You are currently viewing তারেক রহমান এর জীবনী । Tarique Rahman
তারেক রহমানের ছবি

তারেক রহমান এর জীবনী । Tarique Rahman

তারেক রহমান প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, বীর উত্তম এবং বিএনপি চেয়ারপার্সন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার প্রথম সন্তান। তাঁর ডাক নাম পিনো। ১৯৬৫ সালের ২০ নভেম্বর তিনি বগুড়ায় জন্ম গ্রহণ করেন।

তারেক রহমান

তারেক রহমানের জন্ম ১৯৬৫ সালের ২০ নভেম্বর। তার পিতা জিয়াউর রহমান ছিলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও সাবেক রাষ্ট্রপতি এবং মাতা বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশের তিনবার নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী।

তারেক রহমান এর শিক্ষা জীবন

তারেক বাংলাদেশের সেরা দুই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান – ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজ হতে মাধ্যমিক ও নটরডেম কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিকে উত্তীর্ণ হন। ১৯৮৪ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগে ভর্তি হন পরে পরিবর্তন করে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে ভর্তি হয়েছিলেন। ১৯৮৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন তিনি। বর্তমানে তারেক রহমান লন্ডনের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে আইনশাস্ত্রে উচ্চতর পড়াশুনা করছেন।



রাজনীতি

রাজনীতি
তারেক রহমান ১৯৮৮ সালে বগুড়া জেলার গাবতলী উপজেলা বিএনপি’র প্রাথমিক সদস্য হওয়ার মাধ্যমে রাজনীতিতে তাঁর আনুষ্ঠানিক অভিষেক ঘটান। ১৯৯১ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে নির্বাচনী প্রচারণায় সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। বিএনপি বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন করলে তিনি দলের সাংগঠনিক কর্মকান্ডে যুক্ত হন।
তারেক রহমান ২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের তথ্য ও গবেষণা সেল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেন। সৃজনশীল পরিকল্পনায় দেশব্যাপী নির্বাচনী প্রচারণা চালান। নির্বাচনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট ২১৫টি আসন পেয়ে নির্বাচিত হয়ে ১০ অক্টোবর সরকার গঠন করে। ২০০২ সালে তারেক রহমান দলের স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিএনপির জেষ্ঠ্য যুগ্ম মহাসচিবের দায়িত্ব লাভ করেন।


২০০২ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত তিনি বিএনপিকে সারা দেশে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করার জন্য কার্যকর ও অভূতপূর্ব কর্মসূচী গ্রহণ করে আলোড়ন তৈরি করেন। সারাদেশে সংগঠিত করেন ‘তৃণমূল প্রতিনিধি’ সভা। বাংলাদেশের ইতিহাসে এমন কোন যুগান্তকারী কর্মসূচী অন্য কোন রাজনীতিবিদ করতে পারেননি। মূল সংগঠন সহ সহযোগী সংগঠন যেমন জাতীয়তাবাদী যুব দল, জাতীয়তাবাদী ছাত্র দল, জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল আয়োজিত মতবিনিময় সভায় অংশ নিয়ে তারেক রহমান কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন ও মাঠপর্যায়ের নেতৃবৃন্দের বক্তব্য ও মতামত গ্রহণ করেন। সারাদেশে ২৩টি এলাকায় উন্নয়ন প্রতিনিধি সভা করে বিএনপিকে সাংগঠনিকভাবে সুসংহত করেন। এসব সভায় দলের তৃণমূল নেতারা বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ দিলে তিনি এসব পরামর্শ সুপারিশ আকারে সরকারের বিবেচনার জন্য তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার হাতে তুলে দেন।
তিনি কর্মীদের ভোটে গঠন করেন বগুড়া বিএনপি কমিটি। কেন্দ্র থেকে কমিটি চাপিয়ে না দিয়ে তিনি শুরু করেন নিজ দলের ভিতর গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি।
এইভাবে তারেক রহমান শুধুমাত্র প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধানমন্ত্রীর সন্তানের পরিচিতি থেকে বেরিয়ে এসে দলের একজন দক্ষ সংগঠক ও সক্রিয় নেতা হিসেবে নিজের পরিচিতি তৈরি করেন।

