You are currently viewing প্রতিবাদ হিসেবে ‘বয়কট’ কেমন কর্মসূচি এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক আলাপ
বয়কট মানে কি

প্রতিবাদ হিসেবে ‘বয়কট’ কেমন কর্মসূচি এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক আলাপ

বয়কট মানে কি

বয়কট’ শব্দটা সামনে আসলেই অনেকে নাক সিটকান, হাসিঠাট্টা করেন। বয়কটের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ ও অহিংস আন্দোলনকারীদের তারা খুব বোকা ঠাওরান বোধহয়। এই ব্যাপারটা একাত্তর টিভিকে বয়কটের সময়ও খেয়াল করেছিলাম। তো, যারা এই বয়কটের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ ও আন্দোলনের বিরোধিতা করেন তাদের বক্তব্যটা কী আসলে? আসলে এদের কোনো প্রকাশ্য বক্তব্য নাই। যা আছে তা অব্যক্ত। ব্যক্ত যেটুকু করে তা অধিকাংশ সময়ই গণবিরোধী, ধর্মবিরোধী। বয়কট মানে কি

এ মুহূর্তে মুসলিম দেশগুলো বয়কট করছে ভারতীয় পণ্য। বাংলাদেশ এখনও তা শুরু করেনি। কিন্তু সেই মহলটা, যারা বয়কটে নাক সিটকান তারা আবার সরব হয়েছেন। ভারতীয় পণ্য বয়কট করে নবী অবমাননার প্রতিবাদ করলে এদের ক্ষতিটা কী, তা অস্পষ্ট। ভারতের জন্য তাদের এই অতিভক্তির কারণ কী? যে আবেগ থেকে একাত্তর টিভি বয়কটের বিরোধিতা করেছিলো এরা, এখনও কি সেই একই আবেগ কাজ করছে এদের!

অথচ নবী মুহম্মদকে (সা.) কটূক্তিকারীর বিরুদ্ধে খোদ ভারত সরকারই ব্যবস্থা নিয়েছে। নিশ্চয়ই ভারতের শান্তিপ্রিয় জনগণও নবী মুহম্মদকে (সা.) অবমাননা করে বক্তব্য দেয়ায় ব্যথিত হয়েছেন। ফলে প্রতিবাদটা খোদ ভারতেও হয়েছে, হচ্ছে। আর এই যে ‘বয়কট’– যা এখন মধ্যপ্রাচ্যসহ মুসলিম দেশগুলোতে চলছে, তা ভারতসহ অপরাপর দেশগুলোকে একটা শক্ত বার্তা দিয়ে রাখার কাজটা করবে। পৃথিবীর কোনো ধর্মেরই, কোনো মহামানবেরই অবমাননা কাম্য নয়। মহামানবেরা সর্বকালের, সব ধর্ম-বর্ণের মানুষেরই পরম আপনজন। এঁদের কটূক্তি করলে, অবমাননা করলে– তা কারুর পক্ষেই কল্যাণকর হয় না। কাউকে, কোনো গোষ্ঠীকে আঘাত দিয়ে, বিক্ষুব্ধ করে– শান্তিশৃঙ্খলা ও সহাবস্থান বজায় রাখা কঠিন। এই ব্যাপারটাও উপলব্ধ হতে পারে এই বয়কটের মাধ্যমে।


যে বয়কট এখন ভারতের বিরুদ্ধে হচ্ছে, তা একদা ভারতীয়রাই আমদানি করেছিল। তখন অবশ্য আমাদেরও কোনো আলাদা অস্তিত্ব ছিলো না। তো, বঙ্গ-ব্যবচ্ছেদের বিরুদ্ধে একটা শক্তিশালী অস্ত্র হিশেবে প্রমাণিত হয়েছিল এই ‘বয়কট’। বয়কটের ফলে এক বছরেই বিলাতি সুতিবস্ত্র আমদানি এক তৃতীয়াংশ হ্রাস পেয়েছিলো। এটাই ইতিহাস।

২.

