You are currently viewing তরুণ কবি খাদিজা ইয়াসমিন এর ৪টি জীবনমুখী কবিতা
তরুণ কবি খাদিজা ইয়সমিন এর ৪টি জীবনমুখী কবিতা

তরুণ কবি খাদিজা ইয়াসমিন এর ৪টি জীবনমুখী কবিতা

জীবনমুখী ভালোবাসার কবিতা

অতঃপর!

তোমার স্বরুপ চিনে নিলাম।

বুঝে নিলাম তোমার মাঝে এক বিশাল আকাশ থাকে।

যে আকাশে বৃষ্টি ঝরে, বিদ্যুৎ চমকায়!

তবু ভালোবাসার খামতি হয়না।

কুহেলিকায় কষ্ট লুকিয়ে, অরুণিমার কিরণে

হাসোজ্জল দিন।

কেউ কি বোঝে? না আমি বুঝি?

কতটা শূণ্যতায় ছটফটিয়ে রাতের সিতারায় আলো সঞ্চার করে!!

নেতিয়ে পড়া স্বপ্ন রেনু জাগিয়ে বারবার,

প্রত্যয়ে দৃঢ়তা আসুক দুর্গম্যতা পার হবার।

অতঃপর!

স্বপ্ন বাঁচুক,

আশায় জেগে থাক প্রানবন্ততা।

ভালোবাসায় কুহেলিকা দুর হোক,

তোমাতে মজবুত হোক সাহস আর সুখের রৌদ্রতা।

আরও পড়ুন–মাকে নিয়ে কবিতা । মাকে নিয়ে ১৩টি কবিতা । ’’মা ‘’

পৃথিবী একটি  বিখ্যাত কবিতা  

পৃথিবীকে ভালোবেসে তরুণ কবি খাদিজা ইয়াসমিন পৃথিবীকে ওপারের পৃথিবীর কিছু সগন্ধ পবন নিয়ে দারুণভাবে সাজাতে চেয়েছেন। যা তার কবিতায় প্রকাশ পেয়েছে।

 

একসাথে,একই পথে

মরু কিংবা সাগর পাড়ি দিয়ে;

ওপারের পৃথিবীর কিছু সগন্ধ পবন এখানে নিয়ে আসবো।

ওই পৃথিবীরর শান্তির বীজ এখানের মাটিতে রোপন করবো।

একসাথে, একইমতে

যন্ত্রনার কীট সরিয়ে;

এ মাটির উর্বরতা ফিরিয়ে আনবো।

লালিত স্বপ্নকে বাস্তবের সিড়িতে দাঁড় করাবো।

একসাথে, এক মুঠোতে অসংখ্য হাতের বন্ধন..

জোড়ালো করে বন্ধুরতা পেরিয়ে সামনে দেখবো ;

হাজারো তীরের কষ্ট সইবো।

বুকের রক্তে একটিই নাম লিখবো।

একসাথে, সহস্র চোখের একটিই স্বপ্নালক্ষ্য নিয়ে..

পথের এ ধারে দাঁড়িয়েই রবো!

অসংখ্য বাজপাখির ঠোট হতে স্বাধীনতা ছিনিয়ে নিবো।

একসাথে, কোটি হৃদয়ের রক্তের একটি সমূদ্রে…

সত্য, ন্যায় আর অধিকারের স্রোত বয়ে দিবো।

প্রয়োজনে!

একসাথে, একই আবেশে ঘুম গিয়ে..

লাল সবুজের পতাকা হবো।

তবুও একটিই নাম লিখবো ‘বাংলাদেশ’।

আরও পড়ুন–নারী কবিতা। মানুষ নই, আমি নারী। অভিশপ্ত সুশীল। অপয়া তুই

প্রেমের কবিতা  

প্রেমের কবিতা বলতে নষ্ট প্রেম নয়। এই প্রেম মানবাতাকে ভালোবাসার প্রেম।  ন্যায়ের প্রতি ভালোবাসার টান। যরা সমাজে জুলুম আর অন্যায় করে তাদের কথা বলে কবি মজলুমদের ভালোবেসে তাদের প্রেমে লিখেছেন, ন্যায়ের গলায় অন্যায়ের পুতি ঝুলিয়ে তারা আর কীর্তন করবেনা।

হোক তবে সেই গান!