তারেক রহমানের ছবি
তারেক রহমানের ছবি

তত্ত্বাবধায়ক সরকার কর্তৃক গ্রেপ্তার

রাজনৈতিক দলগুলোর ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের কারণে দেশে বিশৃঙ্খল অবস্থা সৃষ্টি হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ১১ জানুয়ারি, ২০০৭ তারিখে নিয়মতান্ত্রিক তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে অপসারণ করে সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হয় যার প্রধান ছিলেন ফখরুদ্দীন আহমদ এবং সেনাপ্রধান ছিলেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল (পরে জেনারেল হিসেবে অবসর নেন) মঈন উদ্দিন আহমেদ। ১২ জানুয়ারি উপদেষ্টা পরিষদ নাম্নী একটি মন্ত্রিসভা গঠিত হওয়ার পর সরকারের পক্ষ থেকে দেশের শীর্ষ রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ মামলা দায়ের করা হয়।] ৭ মার্চ, ২০০৭ তারিখে একটি দুর্নীতি মামলার আসামি হিসেবে তারেক রহমানকে তার ঢাকা ক্যান্টনমেন্টস্থ মইনুল রোডের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে আরও ১৩টি দুর্নীতির মামলা দায়ের করা হয় ও তাকে বিচারের সম্মুখীন করা হয়।



জেল জীবন
বুধবার, মার্চ ৭, ২০০৭ মধ্যরাতে তারেক রহমানকে সম্পূর্ণ সুস্থ ও স্বাভাবিক অবস্থায় তাঁর ঢাকা ক্যান্টমেন্টস্থ মইনুল রোডের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে তৎকালীন অবৈধ স্বঘোষিত সরকার। বাংলাদেশেকে ভবিষ্যতে নেতৃত্ব শূণ্য করতে বিদেশী ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে জেলে জিজ্ঞাসাবাদের নামে তারেক রহমানের উপর চালানো হয়েছিল অমানুষিক বর্বর শারিরিক ও মানুষিক নির্যাতন। তাঁর পায়ে, কোমরে এমন নির্যাতন করা হয় যে তিনি হাঁটতে পারছিলেন না।

তারেক রহমানের ছবি
তারেক রহমানের ছবি

আটকাবস্থায় শারীরিক নির্যাতনে

গ্রেপ্তারের কিছুদিন পর তারেককে আদালতে হাজির করা হলে তার শারীরিক অবস্থার অবনতির জন্য তার আইনজীবীরা আদালতে অভিযোগ করেন যে জিজ্ঞাসাবাদের সময়ে তারেক রহমানের উপর শারীরিক নির্যাতন চালানো হয়েছে। আদালতের নির্দেশে চিকিৎসকদের একটি দল পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর আদালতকে জানায় যে তারেক রহমানের উপর শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ যুক্তিযুক্ত। এই পর্যায়ে আদালত রিমান্ডে নেয়ার আদেশ শিথিল করে তা কমিয়ে ১ দিন ধার্য করেন ও জিজ্ঞাসাবাদকারীদের সাবধানতা অবলম্বনের আদেশ দেন। এরপর তাকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের পরিবর্তে ঢাকার শাহবাগস্থ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। ২৫ আগস্ট, ২০০৭ তারিখে খবর ছড়িয়ে পড়ে যে তারেক রহমান তার হাসপাতাল কক্ষে পা পিছলে পড়ে গিয়ে আহত হয়েছেন। এতে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ দেখা দেয়, বিশেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা কলেজ ও ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে

তারেক রহমানের ছবি
তারেক রহমানের ছবি

রিমান্ড ও তারেক রহমান



গ্রেফতারের পর মি. রহমানকে যেভাবে আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছিল, সেটি দেখে অনেকেই চমকে উঠেছিলেন। র‍্যাব-এর বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট এবং হেলমেট পরিয়ে ঢাকার একটি আদালতে তোলা হয়েছিল তাকে।।এরপর তারেক রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছিল। তারেক রহমান এবং বিএনপির তরফ থেকে এরপর অভিযোগ তোলা হয়েছিল যে রিমান্ডে তার উপর ‘অমানুষিক নির্যাতন’ চালানো হয়েছে। আদালতে দেয়া তারেক রহমানের বক্তব্যকে উদ্ধৃত করে ভারতের দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস পত্রিকা ২০০৮ সালের ১০ই জানুয়ারি লিখেছিল, “রিমান্ডের সময় আমাকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১৮ ঘণ্টাই হাত ও চোখ বেঁধে রাখা হয়েছিল … আমাকে বেঁধে রুমের ছাদের সাথে ঝুলিয়ে আবার ফেলে দেয়া হয় এবং শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়।”

কারাগারে থাকা অবস্থায় মি. রহমানের উপর নির্যাতনে অভিযোগ তখন বেশ জোরালোভাবে দলের পক্ষ থেকে তোলা হয়েছিল।

রাজনীতি থেকে তারেক রহমানের সাময়িক বিরতি?

