You are currently viewing দূর্নীতি কি ? দূর্নীতির দাবানল কবিতা
দূর্নীতি কি ? দূর্নীতির দাবানল কবিতা

দূর্নীতি কি ? দূর্নীতির দাবানল কবিতা

দূর্নীতি কি ? দূর্নীতির দাবানল

……এ এন হোসাঈন

 

দূর্নীতি আমাকে করে দিল নিঃষ,

তোমাকেও বুঝিও তাই।

হৃদয়ের কান্না কেউ আর শোনে না,

জীবনের স্বপ্ন হয়ে গেল ছাই।

সনদের কপালে দিয়েছি আগুন,

তাহার মূল্য আজ কে দেবে?

দুঃখীনী মায়ের ছেলে অকালে মরে যায়,

তাহার দায় আজ কে নেবে?

যার আছে ক্ষমতা সে পায় মমতা,

এটাই বুঝি আজ হীন সত্য।

ফাঁসির মঞ্চে আজ মানবতা,

বিচারকের কলমে দেখি রক্ত।

ভদ্রতার আড়ালে শয়তানের মস্তক,

পরেছে মুখশ মহা সুশিলের।

বিশ্বাস ভঙ্গের হয় কি বিচার?

নীরবে কাঁদে হৃদয় মানুষের।

মেহনতি মানুষেরা রক্ত পানিকরে,

টাকা দেয় রাষ্ট্রীয় কোষাগারে।

উন্নতির নেই ছোঁয়া জনতার কপালে,

খেয়ে ফেলে রাক্ষুসী সরকারে।

মাতৃভুমি আজ বড় আসহায়,

না হলে সন্তানদের সাথে ছলনা!

দূর্নীতির বিষাক্ত কালো থাবায়,

জর্জরিত হয় হৃদয় পায় যাতনা।

ত্রিশ লক্ষ জীবিত লাশ কবর দেয়,

অবৈধ রাক্ষুসী সরকার।

কেউবা শেয়ারে নিঃষ হয়ে,

পথ বেছে নেয় আত্মহত্যার।

পদ্মার সাঁকো আজ শুধু মরিচিকা,

অর্থ লুটে নেয় মহা জোট শয়তান।

মানুষের স্বপ্ন জলে আজ ভেসে যায়,

থেমে যায় পদ্মার মহা কলোতান।

তিন হাজার কোটির হয়নি সুরাহা,

ব্যাংক লুটিয়া জনতার।

পঙ্গু হলে দেশ তবে ওদের শান্তি,

সর্বত্র চলে শুধু অবিচার।

দূর্নীতির বিষাক্ত কিট ছড়িয়ে পরেছে,

প্রতিটি পত্র পল্লবে।

প্রতিটি শাঁখায় বেঁধেছে বাসা,

বন্দী মানুষ কাঁদে নীরবে।

আদালত যেন আজ কসাই খানা,

রাক্ষসদের মিছিলে মুখরিত।

সত্য সেনানীদের বন্দী করে নেয়,

হাসিনার পাগলা কুকুর অবিরত।

দূর্নীতির বিষাক্ত ছোবলে বন্দী সাঈদী,

ফাঁসির কাষ্ঠে আজ দাড়িয়ে।

কসাই হাজারী আর শামিমদের গলে,

জাজেরা দেয় পুষ্প মাল্য পরিয়ে।

কসাই কাদের আর মোল্লা কাদের এক নয়,

জানে লক্ষ কোটি জনতা।

রাক্ষোসের রোশানলে ইসলামী সেনানী।

ফাঁসির মঞ্চে আজ মানবতা।

জনতার আমানত ভোট করে ডাকাতি,

সেজেছে নেতা আজ এলাকার।

অসহায় মানুষদের জোটে না খাবার,

পায়না একটু শান্তি সুবিচার।

সম্পদের পাহার গড়েছে মন্তী,

কালো বিড়াল ধরাপরে বস্তায়।

পথের পাড়ে আশ্রয়হীন বঞ্চিতরা,

মরে যায় ক্ষুদার যাতনায়।

সর্বচ্চ বিদ্যাপিঠে দেখ আজ,

দূনীতির মহা করাল গ্রাস।

ভর্তি বঞ্চিত মেধাবী অসহায়,

সূষ্টি করে শকুনিরা শর্তের ত্রাস।

খাবারে মিশ্রণ বিষাক্ত ক্যামিক্যাল,

অকালে শিশুরা ঝড়ে যায়।

মানুষের নীতি আজ বন্দী বনবাসে।

বাবা তার সন্তানকে জবাই দেয়।

নীতির আজ হল কি দূর্নীতির রাজত্ব,

রাজস্ব ফাঁকি দেয় জনগন।

পুটি হয় বোয়ল মাছ আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ,

পিছে নেই দূর্নীতি কমিশন।

যার কাছে বিচার চাই সেই করে অবিচার,

ঘুষ যেন পুলিশের ধর্ম।

বসতের অযোগ্য যেন দেশ জনপদ,

ভালোবেসে নেই কোনও কর্ম।

কোথায় আছ নওযোয়ান জেগে ওঠো হে হৃদয়।

যদি থাকে বুকে তোর ভালোবাসা।

দূর্নীতির ছয়লাবে দিওনা ঢেকে যেত,

মুছে ফেল দুঃখীনীর নিরাশা।

দেশ বড় ক্লান্ত হৃদয়ে রক্তক্ষরণ,

বুকে তার বয়ে গেছে বহু ঝড় ঝঞ্ঝা।

মৃত্যুর মুখো মুখি অধিকার হারা দুঃখী,

দূর্নীতির সাথে করে পাঞ্ঝ ।

দূর্নীতির শৃংঙ্খলে বন্দী জাতি মোরা ,

কবে উঠবে মুক্তির সূর্য্যদয়।

হে রহমান দয়া কর তুমি,

তুমি ছাড়া আজ মোরা বড় অসহায়।।

আরও পড়তে পারেন–৬৪ জেলার ট্যুরিস্ট স্পট । tourist spot in bangladesh