You are currently viewing জিলহজ্জ মাসের আমল ও জিলহজ্জ মাসের ১০ তারিখ বিশেষ ইবাদত
জিলহজ্জ মাসের ১০ তারিখ

জিলহজ্জ মাসের আমল ও জিলহজ্জ মাসের ১০ তারিখ বিশেষ ইবাদত

জিলহজ্জ মাসের আমল

ইবাদতের মৌসুমের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করুন । জিলহজ্জ মাসের আমল ও ১ থেকে ১০ তাখি পর্যন্ত বিশেষ ইবাদত উল্লেখ করা হলো। তো জেনে নেয়া যাক জিলহজ্জ মাসের ১০ তারিখ পর্যন্ত বিশেষ ইবাদত সম্পর্কে।

আলহামদুলিল্লাহ কাল সন্ধ্যায় সৌদী আরবের আকাশে চাঁদ দেখা যাওয়ার কারণে আজ থেকে সেখানে ১-লা জিলহজ্জ শুরু হয়েছে। সুতরাং এ বছর আরফার দিন হবে ২৭-শে জুন। আরব/অনারব সকলের জন্য আরাফার রোযার সওয়াবের জন্য এই দিনে রোযা রাখতে হবে।

আমাদের দেশ অর্থাৎ বাংলাদেশে আজ সন্ধ্যায় চাঁদ দেখা গেলে আগামীকাল থেকে ১-লা জিলহজ্জ শুরু হবে ইন শা আল্লাহ।

রমাদ্বানের শেষ দশ রাত যেমন সবচেয়ে উত্তম, তেমনি জিলহজ্জ মাসের প্রথম দশ দিন ইবাদতের জন্য সবচেয়ে উত্তম সময়।

যারা রমাদ্বানকে কাজে লাগাতে পারেননি, তাদের জন্য এই দশটি দিন বিশেষ একটা সুযোগ।

এই দশ দিনের সবচেয়ে বড় ফযীলতপূর্ণ ইবাদত হচ্ছে ১-৯ তারিখ পর্যন্ত নফল রোযা রাখা। অবশ্য যাদের ফরয রোযা বাকী, তারা কাযা রোযার নিয়তে রোযা রাখবেন।

যারা কুরবানী করবেন তারা আজ মাগরিবের ওয়াক্ত শুরু হওয়ার পূর্বে নখ, গোফ, নাভীর নীচে বা বগলের লোম কাটার প্রয়োজন থাকলে করে নিন। কারণ, চাঁদ উঠে গেলে কুরবানী দাতার জন্য এই কাজগুলো নিষিদ্ধ।

আরও পড়তে পারেন–হজ্জের ফরজ, ওয়াজিব, দোয়া সহ হজ্জ গাইড-পর্ব-০২

জিলহজ্জ মাসের ১-১০ তারিখ পর্যন্ত যে কোন ইবাদত আল্লাহর কাছে সবচাইতে বেশি পছন্দনীয়। এ কারণে এই ১-১০ তারিখ পর্যন্ত আমাদেরকে রমযান মাসের মতোই বেশি বেশি নফল, সুন্নত ইবাদত পালনে প্রতিযোগীতা করতে হবে।

নবী সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “অন্য যে কোন সময়ের নেক আমলের চেয়ে এই (জিলহজ্জ মাসের প্রথম) দশদিনের নেক আমল আল্লাহর কাছে অধিক প্রিয়। তারা (সাহাবীরা) বললেন, আল্লাহর পথে জিহাদও নয়! তিনি বলেন, আল্লাহর পথে জিহাদও নয়; তবে কোন লোক যদি তার জানমাল নিয়ে আল্লাহর রাস্তায় বেরিয়ে পড়ে এবং কোন কিছু নিয়ে ফেরত না আসে (শহীদ হয়ে যায়) সেটা ভিন্ন কথা।” সহিহ বুখারীঃ ৯৬৯, সুনানে তিরমিযিঃ ৭৫৭।

 

জিলহজ্জ মাসের ১০ তারিখ বিশেষ ইবাদত

(১) ১-৯ তারিখ পর্যন্ত নফল রোযা অনেক বড় সওয়াবের কাজ। যার পক্ষে যতগুলো সম্ভব রাখার চেষ্টা করবেন। বিশেষ করে আরাফার দিনের রোযা অবশ্যই রাখবেন। আর হাজীরা যেইদিন আরাফাতে অবস্থান করবেন, সেইদিনই রোযা রাখতে হবে।

(২) তাকবীর দিয়ে আল্লাহর বড়ত্ব প্রকাশ করা। পুরুষেরা সরবে আর নারীরা নীরবে বা নিন্ম স্বরে। তাকবীর হচ্ছে –

“আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার, ওয়া লিল্লাহিল হা’মদ।”

(৩) সুন্নত ও নফল নামায।

(৪) কুরআন তেলাওয়াত।

(৫) তাসবীহ, তাহলীল, যিকির আযকার।

(৬) সকাল ও সন্ধ্যার যিকিরগুলো

(৭) ফরয সালাতের শেষে যিকির

(৮) দান-সাদাকাহ । জিলহজ্জ মাসের আমল

(৯) ইখলাসের সহিত কুরবানী করা। নারী বা পুরুষ যারাই কুরবানী করবেন তারা ১ তারিখের পূর্বেই চুল, নখ বা অবাঞ্চিত লোম কেটে পরিচ্ছন্ন হয়ে থাকবেন। কারণ, যারা নিজে কুরবানী করবেন বলে নিয়ত করবেন, তাদের জন্যে ১তারিখ থেকে পশু জবাই না করা পর্যন্ত এইগুলো কাটা হারাম হয়ে যাবে।

(১০) পিতা মাতার সাথে উত্তম আচরণ করা

(১১) অসুস্থদের সেবা করা বা দেখতে যাওয়া

(১২) আত্মীয়দেরকে সাহায্য করা

(১৩) ইলম শিক্ষা করা বা মানুষকে শিক্ষা দেওয়া।

(১৪) তাহাজ্জুদ ও বিতির নামায, চাশতের নামায, তাহিয়াতুল ওযু বা তাহিয়াতুল মসজিদ, তাওবাহর নামায ইত্যাদি।

এমন যে কোন ইবাদত বা আমল যা কুরআন ও সুন্নাতে বর্ণিত হয়েছে। আল্লাহ আমাদের সকলকে এই সুযোগ কাজে লাগানোর মাধ্যমে তার নৈকট্য অর্জন করা তাওফিক দিন।

Nargis Naher Runu

ট্যাগ: জিলহজ্জ মাসের ১০ তারিখ ২০২২ , জিলহজ্জ মাসের ফজিলত, জিলহজ্জ মাসের আমল , জিলহজ্জ মাসের রোজা কয়টি, জিলহজ্জ মাসের রোজা , জিলহজ্জ মাসের কত তারিখ ঈদ, জিলহজ্জ মাসের আমল ও ফজিলত, জিলহজ্জ মাসে চুল নখ কাটা, জিলহজ্জ