You are currently viewing মাকে নিয়ে কবিতা । মাকে নিয়ে ১৩টি কবিতা । ’’মা ‘’
মা

মাকে নিয়ে কবিতা । মাকে নিয়ে ১৩টি কবিতা । ’’মা ‘’

মাকে নিয়ে কবিতা

লেখালেখিতে যাদের কোন অভিজ্ঞতা নাই এমন নবীন যারা কেবল লিখতে শুরু করেছে তাদের ১৩জনের ১৩টি মায়ের কবিতা। ভুলগুলো ক্ষমাদৃষ্টিতে দেখবেন। মাকে নিয়ে কবিতা

পায়ে দিস মা ঠাঁই – এমআর রকি

 

কাঁদিসনে মা আমায় ভেবে

ভালোই আছি আমি,

তুই কাঁদলে নারাজ হবে

ভব ঘরের স্বামী।

আমায় মা তোর পায়ের তলে

দিসগো খানেক ঠাঁই,

সোনা দানা মুক্তা-হিরা

কিছুই না আর চাই।

কেবা আমায় আপন ভাবে

কেবা ভাবে পর,

তুচ্ছ সবই তোর পায়ে মা

তুই মোর কাবাঘর।

দেশ বিদেশের বৈরী জীবন,

দুর্গম পথগামী,

তোর দোয়ায় মা সকল বাঁধা

ডিঙিয়ে যাব আমি।

ভুল করে মা কভু যদি

দেইগো তোরে জ্বালা,

দোহাই মাগো দিসনে বকা

মুখটা করে কালা।

সকল মন্ত্র হার মানায় মা

তোর মুখের ঐ বাণী,

তুই কাঁদলেই কাঁদে গো মা

ভব ঘরের স্বামী।

হ্মমা চাই মা কাঁদিসনে আর

দুঃখ মনে করে,

আমার দেয়া বিন্দু ব্যথা

দিসনে খোদার তরে।

তুই ছাড়া মা ত্রিভুবনে

আর কিছুই মোর নাই,

আমায় মা তোর পায়ের তলে

দিসগো খানেক ঠাঁই।

আরও পড়ুন– মা কবিতা । কাজী নজরুল ইসলাম এর বিখ্যাত মায়ের কবিতা

অভিলাষী মা – নূরুদ্দীন আহমাদ

 

ঐযে দেখ আকাশ তলে

বাবলা তালার গাঁ!

সেইসে গায়ে বসত করে

পল্লী বালার মা।

পরনেযে তার নেই কোন যশ

মনটা সুধু ফাঁকা!

দুখের তালে ভাসছে স্মৃতি

জীবন আঁকাবাকা।

গর্ভে যেথা আসলো শিশু

সুখের ছোয়া মাখা!

হৃদয় ভরে ডাকতো মায়ে

কইরে সোনা খোকা?

স্বপন আকে গগন ছোয়া

দিচ্ছে সাগর পাড়ি!

রতন হিরা ভরবে এসে

পুরান খড়ের বাড়ী।

মাসের শেষে আচল খসে

পয়সা ক’খান আনি!

খোকার হাতে দিচ্ছে গুজে

প্রীতির প্রণয় বুনি।

আজকে খোকা গুচ্ছ ধনে,

তুচ্ছ মায়ের বাণী!

বর্ষা দিনে ভিজছে যে মা

ঘরের চালের পানি।

খড়ের সে যে উদোম ঘরে

মায়ের বসত জানি!

তবুও মনে নেই কোন রেষ

বাজান আমার ধনী,,,

হায়রে খোকা ভীষন বোকা

ভুল্লে মায়ের কথা!!

নরক পদে চুমছো তুমি

স্বর্গ করে বৃথা!!!!

 

খোকার চিঠি – তাসলিমা জেরিন রিয়া 

মাকে নিয়ে কবিতা

মা—– মাকে নিয়ে কবিতা 

কেন ডাকো আমায়?

কী আছে তোমার?

ফাকা ফাকা দু একটা ঘর,

আর ভাঙ্গা ভাঙ্গা দু একটা বাড়ি,

ধূলোয় মলিন ঝন ঝন নাড়ার সারি

অসীম শূন্য বিলে রৌদ্র হাহাকার

এই তো তুমি!

তুমি কি চা বানাতে পারো?

ঘন চা ভদ্র নাস্তা?

ঘুম থেকে উঠে কি দিবে আমায়?

