সম্প্রতি ভারতের বিরুদ্ধে বাংলাদেশী ক্রিকেটার তানজিম হাসান সাকিব এর দারুণ নৈপূণ্যে ভারতপন্থী শাহাবাগীরা দারুণভাবে ব্যথিত ও মনক্ষুন্ন । তারা বাংলাদেশের সাফল্য কোন ভাবে মানতে পারছিলো না তাই তারা কৌশলে ক্রিকেটার তানজিম হাসান সাকিব এর বিরুদ্ধে নানা প্রপাগান্ডা চালাতে থাকে। নিচে সেই প্রেক্ষাপটে কবি আজিজ হাকিম একটি বিতর্ক রচনা করেছেন।
শাহাবাগী ও ক্রিকেটার তানজিম হাসান সাকিব
শাহবাগী: আপনে ক্রিকেটার হয়ে ইসলামি পোস্ট দেন কেন?
ক্রিকেটার: কারণ আমি তো মুসলমান। আমার পোস্ট তো ইসলামিই হবে৷
শাহবাগী: আপনি মুসলাম হোন ঠিকাছে, কিন্তু আপনি তো ক্রিকেটার। আপনি পোস্ট দিবেন- ফ্রি মিক্সিং নিয়ে, নাইটক্লাবের আড্ডা নিয়ে।
ক্রিকেটার: হ্যাঁ আমি তো সেটাই দিয়েছি। ফ্রি মিক্সিং মুসলমানের জন্য এলাও না৷ সেটাই তো বলেছি।
শাহবাগী: না, আমরা শাহবাগীরা বেঁচে থাকতে তা হতে দিবো না।
ক্রিকেটার: আমি কি নামাজ পড়ব না?
শাহাবাগী: ইচ্ছা৷ কিন্তু নামাজ পড়লেও আপনি যে নামাজ পড়েছেন সেটা বলতে পারবেন না। অর্থাৎ ইসলাম মানলেও তা প্রকাশ করতে পারবেন না।
ক্রিকেটার: প্রকাশ করলে আপনাদের সমস্যা কী?
শাহবাগী: আমাদের সমস্যা আছে। আমাদের চেতনা জাগ্রত হয়ে যায়৷
ক্রিকেটার: বাংলাদেশ মুসলিম দেশ৷ অমুসলিমদেশেও তো এমন রেস্ট্রিকশন নেই৷
শাহবাগী: কারণ অন্যদেশে আমাদের মত শাহাবাগী নেই৷ থাকলে অবশ্যই রেস্ট্রিকশন থাকতো৷
ক্রিকেটার: আচ্ছা হলি উৎসবে গেলে সেটার ছবি দিতে পারবো?
শাহাবাগী: হ্যাঁ। (খুশি হয়ে)
ক্রিকেটার: ভাইফোটা অনুষ্ঠান করলে?
শাহবাগী: হ্যাঁ। এইতো লাইনে চলে আসছেন৷ অবশ্যই। আমরা এসবই তো চাই।
ক্রিকেটার: কিন্তু এগুলোও তো ধর্মীয় উৎসব! এগুলোতে বাধা নেই?
শাহবাগী: ও বুঝেছি৷ আপনি সাম্প্রদায়িক। আপনি ব্লা ব্লা ব্লা৷
ক্রিকেটার: দুঃখিত! আমি মানতে পারলাম না৷ আমি মুসলিম, আমার ব্যক্তি স্বাধীনতা আছে৷ আপনারা যা পারেন করেন৷ আমি যেটা পালন করি, সেটা সবাইকে বলি এবং বলব।
শাহবাগী: আমরা কিন্তু মাঠে নেমে যাবো। শাহবাগের মাঠে।
ক্রিকেটার: নামলে নামেন। আমার মিরপুরের মাঠে নামার সময় হয়েছে। তবে খেলার আগে যোহরের নামাজটা পড়ে মাঠে নামি। আর আপনার তাতে জ্বললে- শুনেন, খেলা শেষে জিতলে শুকরানা যৌথ একটা সেজদা দিবো। সেইটা আপলোড করবো। এর আগে গুলিস্তান গিয়ে একটা পাগলা মলম লাগিয়ে নেন। নইলে রাতে আবার কোথাও মলম পাবেন না৷
শাহাবাগী এবং ক্রিকেটার বিতর্ক [কাল্পনিক গল্প]
আরও পড়তে পারেন–যে ভাবে বাবা মা সন্তানকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাবেন
বিতর্কের সূত্র যে ভাবে
