আর্টিকেল হলো একটি ব্লগ বা ওয়েবসাইটের মূলধন বা মূল শক্তি।যার ব্লগের আর্টিকেল যত বেশি তথ্যবহুল, নির্ভুল সাজানো গোছনো তার ব্লগ ততটাই শক্তিশালী। এরকম কন্টেন্টগুলো গুগলের প্রথম পেইজে নিয়ে আসতে সহায়তা করে ।ফলে গুগল সার্চ ইঞ্জিন থেকে আপনি অসংখ্য ভিজিটর পাবেন।এবং আপনি আপনার ব্লগে ভিজিটর ধরে রাখতে পারবেন। এর মাধ্যমে আপনি গুগল সার্চ ইঞ্জিনে ভালো র্যাঙ্ক পাবেন এবং এডসেন্স থেকে আয় করতে অনেক সহায়ক ভুমিকা রাখবে।
যদি আপনি একজন ভালো সফল ব্লগার হতে চান, যদি ব্লগে লিখে টাকা আয় করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে আর্টিকেল লেখার কৌশলগুলো জানতে হবে। আশা করি এই আর্টিকল আপনার জন্য কাজে আসবে।আর্টিকেল লেখার নিয়ম
আর্টিকেল কি?
সহজ কাথায় আমরা অনলাইনে যেসব লেখা ,পোস্ট বা কন্টেন্ট দেখতে পাই তার প্রত্যেকটিই এক একটি আর্টিকেল।এই আর্টিকেলগুলো কোন রাইটার কোন না কোন ওয়েবসাইটে বা ব্লগে লিখেছেন। ফলে আমার যখন কোন তথ্য বা লেখা সার্চ ইঞ্জিনে খুঁজি তখন সেই বিষয়ের এবং রিলেটেট হাজারো আর্টিকেল দেখতে পাই।
যেমন: আপনি যদি গুলে (ব্লগিং কিভাবে করবো)লিখে সার্চ করেন দেখনে রেজাল্ট আকারে এই বিষয়ে অনেকগুলো আর্টিকেল আসেবে।তখন আপনার প্রয়োজনীয় শিরোনামে ক্লিক করে সেই ব্লগে বা ওয়েবসাইটে গিয়ে সেই আর্টিকেল পড়তে পারবেন। তো বুঝতেই পেরেছেন আর্টিকেল কি।
ব্লগের টপিক বা বিষয় নির্বাচন
ব্লগ সাইট বানানোর পর এই বিষয়টি নিয়ে অনেকে দ্বিধা দন্দে ভুগেন যে কি বিষেয়ে আমি আর্টিকেল লিখবো।অনেকে উদ্দেশ্যহীন ভাবে পরিকল্পনা ছাড়াই শুরু করেন । যার ফলে তাদের পরিশ্রম ব্যর্থ হয়ে যায় । এজন্য আপনাকে আগে পরিকল্পনা নিয়ে আগাতে হবে। আপনি যে বিষয়ে ভালো জানেন সেই বিষয়েই শুরু করা উচিত। কারন ভালো জ্ঞান নিয়ে না লিখলে সেই আর্টিকেল কেউ পড়বে না ।
