মল্লিকীয় গানের স্বতন্ত্র ধারা:
আলোচনার ১ম পর্বে সংস্কৃতি, সুস্থ সংস্কৃতি সম্পর্কে কিছু কথা বলেছিলাম। একই সাথে মল্লিকীয় ধারার বিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়েছিলাম। মূলত ধারা একটি পাওয়ার বা শক্তি, একটি উদ্ভাবন, একটি আবিষ্কার, একটি মাইল ফলক। সবার পক্ষে নতুন ধারা নির্মাণ করা সম্ভব হয় না। মতিউর রহমান মল্লিক
কবি সাহিত্যিকের অভাবতো নেই আমাদের সমাজে, কিন্তু কজনই পেরেছেন স্বাতন্ত্যের স্বাদ দিতে। বিহারীলাল, রবীন্দ্রনাথ, দ্বিজেন্দ্রলাল, নজরুল, জীবনানন্দ, ফররুখ, জসীম উদ্দীন প্রমুখ নিজস্ব স্টাইলে, জীবনবোধে, প্রকাশশৈলিতে ভিন্নতর আবহ নির্মাণে সক্ষমতার পরিচয় দিয়েছেন। প্রকৃতি, প্রেম, নারী, দেশ, মানবিকতা, অসাম্প্রদায়িক চেতনা একেক জনের লেখায় বাঙময় হয়। মতিউর রহমান মল্লিক
কবি ফররুখ আহমদ একমাত্র সচেতনভাবে আদর্শিক চেতনা বা বিশ্বাসকে সাহিত্যে সঞ্চারিত করার জন্যে বদ্ধপরিকর ছিলেন। কিন্তু সামাজিক আবহ ও প্রেক্ষাপট তার অনুকূলে মোটেও ছিলো না। তিনি কাতরে তাই আকুতি জানিয়েছেন:
রাত পোহাবার কতো দেরী পাঞ্জেরি
এখনো তোমার আসমান ভরা মেঘে
সেতারা হেলাল এখনো ওঠেনি জেগে
তুমি মাস্তুলে আমি দাঁড় টানি ভুলে
সম্মুখে অসীম কুয়াশা জাগে শূন্যতা ঘেরি
রাত পোহাবার কতো দেরী পাঞ্জেরি!
:::::
কী স্বপ্ন তিনি দেখাতে চেয়েছিলেন শব্দের বুননে বিন্যাসে!
কী পাললিক আহ্বান ছিলো তার বিশ্বাসী দীপ্ত স্নেহী বুকের পিঞ্জরে:
কতো যে আঁধার পর্দা পারায়ে ভোর হলো জানি না তা
নারঙ্গীবনে কাঁপছে সবুজ পাতা….
তবু তুমি জাগলে না
তবু তুমি জাগলে না।
কাজী নজরুল ইসলাম ইসলামী আদর্শের কথা বললেও তা ছিলো সাময়িক উন্মাদনার মতো,বিক্ষিপ্ত, সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্যহীন। তার ব্যক্তিজীবনে ইসলামী আদর্শের কোন প্রতিফলন চোখে পড়ার মতো ছিলো না। তবে তার অনেক গান কবিতায় ইসলামী বিষয় ও অনুষঙ্গ চমৎকারভাবে বিধৃত হয়েছে। আমরা তার কাছে অনেক অনেক ঋণী। তাই বলি কাজী নজরুলের আকুতি যেন আল্লাহ কবুল করেন :
মসজিদের পাশে আমার কবর দিয়ো ভাই
যেন গোরে শুয়ে আমি
মোয়াজ্জিনের আজান শুনতে পাই।
কবি কাজী নজরুল ইসলাম ও কবি ফররুখ আহমদের পর আমরা দেখলাম প্রিয় কবি গীতিকার সাংস্কৃতিক সংগঠক মতিউর রহমান মল্লিককে। একেবারেই স্বাতন্ত্র্য সুরে, কথায়,পরিবেশনায় ভিন্নতর স্রোৎ নির্মাণে বদ্ধ পরিকর গীতিপ্রাণ কবিসত্ত্বা।
