You are currently viewing বাংলা বর্ণমালা ছড়া- (নার্সারি+কেজি ওয়ান)-কবি আবু তাহের বেলাল

বাংলা বর্ণমালা ছড়া- (নার্সারি+কেজি ওয়ান)-কবি আবু তাহের বেলাল

বাংলা বর্ণমালার ছড়া

. (নার্সারি+কেজি ওয়ান)

স্বরবর্ণের ছড়া:

অ-অজু

অজু করে নামাজ পড়ো

ফুলের মতো জীবন গড়ো,

সত্যি তুমি সবার মাঝে

অনেক অনেক হবে বড়ো।

 

আ-(আজান)

আজান হলে মসজিদে যাও

ভক্তি ভরে সিজদাটা দাও,

আল কোরানের ভালোবাসা

মনের মাঝে নাও ভরে নাও।

 

ই-(ইসলাম)

ইসলাম মানে শান্তিবাণী

মহান রবের মেহেরবানী,

ইহকাল আর পরকালের

মুক্তিবিধান সেটাই জানি।

 

ঈ-(ঈদ)

‘ঈদ মানেতো খুশির দোলা’

হাসি মুখে দুঃখ ভোলা,

ঈদ মুবারক আলিঙ্গনে

সবার মাঝে হৃদয় খোলা।

 

উ-(উট)

উট চলেছে কাবার পানে

মহান রবের জিকির গানে,

উট হলো যে মরুর জাহাজ-

উটকো কথার নেইতো মানে।

 

ঊ-(ঊর্মি)

ঊর্মি দোলায় সাগর দোলে

উথাল পাথাল কলরোলে,

ঊষাকালের পাখির গানে

মনটা আমার দুঃখ ভোলে।

 

ঋ-(ঋণ)

ঋণ করো না মনের ভুলে

সাজাও জীবন ফুলে ফুলে,

ঋণ শুধিতে নাও গো হাতে

কাস্তে কোদাল শাবল তুলে।

 

এ-(একক)

একক অশেষ আল্লাহ রহীম

তিনি গাফুর তিনিই মহীম,

তার করুণার নেই সীমানা

তাইতো তিনি অসীম করীম।

 

ঐ-(ঐক্য)

ঐক্য গড়ে বিভেদ তাড়াও

হেরার পথে কদম বাড়াও,

তাওহীদেরই নিশান তুলে

সুপ্ত যতো বিবেক নাড়াও।

ও-(ওজন)

ওজনে কেউ কম দিয়ো না

পরের জিনিস কেউ নিয়ো না,

ওজন হবে পাপ ও নেকীর-

পাপের পথে পা দিয়ো না।

 

ঔ-(ঔষধ)

ঔষধ খেলে অসুখ সারে

রবকে ডাকো বারে বারে,

তিনি মালিক তিনিই খালিক

ডরাও তুমি আবার কারে!

********************************

——আপনার আদরের সন্তানকে গড়েতুলতে পড়ুন—- শিশু কিশোর বিষয়ক অণুভাবনা——–

 

ব্যঞ্জন বর্ণের ছড়া: ক খ বর্ণমালা

“”””””””””””””””””””””””””

ক-(কলম)

কলম দিয়ে কেতাব লিখি

আঁকা আঁকি করতে শিখি,

অনেক বড়ো হবোই হবো

কোরান হাদীস পড়লে ঠিকই।

 

খ-(খলিফা):

খলিফাদের রাস্তা ধরে

চলো পথিক রাত্রি ভোরে,

খারাব পথে পা ফেলো না

লোভ লালসা খ্যাতির ঘোরে।

 

গ- (গজব):

গজব থেকে মুক্তি খুঁজি

অর্থসহ কোরআন বুঝি,

গহীন রাতে মোনাজাতে

দুহাত তুলে দুচোখ বুজি।

 

ঘ-(ঘড়ি):

ঘড়ি দেখে সময় জানি

গ্রহণ করি আহার পানি,

গাধা ঘোড়ায় হয় না কোথাও

সমান সমান টানাটানি।

 

ঙ-(রঙ):

রঙধনুতে রঙের মেলা

সাতটি রূপে করছে খেলা,

সবুজ মাঠ রূপ অপরূপ

দেখে দেখে যায় যে বেলা।

 