আর্টিকেল লেখার জন্য হাজারো বিষয় আছে আপনি যে বিষয়েই লিখুন না কেন আপনাকে আগে রিসার্স করতে হবে। আপনি এমন কিছু বিষয় খুঁজে বেড় করুন যে বিষয়ে মানুষের বেশি আগ্রহ আছে। যে বিষয় মানুষ বেশি খুঁজে।যে বিষয়ে আপনি ব্লগিং করবেন তার প্রত্যেকটি টপিক যেন আপনার ব্লগে থাকে তাহলে ভিজিটররা এক যায়গা থেকে তার প্রয়োজনীয় সব কিছু পড়তে পারবে। না হলে সার্চ ইঞ্জিনের প্রতিযোগিতায় টিকবেন না আর আপনি ব্লগ থেকে আয় করতে পারবে না না ।
যে সব বিষয়ে লিখতে পারেন— যেমন,
- শিক্ষা
- প্রযুক্তি
- সাস্থ, চিকিৎসা
- আঈন বিষয়ে
- সাহিত্য ( কবিতা, গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ ইত্যাদি)
- লাইফ স্টাইল
- বিভিন্ন প্রডাক্টের রিভিউ
- ব্লগ , ওয়ার্ডপ্রেস টিউটোরিয়াল
- বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়
- ই-কমার্স
- টেকনোলজি
- খেলাধুলা
- বিভিন্ন খাবার
- ফ্রিল্যান্সিং , ইত্যাদি যে বিষয়ে আপনি আগ্রহী সেই বিষয়ে বিভিন্ন আর্টিকেল পড়ুন ,অভিজ্ঞতা অর্জন করু তারপর লিখুন।
আরো পড়ুন– ব্লগ কি, ব্লগিং কাকে বলে, কেন ব্লগিং করে, কী ভাবে তৈরি করে তার A to Z
আর্টিকেল লেখার নিয়ম
আপনি যে বিষয়ে আর্টিকেল লেখার টার্গেট করেছেন প্রথমে সেই বিষয়ের উপর গবেষণা/ রিসার্স করে নিন। বিভিন্ন ভাবে এটা করতে পারেন। যেমন আপনি “ব্লগিং” বিষেয়ে আর্টিকেল লিখবেন তাহলে প্রথমে গুগল সার্চ ইঞ্জিনে ব্লগিং লিখে সার্চ করুন। সেখানে নিচের দিকে ব্লগিং বিষয়ে অনেকগুলো টাপিক পাবেন যা মানুষ সার্চ করেছে।এটাকে কি ওয়ার্ড বলে ।SEO এর জন্য কি ওয়ার্ড গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখে । আর্টিকেল লেখার নিয়ম
অনলাইনে গুগল সহ অনেকগুলো কি ওয়ার্ড রিসার্স সাইট আছে যার মাধ্যমে আপনার আর্টিকেল সাজাতে পারেন। এই টপিকগুলো আপনার আর্টিকেলে নিয়ে আসবেন । যাতে ভিজিটর কোন একটি কি ওয়ার্ড লিখে সার্চ করলে আপনার আর্টিকেলটি প্রথম পেইজে চলে আসে।
কিভাবে টপিকের উপর রিসার্স করবেন?
আপনি যে বিষয়ে আর্টিকেল লিখতে যাচ্ছেন তা আপনার আগে আরো অনেকে লিখে ফেলেছে। সে আর্টিকেলগুলো গুগলের প্রথম পেইজেও আছে তাহলে আপনার লেখা কেন মানুষ পড়বে? কি ভাবেই বা তাদের সাথে প্রতিযোতিা করে তাদের কাছাকাছি বা উপরে উঠবেন।খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তাই না?