মুক্তি পাওয়ার পর তারেক রহমান ২০০৮ সালের ১১ই সেপ্টেম্বর লন্ডনের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়েন পরিবারের সদস্যদেরকে সাথে নিয়ে।

আর ওই দিনই কারাগার থেকে মুক্তি পান খালেদা জিয়া। মুক্তি পাওয়ার কিছু সময়ের মধ্যেই চিকিৎসাধীন ছেলেকে দেখতে খালেদা জিয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে যান। প্রায় দুই ঘণ্টা ছেলের পাশে অবস্থান করেন তিনি। লন্ডন যাত্রার কয়েকঘণ্টা আগে তারেক রহমান দলের সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিবের পদ থেকে পদত্যাগ করার খবর বিভিন্ন গণমাধ্যমে বেরিয়েছিল। ঢাকায় বিবিসি বাংলার সংবাদদাতা কাদির কল্লোল বলেন, এ কথা ঠিক যে একটি রাজনৈতিক সমঝোতার মাধ্যমে তারেক রহমান বাংলাদেশ ছেড়ে গিয়েছিলেন। তারেক রহমান অন্তত তিন বছর রাজনীতি না করার শর্তে রাজীও হয়েছিলেন বলে তিনি উল্লেখ করেন।

তারেক রহমানের ছবি
তারেক রহমানের ছবি

মুক্তিলাভ

২০০৮ এর আগস্টে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মামলাগুলো আদালতে গতি লাভ করে। প্রায় আঠারো মাস কারান্তরীণ থাকার পর ৩ সেপ্টেম্বর, ২০০৮ তারিখে সবগুলো মামলায় তারেক রহমানের জামিন লাভ করেন ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মুক্তি লাভ করেন। তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগগুলো এই মুহূর্তে জাতীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়ে আছে। কোন কোন রাজনৈতিক বিশ্লেষক সন্দেহ পোষণ করেছেন তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ অনেকাংশেই রাজনৈতিক উদ্দেশ্য-প্রণোদিত।



তারেক রহমান এর জেল মুক্তি

সোমবার, আগস্ট ২৫, ২০০৭ খবর ছড়িয়ে পড়ে যে তারেক রহমান তার হাসপাতাল কক্ষে পা পিছলে পড়ে গিয়ে আহত হয়েছেন। এরপর এ খবরের সত্যতা নিয়ে সন্দেহ ও ধারণা সৃষ্টি হয় যে আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর নির্যাতনকে গোপন করার লক্ষ্যে এই খবর ছড়ানো হয়েছে। এতে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ দেখা দেয়, বিশেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা কলেজ ও ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।তারেক রহমানের মুক্তির দাবিতে চাপ বাড়তে থাকে। দেশ বিদেশের বিভিন্ন সংগঠন ও ব্যক্তিরা তারেককে মুক্তি দেয়ার দাবি জানান।
২০০৮ এর আগস্টে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মামলাগুলো আদালতে গতি লাভ করে। প্রায় আঠারো মাস ব্যাপী নিপীড়িত অবস্থায় কারান্তরীণ থাকার পর বুধবার, সেপ্টেম্বর ৩, ২০০৮ তারিখে সবগুলো মামলায় তারেক রহমানের জামিন সম্পন্ন হয় ও তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মুক্তি লাভ করেন।

তারেক রহমানের ছবি
তারেক রহমানের ছবি

তারেক রহমানের মুক্তি ও লন্ডন যাত্রা

আঠারো মাস কারাগারে থাকার পর ২০০৮ সালের ৩রা সেপ্টেম্বর তারেক রহমানকে মুক্তি দেয়া হয়। এ সময় তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এর আগে ১৩টি মামলায় জামিন পান তারেক রহমান।

ওই সময়ে বেশ জোর আলোচনা ছিল যে বিএনপিকে নির্বাচনে যাবার শর্ত হিসেবে খালেদা জিয়ার দুই ছেলেকে কারাগার থেকে মুক্তি দিয়ে বিদেশে যাওয়ার সুযোগ দেয়া হয়েছে।

জেল থেকে ছাড়া পেলেও তারেক রহমানের সঙ্গে গণমাধ্যমের কেউ সাক্ষাৎ করতে পারেনি।

অন্যদিকে, কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে খালেদা জিয়া ঘোষণা করেন যে বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে। তবে এক্ষেত্রে কিছু শর্ত দেয় বিএনপি।

তারেক রহমানের মুক্তির পরদিন বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টার এক প্রতিবেদনে জানায়, তারেক রহমানের মুক্তির বিষয়টি তার মা খালেদা জিয়া ও সরকারের মধ্যকার রাজনৈতিক সংলাপকে ত্বরান্বিত করবে।