সেই পান্তা ভাত, পোড়া মরিচ, আর লবনের দানি?

গোশালের গন্ধন তোমার হাতে,

সারাদিন জাল বুনো।

বারান্দায় বা গাছতলায় বসে ক্ষেতে গরু তাড়াও

মাঝে মাঝে পান খাও দু এক্টা চুরুট।

এই তো তুমি!

বল কেনো তুমি আমায় দাকো?

কী আছে তোমার?

আমি তোমার শহরের ছেলে

তোমার ভদ্র সুসন্তান

খামাখা আমায় জ্বালাতন কর তুমি।

স্ত্রি নিয়ে এক ভদ্র সংসার পেতেছি আমি শহরে

ফ্যানের মিষ্টি হাওয়ায় রাত কাটে

আমার গগঞ্চুম্বি অট্টালকায় সন্ধ্যা তারারা চুমু খেতে আসে।

কী দর্কার তোমার অতীত জির্ণ?

তোমার কর্দমাক্ত ভাঙ্গা পথগুলো?

কি লাভ ভেবে? কৈশরের সান্ধ্য তলার অভিসায়ে?

শহরের বুদ্ধিজীবিদের সাথে আমার সমাধি কী তুমি চাওনা?

তাহলে কেন?কেন?

তুমি অসীম বিস্তির্ণ বিলে

যেখানে ঝাকে ঝাকে ছাগল চড়ে,গরু মহিষের পাল,

খালের পাড়ে দাড়িয়ে

তুমি আমায় আর ডেকোনা।

——- অতঃ পর একটি দীর্ঘ শ্বাস।

মা জননী – আলানূর হোসাঈন

 