কাছ থেকে যারা তাকে দেখেছেন, উপলব্ধি করেছেন; কেবল তারাই বলতে পারবেন ম.র.মল্লিক আমাদের জন্যে কতো বড় নেয়ামত ছিলেন। তার অসংখ্য গান লাখো কোটি বিশ্বাসী মানুষের ঠোঁটে ঠোঁটে লেগে আছে, হৃদয়ের পরতে পরতে প্রতিনিয়ত স্পন্দিত হচ্ছে। আমাদের হতাশায়,বেদনায়, আন্দোলন অভিযানে শ্লোগান হয়ে ফিরছে পথে প্রান্তরে।
কবি মতিউর রহমান মল্লিক ভায়ের আগ্রহে উদ্দীপনায়
পথ চলা শুরু করে ঢাকার সাইমুম, চট্টলার পাঞ্জেরি,খুলনার টাইফুন, বরিশালে হেরার রশ্মি। পরবর্তীতে যা বিস্তৃত হয়েছে সারা বাংলার গ্রামে গঞ্জে, শহরে নগরে উপকণ্ঠে….। শত সহস্র কণ্ঠে এখন উচ্চারিত হচ্ছে বিশ্বাসের গান, চেতনার সুর।
কবি মল্লিকের গানের স্বাতন্ত্র্য ধারা কেন বললাম!
কবি মতিউর রহমান মল্লিক ছিলেন অন্য আর দশজন কবি গীতিকার শিল্পী থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। যৌক্তিক কিছু কারণে তার গান এই সমাজে ভিন্ন একটি আবহ, নতুনতর একটি আবেদন নির্মাণে সক্ষমতার স্বাক্ষর রেখেছে। বিষয়টির একটু গভীরে দৃষ্টি প্রোথিত করা যাক। যেমন:
আরো পড়ুন– মল্লিকীয় গানের স্বতন্ত্র ধারা: বিপন্ন সম্ভাবনা(পর্ব-০১)
প্রথমত:
তিনি ছিলেন সচেতন শিক্ষিত গীতিকবি
কবি যখন গান লেখেন তখন গানের চেহারা ভিন্ন রকম হয়, কবির হাতে গানের শব্দেরা আসে আকাশ বেয়ে জোছনা নামার মতো। কবিদের গানে আমরা ছবির পরে ছবি দেখতে পাই কেবল। চিত্রল হরিণেরা এসে কবির গানকে ঘিরে সম্মোহিত কোরাস শুরু করে। কবি গীতিকার ম.র.মল্লিকের গানে আমরা এর বাণীরূপ দেখি অবাক বিস্ময়ের সাথে। তিনি গ্রাম্য কবি ছিলেন না, মার্জিত রুচিবোধ সম্পন্ন আধুনিক ও নাগরিক কবি ছিলেন। উদাহরণ পেতে পারি তার গান থেকে:
“এ আকাশ মেঘে ঢাকা রবে না
আলোয় আলোয় হেসে উঠবে,
এ নদী গতিহীন হবে না
সাগরের পানে শুধু ছুটবে।……..
অথবা আমরা দেখি:
এই দুর্যোগে এই দুর্ভোগে আজ
জাগতেই হবে জাগতেই হবে তোমাকে
জীবনের এই মরু বিয়াবানে
প্রাণ আনতেই হবে তোমাকে।…
কতো দূরদৃষ্টি সম্পন্ন ছিলেন কবি। তার শব্দ চয়ন, ভাবনা বর্তমান যাপিত সময়ের সাথে কতোটা প্রাসঙ্গিক ছিলো একবার ভেবে দেখুন তো!
দ্বিতীয়ত:
তার গান দার্শনিক ভাবনায় উচ্চকিত:
কবি মল্লিকের ছিলো প্রত্যাদিষ্ট জ্ঞান ও দার্শনিক মন মনন। যার প্রতিচ্ছবি নিবিড়ভাবে তার গানে কবিতায় প্রতিফলিত হতে দেখি। সহজ সস্তা বিষয়কে তিনি কখনো প্রাধান্য দেন নি। জীবনের গভীরতম উপলব্ধি ও বিশ্বাসকে তুলে ধরেছেন পরম দার্শনিক মমতায়। দেখুন তার কথা সুরে উঠে আসা গানটার দার্শনিক ক্যানভাস কতো ব্যঞ্জনাময় :
টিক টিক টিক টিক যেই ঘড়িটা
বাজে ঠিক ঠিক বাজে
কেউ জানে না সেই ঘড়িটা
লাগবে কয়দিন কাজে!