ভারত আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র, সন্দেহ নেই। কিন্তু তাদের আগ্রাসনের প্রতিবাদ করবেন না কেন? কেন সীমান্তে হত্যার প্রতিবাদ করবেন না? ফারাক্কা, তিস্তাসহ নানান বৈষম্য নিয়ে কেন কথা বলবেন না? আরও অনেক বিষয় আছে, যেগুলো তাদের বন্ধুসুলভ আচরণের প্রমাণ বহন করে না। তথাপি নতজানু পররাষ্ট্রনীতি আমাদের। তো, এতো এতো বিষয়ের মধ্যে আমাদের এই দেশটাও হয়ে আছে তাদের পণ্যের মার্কেট। আমাদের শিল্প-বাণিজ্য ধ্বংসের মুখোমুখি। আমাদের উৎপাদন-চাহিদা-যোগান সবই যদি ভারতীয় পণ্যে হবে; তাহলে আমাদের কৃষি-শিল্প-বাণিজ্য দাঁড়াবে কি করে! সব কিছুর মূল্যবৃদ্ধির তো একটা ন্যাচারাল কারণও আছে! শুধু এখানে-ওখানে কে কী মজুদ করে রাখছে, সেসব দেখিয়ে সাময়িকভাবে জনগণের চোখে ধুলা দিলেই তো আর সমস্যার সমাধান হবে না।

এদিকে সারের দাম, বীজের দাম, কৃষিজ উপকরণের দাম বেশি থাকায় উৎপাদিত ফসলাদি এবং অন্যান্য পণ্যও আশানুরূপ মূল্যে বিক্রি করতে পারছে না কৃষকেরা। তদুপরি, বর্ষা ঋতুতেও নষ্ট হচ্ছে ফসল। দিনদিন চাষবাসের আগ্রহ হারাচ্ছেন কৃষকেরা। আগ্রহটা চূড়ান্তভাবে পড়ে যাচ্ছে, যখন তারা বাজারে বেচতে গিয়েও ন্যায্য দামটা না পান। ওদিকে চালের দাম লাগামছাড়া। এইভাবে সবকিছুরই তো দাম ক্রমবর্ধমান। মনে পড়ে, কেয়ারটেকার আমলে আ’লীগের লোকেরা একটা শ্লোগান দিতো এরকম: “চালের কেজি উনিশ-বিশ/ আর করিস না ধানের শিষ।” যদিও বিএনপি-জামায়াত আমলে চালের কেজি দশ/বারো/পনের টাকা করে ছিলো। উনিশ/বিশ হয়েছিলো কেয়ারটেকার আমলে। তা আর কখনোই কমে নাই। বাড়তে বাড়তে এখন তো সত্তর টাকায় দাঁড়ালো।