চ-(চন্দ্র):

চন্দ্র তারার আলোর বানে

দূর অজানায় মনকে টানে,

চড়ুই চিল আর চন্দনাটাও

শিস দিয়ে যায় কানে কানে।

ছ-(ছবি):

ছবি আঁকি রঙ তুলিতে

স্মৃতি হয়ে থাক ঝুলিতে,

সৃষ্টি প্রভুর যায় না ভোলা-

যতো বারই চাই ভুলিতে।

 

-(জবা):

জবা ফুলের মিষ্টি হাসি

আমরা সবাই ভালোবাসি,

জয় করে নেই জগৎ জীবন

জ্যোতির বানে কালো নাশি।

 

ঝ-(ঝরণা):

ঝরনা নামে পাহাড় বেয়ে

আহাদ আহাদ গজল গেয়ে,

ঝরোঝরো ঝরনা নদী

থামছে বলো কোথায় যেয়ে!

 

ঞ-(মিঞা):

মিঞা বাড়ি অনেক দূরে

পালকি চলে গানের সুরে,

গরুর গাড়ির দিন গিয়েছে

স্মৃতি জাগেই ঘুরে ঘুরে।

 

ট-(টগর):

টগর বেলীর সুবাস ভালো

দাও তাড়িয়ে মনের কালো,

জুঁই চামেলীর গন্ধ মাখো

হেরার অরূপ প্রদীপ জ্বালো।

 

ঠ-(ঠক):

ঠকের কথায় কান দিতে নেই

লোভে পড়ে মান দিতে নেই,

ঠুনকো কাজে ব্যস্ত যে জন

ঠকে ঠিকই যাবেই তো সেই।

 

ড-(ডাব):

ডাবের ভেতর মিষ্টি পানি

আল্লাহ পাকের সৃষ্টি জানি,

পাহাড় সাগর দেখো তুলে

ডাগর চোখের দৃষ্টিখানি।

 

ঢ-(ঢাকনা):

ঢাকনা দিয়ে খাবার ঢাকো

ঢাকার ছবি জলদি আঁকো,

যেমন করে ডাকার কথা-

তেমন করেই রবকে ডাকো।

 

ণ-(ণত্ববিধি):

ণত্ববিধির নিয়ম শিখি

শুদ্ধ করে বানান লিখি,

চেষ্টাতে হয় সাফল্য যে

পরিশ্রমে মুক্তি ঠিকই।

 

ত-(তওবা):

তওবা করো খাস নিয়াতে

নাজাত পাবে কিয়ামাতে,

তখন তোমার ভরবে হৃদয়

ফিরদাউসের নিয়ামাতে।

থ-(থলে):

থলের ভেতর মোহর নড়ে

ঘাঁসের ডগায় শিশির পড়ে,

জোয়ার ভাটায় নদীর জীবন

একূল ভাঙে ওকূল গড়ে।

 

দ-(দয়া):

দয়া করো হৃদয় খুলে

আপন এবং পরকে ভুলে,

ভালোবেসে গরীব দুঃখী

নাও দয়ালু বক্ষে তুলে।

ধ-(ধনী):

ধনী করে ধনের বড়াই

বড় হবার মিথ্যে লড়াই,

কে বলোতো আসল ধনী

তার কথা কী সত্যি পড়াই!

 

ন-(নবী):

নবী রাসূল মানুষ সেরা

বোঝে নাতো নিন্দুকেরা।

নষ্ট পথে পা বাড়ালে

সহজে আর যায় না ফেরা।

 

প-(পশু):

পশু পাখি রবের সৃষ্টি

তার হুকুমে হয় যে বৃষ্টি,

পথেঘাটে রূপের বাহার

দেখলে খোলে সবার দৃষ্টি।

 

ফ-(ফল):

ফলটা খেয়ে শুকর করো

আল কোরানের পথটি ধরো,

আমীর ফকীর নেই ভেদাভেদ

ফুলের ঘ্রাণে হৃদয় ভরো।

ব-(বই):

বই হলো যে বন্ধু খাঁটি

মনকে বানায় পরিপাটি,

বুকটা করে জোছ্না ধোয়া

সবুজ ঘাঁসের শীতলপাটি।

 