অথবা,
পৃথিবী আমার আসল ঠিকানা নয়
মরণ একদিন মুছে দেবে
সকল রঙিন পরিচয়।
:::
মিছে এই স্নেহপ্রীতি বন্ধন
মিছে মায়া ভালোবাসা ক্রন্দন
মিছে এই নাটকের মঞ্চের খেলাঘর
মিছে এই জয় আর পরাজয়।।
তৃতীয়ত:
কথায় ও কাজে মিল ছিলো তার
কবি মতিউর রহমান মল্লিক কথা ও কাজে দুই করেন নি কখনও। তিনি যা বিশ্বাস করতেন, বাস্তব জীবনে যা প্রত্যাশা করতেন- গান কিতায় সেটাই লিখতেন:
কথায় কাজে মিল দাও আমার
রাব্বুল আলামীন
আল জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ
রাখো বিরামহীন।
দেখুন মল্লিকের আকুতিটা কেমন ছিলো:
পথ পাবার পর আবার যারা ভ্রান্ত হলো হায়
তাদের মতো হে দয়াময় করো না আমায়…
এই মোনাজাত তো এখন আমাদের নিত্যদিনের নিত্য সময়েরই হওয়া অপরিহার্য।
চতুর্থত:
পেশাদারীত্ব নয়, কল্যাণের পথে আহ্বানই ছিলো মুখ্য
গান লেখা,সুর করা ও গাওয়াকে কবি মতিউর রহমান মল্লিক পেশা হিসেবে কখনও মনে করেন নি। পেশাদারীত্ব দৃষ্টিভঙ্গী নয়, নিজের দায়িত্ব ও কর্তব্যের আওতায় নিয়েছিলেন তিনি সঙ্গীত চর্চাকে। তিনি মনে করতেন: মহান রব তার যে সঙ্গীত মেধা দিয়েছেন তার হক্ব আদায় না করলে পর জনমে তাকে জবাবদিহি করতে হবে। শিল্পী গায়ক গীতিকার হবার স্বপ্ন তাকে কখনও আচ্ছন্ন করে নি। গানের মাধ্যমে নিজেকে সেলিব্রেটি করার, ব্যবসায় বাণিজ্যের সম্রাজ্য গড়ে তোলার স্বপ্ন তিনি কোনদিন দেখেন নি। তার গান দিয়ে অন্যরা ব্যবসায় বাণিজ্য করলেও তিনি ছিলেন নির্মোহ সাধক। তাই তার গানের এতো শক্তি, এতো প্রভাব বলয় তার। তার দ্বিধাহীন উচ্চারণ:
“শিল্পী গায়ক নয়তো মোদের আসল পরিচয়
আল কোরানের কর্মী মোরা বিপ্লবী নির্ভয়।”
নিজের সাধনার পথে তিনি কতোটা দীপ্ত অবিচল ছিলেন তা বোঝা যায় তার আরেক গানের কথায়:
“ চলো চলো চলো মুজাহিদ পথ যে এখনও বাকী
ভোলো ভোলো ব্যথা ভোলো
মুছে ফেলো এই আঁখি।”
এপথে মহান রবের সন্তোষ্টী ছাড়া তার অন্য কোন আরাধ্য ছিলো না। তাই তার ফরিয়াদ দেখি:
“ এই গোনাহগার প্রভু
দয়া ছাড়া কিছু চায় না,
জ্বলে পুড়ে গেলো বুক
সেরে দাও সব অসুখ
সওয়া যায় না।”
পঞ্চমত:
মতিউর রহমান মল্লিক বাদ্যবিহীন গানের স্বতন্ত্র ধারার প্রবর্তক
ইসলামী ভাবধারাপুষ্ট গান প্রাচীন যুগ, মধ্যযুগ ও আধুনিক যুগের অনেকেই লিখেছেন। কাজী নজরুল ইসলামের অসংখ্য ইসলামী বা ভক্তিমূলক গান রয়েছে। কবি ফররুখেরও কিছু গান রয়েছে। এসব গানে বাদ্য বা মিউজিক ছিলো বরাবরই।