আজ কবিতার বসবে আসর, আলোচিত হবে মায়ের দান ।

এই আসরের মধ্যমনি, হৃদয়ের মেহমান।

হৃদয় মাকে দিচ্ছে সালাম আপন অন্তরালে।

নামটি মায়ের মধ্যমনি থাকবে সর্বকালে।

কালে কালে স্বরণীতে, রাখবে লিখে তুমি।

মায়ের ভালোবাসার কথা, বুঝবে কত দামি।

মায়ের কাছে এই হৃদয়টা, হয়েছে কত দেনা।

ভালোবাসা তার জীবন দিয়ে, যায়না কভু কেনা।

মায়ের ভালোবাসা মোদের, চারদিনের সাথী।

সুখে দুঃখে তার মমতায়, ফুলের মালা গাঁথি।

মা জননী এই আসরে, আজকে তোমায় চাই।

তুমি বিনে এই আসরের, নাইরে মূল্য নাই।

আজ দেখে যাও তোমায় নিয়ে, লিখছে সবাই বাণী।

তুমি মাগো মহামহীম, দোয়া কর তুমি।

মাগো তোমায় দুই নয়নে, দেখিনা কত দিন।

তুমি বিনে এই হৃদয়ে, বাজে না সুখের বীণ।

কত আদর সোহাগ দিয়ে, মুখে খাবার দিতে।

একটু আঘাত পেলে মাগো, বুকে টেনে নিতে।

কত গল্প শুনাতে মা, ঘুম পড়ানি গান।

তোমার ভালোবাসা সেতো, প্রভুর মহাদান।

এই জগতে প্রভুর পরে, তোমায় শুধু বুঝি।

তাইতো মাগো সারা জীবন, তোমায় শুধু খুঁজি।

মাগো তোমার মুখে কেন, এত মধু মাখা।

হৃদয় তোমার মহা সাগর, যায়না কভু লেখা।

কি পেয়েছ মাগো তুমি, এত কষ্ট করে।

তোমায় শুধু দুঃখ দিলাম, সারা জীবন ভরে।

তোমার হৃদয় কেন মাগো, এত দয়াময়।

জানতে বড় ইচ্ছা করে, হয়না কেন ক্ষয়।

আমায় ভালো রাখতে মাগো , রাত জেগেছ কত।

কীসের টানে সুখ দিয়েছ, কষ্ট করে শত।

প্রশবেরই বেদনায় মা, মৃত্যু প্রায় তখন।

মৃত্যু কষ্ট ভুলে গেলে, দেখলে আমায় যখন।

বুকে টেনে নিলে মাগো, একটু দিলে হাসি।

ঐ হাসিটাই বিশ্বসেরা, জানে জগতবাসী ।

কোলে কোলে রাখতে আমায়, করাতে দুগ্ধ পান।

তোমার দুগ্ধে সর্ব ঔষধ, দিলেন মেহেরবান।

বলতে তুমি চাঁদ মামাকে, টিপ দিয়ে যা।

রাগ করোনা রাগ করোনা, আমার লক্ষী সোনা।

এখনও মা আমায় ভেবে, দিন করেছ ক্ষয়।

আমার কষ্টে তোমার হৃদয়, কাঁপছে সর্বময়।

পাঁচ ওয়ক্ত নামাজ পড়ে, করছ দোয়া তুমি।

যেন সদা খোদার পথে, চলতে পারি আমি।

আমায় নিয়ে স্বপ্ন দেখ, অনেক বড় হব।

জ্ঞন গরিমায় দ্বীনের পথে, অটুট আমি রব।

হাসলে আমার বদনখানি, হাসে তোমার মন।

তোমার হৃদয় আমার জন্য, ভাবে সর্বক্ষণ।

তোমার ভালোবাসার মাগো, নাই যে তুলনা।

স্বর্গ তোমার পদতলে, আমার ঠিকানা।

তাইতো রাসূল তোমার কথা, বলেন বারংবার।

প্রিয় রাসূল এতিম ছিলেন, মা ছিল না তার।

কত সন্তান তোমাকে মা, বৃদ্ধাশ্রমে পাঠায়।

সুখের নেশায় তারা মাগো, কোরমা পোলাও খায়।

তবুও তো মা অভিশাপ, একটু দাওনি তুমি।

প্রভুর কাছে করছ দোয়া, তুমি দিবা যামী।

এখনও মা করছে দোয়া, নামাজে কেঁদে কেঁদে।

ঈদের দিন চেয়ে থাক, শিরনি পোলাও রেধে।

মা যে আমার পর্দানীশী, নিত্য কুরআন পড়েন।

তাহার কাছে প্রতিবেশী, এলেম শিক্ষা করেন।

মা হল মোর এই জগতে, প্রথম পাঠশালা।

যার কাছে পাই ধর্ম শিক্ষা, গলে দ্বীনের মালা।

হে পরোয়ার সুস্থ রেখ, আমার মাকে তুমি।

তোমার কাছে এই ফরিয়াদ, করতেছি আজ আমি।

অনেক তুফান ঝড় বহিছে, মায়ের জীবন দিয়ে।

আজ ক্লান্ত মা জননী, শুধুই ধৈর্য্য নিয়ে।

এই জগতে মা নেই যাহার, বড়ই দুঃখ তার।

পায় না যে তার আদর সোহাগ, জীবন অন্ধকার।

এখন কিছু মায়ের জাতির, বড়ই করুন দশা।

পায়না সম্মান নিজেকে সে , করল পণ্য পেশা।

শয়তানেরই রশি হয়ে, দেখায় রূপের খেলা।

মানুষ রূপে শয়তান আবার, বসায় নারীর মেলা।

বড়ই কষ্ট পাই যে মাগো, বড়ই কষ্ট পাই।

এই জগতে নরীর সম্মান, হইল দেখি ছাই।

কিন্তু দেখ কত যে মা, হিজাব পড়ে চলে।

তাদের সবাই ভালোবাসে, আল্লাহ ভীরু বলে।

আবার দেখ কত নারী, নীতির লড়াই করে।

খোদার দোয়া নীতি ছেড়ে, শয়তান লইয়া মরে।

আজ হুশিয়ার হওযে নারী, তোমরা মায়ের জাতি।

সবার উপর তোমার সম্মান। ছাড়ো ভ্রান্ত নীতি।

নারী নীতির নামে তোমরা, আর কেট না ধান।

অর্ধালঙ্গ হাট বাজারে, তোমাদের অপমান।

এই হৃদয়ে কষ্ট চেপে, দোয়া করি আজ।

সরল পথে তোমাদের যেন, চালান প্রভু রাজ।

আজ কবিতায় এই আসরে, তোমার কথায়ই বলে।

কেউ বা আবার মা হারিয়ে, ভাসায় নয়ন জলে।

আজকে মাগো দোয়া চাহে, এই আসরে যারা।

তোমার দোয়াহীনে মাগো, আমরা সর্বহারা।

কবিতার আসর কবুল কর, হে রহমান তুমি।

আজ অনুষ্ঠান মার চরণে, শপে দিলাম আমি।।

[খুব সংক্ষিপ্ত সময়ের লেখা ।

ভুলগুলো ক্ষমার দৃষ্ঠিতে দেখবেন ]