ভ-(ভয়):

ভয় পেয়ো না পথের বাঁকে

বিপদ আপদ যতোই থাকে,

সত্য সাধক পায় নাতো ভয়

জুলুম শোষণ মরণটাকে।

 

ম-(মদিনা):

মদিনাতে মন যেতে চায়

মোহাম্মাদের গান গেয়ে যায়,

মক্কাগামী ক্লান্ত পথিক

মরুভূমির পথ খুঁজে পায়।

 

য-(যব):

যবের আটায় বানাও রুটি

চেপে ধরো ক্ষুধার টুটি,

তৃপ্ত হয়ে নাও জেনে নাও

যাকাত দ্বীনের শক্ত খুঁটি।

 

র-(রহমত)

রহমত নিয়ে রোজা আসে

আনন্দে মন হৃদয় হাসে,

যায় যে খুলে রাইয়্যান দুয়ার-

রবের রহম কষ্ট নাশে।

 

ল-(লক্ষ):

লক্ষ কোটি চাই না টাকা

বড় হবার লক্ষ্য পাকা,

লাভ ক্ষতিকে নেই পরোয়া-

আছে দূরের স্বপ্ন আঁকা।

 

শ-(শহীদ):

শহীদ হলে হাসি মুখে

পরকালে থাকবে সুখে,

শাহাদাতের মরণ ভালো

পথ ছেড়ো না কষ্ট দুঃখে।

 

ষ-(ষড়ঋতু):

ষড়ঋতুর রঙের তুলি

মনের দুচোখ দেয়যে খুলি,

কদম কেয়ার আলিঙ্গনে-

পাতা ঝরার কষ্ট ভুলি।

 

স-(সত্য):

সত্য কথা বলতে হবে

সরল পথে চলতে হবে,

হতে হবে সবুজ পাখি-

স্বপ্ন জাগাও অনুভবে।

 

হ-(হাদীস):

হাদীস পড়ো কোরান শেষে

সুবাস ভরো মনের দেশে,

হক্ব হালালে জীবন গড়ো

দুদিনের ঐ পথিক বেশে।

 

ড়-(ঝড়):

ঝড় তুফানে ভয় পেয়ো না

কারো কাছে ঋণ চেয়ো না,

মুখর হবে জীবন তোমার

আঁধার পথে আর যেয়ো না।

 

ঢ়-(আষাঢ়):

আষাঢ় মাসে মেঘের খামে

পাতায় ফুলে বৃষ্টি নামে,

দৃষ্টি বাড়ায় কদম কেয়া

চমকে যেন সৃষ্টি থামে।

 

য়-(ক্ষয়):

ক্ষয় হয়ে যায় পাথর মাটি

বুকটা করো শীতল পাটি,

ক্ষমা করাে উদারভাবে-

ইমানটা হোক নিরেট খাঁটি।

 

ৎ-(সৎ):

সৎ মানুষের মহৎ কাজে

নতুন করে জীবন সাজে,

সৎ পথে হোক লেনাদেনা

হঠাৎ দূরের সানাই বাজে।

 

#ং-(সংখ্যা):

সংখ্যা দিয়ে অংক কসি

রংধনুতে রং এর রশি,

বাংলা আমার ভালোবাসা

রং দিয়ে তার আঁকতে বসি।

 

#ঃ-(দুঃখ):

দুঃখ ব্যথায় অটল থাকি

নতুন দিনের স্বপ্ন আঁকি,

নিঃস্ব জনের দুঃখ মুছে

নতুন পথে চলতে ডাকি।

 

#ঁ-(চাঁদ):

চাঁদ উঠেছে ফুল ফুটেছে

রবের নামে শির লুটেছে,

কাঁদামাটির পুতুল ফেলে

খুঁজতে তাঁকে মন ছুটেছে।

বর্ণমালা, বর্ণমালা, বর্ণমালা, বর্ণমালা, বর্ণমালা, বর্ণমালা, 

২৭সেপ্টেম্বর-২০১৮

নরসিংদী।

(পরিমার্জন: ২৯-৩০/৯/১৮)

Leave a Reply