# লালন, হাসন রাজার প্রমুখের ভক্তিমূলক গানও বাদ্য নির্ভর। মারেফতী গানেও রয়েছে বাদ্য। এদেশের মাজার ও আশ্রমকে কেন্দ্র করে যেসব ভক্তিমূলক গান পরিবেশিত হয়,সেখানেও বাদ্যের ব্যবহার দৃশ্যমান। যুগ যুগ ধরে এদেশের মসজিদ মাদ্রাসা,ওয়াজ মাহফিলকে কেন্দ্র করে ইসলামী কাহিনী বা উপাখ্যান নির্ভর কিছু গজল কেবল খালি গলায় গাওয়া হতো। যা কখনো স্বতন্ত্র ধারা হয়ে ওঠেনি।
# কবি মতিউর রহমান মল্লিকই বাদ্যবিহীন গানের স্বতন্ত্র ধারা সৃষ্টিতে সাফল্যের পরিচয় দিলেন প্রথমবারের মতো।। খালি গলায় তিনি ছড়িয়ে দিলেন সুরের মূর্ছনা বাংলাদেশের এপ্রান্ত থেকে ও প্রান্ত। দেশের সীমানা ছাড়িয়ে মধ্য প্রাচ্য, ইউরোপ আমেরিকায়। পৃথিবীর সব দিগন্তে বিশ্বাসী মানুষের হৃদয়ে হৃদয়ে।
# তার সাথে সাথে একঝাঁক নিবেদিত প্রাণ কণ্ঠ শিল্পী, সুরকার,গীতিকার বেরিয়ে এলো সবুজ শ্যামলের বুক চিরে, শেকড়ের সন্ধানে উন্মুখ, ঐতিহ্যের অবগাহনে দ্বিধাহীন নির্ভিক। শিল্পী তোফাজ্জল হোসেন খান, আসাদ বিন হাফিজ,আবুল কাশেম, সালমান আজামী,সাইফুল্লাহ মানসুর, তারেক মনোয়ার, আল মুজাহিদ, আজিজুর রহমান, মহিউদ্দীন আবু তাহের, চৌধুরী আব্দুল হালিম,চৌধুরী গোলাম মাওলা,আখতার হোসেন,শহীদুল্লাহ মাসুদ প্রমুখ।
# শতধারায় ছড়িয়ে পড়লো নতুন ভাবাদর্শের, নতুন কথার , নতুন আবেশের গান। গড়ে উঠলো ঢাকার সাইমুম, চট্টগ্রামের পাঞ্জেরি,খুলনার টাইফুন শিল্পীগোষ্টী। এই মুহূর্তে মনে পড়ে শিল্পী আমীরুল ইসলাম,মুহাম্মদ জামাল উদ্দীন, মোসতাফা মনির, আহসান হাবিব, আতাউল হক ওসমানী,রফিকুল হায়দার, জিয়াউদ্দীন আল মারুফ,শেখ বাহলুল করিম,শেখ বেলাল, ইলিয়াস হোসেন,গোলাম মাওলা, রুহুল আমিন, আব্দুর রাজ্জাক রাজু, মাহবুবুর রহমান,রেজাউল করীম, আব্দুর রহমান শাহীন,সাইফুল আরেফিন,নাসির মাহমুদ,আবুল হোসেন মাহমুদ, হাসিনুর রব মানু, মেহরাজ মিঠু,দুররুল হক বাবুল,আমিনুল ইসলাম, শাহ আলম বাদশা,মাহফুজুর রহমান আখন্দ, সায়িদ আবু বকর,আবু তাহের বেলাল,জাকির আবু জাফর, হাসনাত আব্দুল কাদের, আব্দুর রউফ,হাফেজ বেলাল হোসাইন, নাইম আল ইসলাম, লিটন হাফিজ, মাসুম জামান জুয়েল,আব্দুল্লাহিল মাসুদ, মাস্টার আরিফ, রফিকুল ইসলাম ফারুকী প্রমুখ শিল্পী,গীতিকার এবং সুরকারের কথা।
# এখানে স্মরণ করা যেতে পারে- মল্লিকীয় ধারাকে অবলম্বন করে কবি মুহিব খান,আবুল কালাম আজাদ, আইনুদ্দীন আল আযাদ এবং কলরব শিল্পীগোষ্ঠীর অন্যান্য শিল্পীরা প্রথম থেকে মিউজিকবিহীন ইসলামী গানের ধারায় সংযুক্ত হয়েছেন, যা প্রশংসার দাবী রাখে।
একই ধারাবাহিকতায় এখন পর্যন্ত যারা সক্রিয়