আবার বেজে উঠুক সেই সঙ্গীত।

যার তাল,লয়ের তীব্রতায় ঘুমন্ত..

একবারে নিশ্চল বিবেক জেগে উঠবে।

আমাদের রক্ত নেচে উঠুক, স্বপ্ন জাগানিয়া সঙ্গীতের ইনজেকশনে।

যে সঙ্গীতের প্রতিটা শব্দে নতুন পৃথিবীর রুপায়ন দেখবে এখানের মানুষ।

ন্যায়ের গলায় অন্যায়ের পুতি ঝুলিয়ে

তারা আর কীর্তন করবেনা।

ভয়ে বসে থাকবেনা ঘরের কোনে!

নতুন পৃথিবী রচনের জন্য মাঠে নামবে লাঙল কাঁধে।

আর সেই সঙ্গীত গাইবে..

যাতে মনুষত্য আবার ঘুমিয়ে না পড়ে??

চিল, শকুনেরা যেন সুযোগ না পায়,

অংকুরিত ফসল নষ্ট করতে।

হোক তবে সেই গান!

আবার বেজে উঠুক সেই সঙ্গীত।

আমরা জেগে উঠি ঘুমের দুঃস্বপ্ন থেকে,

বাস্তবের দুঃস্বপ্নকে গলা টিপতে।

অন্তত একটু কথা বলা শিখি!

কিংবা প্রতিবাদী ইশারা!

একটু কলম ধরতে!

 

জীবনমুখী কবিতা – মৃত্যু!

জীবন মানেই মৃত্যু । মৃত্যুকে বরণ করেই এগিয়ে যেতে হয় দূর্গম পথে। মৃত্যুকে সাথে নিয়েই বুনো পথে বিষ কাটা সরিয়ে, ফুলের গাছ লাগাতে হয়। যা কবি তার জীবন মুখী কবিতাতে সুন্দর ভাবে ব্যক্ত করেছেন।

 

মৃত্যু!

এইতো আমার একদম পাশে।

ছুঁতে গিয়েও ছোঁয়না! আমাকে সুযোগ দেয়,

বিবর্ণতায় রঙ লাগাতে।

বুনো পথে বিষ কাটা সরিয়ে, ফুলের গাছ লাগাতে।

মৃত্যুর সাথে আমিও খেলি..

সুযোগ পেয়ে আরও কিছু বিবর্ণতা ধার নেই সময়ের কাছে।

হাসি, অভিনয়ের মধ্য দিয়ে

ঝকমকে তিমিরের শাড়ি জড়িয়ে!

চলে এসেছি মৃত্যুর নিশ্বাসের বিন্দুতে।

আমি আবার সুযোগের আশায় তাকিয়ে আছি,

আর অংক মেলাই। কতগুলো সুযোগের বোতল নিজ হাতে ভেঙেছি?

নেশায় মত্ত হয়ে ভঙ্গুর কাঁচকে মুক্তো ভেবেছি,

হাত কেটে অরুন রক্তকে বলেছি এইতো অর্জন!

মৃত্যুর কোন রুপ নেই!

কোন গন্ধ নেই!

তবুও মৃত্যু আসে…

গুটি গুটি পায় একদমই কাছে।

জড়িয়ে নেয়

মানুষের অর্জনের রুপ দেখে।

ভালোবেসে অথবা ঘৃনা নিয়ে।

প্রেমের কবিতা  বিখ্যাত কবিতা  জীবনমুখী কবিতা  ভালো বাংলা কবিতা  কষ্টের কবিতা 
বিরহের কবিতা  জীবনবোধের কবিতা 

Leave a Reply