মি. রহমানের মুক্তির পর ফিন্যান্সিয়াল টাইমস একটি রিপোর্ট করে, যাতে বলা হয় যে ডিসেম্বর মাসের নির্বাচনে খালেদা জিয়ার দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য সামরিক বাহিনী সমর্থিত সরকার তার বড় ছেলে তারেক রহমানকে মুক্তি দিয়েছে।

ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের ওই রিপোর্টে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক আতাউর রহমানকে উদ্ধৃত করে বলা হয়, “এটা উল্টো পথে যাত্রা। দুর্নীতির বিরুদ্ধে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের যে প্রতিশ্রুতি, তা ধ্বংস হয়ে গেল।”

তারেক রহমান ১২ বছর ধরে লন্ডনে অবস্থান করছেন। ইতোমধ্যে বাংলাদেশে একাধিক মামলায় তার সাজা হয়েছে। তবে এখন তিনি লন্ডন থেকেই দল পরিচালনা করছেন।

তিনি লন্ডনে যাওয়ার পর থেকে বিএনপির তরফ থেকে বারবারই বলা হচ্ছিল যে তিনি সেখানে চিকিৎসার জন্য অবস্থান করছেন।

তবে ২০১৮ সালের ২৪শে এপ্রিল বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রথমবারের মতো স্বীকার করেন যে ২০১২ সালে তারেক রহমান ব্রিটেনে রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করেছিলেন এবং এক বছরের মধ্যেই সেটি গৃহীত হয়েছে।


চিকিৎসা ও বিদেশে অবস্থান

১১ সেপ্টেম্বর, ২০০৮ তারিখে বিশেষ কারাগার থেকে বেগম খালেদা জিয়া মুক্তি পাওয়ার পর তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে পুত্র তারেক রহমানকে দেখতে যান। সেদিন রাতেই তারেক রহমান উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যের উদ্দেশ্যে রওনা হন। বর্তমানে লন্ডনের সাউথ ওয়েলিংটন হসপিটাল ও লন্ডন হসপিটালে তার চিকিৎসা চলছে এবং চিকিৎসার সুবিধার্থে তিনি সেন্ট্রাল লন্ডনের এডমন্টনে সপরিবারে বসবাস করছেন।

তারেক বিদেশে অবস্থান করায় তার বিরুদ্ধে করা মামলাগুলো বর্তমানে অমীমাংসিত অবস্থায় রয়েছে। সিঙ্গাপুরে অর্থপাচার মামলায় দুর্নীতি দমন কমিশনের একজন কর্মকর্তার করা আবেদনের প্রেক্ষিতে, ২০১৩ সালের মে মাসে ঢাকার একটি আদালত তারেক রহমানকে ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেফতারের পরোয়ানা জারি করে। এর প্রতিবাদে বিএনপি দেশের বিভিন্ন এলাকায় হরতালসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে।

Born: November 20, 1967 (age 56 years), Karachi, Pakistan

Party: Bangladesh Nationalist Party

Children: Zaima Rahman

Education: University of Dhaka, BAF Shaheen College Dhaka

Parents: Khaleda Zia, Ziaur Rahman

Grandparents: Taiyaba Majumder, Iskandar Majumder, Mansur Rahman, Jahanara Khatun

দাম্পত্য সঙ্গী ডা. জোবাইদা রহমান
সন্তান জাইমা রহমান (কন্যা)
পিতা-মাতা জিয়াউর রহমান (বাবা)
খালেদা জিয়া (মা)
আত্মীয় আরাফাত রহমান (ভাই)
মাহবুব আলী খান (শ্বশুর)
তৈয়বা মজুমদার (নানী)
খুরশীদ জাহান হক (খালা)
সাঈদ এস্কান্দার (মামা)
সাইফুল ইসলাম ডিউক (মামাতো ভাই)
শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিন (খালাতো ভাই)
ওয়েবসাইট www.tariquerahman.info



তারেক রহমান এর ব্যক্তিগত জীবন

তারেক রহমান সাবেক নৌবাহিনী প্রধান রিয়ার এডমিরাল মাহবুব আলী খানের কনিষ্ঠা কন্যা ডাঃ জোবায়দা রহমানকে বিয়ে করেন। জোবায়দা লন্ডনের ইমপেরিয়াল কলেজ থেকে চার বছরের মাস্টার্স অব কার্ডিওলজি কোর্স সম্পূর্ণ করেন। তিনি ডিস্টিংশনসহ শতকরা ৮৩ ভাগ নাম্বার পেয়ে উত্তীর্ণ হন। এই কোর্সে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (ইউই), কমনওয়েলথভুক্ত দেশ নাইজেরিয়া এবং চীনসহ মোট ৫৫টি দেশের ছাত্রছাত্রীর মধ্যে ডা. জোবায়দা রহমান সর্বোচ্চ নাম্বার পেয়ে প্রথম হয়েছেন।
তাঁদের একমাত্র সন্তান জাইমা রহমান লন্ডনে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিষয়ে পড়ছেন।

