তুমি আমি,
দুজনে হাতে হাত রাখি
স্বপ্নের মাঝে ভালবাসা মাখি.. .. ..
এসো,
তুমি আমি স্বপ্ন দেখি
বিশ্ব ঘুরে অজানা ফাঁকি ।
সে বিশ্বে,
তুমি আমি দুজনে একা
সে পথ চলেছে আঁকা বাঁকা..
দুজনে,
বেঁধেছি ছোট্ট একটা ঘর
সারা জনম হবোনা পর ।
এই তো,
পূরণ করবো আজ স্বপ্নকে
জড়িয়ে ধরলাম যে তোমাকে..
এভাবে,
ভালবাসা থাকবে কি জনম কাল ?
তুমি আমি দুজনার চিরকাল ॥
ইচ্ছে মত যাতে তোমাকে
আরো একটু বেশি কাছে পাই।
তোমার ভাবনায় আমি যে,
নিত্য আমার লিখায় ছন্দ মিলাই।
এই বৃষ্টির রাতে বেলকনিতে বসে
তোমায় নিয়ে ভুরি ভুরি স্বপ্ন ভাবছি
আর মনের ঘরে তোমার জন্য ভালোবাসার কবিতা বুনছি।
“ভাবনার আলো”
তানভীন সুইটি
ভালোবাসার অমরত্বে কত কিছুই না করছে
মাজারে সিন্নি বাটা, পাহাড়ে তালা আটা
বড় পীরের তাবিজ সাটা, পানি পড়া,
উমেদারির হ্যাপা তো রোজ-ই আছে!
ভালোবাসার কবিতা লিখতে লিখতে কবি
অলঙ্কারে উপমায় ছবি এঁকেছেন সব-ই–
তবুও অতৃপ্তির মৃত্যু চিবোচ্ছি গিলছি,
আর একটা তাজমহল দরকার ছিল কি?
নিরুত্তরে চোখ রাখি রুচির পাথরে
অসংখ্য রঙ টিকে আছে যুগান্তরে
শুয়ে ঘুমায় তাজমহল অন্তরে ব্যথা
তোমাদের ভাবায় কি এ প্রেম গাঁথা!
যে আমাকে বিরহের জলে ভিজিয়েছে,
আমি তাকে অভিশাপ দেই –
সারা জীবন সে যেন নিঃসঙ্গ থাকে,
বিষাদে কাটুক তার দীর্ঘ জীবন,
তার জন্য কেউ কোনদিন
ভালোবাসার কবিতা লিখবে না,
তার হাত ধরে কোন যুবক কখনো
ভরা পূর্ণিমায় পাগলের মত হাসবেনা,
একটি চিঠি লিখে বুক পকেটে নিয়ে
হাটবে না মাইলকে মাইল
শুধু একটি পোস্ট বক্স এর জন্য।
—————————–
কবিতা: অভিশাপ ও ভালোবাসা
কাব্যগ্রন্হ: ভালো থেকো মনোলীনা
-রশিদ হারুন
তুমিই তো আমার কবি
ভালোবাসার কবিতা।
যতোই হোক ছন্নছাড়া, কল্পনায় আঁকি তোমার ছবিটা।
অলস দুপুরে আমার ক্লান্তি দূর করতে,
মিষ্টি কাব্য কথায়!!
শান্ত বিকেলে হারিয়ে যেতাম,
তোমার কবিতার ভাষায়।
শুধু শ্রাবণ সন্ধাটুকু ভিক্ষে দিও আমায়!
আর রাত্রি হলে মেতে রইব বৃথা তাঁরা গোনায়।
নৈরাশ্যে রাত
খন্দকার জাহাঙ্গীর হুসাইন
আমাদের প্রেমস্ফীতিতে নীরব কষাঘাত হানে
তোমার হৃদয় নিঃসৃত বিরুদ্ধ বাতাস।
অভাবে কিংবা অনটনে
সঙ্গাহীন বিবমিষায় সংগীহীন একা
এক পালঙ্ক জুড়ে
ভালোবাসার কবিতা বানাই।
বিষপাতার সবুজ-সরস রস গিলে খাই
ভালোবাসার অমৃত ভেবে।
এই রাতের দুপুর সময়
বিপদের বিহঙ্গরা আড়মোড়া ভেঙে
রাত্রীর বসন খোলে।
উলঙ্গ রাতে আমি তাই একাই
একশো কবিতার বসন খুলি।
প্রভাতের আলো ফুটবে ভেবে ভেবে
বারংবার দরজা খুলে দেখি
ওপথে তুমি নাই। এ রাত, এই রাত
আরো দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হয়ে ওঠে
ভীষণ যাতনায়।
নিত্যপণের মূল্য যেভাবে আর কমবে না কোনদিন
সে ভাবে কোন দিন আর তোমার প্রেমের
স্ফীত মূল্য কমানোর আশা ক্ষীণ।
একটি ভালোবাসার কবিতা ®
আ লো ম য় বি শ্বা স
…………………………………..
সকালেই, তিনটি কল, একই প্রশ্ন
‘কিছু বললে না যে?’
আমার মাথা ব্যথা, জ্বর, বমি ভাব আর শ্বাস-কষ্ট।
এককাপ গরম চা। ঘরে আর কিছু নেই।
এরকম প্রশ্নের উত্তরে এক হাজারবার
বলেছি, ‘আমি তোমাকে ভালোবাসি’।
চারপাশের আলো ঘিরে রেখেছে ভয়ঙ্কর অন্ধকার
আমার বুক চেপে ধরেছে বিষাক্ত কুয়াশা।
এই যে এতোবার বললাম ভালোবাসি, কই
তোমার হৃদপিণ্ডে তো তার প্রতিধ্বনি শুনতে
পেলাম না! রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রেমের কবিতা
ছয় হাজার কলোমিটার দূরত্ব তেমন
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রেমের কবিতা
এই সব ভালো লাগে
___জীবনানন্দ দাশ
জানালার ফাঁক দিয়ে ভোরের সোনালী রোদ এসে
আমারে ঘুমাতে দেখে বিছানায়, আমার কাতর চোখ,
আমার বিমর্ষ ম্লান চুল এই নিয়ে খেলা করে:
জানে সে যে বহুদিন আগে আমি করেছি কি ভুল
পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষমাহীন গাঢ় এক রূপসীর মুখ ভালবেসে।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রেমের কবিতা
* অভিষেক ঘোষ
ফুলেরা জানতো যদি আমার হৃদয়
ক্ষতবিক্ষত কতোখানি,
অঝোরে ঝরতো তাদের চোখের জল
আমার কষ্ট আপন কষ্ট মানি ।
নাইটিংগেল আর শ্যামারা জানতো যদি
আমার কষ্ট কতোখানি-কতোদুর,
তাহলে তাদের গলায় উঠতো বেজে
আরো ব হু বেশী আনন্দদায়ক সুর ।
সোনালী তারারা দেখতো কখনো যদি
আমার কষ্টের অশ্রুজলের দাগ,
তাহলে তাদের স্থান থেকে নেমে এসে
জানাতো আমাকে সান্ত্বনা ও অনুরাগ ।
তবে তারা কেউ বুঝতে পারেনা তা-
একজন,শুধু একজন,জানে আমার কষ্ট কতো:
আমার হৃদয় ছিনিয়ে নিয়েছে যে
ভাংগার জন্য-বারবার অবিরত ।