You are currently viewing তরুণ কবি জবা ইয়াসমিনের অসাধারণ ৩টি মানুষ কবিতা
তরুণ কবি জবা ইয়াসমিনের অসাধারণ ৩টি মানুষ কবিতা

তরুণ কবি জবা ইয়াসমিনের অসাধারণ ৩টি মানুষ কবিতা

জবা ইয়াসমিনের শ্রেষ্ঠ তিনটি কবিতা

সময়ের তরুণ লেখিকা জবা ইয়াসমিন। তার কবিতাগুলোতে রয়েছে দ্রোহের স্বর, জীবনের উচ্চ ভাবনার মিশ্রণ। তার কবিতা পাঠে পাঠককে এক অন্য ভাবনার জগতে নিয়ে যাবে। যেখানে পাঠক খুঁজে পাবে এক অন্য স্বাধ, অন্য গন্ধ।

নির্ভীক কাফেলা

জবা ইয়াসমিন

মৃত্যুর আত্নাহুতি দিয়ে,

চলো খুঁজে আনি শ্বাশত মুক্তির পথ।

নির্ভীক কাফেলার গন্তব্যস্থলে

মুক্তির চিহ্নতো আমরা আঁকবোই।

ভয় কিসে বলো?

তাগুতের ছিটানো প্রস্তরকে সাজিয়ে নিই চলো

আমাদের পথের অরণী করে।

আততায়ীর সাথে নয়তো আপোষ,

আতান্তরের জয়কে ডেকেই ক্ষ্যান্ত হবো তবে।

কামাল্য ধ্বংসকে রুখতে তাই

জানিয়ে দাও,মৃত্যুরও কফিন আছে।

আমাদের হাতেই মৃত্যুর দাফন সেরে

তাগুতের সমাধিস্থলে নির্মিত হোক জয়োস্তম্ভ!

স্রষ্টার রচিত সংবিধানেই আনবে

শ্বাশত মুক্তির মনোরম বার্তা।

আমরাই অবিনশ্বর অন্তিম বিজয় আনিতোকারী,

নিন্দিত-নন্দিত নির্ভীক সব কাফেলা।

আরও পড়তে পারেন– কবি আজিজ হাকিম এর একটি বিখ্যাত কবিতা ‘’নাসেখ মানসুখ’’

অন্য মোহিনী

জবা ইয়াসমিন

পায়েতে পাশুলি,রঞ্জনী,আলতা পরে-
রাঙাবো পথ তুমি ভেবোনা।
নূপুরের রিমিঝিমি ছন্দে ফিরবে তোমার
ঘোর লাগা নেশার স্মৃতি; অকাম্য!
নীরন্ধ্র আঁধারের কোঁটর হাতড়ে
চাঁদমুখের সন্ধান; নিছক বোকামী।
আমার বিষাক্ত নীলাভ চোখে-
বিষাদের নীল খোঁজা;তোমার বাতুলতা।
পাশুলি নয়,বিস্তৃত কন্টকে সাজাই পা! রঞ্জনী,আলতার ছেলেখেলা ভুলে-
আমি পায়ে মাখি খুনরাঙা রক্ত আলতা।
ছোপ ছোপ রক্তে পদচিহ্ন আঁকি।
নূপুর পরিনা,বাজাই জীহাদের দামামা।
রুপের আলো নয়,হোক নূরীময়-
নষ্ট-ভ্রষ্ট অশুভ আঁধারের ঝোপঝাড়।
চোখে নয় মায়া,কিবা প্রেমের ছায়া,
বহ্নিশিখায় প্রজ্জলিত রক্তক্ষয়ী লোচনদ্বয়-
জাগে শুধু ঘুমের ক্ষুধায়,জয়ের নেশায়।

পরাধীনতার বেড়ি খুলে তাই নিভৃত পথে,
শুষ্কপল্লবের মর্মর ধ্বণির উৎসাহী গানে-
রাখবো রক্ত রাঙা পায়ের ছাপ!
নেপথ্যের অনুসরণে তুমি এসো হে যুবক!
অংশ নিতে একটি মুমুক্ষের বার্তায়….!!!

আরও পড়তে পারেন– সাহিত্য-কবিতা-গল্প-মুক্ত চিন্তা-ইসলামী গান-শিক্ষা -আইন আদালত

নিরন্তর অভিলাষ

জবা ইয়াসমিন

তুমি হে প্রেমময়!

জাগিয়ো প্রেম তাই মম হৃদয়ে!

তব অনুরাগ শূন্য বাঁচার অভিপ্রায়-

নিঃশেষ হোক চিরতরে।

বানায়ো আমারে শ্রেষ্ঠ পূজারিনী!

তব প্রেমপূজায় দিবারাতি,

লুটায়ে পড়ি যেন সালাতের শিয়রে!

বিশ্বভবে যা কিছু সকলি

তুমিহীনা,আমি অনস্তিত্বের সাগরে ডুবি!

খুঁজে পাইনা কোন তল।

আলো আঁধারের নিষ্প্রভ খেলায়,

তব স্বীয় আলো তুমি জ্বেলে দিয়ো।

আলোকিত!

আমি আলোকিত,পাগল প্রেমিকা

হয়ে তব পানে ছুটে যেদিন তোমাকে পাই,

সে ক্ষণেই লিখে রেখো_

আমার অন্তিম মহাপ্রয়াণ।

নিজ ইশারায় দিয়ো সে অমিয় সুধা,

আমি এক নিঃশ্বাসে সবটুকু পান করে

মৃত্যু পিয়াস মিটিয়ে ফিরবো!

তোমার সংস্পর্শে,আমার প্রেম হোক ধন্য।

আমায় সে সময় দিয়ো,

যে অনুভবে আমি তোমার প্রেমে পাগল-

প্রিয়ারুপে পরিপূর্ণ হবো।

নিয়ে নিয়ো ওগো,

তখন আমায় তোমার করে নিয়ো!

আরও পড়তে পারেন–

জিনের বাদশা-কাজী নজরুল ইসলাম এর চমৎকার গল্প

রাজবন্দীর চিঠি – রাজবন্দীর জবানবন্দী – কাজী নজরুল ইসলাম

 

Leave a Reply