জাইমা রহমান

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নাতনী, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং ডা. জোবাইদা রহমানের একমাত্র কন্যা জাইমা রহমান বার অ্যাট-ল ডিগ্রি অর্জন করেছেন।

সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের বিখ্যাত প্রতিষ্ঠান ‘ইনার টেম্পল’ থেকে বার অ্যাট ল’ (লিঙ্কস ইন) করেন তিনি।

এর আগে তিনি লন্ডনের কুইন মেরি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। তারেক রহমান ও জোবাইদা রহমানের মাঝে জাইমা রহমানের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয় বুধবার। বিএনপির নেতাকর্মীরা জানান, জাইমা রহমানের ব্যারিস্টারি ডিগ্রি লাভ জিয়া পরিবার তথা জাতীয়তাবাদী পরিবারের জন্য অত্যন্ত খুশির খবর। তবে এমন এক সময় তার সাফল্যের খবর আসলো যখন দাদি বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ৬৬৫তম দিন অসুস্থ অবস্থায় কারাবন্দি। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আমি ব্যারিস্টার জাইমা রহমানকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি। একইসাথে তার উত্তোরত্তর সাফল্য-সমৃদ্ধি কামনা করছি

জানা গেছে, জিয়া পরিবারের আগামী উত্তরসূরি জাইমা রহমানের এই সাফল্যের জন্য বিএনপি ছাড়াও বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের প্রতিনিধিবৃন্দ তাকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানানো অব্যাহত রেখেছেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও ডা. জোবাইদা রহমানের একমাত্র কন্যা জাইমা রহমান ওয়ান ইলেভেনের পর থেকে বাবা-মা’র সঙ্গে লন্ডনে অবস্থান করছেন। দাদি খালেদা জিয়ার অনুপ্রেরণায় জাইমা রহমান আইনী পেশা বেছে নেন।



ফেসবুকে জিয়া পরিবারের ছবি পোস্ট করে বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল সহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। বিএনপির কেন্দ্রীয় একজন নেতা লিখেছেন ‘অভিনন্দন ব্যারিস্টার জাইমা রহমান। যাত্রা শুভ হোক। দাদা-দাদি ও বাবার মতো-জিয়া পরিবারের তৃতীয় প্রজন্মের আলোর দিশারী হয়ে নিশ্চয়ই একদিন কোটি কোটি মানুষকে পথ দেখাবেন। পথ হোক মসৃন ও কুসুমাস্তীর্ণ। রাব্বুল আলামিন দীর্ঘ ও নেক হায়াৎ দান করুক। আমিন।’ খালেদা জিয়ার বিশেষ সহকারি শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস তার স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ। এ হার্টলি কনগ্রেজুলেশস টু ব্যারিস্টার জাইমা রহমান। কনগ্রেজুলেশনস টু হার প্রাউড ফাদার দেশনায়েক তারেক রহমান এন্ড ডা. জোবাইদা রহমান, এ প্রমিনেন্ট কার্ডিওলোজিস্ট। তারেক জিয়া

ট্যাগ: খালেদা জিয়া তারেক রহমান জিয়াউর রহমান ছবি
তারেক রহমানের স্ত্রী
তারেক জিয়ার মোবাইল নাম্বার
জিয়াউর রহমান খালেদা জিয়া তারেক রহমান
তারেক জিয়া কত টাকার মালিক
তারেক জিয়ার ছবি ডাউনলোড
তারেক রহমানের বিয়ে
তারেক রহমান জুবাইদা রহমান

তারেক রহমানের ছবি

তারেক রহমানের ছবি
তারেক রহমানের ছবি
তারেক রহমানের ছবি
তারেক রহমানের ছবি
tarique rahman
tarique rahman
তারেক রহমানের ছবি
tarique rahman
tarique rahman
tarique rahman
তারেক রহমানের ছবি
তারেক রহমানের ছবি
তারেক রহমানের ছবি
তারেক রহমানের ছবি
তারেক রহমানের ছবি
তারেক রহমানের ছবি
তারেক রহমানের ছবি
তারেক রহমানের ছবি

তারেক রহমানের ছবি
তারেক রহমানের ছবি