আধ্যাত্বিক কবিতা – ‘আত্মা’ পঁচনের সূচনা
ছড়িয়ে পড়ুক সত্য আর মুক্তির দাবানল,
ভষ্মিত করুক আমাকে, আমার অন্তরাত্মাকে।
আজন্ম লালিত,পুষিত কিংবা সদ্য প্রবেশিত মিথ্যার প্রহেলিকা জ্বলুক;
দাবানলের এক চিলতে বহ্নিতে।
আমাতেই হয়েছিলো ‘আত্মা’ পঁচনের সূচন!
রচনা করেছিলাম রক্তশূন্য ‘আত্মার’ সাতকাহন।
মরিচীকার প্রহেলিকায় চোখ ধাঁধিয়ে,
কানামাছি খেলা খেলে;
‘পঁচা আত্মার’ রাজ তৈরি করেছিলাম এখানের জমিনে।
তাই মানবাত্মা পঁচনের গন্ধে দূষিত হয়েছে বাতাস,
নিশ্বাসে নিশ্বাসে আজ বিশ্বাসঘাতকতার বাস।
পবিত্র অপবিত্র বলে এখানে কিছু নেই,
সব এক একাকার, নিটল বিশ্বাসে আজ কুফরির দাগ।
রক্তের ফোটায় ফোটায় সমস্ত ‘পঁচা’ আত্মা খেলা করে,
আমার হাতেই তাদের জীবন অংকুর গজেয়েছিলো বলে।
সময়ের ধারালো পাশে প্রচন্ড এক হোঁচট খেয়েছি,
আবছা আলোয় বুঝতে পেরেছি;
আত্মার জাগরণেই হবে হয়তো মুক্তি।
কিন্তু আমার আত্মায় কবেই বিশ্বাসঘাতকতা ঢেলেছি!
গলা টিপে হত্যা করেছি কত আত্মার দাবানল।
সময়ের অন্তিমে কি করে করবো আত্মাগুলোয় শুদ্ধতা দান?
তাই সময়ের দাবী এখন…
খুবই প্রয়োজন এ বিশ্বাসঘাতক আত্মার শিহরিত মরণ।
বাংলা কবিতা- অশুদ্ধ হাহাকার
হৃদয় নামক মাংসপিণ্ড আছেনা!!
ওখানে খুব যন্ত্রনা হয়।
যন্ত্রনারা সারাক্ষণ নিস্পেশিত করে,
বেদনার আকাশ হরহামেশাই কাঁদে রাতের গহীনে।
জানি শুদ্ধ বিপ্লবের দরকার…
হৃদয়ে কেন এত অশুদ্ধ হাহাকার??
হামেশাই তপ্ততার ঘরে অবস্থান হোক দৃঢ়।
হিংসা,বিবাদ আর অবহেলার বিন্দু পেরিয়ে
উদার আকাশ আমার চাই।
উদার আকাশ চাইলেই পাওয়া যায়??
উদারতাকে ঠায় দেবার জন্য উদার হৃদয় থাকা চাই!!
সংকীর্ণ আর অমানুষীর পাথর সরিয়ে..
‘মানুষ’ হতে হবে এবার।
আর কত আলুথালু স্বপ্নে ঘুম যাবো??
‘সময়’ ডাকে অতি বিনয়ের সাথে,
অন্তরাত্মা পূর্ণ করতে হবে আবে জমজমে।
রক্তের ফোটায় ফোটায় হোক আরেকবার বিপ্লব!
আমার ‘মানুষ ‘ হওয়াতেই হয়তো এখানে হবে শান্তির সয়লাব।
তবে তাই হোক!
নতুবা নেমে আসুক চিরঘুম…
চলে যাই পথের মধ্যখান হতে।
এ অযাচিত অবস্থানে যন্ত্রনা শুধু বেড়েই চলে,
বেদনার আকাশে অনবরত তারা ঝরে পড়ে।
তবে কেন ‘মানুষ’ হওয়া কিংবা প্রস্থানে কষ্ট লাগে??
আরও পড়ুন- বাংলা কবিতা –নারী কবিতা। মানুষ নই, আমি নারী। অভিশপ্ত সুশীল। অপয়া তুই
ভালোবাসার কবিতা- না বলা কবিতা, না বলা প্রেম
নিথর শব্দগুলো যদি আজ চঞ্চল হয়!