২০২২ সালের ৯ সেপ্টেম্বর নিজের ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট করেছিলেন তানজিম হাসান সাকিব। ওই পোস্টে তিনি লেখেন, ‘স্ত্রী চাকরি করলে স্বামীর হক আদায় হয় না, স্ত্রী চাকরি করলে সন্তানের হক আদায় হয় না, স্ত্রী চাকরি করলে তার কমনীয়তা নষ্ট হয়, স্ত্রী চাকরি করলে পরিবার ধ্বংস হয়, স্ত্রী চাকরি করলে পর্দা নষ্ট হয়, স্ত্রী চাকরি করলে সমাজ নষ্ট হয়। আমি যা পাই তোমাকে খাওয়াব, সে তাকে রাজরানি হয়ে আছে। এখন সে রাজরানি না হয়ে কর্মচারী হতে চায়। আসলে স্ত্রী স্বামীর মর্যাদা বোঝেনি, স্ত্রী নিজের মর্যাদাও বোঝেনি। ঘর একটি জগৎ। অসংখ্য কাজ রয়েছে। আজ ছেলেদের বেকারত্বের বড় কারণ হচ্ছে- মেয়েরা এগিয়ে আসছে, ছেলেরা কোনো চাকরি পাচ্ছে না। একটি ছেলেকে চাকরি দিলে পুরো পরিবারের উপকার হয়। অতএব মা-বোনেরা নিজের আত্মমর্যাদা রক্ষার্থে স্বামীর আনুগত্য ও বাসায় অবস্থান করে রানির হালাতে অবস্থান করুন।’
তার এই পোস্ট নাকি চরম নারী বিদ্ধেষী একদল শাহাবাগী সেই দাবি নিয়ে মিডিয়া তোলপার করছেন। আর ভারতপন্থী মিডিয়া সুন্দারভাবে তা প্রচার করছেন। তাদের কথা হলো সে কেন ইসলামিস্ট হবে। সে কেন ফেসবুকে ইসলামীক পোস্ট করবে। যা নাস্তিকপন্থিরা সইতে পারছেন না ।
তানজিম হাসানের সংক্ষিপ্ত পরিচয়ঃ
তানজিম হাসান সাকিব ২০ অক্টোবর ২০০২ ইংরেজি সালে সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলার তিলকচানপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম গৌছ আলী এবং মায়ের নাম সেলিনা পারভীন।
পরিবারের অমতে ক্রিকেটের সঙ্গে জড়িয়ে যান এই ক্রিকেটার। বাবা-চাইতো সাকিব পড়াশোনা করুক। কিন্তু ছোট থেকেই ক্রিকেটীয় স্বপ্ন বোনা ছেলেকে ক্রিকেট থেকে দূরে রাখে সাধ্য কার!
সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ইমার্জিং এশিয়া কাপ, ঢাকা প্রিমিয়ার লীগে চমৎকার সাফল্য অর্জন করেছেন তানজিম হাসান সাকিব। তারই ধারাবাহিকতায় আসন্ন এশিয়া কাপ ২০২৩ এর বাংলাদেশ দলে ডাক পেয়েছেন এই তরুণ ডানহাতি পেসার।
তানজিম হাসান সাকিব-এর শিক্ষাগত যোগ্যতা
তানজিম হাসান সাকিব-এর শিক্ষাগত যোগ্যতা এইচএসসি পাশ।
পড়াশোনায় সাকিব ছোট থেকেই ভালো। তিনি পঞ্চম শ্রেণীতে আদিত্যপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পিইসি পরীক্ষায় ট্যালেন্টপুল বৃত্তি পেয়েছিলেন। এছাড়া প্রতিটি পরীক্ষায় তিনি মেধার সাক্ষর রেখে চলেছেন।
তানজিম হাসান সাকিব-এর ক্যারিয়ার ও ব্যক্তিগত তথ্য
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | ২০ অক্টোবর ২০০২ (বয়স ২০) সিলেট, বাংলাদেশ |
|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি মিডিয়াম | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | বোলিং | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | · বাংলাদেশ (২০২৩-বর্তমান) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ১৪৫) |
১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ বনাম ভারত | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ বনাম ভারত | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
|
তানজিম হাসান সাকিবের পরিবার
তানজিম হাসান সাকিবের বাবার নাম গৌছ আলী এবং মায়ের নাম সেলিনা পারভীন। সাকিবের ৩ বোন আছে এবং ভাই হিসেবে সে একা। পরিবারের তৃতীয় সিন্তান সে।
