অবশেষে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী রাজধানীতে সভা সমাবেশের অনুমতি পেয়েছে। তবে জামায়াতের নির্ধারিত স্থান বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে নয়, রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জামায়াতে ইসলামীকে সমাবেশের অনুমতি দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
আগামীকাল শনিবার (১০ জুন) ছুটর দিন দুপুর ২টায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে সমাবেশ করবে জামায়াত। শুক্রবার (৯ জুন) রাতে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তরের প্রচার সম্পাদক মু.আতাউর রহমান সরকার।
এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ধানমণ্ডিতে এক অনুষ্ঠানে এ বিষয়ে কথা বলেন ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক। তিনি বলেন, জামায়াত সমাবেশের অনুমতি পাবে কিনা সে বিষয় সিদ্ধান্ত রাতে কিংবা সকালের মধ্যে জানানো হবে।
ধানমন্ডি লেকের রবীন্দ্র সরোবরে বাংলাদেশ পুলিশের সন্ত্রাস দমন ও আন্তর্জাতিক অপরাধ প্রতিরোধ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের নির্মিত সন্ত্রাসবাদ ও উগ্রবাদ বিরোধী জনসচেতনতা মূলক পথনাটক ‘মুখোশ’ প্রদর্শনী দেখা শেষে সাংবাদিকদের কথা বলেন ডিএমপি কমিশনার।
এদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে ডিএমপির এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, জামায়াতকে রমনায় সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে অবশ্যই তাদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করতে হবে। কোনো ধরনের নাশকতা বা বিশৃঙ্খলা করলেই কঠোর ব্যবস্থা নেবে পুলিশ।
এর আগে গত ৫ জুন সমাবেশ করতে চেয়ে আবেদন করেছিল জামায়াত। কিন্তু কর্মদিবস থাকায় ডিএমপির পক্ষ থেকে সাড়া মেলেনি। এরপর নতুন তারিখ ঘোষণা করে জামায়াতে ইসলামী। এছাড়া ১০ জুনের কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে কর্মীদের ৬ দফা নির্দেশনাও দিয়েছে দলটি।
সূত্র: বাংলা ভিষন
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর দাবিসমূহ
আগামীকাল ১০ জুন সমাবেশ উপলক্ষে ঢাকা মহানগরীর নির্দেশনা :
১। সমাবেশ হবে শান্তিপূর্ণ ও উৎসব মুখর।
২। সমাবেশে আসা যাওয়ার পথে কারো কোন উস্কানিতে কান দেয়া যাবেনা। সকল উস্কানি এড়িয়ে যেতে হবে।
৩। সকল প্রকার অপতৎপরতার ব্যাপারে চোখ কান খোলা রেখে সতর্ক থাকতে হবে।
৪। কোন অপতৎপরতা চোখে পড়লে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলকে তাতক্ষনিক জানাতে হবে।
৫। নিজেরা কোন অপতৎপরতা প্রতিহত করতে যাবেনা।
৬। সমাবেশে শুধুমাত্র ঢাকা মহানগরীর জনশক্তিরাই উপস্থিত থাকবে।
৭। আমাদের চুড়ান্ত লক্ষ্য আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন। তাই সফলতার জন্য আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইতে হবে।