনে হয়েছিল, যা আমি রিপোর্টে উল্লেখ করেছি, কিন্তু তিনি তা করেননি। আমি আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে তাঁর সঙ্গে আবার কথা বলব, এই আশাবাদ ব্যক্ত করলাম। যেহেতু এখন পর্যন্ত অনেক বিষয়ই অপরিষ্কার আছে, যা সামনের দিনগুলোতে পরিষ্কার হবে। মুজিব বললেন, তিনি আজকের মিটিংটার জন্য আগ্রহের সঙ্গে অপেক্ষা করেছিলেন এবং যেকোনো সময়ে পরবর্তী মিটিং- এ বসতে পারলে খুশি হবেন। এছাড়াও তিনি শুধু আমার সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত বন্ধুত্বের কথাই নিশ্চিত করলেন না, তিনি বাংলাদেশ ও আমেরিকার জনগণের বন্ধুত্বের কথাও নিশ্চিত করলেন। এই আলোচনাটা এক ঘণ্টার কিছু বেশি সময় ধরে আন্তরিকতাপূর্ণপরিবেশে চলে এবং শেখ মুজিব সমর্থকদের মধ্যে দিয়ে গাড়ি পর্যন্ত পৌঁছে দেন। মুক্তিযুদ্ধ , মুক্তিযুদ্ধ ,মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধ

সূত্র :

National Archives, RG 59, Central Files 1970-73, POL PAK-US. Confidential; Priority; Limdis. Repeated to Islamabad, Karachi, and Lahore.

 

‘৯০-এর ছাত্র-গণঅভ্যুত্থানের মাঠ থেকে উঠে আসা যে কয়জন রাজনৈতিক কর্মী সমসাময়িক বাংলাদেশে আলােচিত লেখক হয়েছেন, পিনাকী ভট্টাচার্য তাঁদের মধ্যে অন্যতম। সােভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর থেকে দিশা খুঁজে ফেরা পিনাকীর রয়েছে বিচিত্র সব রাজনৈতিক চিন্তা নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষার অভিজ্ঞতা। লেখালেখির বিষয় বহুবর্ণ ও বিচিত্র। দর্শন, ইতিহাস আর রাজনীতি পিনাকীর লেখালেখির প্রিয় বিষয়। সফল কর্পোরেট চিফ এক্সিকিউটিভ থেকে এখন লেখালেখি ছাড়াও নিজের ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের কাজে সময় দেন। একাদেমিয়া নামের একটি নিয়মিত পাঠচক্রের সভাপতি। বাংলাদেশের ফেইসবুকের লেখালেখির জগতে পিনাকী ভট্টাচার্য ইতিমধ্যেই নিজের অবস্থান তৈরি করে নিয়েছেন। প্রশ্ন তুলতে ভালােবাসেন তিনি। নানা বিষয়ে বিস্ফোরক প্রশ্ন তুলে অনেক প্রচলিত বয়ানকে নড়বড়ে করে দেয়ার মতাে বিস্ময়কর দক্ষতা আছে পিনাকীর।

Leave a Reply