You are currently viewing বিপ্লবী কবিতা।নির্ভীক কাফেলা।বিপ্লবীর রক্ত চাই।বিপ্লবী প্রেম চাই
জবা ইয়সমিন এর বিপ্লবী কবিতা।নির্ভীক কাফেলা।বিপ্লবীর রক্ত চাই।বিপ্লবী প্রেম চাই

বিপ্লবী কবিতা।নির্ভীক কাফেলা।বিপ্লবীর রক্ত চাই।বিপ্লবী প্রেম চাই

তরুণ কবি জবা ইয়াসমিন এর পাঁচটি বিপ্লবী কবিতা। তার কবিতায় আছে মানব দরদী প্রেম ভালোবাসা। প্রতিবাদ, বিপ্লব, সমাজের নানা অসংগতি নিয়ে তিনি লিখেছেন। তার বাংলা কবিতার মাঝে রয়েছে বিদ্রোহী কবিতা, প্রেমের কবিতা, নারীদের জন্য কবিতা, ভালোবাসার কবিতা ইত্যাদি। আশাকরি প্রতিটি কবিতা আপনাদের ভালো লাগবে।বিপ্লবী কবিতা , বিপ্লবী কবিতা 

নির্ভীক কাফেলা

মৃত্যুর আত্নাহুতি দিয়ে,
চলো খুঁজে আনি শ্বাশত মুক্তির পথ।
নির্ভীক কাফেলার গন্তব্যস্থলে
মুক্তির চিহ্নতো আমরা আঁকবোই।
ভয় কিসে বলো?
তাগুতের ছিটানো প্রস্তরকে সাজিয়ে নিই চলো
আমাদের পথের অরণী করে।
আততায়ীর সাথে নয়তো আপোষ,
আতান্তরের জয়কে ডেকেই ক্ষ্যান্ত হবো তবে।
কামাল্য ধ্বংসকে রুখতে তাই
জানিয়ে দাও,মৃত্যুরও কফিন আছে।
আমাদের হাতেই মৃত্যুর দাফন সেরে
তাগুতের সমাধিস্থলে নির্মিত হোক জয়োস্তম্ভ!
স্রষ্টার রচিত সংবিধানেই আনবে
শ্বাশত মুক্তির মনোরম বার্তা।
আমরাই অবিনশ্বর অন্তিম বিজয় আনিতোকারী,
নিন্দিত-নন্দিত নির্ভীক সব কাফেলা।

অবুঝ অভিলাষ

সূরা বাকারাহ-২১৭ অবলম্বনে

অন্ধ শান্তি পূজারী,শান্তিপ্রিয় তোরা!
জিহাদের ডাক এসেছে কানে,
শুনবিনা জানি,দিবিনা সাড়া সে ডাকের,
ফরযের তাগিদ মানবিনা তবু,
অযুহাতের কতো ছলে দিবি দোহাই অপছন্দের!
জ্ঞান যে তোর হৃষ্টপুষ্ট হয়নি আজো,
কাঁচামাথার আবিষ্কারে অনিচ্ছার-
পরে ভর করে হারাবি স্রষ্টার চিরকল্যাণী ফল!
বুঝবি সকলি চোখ ধাঁধালো অভিলাষে
অনিষ্টের বীজ বপণ করে হবি যখন বিফল!
জ্ঞানের ঘড়া তোর ঢকঢকিয়ে বাজে,
পূর্ণ করার প্রত্যয় ছেড়ে দায় নিয়েছিস লেকচারের,
ক্ষুদ্রজ্ঞানে দীর্ঘউক্তি কি তোর সাজে?
ইহলোক-সুরলোক এ ভবজুড়ে
সকল জ্ঞান রক্ষিত কেবল-ই ঈশ্বর মাঝে!

আরও পড়ুন–নারী কবিতা। মানুষ নই, আমি নারী। অভিশপ্ত সুশীল। অপয়া তুই

বিপ্লবীর রক্ত চাই

প্রেমকাতর আমি,
এনে দাও বিপ্লবীদের প্রেম!
ওদের উষ্ণ রক্তে সিক্ত হতে চায়-
রক্তপিপাসু এ শুষ্ক শরীর।
রক্তস্নাত রাজপথের ধূলিকণাগুলো
পিন্ড হয়ে জমাট বাঁধুক!
উবে যাক মৃত্তিকার সুধা গন্ধ।
এনে দাও রক্তিম প্রেম,
নিশির শিশির হয়ে টিপটাপ-
ঝরুক আমার গাত্রে!
পত্রে পত্রে ছেয়ে যাক রক্তবিন্দু,
আমি রক্ত চাই!
রুধিরের রক্তিমতায় মিলিয়ে যাক-
একাকার হোক রক্তিম সূর্য!
এনে দাও ওদের রক্তকণিকা,
যাতে সঞ্চালিত হয় মুক্তির ধ্বনি!
আমি কান পেতে শুনে-
বিজয়ের হাসি হাসবো।
বিপ্লবী প্রেমে স্পন্দিত হৃদয়
আর নির্ঝর রক্তিমধারা,
আমি সে আবিরের বন্যা চাই!