শিল্পী মশিউর রহমান, নওশাদ মাহফুজ, আবদুল্লাহ হিল কাফি, মাহফুজ বিল্লাহ শাহী, আব্দুর শাকুর তুহিন, আমিরুল মোমিন মানিক, মাসুদ রানা, আব্দুস সালাম,
আবুল আলা মাসুম, মারুফ আল্লাম,আব্দুল গাফফার, বিলাল হোসাইন নূরী এ.কে.এম. মনির হোসাইন, আল মিজান, ওমর ফারুক, ইকবাল হোসেন জীবন, দিদারুল ইসলাম, রবিউল ফয়সাল, শরিফুল ইসলাম, সোহাইল, তাওহীদুল ইসলাম, মিরাদুল মুনিম, কাজী রবিউল, রোকোনুজ্জামান, আবু সাদাত লুলু, মতিউর রহমান খালেদ, শাহাবুদ্দীন শিহাব প্রমুখ শিল্পী সুরকার গীতিকার মতিউর রহমান মল্লিকেরই স্বপ্ন সন্তান।
#এইসব শিল্পী খালি গলায় গান গেয়ে মুখর করেছেন সারা বাংলাদেশ। অর্জন করেছেন শিল্পী খ্যাতি। ইসলামী সঙ্গীতকে গ্রহণযোগ্যতার পর্যায়ে নিয়ে গেছেন। পেছন থেকে চলে আসা নবী রাসুলের কাহিনীভিত্তিক গজলের ধারাকে পাল্টে সেখানে অানলেন বৈচিত্র্য, নতুনত্ব। এসব শিল্পীর স্রষ্টা প্রদত্ত সুরেলা কণ্ঠ,গায়কী দক্ষতা ঐতিহ্য সচেতন, বিশ্বাসী মানুষদের মন মননে ঢেউ তুলতে সক্ষম হয়।
#তালিকায় উল্লিখিত শিল্পী, সুরকার,গীতিকারের পেছনে কবি মতিউর রহমান মল্লিক অগ্রজের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ অপরিসীম অবদান রয়েছে। যতোদিন পার হবে ততোই এর বাস্তবতা দৃশ্যযোগ্য হবে। বাংলাদেশে তথা বাংলা সাহিত্যে সঙ্গীতে এই রূপান্তরের ধারাটি নিয়ে পৃথক ও বৃহত্তর পরিসরে গবেষণা হতে পারে। একসময় হবেও। সেক্ষেত্রে আমার এই ক্ষুদ্র প্রয়াসটি কিছুটা সহায়ক ভূমিকা রাখলে তৃপ্ত হবো।
(এর বাইরে আরো অসংখ্য গীতিকার, সুরকার,শিল্পী রয়েছেন- অনিচ্ছাকৃতভাবে তালিকা থেকে বাদ পড়ে গেলো। বেশ কিছু নাম পরিবেশের কারণে ইচ্ছে করে বাদ রেখেছি, আশাকরি বুঝবেন তারা। ছাপার অক্ষরে প্রকাশের আগ পর্যন্ত তালিকাটি হালনাগাদের সুযোগ রয়েছে। জানা থাকলে নাম উল্লেখ করবেন।)
***চলবে*** ইসলামী গান , কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ, কবি মল্লিক,
ঢাকার পথে (চট্টলা এক্সপ্রেস)
১০ আগস্ট-২০১৭