You are currently viewing পৃথিবীর সবচেয়ে খারাপ মানুষ কে ভালো করার কৌশল
পৃথিবীর সবচেয়ে খারাপ মানুষ কে

পৃথিবীর সবচেয়ে খারাপ মানুষ কে ভালো করার কৌশল

পৃথিবীর সবচেয়ে খারাপ মানুষ কে

প্রত্যেক খারাপ মানুষের একটা ভালো মন আছে। পৃথিবীর সবচেয়ে খারাপ মানুষ কে ভালো মানুষে পরিবর্তন করতে চাইলে ঐ ভালো মনকে আগে চিনতে হবে এবং খারাপ মানুষটিকে ভালোবাসতে হবে। তার প্রিয় হতে হবে। এটা না করে যারা জোর করে, প্রহার করে ভালো বানাতে চান তারা বড়ই ভুল করেন । এতে খারাপ মানুষটি আরো খারাপ হয়, আবার এমনও অনেক আছেন যারা তাকে ঘৃণা করেন, খারাপ বলে দূরে ঠেলে দেন, ভৎসনা করেন তারা ক্রমশ খারাপ কাজটি বা গুনটি বা চরিত্রটিকে আপন করেন ভালোবাসেন । পাথর গলানোর অভিজ্ঞতা

একবার রমনা পার্কে কয়েকজন হিজড়ার সাথে আমার অনেক কথা হল। হিজরা শব্দটি সমাজে গালি/খারাপ শব্দের মত ব্যাবহার করা হয় । এটা ওদের কাছে সবচে দুঃখজনক ও কষ্টের লাগে যখন তাদের হিজড়া বলে ডাকা হয় বিদ্রুপ করা হয়। সেই হিজরাগণ আমাকে বলল ’এই ডাক শুনলে এখন তাদের আরো ভালো লাগে’। কারন শুনতে শুনতে অভ্যাস হয়ে গেছে।

আমি এটা বলতে চেয়েছি যে খারাপ লেকদের খারাপ বলে দূরে ঠেলে দিলে, তাদেরকে ঘৃণা করলে তারা কষ্ট পায় এবং ভালোর কিংবা আলোর ছোঁয়া না পেয়ে তারা খারাপ বা অন্ধকারকেই আপন করে নেয়। এর ফলে তারা আরো খারাপ হয়ে যায় এক সময় তাদের হৃদয়ে আর আলো থাকে না। ফলশ্রুতিতে তারা নিজেদের খারাপ বিশেষণেই গর্বিত মনে করে। তাদেরকে সেই খারাপ নামে ডাকলে তারা আরো আনন্দ পায়। সন্ত্রাকে সন্ত্রাস বললে সে নিজেকে গর্বিত মনে করে। যে মানুষ যে কাজ করে সেই কাজকে সে ভালোবাসে।

আরও পড়তে পারেন– দৃষ্টিভঙ্গি বদলান, সত্য জানুন :: ঘটনার আড়ালে যে ঘটনা

এ জন্য কাউকে ভালো করার ইচ্ছা করলে তার মনে আন্তরিক ভাবে প্রবেশ করতে হবে । প্রবেশের অনেক রাস্তা আছে না থাকলে তৈরি করে নিতে হবে। কখনও তাকে বুঝতে দেয়া যাবে না যে আপনি তাকে পরিবর্তন বা ভালো করতে চাচ্ছেন। তাকে ভুলেও প্রথম পর্যয়ে তার খারাপ কাজের কথা বলতে যাবেন না।

প্রথমেই বলেছি তার একটা ভালো মন আছে সেই মনের আন্তরিক প্রশংসা করুন। একটা মানুষের সব দিক খারপ থাকলেও তার কিছুনা কিছু দিক ভালো আছে। যেমন সে নিজেকে ভালোবাসে, তার চুলগুলো দেখতে সুন্দর, সে ভালো লিখতে পারে , সে দেখতে সুন্দর , তার কন্ঠ ভালো, সে নেশা বা ধুমপান করে না, তার চোখ সুন্দর কোন না কোনও ভালোর আন্তরিক প্রশংসা করুন। আবারও বলছি প্রশংসা সেটা অবশ্যই আন্তরিক। একটা শব্দও বাড়িয়ে বলা যাবে না। যা বলবেন ভালোবেসে বলবেন। সে আনন্দ পাবে ।

তার প্রিয় জিনিস নিয়ে আলোচনা করুন, নিজের কথা না বলে তার কথা মনোযোগ দিয়ে শুনুন , আগ্রহ প্রকাশ করুন; দেখবেন সে অল্পতেই আপনার প্রিয় হয়ে উঠেছে। সে আপনার ব্যাপারেও আগ্রহ দেখাবে আপনার কথাও শুনতে চাইবে, এভাবে কিছু দিন চলুক।হতে পারে সেও আপনা মত হতে চাইবে। এভাবেই সম্ভব খারাপ মানুষকে প্রকৃত ভাবে ভালো মানুষে পরিবর্তন করা।

বন্ধুত্বের ক্ষেত্রও একই কথা। কিন্তু আমরা স্বার্থবাদী মানুষের অপরকে নিয়ে ভাবার সময় ধৈর্য্য খুবই কম। পরে থাকি নিজের স্বার্থ নিয়ে। কিন্তু খারাপদের ঘৃণা করি , অভিশাপ দেই,  শুকুর বলতেও দ্বিধা করি না।

মানুষ তো আশরাফুল মাখলুকাত। আল্লাহর প্রিয়। মানুষ যতই খারাপ হোক সে অনুতপ্ত হয়ে ক্ষমা চাইলে আল্লাহ ক্ষমা করে দেন।

আরও পড়তে পারেন–এটা কোন ভালোবাসার প্রতিদান–অলানূর হোসাঈন

আমরা জানার চেষ্টা করি না একটা মানুষ খারাপ হল কেন? খারপ হওয়ার পিছনে কি এমন কারন থাকতে পারে। এজন্যই হাদিসে এসেছে সে জান্নাতে যেতে পারবে না যে মানুষকে ভালোবাসে না, যে মানুষকে ভালোবাসে না সে রাসূল (স) কে ভালোবাসে না , যে রাসূল (স) কে ভালোবাসে না সে আল্লাহকে ভালোবাসে না । আর যে আল্লাহকে ভালোবাসে না তার পরিণতি জাহান্নাম।

#আমি মূলত কিছু অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে চেয়েছিলাম। এখানে যে কথাগুলো বললাম বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে।

#পাথর গলানোর মত কিছু অভিজ্ঞতা ছিল।