You are currently viewing বাংলা কবিতা পরাধীনতার গ্লানি ও স্মৃতি মাখা গাঁয় – নার্গিস নাহার রুনু
স্বাধীনতার কবিতা

বাংলা কবিতা পরাধীনতার গ্লানি ও স্মৃতি মাখা গাঁয় – নার্গিস নাহার রুনু

পৃথিবীর প্রতিটি প্রণীই স্বাধীন ভাবে বাঁচতে চায় । আমি বা আপনি কেহই চাইবে না পরাধীনতার গ্লাণি নিয়ে বেঁচে থাকতে। পরাধীনতার গ্লাণি কোন সুখ আনতে পারে না বরং বয়ে আনে দু:খ। তাই তো কবি নার্গিস নাহার রুনু তার বাংলা কবিতা ‘’ পরাধীনতার গ্লানি’’ কবিতায় লিখেছেন যারা পরাধীন থাকেন তারা কখনো শির উঁচু করে দাড়াতে পারেন না । পড়ে নেয়া যাক বাংলা কবিতা ’’পরাধীনতার গ্লানি’’

পরাধীনতার গ্লানি

নার্গিস নাহার রুনু

 

স্বাধীনতা হীনতায় বাঁচা বড়ো দায়

অসীম আকাশে মন উড়ে যেতে চায়।

অধীনতা মানে পায়ে শিকলটা বাঁধা,

গলা ছেড়ে হয় নাকো সুর তাল সাধা।

পরাধীন জীবনেতে নেই কোন সুখ,

পরাধীনতার গ্লানি বয়ে আনে দুখ।

অধীনতা মানে থাকা অপরের দাস

তিলে তিলে ক্ষয় হয়ে জীবনটা নাশ।

পরাধীন জাতি যারা বোঝে জ্বালা কত,

শোষণের যাঁতাকলে পড়ে বুক ক্ষত।

দাঁড়াতে পারে না তারা শির উঁচু করে,

অত্যাচার নিপীড়নে চোখে জল ঝরে।

দেয়ালে ঠেকলে পিঠ পেতে চায় মুক্তি

স্বাধীনতা ঝিনুকের বুক মাঝে শুক্তি।

জীবনটা বাজী ধরে স্বাধীনতা পেতে,

শিকল ভাঙার গানে রক্ত রঙে মেতে।

স্বাধীনতা আসে যবে ঝরে তাজা প্রাণ

অধীনতা ঘুঁচে বহে ফুলের সুঘ্রাণ।

স্বাধীনতা মানে মুক্ত পরিপাটি দেশ

বিহঙ্গের মতো উড়া আগ্রাসন শেষ।

আরও পড়তে পারেন–সকলের খুবই প্রয়োজনীয় ২০০টি Most useful website Link

পল্লী গ্রামের স্মৃতি নিয়ে কবি লিখেছেন, আমার গাঁয়ের ধূলিকণা , লেগে আছে গায়, গাছে গাছে পাখির বাসা; মাথাল মাথায় চলে চাষা ; ভোলা কি আর যায়?

স্মৃতি
আমাদের গ্রাম

স্মৃতি নিয়ে কবিতা । স্মৃতি মাখা গাঁয়

নার্গিস নাহার রুনু

 

হয়নি যাওয়া বেশ কিছুদিন

ছেলেবেলার গাঁয়,

মায়ের কথা পড়ে মনে

মা ঘুমিয়ে আছে বনে

দেখতে যে মন চায়।

মায়ের কবর দেখার তরে

বিষন্ন যে মন,

কোথায় গেলি খোকাখুকি

আরুশ,ইনান, শেজা, সুখি

শোন রে তোরা শোন।

আজকে যাবো বাবার বাড়ি

সেথায় আছে ভাই,

নৌকা বাঁধা আছে ঘাটে

সূর্য্যি মামা যাচ্ছে পাটে

বেলা যে আর নাই।

গাঁয়ের মেঠো পথের ধারে

ফোটে বুনো ফুল,

ঘুম ভেঙে যায় পাখির ডাকে

রোদের ঝিলিক পাতার ফাঁকে

হয় না যে তার তুল।

রাতে সেথায় জোনাক জ্বলে

শিয়ালমামার হাঁক,

নৌকা চলে পাল উড়িয়ে

দেখে পরাণ যায় জুড়িয়ে

কপোতাক্ষের বাঁক।

আমার গাঁয়ের ধূলিকণা

লেগে আছে গায়,

গাছে গাছে পাখির বাসা

মাথাল মাথায় চলে চাষা

ভোলা কি আর যায়?

ছিলো অনেক খেলার সাথী

মনের মিতা সই

ব্যস্ত এখন যে যার কাজে

হয়েছে ক্ষত বুকের মাঝে

কারে বলো কই!

স্মৃতির ভারে মন উচাটন

দেখতে কি পায় কেউ,

যাঁরা ছিলো হৃদয় জুড়ে

তাঁরা এখন অচিন পুরে

বুকে ব্যথার ঢেউ।

আয় যাবি আয় আনন্দেতে

থাকবি কয়েকদিন,

ডুব সাঁতারে কাটবে বেলা

সকাল বিকাল করবি খেলা

তাক ধিনা ধিন ধিন।