 

তোমায় ঘিরে- সুমাইয়া আফরোজ

 

মা-গো বিদ্যা আহরণে আমি হয়েছি প্রবাসী।

দোয়া কর যেন আমি সফল হতে পারি।

অনেক স্বপ্ন আমি গেঁথেছি এ বুকে,

জনম দুঃখী মা তোমারে আমি রাখব চিরসুখে।

যখন আমি ক্যাম্পাসে যাই হেঁটে রাস্তার পাশে,

চোখের সামনে তখন আমার তোমার ছবিই ভাসে।

নিষ্ঠুর এ শহরের বুকে কত ঐশ্বর্য রাশি-রাশি।

খুঁজে পাই না হেথায় তোমার ভূবন ভুলানো হাসি।

যখন আমি খেতে বসি একলা ঘরের মাঝে,

ভাবি তখন কত সোহাগে দিতে খাবার তুলে পাতে!

মনকে তখন বুঝায় আমি একটা কথা দিয়ে,

তোমার দোয়া সব সময়ে আমার সাথে আছে।

থাকি আমি যতই দুরে হোক সে শহরের এক কোণে,

অষ্ট প্রহরে তোমার আসন আমার হৃদয় অরণ্যে।

তোমার খুশি মোর জীবনের সব চেয়ে বড় ধন,

যার তরে মা রাখতে পারি এ জীবন।

উৎসর্গ:আমার মত মায়ের ‘প্রত্যক্ষ আদর’বঞ্চিত দের।

তোমার খুঁজে- মাহমুদুল আলম

 

চাঁদনী রাতে অন্ধঘরে

মাগো তোমায় মনে পড়ে

কোথায় তুমি হারিয়ে গেলে

এই পৃথিবীরর মায়া ছেড়ে?

খুজি তোমায় আকাশ পানে,

চন্দ্র সূর্য তারার মাঝে,

বসে না যে মন আমার,

এই পৃথিবীর কোন কাজে।

 

মাকে নিয়ে কবিতা । মাকে নিয়ে ১৩টি কবিতা । ’’মা ‘’
কবিতা

‘মা তুমি’ – তুষার শুভ্র

 

মা তুমি প্রাণ আমার হৃদের ভালবাসা,/

মা তুমি শুন্য হিয়ায় ক্লেশজয়ী আশা।/

মা তুমি ভূবন মাঝে সাত রাজার ধন?/

হিরে-মুক্তো-মানিক? না গো, তুমি অতুল আপন।/

মা তুমি শূচিতা ধরায় শূচি রসালের মুকুল?/

কুসুম-সুবাস? মৃগণাভী? মাগো, তুমিই তোমার তুল।/

মা তুমি তৃষিত হিয়ায় ‘মা’ নিনাদের সুখ,/

মা তুমিহীন প্রশান্তিহীন এ দ্যোলোক-ভ্যোলোক।/

মা তুমি কাছে টানলে ঘুছে ক্লেদ-ক্লান্তি,/

ক্রোড়ে তব একি শান্তি! আহ্!…প্রশান্তি!/

মা তোমার বদনখানি মমতার পয়োধি,/

স্নেহ, মাঁয়া, করুণার ধারা বহে যে নিরবধি।/

মা তোমার আঁচলতলে স্বর্গলোকের সুখ,/

পরশে তোমার সহসা টুঠে সিন্ধু সম দুঃখ।/

মা তোমাতে পাইনু কিরুপ ভালবাসার স্বাদ,/

‘খোকা’ ডাক শুনে মর্মে উতলে আনন্দ-আহ্লাদ।/

মা তোমার বদন হেরি হেরিনু নীলিমা,/

তব জ্যোতি মাঝে ম্লান হয়েছে সুরুয-চন্দ্রিমা।/

মা তোমার পাদুকা ধূলি মুকূট সম শিরে,/

তব চরণতলে জান্নাত মাগো, শুনিয়াছি ঈশ্বরে।/

মা আমার জীবন, আমার মা আশার আলো,/

হৃদে আশা, সারা জনম তব আশিশ ঢালো।

 

শুক তারা “মা” – মোঃ ওমর ফারুক

 