বলা হচ্ছে, বাংলাদেশের অবস্থা কখনোই শ্রীলঙ্কার মতো হবে না। কারণ, বাংলাদেশ তার মেগা প্রজেক্টগুলোর সবটাই বিদেশি ঋণে করেনি। ঋণ নাকি খুব সামান্য অংশই করেছে। বাকি সব উন্নয়ন হয়েছে নিজেদের অর্থায়নে। বড় হাস্যকর এইসব কথাবার্তা। বাংলাদেশ কি ইউরোপ-আমেরিকা বা মধ্যপ্রাচ্যের কোনো দেশ বা ন্যূনতম মালয়েশিয়ার সমানও অর্থনৈতিক অবস্থাসম্পন্ন দেশ? জবাব হচ্ছে– না। এটা গরীবদের দেশ। যেখানে চালের দাম কম থাকলে মানুষেরা খেয়েদেয়ে চাষাবাদ করে, পরের জমিতে কাজ করেও কিছুটা স্বস্তি নিয়ে বাঁচতে পারে। যেকারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম নিয়ে এত কথা। আ’লীগ তো ক্ষমতায় এসছিলো দশ টাকায় চাল খাওয়াবার কথা বলেই, বিনামূল্যে সার দেবার কথা বলেই। তো, এখন কী হলো? এখন তারা বলছে, মাথাপিছু আয় বেড়েছে, দৈনিক ইনকাম বেড়েছে। হাস্যকর! যেন মাথাপিছু ব্যয়টা আর বাড়েনি। টিসিবির গাড়ির সামনে মানুষের ভিড়ের কথা, কাড়াকাড়ি, মারামারি এবং চলন্ত গাড়ি ধরে ঝুলে পড়ার কথা তো সবারই জানা। মানুষের নাভিশ্বাস আওয়ামী নেতৃত্বকে সামান্যতম স্পর্শ করলেও মাথাপিছু আয় বা দৈনিক ইনকাম ইত্যাদি নিয়ে এরকম কথা বলতে পারতো না। অবশ্য গণবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়লে এরকম আরও অনেক কথাবার্তাই বলা যায়। এই তো কিছুদিন আগেই তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বললেন, দেশে কোনো ভিক্ষুক নেই। জনগণের সঙ্গে এরচেয়ে উপহাস আর হয় না। ক’দিন পরপর শুনি এখানে-ওখানে সানুষজনকে বাড়িঘর দিচ্ছে সরকার। কিন্তু ফুটপাতে হাঁটলে আমরা কী দেখি! ভাগ্যবিড়ম্বিত মানুষের মিছিল যেন বাড়ছেই।

আরও পড়তে পারেন–transgender meaning ট্রান্সজেন্ডার সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

তো, ধরে নিলাম, ধনী রাষ্ট্র না হয়েও বিদেশি ঋণ সহায়তা ছাড়াই নিজস্ব অর্থায়নেই মেগা প্রকল্পগুলো হাতে নেয়া হয়েছে, উন্নয়ন সম্পন্ন করা হয়েছে, হচ্ছে। তাহলে উন্নয়নের পেছনে ঢালা এই বিপুল অংকের টাকা তো বাংলাদেশের মানুষের টাকাই, নাকি! প্রজেক্টগুলো খেয়াল করলে দেখা যায়, সবটাতেই বাজেট ক্রস করে দ্বিগুণ/তিনগুণ/চতুর্গুণ খরচ বেড়েছে। এবং দুর্নীতির বিষয় হরহামেশাই খবরে বেরুচ্ছে। একেকজন নেতা ফুলেফেঁপে যা তা হয়ে যাচ্ছেন। এসব কিভাবে সম্ভব? যেভাবে সম্ভব হয়েছে, তার হিশাব খুব সোজা। কয়েকটা বিষয় আমরা দেখতে পারি। যেমন :

এক.

আমাদের দেশ ভারতসহ ভিনদেশি পণ্যের লাগামহীন মার্কেটে পরিণত হওয়ায় নিজেদের পণ্য উৎপাদন ও বিক্রয়ের ক্ষেত্র সংকুচিত হয়েছে। নিজেদের পণ্যে নিজেদের প্রয়োজন মেটানো যাচ্ছে না। শিল্প উদ্যোক্তারা উৎপাদনের তাগিদও কম অনুভব করছেন। শুধু ভিনদেশি পণ্য যে বিক্রি হচ্ছে তা শুধু নয়, স্যাটেলাইট চ্যানেলের মাধ্যমে তাদের পণ্যের প্রচারও ব্যাপক হয়েছে এই দেশে। ওইসব চ্যানেলের কারণে বিশ্বায়নের সঙ্গে আমরা তাল মেলাবার চেষ্টা করতে পারলেও নিজেদের নাটক-সিনেমাও মার খেয়ে গেছে ইতোমধ্যে। আর আমরা বেঁচে আছি বিদেশি পণ্যে, যা আমাদের দেশ পর্যন্ত আসতে আসতে দাম দ্বিগুণ হয়ে গেছে। সেই দ্বিগুণ দামের উপর আমাদের সরকার আবার বসিয়ে দিয়েছে ভ্যাট! যে কোনো ব্রান্ডের কাপড়চোপড় কিনতে গেলেই আপনাকে ভ্যাট পরিশোধ করতে হবে। এই ভ্যাট কত পার্সেন্ট হারে নেয়া হয়?