তাহলে আপনাকে যা করতে হবে তা হলো আপনি যে বিষয়ে লিখবেন তা গুগলে সার্চ দিবেন। দেখবেন সে বিষয়ে অনেক আর্টিকেল আছে । তার ভিতরে টপ রেজাল্টের প্রতিটি আর্টিকেল দেখতে হবে তারা কিভাবে লিখেছে, কিভাবে পোস্ট সাজিয়েছে, কি ভাবে ছবির ব্যাবহার করেছে । প্রতি আর্টিকেলে কতগুলো টপিক ব্যাবহার করেছে। তার প্রতিটি আপনাকে ধৈর্য্য ধরে নোট করতে হবে।
অনলাইন থেকে বিষয়টির উপর বিভিন্ন সোর্স কালেকশন করে নিতে হব। তারপার তাদের চেয়েও তথ্যবহুল, নির্ভুল একটি পূণাঙ্গ আর্টিকেল লিখতে হবে। অনেক পরিশ্রমের ব্যাপার তাই না ? সফলতা পেতে হলে পরিশ্রম তো করতেই হবে । কথায় আছে ’’পরিশ্রম সফলতার চাবিকাঠি’’
কিন্ত কখনো কারো আর্টিকেল কপি করে পোস্ট করবেন না । এটা গুগল চড়ম অপছন্দ করে । এরকম আর্টিকেল আপনার ব্লগে থাকলে গুগল আপনাকে এডসেন্স দিবে না ।
ভালো জ্ঞান নিয়ে লিখুন
আপনি যে বিষয়েই লিখুন না কেন ভালো জ্ঞান আর অভিজ্ঞতা নিয়ে লিখুন। যাতে ভিজিটর আপনার থেকে সঠিক তথ্যটি নিতে পারে । কোন ভুল তথ্য দিলে ভিজিটর আপনার থেকে আস্থা হারাবে । তারা আর আপনার ব্লগে আসবে না ।
যেমন, আপনি একটি blogger.com দিয়ে ফ্রী ওয়েবসাইট বা ব্লগ তৈরির একটা টিউটোরিয়াল লিখবেন তখন আপনাকে এই বিষয়ে খুটি নাটি সব স্টেপ বাই স্টেপ লিখতে হবে সেখানে ছবি থাকবে ,ইস্কিন শর্ট থাকবে।যাতে ভিজিটর আপনার আর্টিকেল দেখে সহেজেই শিখতে পারেন কোন অসুবিধা না হয়।
সহজ সরল ভাষায়, সোজা ভাবে লিখুন
ব্লগের প্রতিটি আর্টিকেল ভিজিটিরের কথা মাথায় রেখেই লিখতে হয় । সেখানে বিভিন্ন বয়সের মানুষ আসবে। এমন ভাবে সহজ ভাষায় সোজা ভাবে লিখুন যাতে সব শেণীর মানুষ দেখতে ও পড়তে পারে। লেখায় এমন কালার ব্যাবহার করনে না যা অস্পস্ট দেখা যায়।
ছোট ছোট প্যারাগ্রাফে লিখুন যা দেখতে ও পড়তে ভালো লাগবে।
সার্চ ইঞ্জিন ফ্রেন্ডলী টাইটেল
একটি টাইটেল পুরো একটি আর্টিকেলের অর্থ বহন করে । ভিজিটররা যখন গুগলে কোন বিষয়ে সার্চ করেন প্রথমেই রেজাল্টগুলোর টাইটেল শো করে।টাইটেল দেখেই একজন ভিজিটর সিদ্ধান্ত নিয়ে নেন তিনি কোন আর্টিকেল পড়বেন। সুতরং এটা খুব গুরুত্বপূণ বিষয়।
এজন্য আপনাকে সার্চইঞ্জিন ফ্রেন্ডলী ইউনিক টাইটেল ব্যাবহার করতে হবে।যাতে ভিজিটররা টাইটেল দেখেই আর্টিকেল সম্পর্কে ধারণা তৈরি হয়ে যায় এবং মনে করে এটাই তার প্রয়োজন ফলে আপনার লেখা পড়তে উৎসাহী হবে।
অতএব আপনাকে বুঝতে হবে যে, পাঠক কি চায় তাহলেই আপনি সুন্দর টাইটেল দিতে পারবেন । এজন্য আপনাকে কি ওয়ার্ড রিসার্স করতে হবে যা উপরে আলোচনা করেছি। চেষ্টা করবেন কিওয়ার্ডের মূল টাইটেল প্রথমে রাখতে ।
টাইটেলের দৈর্ঘ্য ৫৫ থেকে ৬০ ক্যারেক্টার দিবেন এর বেশি দিলে সার্চ ইঞ্জিনের জন্য সুবিধার হবে না।
প্রয়োজনীয় ভিভিন্ন লিংক ব্যাবহার