আজ তুমি ক্ষুদ্র স্বার্থে

ভাঙছ মায়ের মন,

ভেবে দেখ তিনিই তোমার

সবচেয়ে আপন জন

আজ তুমি সুখের বশে

করছ যারে পর,

ভেবে দেখ তিনি ছাড়া

জীবন বালুচর

আজ তুমি মুখ ভরে যারে

দিচ্ছ আচ্ছা করে গাল,

ভেবে দেখ তিনি ছাড়া কেমন হতো

তোমার ছোট্টবেলার হাল

আজ তোমার ঘরের বাইরে

কাটায় যিনি রাত,

একদিন তুমিই তারে মা মা বলে

মিটাতে মনের স্বাদ

আজ তোমার আচরণে যার

ঝরছে অশ্রুধারা

সেই মা-ই তোমার

আঁধার ঘরের জ্বলজ্বল শুকতারা

 

মাকে মনেপরে – শামীম মহামুদ রেজা

 

মাগো তুমি আছো কি গো সুখে‚

দূর দেশে আছি মাগো;

ছবি নিয়ে বুকে।

রাত কতো কেটে যায়

ভোর হয় কতো‚

মা ডাক নেই মুখে

বুকে বাড়ে ক্ষত।

মাগো তুমি ডেকে দিতে

উঠে রোজ ফজরে‚

আজও কতো ভোর আসে

নেই তুমি নজরে।

একলা ঘরে রেখে তোমায়

ঘুরছি ভব হাটে‚

কোন্ হালেতে আছো মাগো‚

ভেবেই বুকটা ফাঁটে।

পাঁচ ওয়াক্ত নামাজে মা

বলি দুহাত তুলে।

দুখিনীরে দেইখো খোদা‚

কান্দাইয়োনা ভুলে।

কেমনে এ rin শোধ হবে মা

কি করি তোর লাগি।

গায়ের চামড়া খুলে দিলেও

রয় যে অনেক বাকি।

মাগো তোমার দোয়ার বলে

দিন কাটছে সুখের হালে।

দোয়া তোমায় করছি মাগো

অনন্তকাল সুখে থাকো।

মাবুদ তারে হায়াত দিও

বাঁচিয়ে রাখো ভবে‚

সুখের আকুল পরশ দিয়া

মরণ দিয়ো তবে।

মাকে নিয়ে কবিতা । মাকে নিয়ে ১৩টি কবিতা । ’’মা ‘’
মা

   মা- আব্দুর রহিম

 

মা তুমি আমার প্ থিবী

তুমি আমর সব/

তোমায় ছাড়া এ দুনিয়ায়

বাঁচা কি সম্ভব?

তুমি আমার মুখের হাসি

তুমি চোখের জল/

তোমায় ছাড়া একলা আমি

থাকব ক্যামনে বল?

তোমার সাথে হয়না তুলনা

এ ধরণীর কিছুই/

তোমায় ছাড়া আধার লাগে

রঙিন এ সবই/

অন্ধকারের আলো তুমি

আঁধার রাতের জোৎসনা/

তোমার বিহনে একপলও মা

থাকতে যে পারিনা/

তোমার মুখের হাসি গো মা

সবার চাইতেও দামি/

তোমার চোখে জল কেমনে

সইব বল আমি/

 

আমার মা

দুর্ধর কষ্ট সয়ে গর্ভে ধারণ করলে আমায়

মৃত্যুসম যন্ত্রণা সয়ে আনলে এ ধরায়।

ধরায় এসে ছিলাম আমি বড়ই অসহায়

কেউ ছিলনা আপন মাগো আমার দুর্দশায়।

মুখটি দেখে আমায় রেখে সবাই গেছে চলে

তুমিই মাগো ঠাই দিয়েছ মায়ার আচল তলে।

তোমার আচল ছায়া পেয়ে হেসেছিলাম আমি

তোমার বুকে হেসেখেলে কাটতো দিবা-যামী।

আমার কোন বল ছিলনা কোমল কিশলয়

খুব যতনে পালন করলে হতে দাওনি ক্ষয়।

এইভাবে মা আমায় তুমি করলে চির ঋণী

সেই ঋণ কভু শোধ হবার নয় আল-হাদিসের বাণী।

প্রভুর কাছে দোয়া করি ‘রাব্বিরহাম হুমা ‘

পরকালে বেহেশত যেন পায় আমার মা।

মাকে নিয়ে কবিতা । মাকে নিয়ে ১৩টি কবিতা । ’’মা ‘’
কবিতা

মা যে আমার- হাঃওমর ফারুক

 

মা যে আমার স্বপ্ন খনি

সকল সুখের আশা,

মা যে আমার জীবন বাঁচার

বিদ্রোহী এক ভাষা?