এটা গেলো একটা দিক। তারপর খাবারের দোকানেও ভ্যাট আছে। মোবাইল কলেও ভ্যাট আছে। এইভাবে করেই তো উন্নয়নের কথিত ‘নিজস্ব অর্থ’টা জোগাড় করা হয়েছে বা হচ্ছে, নাকি! তাহলে দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়াটা তো স্বাভাবিক। এটা কি শুধু মজুদদারদেরই দোষ? অবস্থাটা এমন দাঁড়িয়েছে, আ’লীগ চাইলেও দাম আর কমাতে পারবে না হয়তো। তবে হ্যাঁ, একটা পথ আছে। সেটা হলো দেশীয় শিল্পোদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করা এবং বিদেশি পণ্য ধীরে ধীরে কমাতে থাকা। আমাদের শিল্পোদ্যোক্তারা আশ্বস্ত হতে পারলে, লাভবান হলে তারা বিনিয়োগ করবেন এবং তা বাড়াতে থাকবেন। বিশ্বমানের সব প্রোডাক্ট তো এখানে হতেই পারে। তাহলে কেন ভিনদেশি পণ্য এনে দ্বিগুণ দাম বাড়িয়ে তার উপর আবার ভ্যাট বসিয়ে দেশের জনগণকে পিষ্ট করবেন! কোনো একটা দিক অন্তত সামলান। তারপর নাহয় ‘নিজস্ব অর্থায়ন’এর গল্পটা আরও ভালো করে, গর্ব করে বলা যাবে।

দুই.

টানা ক্ষমতায় থাকার ফলে রাষ্ট্রের সব সুযোগ সুবিধা একচেটিয়া ভোগ করছে আ’লীগের লোকেরা। সরকারি সকল নিয়োগে তারা আছে। শিক্ষা-প্রশাসন, সবখানে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযোগ ছিলো, তারা আমাদের সমান অধিকার দিচ্ছে না। কিন্তু ইতিহাস দেখলে দেখা যাবে, তারা আমাদের শতভাগ বঞ্চিতও করেনি। কিছু খুদকুঁড়া তো তারা দিতো! তারা ছিলো আমাদের তৎকালের বৃহত্তর রাষ্ট্রের একটা অংশ। যাদেরকে আমরা জুলুমবাজ আখ্যায়িত করে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে স্বাধীন হয়েছি। বর্তমান আ’লীগের বৈষম্যমূলক আচরণ পাকিস্তানকেও হার মানিয়েছে। তারা শিক্ষা-প্রশাসনসহ সকল ক্ষেত্রে একশোভাগ নিয়োগ দিচ্ছে আ’লীগ থেকে। পাকিদের থেকে স্বাধীন হওয়া গেছে, কারণ তারা একটা দেশের আলাদা একটা ভূখণ্ডে বসবাস করতো। কিন্তু আ’লীগ তো আর দূরের পাকিস্তানি না, তারা বরং ঘরের পাকিস্তানি। এদের থেকেও স্বাধীন হতে হবে জনগণকে। যুদ্ধের উপায়টা ঠিক করতে হবে শুধু।

বলা হয়, বাংলাদেশ কখনোই শ্রীলঙ্কার মতো হবে না। মানে দেউলিয়া হবে না। ভাবখানা এমন, যেন দেউলিয়া হলেই কেবল দেশের মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দেউলিয়াত্বেরও কতগুলো স্টেপ আছে। শ্রীলঙ্কা হয়তো তলানিতে পৌঁছে গেছে, বাংলাদেশ পৌঁছায়নি। শাসকগোষ্ঠীর এটাই আনন্দ যে, বাংলাদেশ তলানিতে পৌঁছেনি; এখানে এখনও চালের কেজি পাঁচশো টাকা হয়নি!