আর্টিকেলের বিভিন্ন যায়গায় টপিক রিলেটড বিভিন্ন লিংক ব্যাবহার করুন। ভিজিটরদের চাহিদা পূরণ এবং তাদের ধরে রাখার ব্যাপারে খুবই কার্যকরী। দেখা যাচ্ছে একটি বিষয় জানতে এসে রিলেটেট আরো অনেক বিষয় জানতে সে আগ্রহী হবে।
আপনার আর্টিকেলের বিষয়ের সাথে সামঞ্জস্য এমন পোস্ট যা আপনার ব্লগে আছে সেগুলোর লিংক দিবেন । ভিন্ন কোন প্রসঙ্গের লিংক দিবেন না । এমন ভাবে দিবেন যেন আপনার আর্টিকেলের সৌন্দর্য নষ্ট না হয়ে যায়। এবং আর্টিকেলের পার্ট না হয় ।
আরো পড়ুন– কিভাবে blogger.com সুন্দর একটি ফ্রী ব্লগসাইট বানাবেন তার A to z
আর্টিকেলে ইমেজ ব্যাবহার
প্রতি আর্টিকেলে প্রাসঙ্গিক ইমেজ , স্কিনশর্ট ব্যাবহার করবেন। অনেক সময় একটি ছবি অনেক প্রশ্নের জবাব দেয় । এমন কোন ছবি দিবেন না যা আপনার আর্টিকেলের সাথে মিলে না ।
আপনি যদি টিউটোরিয়াল বিষয়ে লিখেন তখন অবশ্যই আপনাকে সেই বিষয়ে ছবিসহ স্টেপ বাই স্টেপ বুঝিয়ে দিতে হবে। তখন ভিজিটর সহজেই তার প্রয়োজন পুরণ করতে পারবেন।
প্রতিটি ইমেজে Alt Tex , Title, Caption, Description ব্যাবহার করবেন। এতে আপনার প্রতিটি ছবি এসইও এর কাজ করবে।
Bold Heading, কমা, প্রশ্ন চিহ্ন ব্যাবহার
আর্টিকেলে প্রয়োজনীয় বিভিন্ন যায়গায় বোল্ড হের্ডিং (,) কমা, (?)প্রশ্ন চিহ্ন ব্যাবহার করবেন। হেডিংগুলো ভিন্ন কালার দিয়ে হাইলাইট করতে পারেন। তাতে ভিজিটর পড়ে সাচ্ছন্দবোধ করবে।
গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আর্টিকেল লেখার সময় একটি H1 , দুটি H2 ,কয়েকটি H3 বা H4 ব্যাবহার করবেন। এটা SEO এর একটি পার্ট যা গুগল সার্চ ইঞ্জিন পছন্দ করে।
পার্মালিংক/ Url slug সঠিক ভাবে ব্যাবহার
অনলাইনে যত পোস্ট দেখবেন প্রতিটি পোস্টের একটি URL = Uniform Resource Locator তখা একটি পার্মালিকং থাকে।এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।পার্মালিংকে মেইন কিওয়ার্ড ছাড়া অতিরিক্ত কোন ওয়ার্ড যুক্ত করবেন না । এসইওর জন্য এটা মোটেই ভালো হয় না ।
মনে রাখবেন আপনি একটি পোস্ট করার পরে পার্মালিংক চেইঞ্জ করবেন না । কারন পূর্বের লিংকটি গুগলে থেকে যাবে। কেউ আগের লিংকে ক্লিক করলে পেইজ ইরর 404 দেখাবে যেটা ব্লগের জন্য ভালো নয়।
প্রথম অবস্থায় ডিফল্ড ভাবে পার্মালিংকে তারিখ , সাল শো করে যার কোন প্রয়োজন নেই এর সমাধান আপনি একটি সেটিং এর মাধ্য করতে পারবেন। ওয়ার্ডপ্রেসে থেকে Setting-Permalink-Post name এ ক্লিক করে Save change এ ক্লিক দিন। এর মাধ্যমে আপনার কাজ হয়ে যাবে ।
এরপর আপনি পোস্ট লেখার সময় মূল কিওয়ার্ড পার্মালিংক এডিট করে যুক্ত করতে পারবেন। যেমটা নিচের পিকচারে দিয়েছি।টাইটেল পার্মলিংকে অটো যুক্ত হয়। Slug দিলেও পার্মলিংক অটো চেইঞ্জ হয়।
মেটা সিক্রিপশন লেখা