অন্ধ দায়ের পরিণাম

সূরা হুমাযাহ অবলম্বনে

নিষ্কর্মার দল, কি দায়ে এসেছো-
রেখেছো কি জ্ঞান তার?
নিয়েছো কি নিন্দিত-নন্দিতের নিন্দার দায়ভার?
পশ্চাত কিবা সম্মুখে করো নিন্দা যে ছলে,
পাবেনা পার পরনিন্দুক তুমি,
মরবে ডুবে অবশম্ভাবী দূর্ভোগের জলে!
অঢেল বৈভব পাহাড়ে পিঠ ঠেকিয়ে
নিপুন হিসাব কষেও কি মুনাফার হার বর্ধিষ্ণু হবে?
ভ্রমজালে জড়িয়ে ঐশ্বর্যের সঙ্গ-অভিলাষ
খেলা সাঙ্গ করে একাকী তোমার পরবাস-
যাত্রায় আমলই কেবল সঙ্গে যাবে!
কস্মিনকালেও হবেনা সিদ্ধি সঙ্গযাত্রা,
পিষ্টকারীদের মাঝে নিক্ষিপ্ত হয়ে,
বিক্ষিপ্ত পথে ছুটেও পাবেনা স্বস্তি রেখা!
পিষ্টের পরিচয় জেনেছো কি?
ওযে লোভীর তরে স্রষ্টার সৃষ্ট অগ্নিশিখা!
সর্বাঙ্গ সমেত বিদ্ধ হবে হৃদয় অব্দি,
যে হৃদয় তোমার রিপুর তাড়নায় কল্পরাজ্য ছেড়ে
গড়েছিল পাপের পাহাড় এ ধরায়,
সে অন্তরাত্না বিধবে দীর্ঘ খুঁটিতে,
সে ক্ষণে হবেনা আর সুরলোকের আশ্রয়!

বিপ্লবী কবিতা 

বিপ্লবী প্রেম চাই

আমিতো বিপ্লবী প্রেম চাই!
ছলনাময়ী প্রেমের আগুনে জ্বলে পুড়ে
ছারখার হওয়ার অভিপ্রায়-
আজ আর একদম নেই।
এনে দাও তুমি বিপ্লবীদের প্রেম!
রক্তপিপাসু এ শুষ্ক শরীর,
সিক্ত হওয়ার ব্যকুলতায় অস্থির।
বিপ্লবীদের উষ্ণ রক্তে আমি স্নান করবো।
স্নান শেষে ভরা ঘাটে ঢেকে দিও আমায়,
ওদের বুকের আলতো লোমে।
বুক ঘেষে মাতবে যখন মুক্তির নিশানায়,
আমি উষ্ণতার স্বাদ নেব।
সেই সমর মাঝে চুপিসারে তোমার সাথে-
আমার সুধা গন্ধটুকুর মিলন হবে।
ঘন ঘন গরম নিঃশ্বাস,
দ্রুতবেগে ধাবিত হৃদস্পন্দন,
মাতাল অনুভবজুড়ে শুধু প্রেম!
সে প্রেমের কলঙ্ক নিয়ে বিরাঙ্গনা হব।
তবু বারবার উষ্ণ প্রেমে সপে দেবো এ শরীর।
নিস্তব্ধ রাত্রীর চাদর গায়ে ফেলে,
হারাবো আঁধারের আড়ালে!
শুনশান সে ক্ষণে,রূপালী চাঁদের আলোয়
চিকচিকে পদ্মার বুকের টলমল শব্দ
তুমি কান পেতে শুনো।
নিশ্চুপ থেকো সে অন্তিমক্ষনে,
আমি শুধু অনুভব করব-
তোমার উষ্ণ রক্তে প্রবাহিত হওয়া
চিরন্তন বিজয়ের ধ্বনিটুকু।
ঝিমিয়ে থাকা পাপড়ি খুলে
চেয়ে দেখো ভোরের দোয়েল পাখি,
লাজুক রাঙা মুখে আমি ছাড়িয়ে নেবো,
আমার সোহাগী আঁচলটুকু।
অলসতা কাটিয়ে দিবসজুড়ে
নিশান হাতে গেয়ো বিজয়ের গান,
ক্লান্ত দুপুরে ফিরে এসো এ বুকে,
আমি আস্বাদিত হবো-
তোমার বুকের বিন্দু বিন্দু ঘামে।
আমি আঁটকুড়ী হলে,
শেষ বিকেলে হেঁটো প্রিয়ার হাত ধরে।
নীরব মনে আমি সব মেনে নেবো।
অস্তমান রক্তিম সূর্য্যকে সাক্ষী করে,
প্রিয়ার হাতে হাত রেখো।
নীড়ে ফেরা বিহঙ্গের বিদায়ী ক্ষণে
প্রিয়াকে নিয়ে কবিতার সাগরে ডুব দিও।
আমি নীরব ধৈর্য্যে বুকে বাঁধ দেবো।
যাবার আগে শুধু তোমার বিপ্লবী প্রেমে,
আমায় তুমি মুক্ত করে যেও…!
বিঃদ্রঃ- কবিতায় (আমি) এর স্থলে দেশমৃত্তিকাকে কল্পনা করা হয়েছে।

[gs-fb-comments]

Leave a Reply