বিবাহিত জীবন
তানজিম হাসান সাকিব এখনো অবিবাহিত।
তানজিম হাসান সাকিবের ক্রিকেটার হওয়ার গল্প
তানজিম হাসান সাকিব বেড়ে উঠেছেন সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলার তিলকচানপুর গ্রামে। ছোট থেকেই ক্রিকেটের প্রতি তার অগাধ আকর্ষণ। মূলত পাড়ায় বড়দের সাথে ক্রিকেট খেলায় সাকিবের হাতেখটি।
সাকিবের বন্ধুরা জানায়, স্কুল জীবনে সুযোগ পেলেই সাকিব খেলতে চলে যেত, এমনকি চুরি করে হলেও! বালাগঞ্জ সরকারি ডিএন মডেল উচ্চবিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণীতে অধ্যয়নরত অবস্থায় সাকিব জানতে পারেন অনূর্ধ্ব-১৩ জাতীয় দল গঠনের লক্ষ্যে মৌলভীবাজার জেলা স্টেডিয়ামে বাছাই চলছে। খেলা প্রেমী এই যুবক মাত্র একদিন ব্যবধানে মৌলভীবাজার ছুতে যান এবং নির্বাচকদের তার বোলিং নৈপুণ্য দেখান। ফলাফল? ফলাফল আর কি! নির্বাচকরা তাকে বাছাই করে নেন। সর্বশেষ তানজিম হাসান ভারতের বিরুদ্ধে তার প্রথম ম্যাচে তার দারুণ নৈপূন্যে জয় পায় বাংলাদেশ।
তানজিমকে নিয়ে কিছু ফেসবুক পোস্ট
এশিয়া কাপ ক্রিকেটের বাংলাদেশ- ভরত ম্যাচের মুল জয়ের নায়ক ২০ বছর বয়সী দাড়ি ওয়ালা তাঞ্জিম। ভরত প্রেমিকরা ওর চেতনার শক্তি খুইজা পাইছে – তাঞ্জিমের দাড়ি দেইখা আমার কাছে ইসলাম প্রেমী মনে হইছিলো –
যাই হৌউক এই ভরতের ফুট ফুটে সুন্দর — বাচ্চা গুলা মাঠে সাউথ আফ্রিকা ক্রিকেট দলের মুসলমান ফারহান, ইউসুফ, ইমরান তাহির, গুলাম বদি, তাব্রিজ শামসি কিম্বা ইংলেন্ড ক্রিকেট দলের মঈল আলী – আদীল রাশেদ,হাসিব হামিদ,জাফর আনসারী কে দেখে নাই যে ওরা কিভাবে ইসলামকে বুকে ধরে যারা কিনা বিখ্যাত হারাম ব্রেন্ডের বিয়ার লোগো পর্যন্ত জার্সিতে পরতো না।
নিজ দলের খেলার মাঝখানেও মাঠে অনেককেই নামাজ পড়তে কিম্বা রোজা রেখে খেলতে দেখেছি।
আর আমাদের শু—- এর ছানা গুলা বাংলাদেশের উদিয়মান ক্রিকেটার যে কিনা এক অনাকাঙ্ক্ষিত জয়ের নেপথ্যে তার ২০২২ সালের ফেইস বুক ষ্টেটাস নিয়া মাতামাতি শুরু করছে।
আমার কি মনে হয় জানেন -? আমাদের ইসলাম কিম্বা ধর্মে পুর্ব পুরুষদের সমস্যা আছে না হলে এই শু — এর ছানা গুলা কিভাবে এত সাহস পায় যাদের কাছে ধর্মের চেয়ে ওদের বাপ ভরত বেশী প্রিয়।
আমি তাঞ্জিমের লিখা বা ষ্টেটাসের সাথে সম্পুর্ন এক মত।
মুড়ি খাইতে পারেন যারা পছন্দ করেন না এই লিখা।
#TanzimHasanSakib Sakib তার এর এই পোষ্টের জন্য তাকে বহিস্কার এবং শাস্তি হওয়া উচিত। ২০১৪ সালের পোষ্ট, তারমানে সে ল্যাংটা কাল থেকেই জঙ্গী মনোভাব নিয়ে বড় হইসে, তাকে জাতীয় দল থেকে বহিস্কার করা হোক, নয়তো সে কোন একদিন স্ট্যাডিয়ামে খেলা শুরু হওয়ার আগে জাতীয় সঙ্গীত বাজানো নিয়েও মহা কেলেঙ্কারী ঘটাবে, জাতীয় সঙ্গীত নাযায়েজ বলে মাঠেই চিল্লাবে,তাই বিষাক্ত কীট অঙ্কুরোদগম হওয়ার আগেই ড্যামেজ করে দিতে হয়। নো লেট, তাকে বহিস্কার এখনই,। —Khayer Yeashia