মা নামটি মিষ্টি ভরা

নেইকো তাতে অগ্নি খড়া,

মা নামটি মধু মাখা

গরম দিনের শীতল পাখা?

মা যে আমার মনের ঘরে

ঝড়ের দিনে খুঁটি,

মা আছে তাই মহাপ্লাবণ

নিমেষেই যায় টুটি?

মার কাছে রোজ মনের কষ্ট

করতে পারি ভাগ,

দুনিয়ার সবাই রাগ করিলেও

মা করেনি রাগ?

স্বার্থের টানেই সকল বন্ধু

পাইনা কারো মন,

মা যে আমার প্রকৃত বন্ধু

খোঁজ করেনা ধন।

মা যে আমার জীবন চলার

অতি প্রয়জন সাথী,

মাকে ছাড়া যে দিক তাকাই

শুধুই গহীন রাতি।

তাইতো আমি বিধাতাকে

এই অনুরধ করি,

তার ব্যাথাতে কাঁদাও মরে

তার আগে যেন মরি।

মা হারা মেয়ের কথা- সায়েদুর রহমান

 

আঙ্গিনায় বসে আছি,

দেখছি ছোট্ট চরুই পাখি|

ডানা জাপ্টাছে, হা-করে

মায়ের দিক তাকাচ্ছে |

‘মা দিচ্ছে খাবার তুলে-

ছোট্ট সোনার মুখে’

..

..

বসন্ত এলো,বসন্ত চলে গেল,

তুইতো আর এলি না,

ঘুম পাড়ানি গান গাইলিনা||

..

তুই কি আর আসবি না !?

খাবার তুলে দিবানা ,

ছোট্ট সোনার মোখে !?

..

তুই আসিস আমার সপ্নে,

দেখিস তুর জাদুমনি,

কত বড় হয়েছে ||

..

লক্ষি মা-চুমু দিয়ে যা,

তুর চাঁদের কপালে তুই,

চুমু দিয়ে যা||

..

লক্ষি মা তুই আয়,

বৃষ্টর বেলায়,

ভিজব মোরা আঙ্গিনায় ||

“মা তুই একবার এসেই দেখনা,

তুকে আর যেতেই দেবনা”

“মা হারা মেয়ের অনুভূতি”

“আমার মা আছে,

I Love you মা”

মাকে নিয়ে কবিতা । মাকে নিয়ে ১৩টি কবিতা । ’’মা ‘’
মা

কাবা আমার

 

মায়ের জন্য লিখা কাব্য

পড়ে শুনাই মাকে,

মা বলে বাপ এমনি করে

সবাই লিখে থাকে।

কলম কাগজ বাস্তবতায়

থাকেনা বাবা মিল,

বউ পেলে পাল্টে যায়রে

বহু ছেলেরই দিল।

আমি বলি সত্যি মাগো

ভুলবোনা তোমাকে,

তোমার মাঝে মাগো আমার

হৃদয় পড়ে থাকে।

তুমি মাগো কাবা আমার

অন্তরীক্ষের তলে,

তোমার পদতলে মাগো

জান্নাত নবী (স.) বলে।

 

কে তুমি? – জাহিদ কবির

 

 

তুমি?

আমার সেরা উপহার।

তোমার কোল?

নিখিল বিশ্বে আমার নিরাপদ আশ্রয়স্থল।

তোমার স্নেহার্দ্র পরশ?

হৃদয়কোণে মোর স্বস্তি, সান্ত্বনা

আর প্রশান্তির অমিয় বার্তা।

তোমার স্বপ্ন?

পৃথিবীতে আসার আগে থেকেই

আমার সুন্দর ভবিষ্যতের জন্যে।

তোমার ভালবাসা?

নিখাদ স্বার্থহীন

শুধুই আমার পরে।

তুমি?

হৃদয়ের তন্ত্রী ছিড়ে

জীবন মরনের খেলা খেলে

আমায় উন্মুক্ত ধরনীর আলো দেখালে।

তুমি?

বুকের মধুময় পিযুশ দিয়ে

এ হীন দুর্বলকে সবল করলে।

সালাম তোমায়

হাজার সালাম

মাকে নিয়ে কবিতা , মাকে নিয়ে কবিতা, মাকে নিয়ে কবিতা, মাকে নিয়ে কবিতা, মাকে নিয়ে কবিতা, মাকে নিয়ে কবিতা ,

 

Leave a Reply