তিন.

নদী দখল, ভূমি দখলে আ’লীগ এবং তাদের ছত্রছায়ায় আরও অনেকেই ভালো দৌড়ে আছেন। ফলে নদীগর্ভে অপরিকল্পিত কলকারখানা এবং অপরিকল্পিত নগরায়নে পরিবেশ দূষণ যেমন হচ্ছে, তেমনি দিনদিন অবাসযোগ্য হয়ে পড়ছে শহর, নগর। ইটভাটা তৈরি হচ্ছে অজস্র, পাহাড় কাটা হচ্ছে, গাছ নিধন করা হচ্ছে; ফলে পরিবেশ বিঘ্নিত হচ্ছে মারাত্মকভাবে। মাটির শ্রেণি পরিবর্তন করার খবরও পাওয়া যাচ্ছে হরহামেশা। আর ব্যবসার নামে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি ও দখলদারিত্বের জগতে তাদের একচেটিয়া আধিপত্য তো আছেই!

৩.

যাকগে, কথাটা শুরু করেছিলাম ‘বয়কট’ দিয়ে। দেশপ্রেমিক, ধর্মপ্রাণ মানুষের নাক সিকটাবার কোনো উপায় নেই। শায়েস্তা করার মোক্ষম অস্ত্র হতে পারে এই ‘বয়কট’! যে-ই অন্যায় করবে, তাকেই বয়কট করতে হবে। বেপরোয়া উন্নয়ন করে ঋণী হয়ে যেমন ভিনদেশের করদরাজ্য হওয়া যাবে না, তেমনি নিজেদের দেশকে ভিনদেশের পণ্যের মার্কেট হতে দিয়ে তাদের পেটের মধ্যে সেঁধিয়ে গিয়ে উপনিবেশী রাষ্ট্রের স্বাদও নেওয়া যাবে না। নানান উসিলায় বয়কট করতে হবে দেশের স্বার্থবিরোধী যে কাউকেই। নবী মুহম্মদ (সা.)কে কটূক্তিকারীদের আমরা বয়কট করবো। এতে আমাদের দুই লাভ।

এক. কটূক্তির প্রতিবাদ।

দুই. পণ্যের বাজারে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা, অথবা নিজেদের অবস্থান ঠিকঠাক রাখা, অন্যকে ভিড়তে না দেওয়া।

আসুন, আমরা বয়কটের চিন্তাকে শান দিই। বয়কট করি গণবিরোধীদের, যারা উন্নয়নের নাম ভাঙিয়ে জনগণের ভোটাধিকার হরণ করে পাকিস্তানের চেয়েও কঠিন স্বৈরতন্ত্র কায়েম করে রেখেছে। আসুন, সেইসব লুটেরাদের বয়কট করি, যারা আমাদের স্বাধীনতা লুট করে নিয়ে আওয়ামী উপনিবেশাধীন প্রজা বানিয়ে রেখেছে। এরাই এখনকার, এই একবিংশ শতাব্দীর নব্য ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি। এদের লক্ষ্য জোরপূর্বক ক্ষমতায় থাকা, এদের লক্ষ্য নিজেদের একচেটিয়া উন্নতি করা। হতে পারে এদের এই অপরিনামদর্শীতা বাংলাদেশকে ঠেলে দিচ্ছে একটি দুঃখজনক মন্বন্তরের দিকে। আসুন, তার আগেই আমরা সচেতন হই, জাগি, জেগে উঠি।

#পশ্চাৎশিরোনাম:

প্রতিবাদ হিশেবে ‘বয়কট’ কেমন কর্মসূচি এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক আলাপ

মোস্তফা মাহাথির

০৮/০৬/২০২২