মেটা ডিসক্রিপশন সার্চ ইঞ্জিনের জন্য খুবই প্রয়োজন। যখন কেউ সার্চ ইঞ্জিনে কোন বিষয় সার্চ করে তখন রেজাল্ট আকারে টাইটেলগুলোর সাথে পোস্ট সম্পর্কে কিছু লেখা শো করে । এটাই হলো মেটা ডিসক্রিপশন।
টাইটেলে ডিসক্রিপশন পড়ে ভিজিটর সিদ্ধান্ত নেয় সে কোন পোস্টটি পড়বে। সুতরাং বুঝতেই পারছেন এর গুরুত্ব কতটা। মেটা ডেসক্রিপশন আপনার আর্টিকেলকে সহজেই র্যাংক করবে। আর্টিকেল লেখার নিয়ম
আপনার আর্টিকেলের মূল কিওয়ার্ড মেটা ডেসক্রিপশনে দিবেন। পোস্ট লেখার সময় নিচের দিকে এই অপশনটি পাবেন।
ট্যাগ ব্যবহার করা
একটা আর্টিকেল গুগল এবং ভিজিটরদের আকৃষ্ট করতে সবগুলো উপাদান ব্যাবহার করা উচিত। ট্যাগ তার ভিতরে একটি । নিয়ম অনুযায়ী আপনি একটি পোষ্টে সর্বোচ্চ ২টি ট্যাগ ব্যাবহার করতে পারেন।পোষ্টের বিষয়ের সাথে মিল রেখে ট্যাগ ব্যাবহার করতে পারেন।
টেবিল অফ কন্টেন্ট রাখা
ভিজিটরের সুবিধার জন্য আপনার বড় আর্টিকেলে শুরুতে বা কন্টেন্ট হেডিংগুলো এক যায়গায় মেনু আকারে রাখতে পারেন এতে করে ভিজিটর প্রথমেই আপনার আর্টিকেল বিষয়য়ে পূর্ণ ধারনা নিতে পারবে। এর্ং সে প্রয়োজনীয় টপিক পড়তে পারবে। এটা যাস্ট একটা বইয়ের সূচিপত্রের মতো।এটা SEO এর জন্যও ভালো এবং আর্টিকেলের মানও বৃদ্ধি করে।
ফিচার ইমেজ ব্যাবহার:
একটি ফিচার ইমেজ আপনার আর্টিকেলের পরিচয় বহণ করে । অনেকে ছবি দেখেই একটি পোস্ট পড়তে উৎসাহী হয় ।ফিচার ইমেজ পোস্টের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে ।গুগলে র্যাং করতেও সাহায্য করে। ফিচার ইমেজ যত সুন্দর হবে আপনার পোস্টের প্রতি ভিজিটরের আকষর্ণ তত বাড়বে।
এজন্য সরাসরি কোথাও থেকে ডাউনলোড করে দিবেন না । চেষ্টা করবেন নিজেই তৈরি করতে। আপনার ব্লগের প্রতিটি আর্টিকেলের ফিচার ইমেজ একই মাপের দিবেন। বিভিন্ন সাইজের হলে আপনার ব্লগটি এলোমেলো দেখাবে। আর্টিকেল লেখার নিয়ম
একটি ফিচার ইমেজেরে আদর্শ সাইজ হলো 1200*630 অথবা 990*450 পিক্সেল। ইমেজের ফাইল সাইজ যাতে বেশি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখবেন যেন ১০০ কেবি এর নিচে হয়।
গুগল থেকে ডাউনলোড করতে চাইলে একটু সমস্যা আছে। সেখানে কপি রাইটের বিষয় আছে । এজন্য গুগল আপনাকে একটা সুবিধা দিয়েছে কপিরাইট মুক্ত ছবি নেয়ার জন্য।
নিচের স্কিনশর্ট পিকচারটি দেখুন। এভাবে প্রয়োজনীয় ইমেজ নিয়ে আপনি ফটোশপে একটু এডিট করে সুন্দর একটি ফিচার ইমেজ তৈরি করতে পারবেন।
ফিচার ইমেজে আগের মতোই ফাইল নেম এবং alt text দিবেন ।আগে যে ভাবে আলোচনা করেছি।
ক্যাটিগিরির সঠিক ব্যাবহার
একটি ব্লগে সাধারনত বিভিন্ন ক্যাটাগরি থাকে। আপনি যেই বিষয়ে আর্টিকেল লিখলেন আপনার পোস্ট যেন সেই ক্যাটাগরিতেই স্থান পায় । এতে ভিজিটর সহজেই একই ক্যাটাগরির পোস্টগুলো একসাথে পাবে। এজন্য আর্টিকেল পাবলিশের পূর্বে আপনি ক্যাটাগরি সিলেক্ট করেদিবেন।
কত শব্দের আর্টিকেল লিখবেন?