ভাষাহীন বর্ণগুলো যদি প্রেমের বর্ণতা পায়।
তবে তুমি কি আরেকবার কবি হতে চাইইবেনা??
আচ্ছা আমি যদি সন্ধ্যা প্রহরের সন্ধ্যারতি সিতারা হই??
তুমি কি সেই পথিক হবে না???
যে প্রতিটা মুহূর্তের জমানো অনুভুতিগুলো
গোধূলির শেষ প্রহরে কোন এক বিজন মরুতে গিয়ে শুধু তাকেই বলে!!!
যদি রাতের গভীরতা হই!!
নিশ্চয়ই তুমি ঘুম জড়ানো চোখে,
শিশিরের নোলক হাতে…
কুয়াশার চাদরে আমায় জড়াবে।
আমি তোমার মনের কোলাহল হবো,
ঐ হৃদয়ের হৃদঘন্টার ঘন্টিবাধক হবো।
তোমার না বলা কবিতা, না বলা প্রেমের প্রকাশ হবো।
তোমার পাজঁরের ধুকপুকানিতে ঘুম যাবো।
আমি যদি তোমার কষ্টের শিতল পরশ হই!!
হতাশার সমস্ত কালো রঙ মুছে ফেলতে পারবে?
যদি মুঠো মুঠো আশার আলো দেই!
প্রদ্বীপ্ত পথে ভালোবাসার একগুচ্ছ ফুল নিয়ে চলতে পারবে???
তাহলে সেই পথিক হইয়ো!
সিতারা তোমায় আলো দিয়ে যাবে।
বাংলা কবিতা – চলো রঙিন হই – প্রত্যয়ে দৃঢ়তা
শুদ্ধ মানুষ হবার গল্প জানিনা,
কিভাবে শুদ্ধ হব তাও জানি অল্প!
তবে মনের মরমে ইচ্ছা প্রচন্ড।
শুদ্ধ হবো, শুদ্ধ করবো সমাজ এ প্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত।
তুমি কি জানো??
তোমার মধ্যেও আছে পবিত্রতার মহাসমূদ্র!
সেই সমূদ্রের খানিক আগে শুধু ময়লার স্তুপ যৎসামান্য।
তুমি যদি তোল ঝড় হৃদ গগনে,
ধুলো, ময়লা যত অপবিত্রতা যাবে নিমিষেই উবে!
এ ঝড়ের তীব্রতাই শান্তি বয়ে আনবে তোমার চারপাশের জগতে।
আমরা জীবনকে রাঙাতে এসেছি এ ভবে,
আল্লাহর অমোঘ অমলীন রঙে।
যে সে পারেনা সেই রঙ মাখতে রুহানে!
আমরা পেয়েছি সুযোগ অসীম রহমত
চলো রঙিন হই সমস্ত লালসা রেখে পদতলে।
আর যে অবহেলার সময় নেই!
বেলা বয়ে যায়! এই বুঝি এলো এ বেধোরক জীবনের অন্তিমতা।
এখনই সময় শক্ত করবার ঈমানের সিলসিলা
বাংলা কবিতা – জীবন মৃত্যুর মাঝে খেলতে চাই!
জীবন মৃত্যুর মাঝে খেলতে চাই!
পায়ে পা রেখে…।
চোখের ভাষা হোক স্বচ্ছ,
খুলে পড়ুক রক্ত মুখোশ।
তিক্ত বেদনায় বিন্দু ফোটার জল.
বিশ্বাসের সুতোয় পড়েছে যে টান।
অন্য আকাশের ধ্রুব তারায় মুগ্ধ হওয়া যায়,
সুখের লোভে ওঠা যায় পাহাড় চূড়ায়।
কিন্তু এখানের আকাশে বৃষ্টি কান্না..!
দেখানো যায়না, অস্পষ্টতায় বিদ্যমান ধূসরতা।
সময়ের তিক্ত হাসি মজেছিলো মধুরতায়,
এখন নিত্য শেষ হওয়া সময় পাঁজরে গুতায়।
তাই অবস্থান শেষ পৃষ্ঠার রিক্ততায়।
খাদিজা ইয়াসমিন এর আধ্যাত্বিক প্রেমের ৫টি বাংলা কবিতা
কবিতা , Kobita, Bangla kobita, ভালোবাসার কবিতা ,