সবসময় চেষ্টা করবেন একটু বড় করে তথ্য সমৃদ্ধ আর্টিকেল লিখতে , যা গুগলের পছন্দ। তবে বড় করতে গিয়ে নিজের মনের মাধুরী মিশিয়ে অপ্রয়োজনীয় কিছু লিখবেন না। প্রতিটি টপিক, প্যারাগ্রাফ যেন হয় ভিজিটরের চাহিদা অনুযায়ী।
আপনি ৪০০ থেকে ৮০০ ওয়ার্ডেও আর্টিকেল লিখতে পারেন, আর্টিকেলের বিষয়ের আলোকে আপনার আর্টিকেল ছোট বড় হতে পারে ।বেশি তথ্যবহুল ও বিস্তারিত লিখতে গেলে বড় তো হবেই। গুগল এসব আর্টিকেল বেশি পছন্দ করে।
তবে, এডসেন্সে আবেদন করার পূর্বে আপনার ১০০০+ শব্দের ১০ থেকে ২০ আর্টিকেল থাকলে ভালো হয় ।
রেগুলার আর্টিকেল লেখা
আপনার ব্লগকে গুগল র্যাংকে নিয়ে যাওয়া এবং ভিজিটর ফ্রেন্ডলী করতে হলে অবশ্যই আপনাকে নিয়মিত আর্টিকেল লিখতে হবে। সপ্তাহে অন্তত ৩টি বা ৪টি আর্টিকেল লিখবেন।তাতে আপনার ব্লগ সবসময় গুগলের সার্চ ইঞ্জিনে আপডেট থাকবে। আর্টিকেল লেখার নিয়ম
অনেক সময় ভিজিটর আপনার কোন আর্টিকেল পড়ার পরে আপনার অন্য আর্টিকেলের অপেক্ষায় থাকে । যদি নিয়মিত না লিখেন তাহলে ভিজিটর আপনার প্রতি আগ্রহ হারাবে। এজন্য ব্লগে নতুন নতুন আর্টিকেল লেখা উভয় দিক দিয়েই ভালো হবে। এতে দিন দিন আপনার ব্লগ সমৃদ্ধ হবে ও ভিজিটর বাড়তে থাকবে।
শেষ কথা:
বন্ধুরা, এতক্ষণে আপনারা ধৈর্য় নিয়ে আর্টিকেলটি পড়েছেন। আমার দৃঢ বিশ্বাস আপনাদের নিরাশ করিনি। আমি চাই আপনারা আপনাদের ব্লগে সুন্দর আর্টিকেল লিখে সফলতা অর্জণ করেন। আপনারা যদি এই আর্টিকেলটি ফলো করে আর্টিকেল লেখার কৌশলগুলো কাজে লাগান আশাকরি সফল হবেন।
আপনাদের মনে যদি কোন ধনরেন প্রশ্ন থাকে তাহলে নি:সংকোচে কমেন্টে লিখতে পারেন। আমি রিপলে দেবো । সবাই ভালো থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আর্টিকেল লেখার নিয়ম
আরো পড়ুন– ডোমেইন এবং হোস্টিং কি? কেন দরকার